নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবর্তনে চাই খোলা মন আর প্রবল আত্তবিশ্বাস।

প্রতিদিন যা পড়ি পত্রিকার পাতায়, ভাললাগা-মণ্দলাগা সবই শেয়ার করি সবার সাথে।

উল্কাপাত

খুবই আশাবাদী ও স্বপ্নবান আমি।

উল্কাপাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

পা ধরে শিক্ষককে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করলেন ম্যাজিস্ট্রেট।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫০



একটি স্থিরচিত্রের মনোজগত ও জীনগত বিশ্লেষণ
চেয়ারে বসে থাকা এই লোকটি বৃটিশ আইসিএস অফিসার নয়, পাকিস্তানী সি এসপি নয় ,পাঞ্জাবের দূষিত রক্তের নয়, বাংলাদেশের প্রশাসন ক্যাডারের একজন ম্যাজিস্ট্রেট। ভান্ডারিয়া কলেজের একজন শিক্ষক; যিনি এডুকেশান ক্যাডারের কর্মকর্তা তাকে পা ধরে মাফ চাইতে হচ্ছে এই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে। ম্যাজিস্ট্রেটদের মনোজগতের পার্থক্য কোথায় ঘটলো স্বাধীন বাংলাদেশে। আচরণ দেখেও বোঝা যায় তপশীলি থেকে মুসলমান হওয়া উপমানব। অথচ তার ইগো কিন্তু সেই কথিত বৃটিশ আর্যের। (কেসস্টাডি) কারো বাপ-দাদা গ্রামের হাটে ঘাড়ে গামছা নিয়ে বেচতো; শ্রমের মর্যাদা পেয়েছে তারা; পরিবারে প্রথম ম্যাজিস্ট্রেট জন্ম দিয়েছে; কিন্তু সেই সবুজ লুঙ্গী পরিবারের বংশে প্রথম অফিসার ঠিকই অপমান করতে পারে একজন শিক্ষককে। এইজন্য জাপান ও জার্মানীতে তিন প্রজন্মের পরিশীলিত জীনগত পরিবারের ছেলে ছাড়া কাউকে সিভিল সার্ভিসে নেয়া হয়না। জাপানের একজন ম্যাজিস্ট্রেট জাপানের একজন শিক্ষকের সামনে গিয়ে ঝুঁকে সালাম করে। সেকারণে জাপানে শিক্ষার মর্যাদা বেশী। জার্মানীতেও একই সভ্যতার অনুশীলন দেখা যায়। এবং এই কারণে বার্নার্ড শ' তার ম্যান এন্ড সুপারম্যানগ্রন্থে চিন্তার জগতের আভিজাত্য ও পরিশীলনের জন্য জীনগত পরিশুদ্ধির কথা বলেছেন। সিভিল সার্ভিসে নিয়োগের সময় ফলাফলের পাশাপাশি পারিবারিক আচরণগত পটভূমি দেখে নেয়া জরুরী। জাপান-জার্মানী এই কাজটি করে। কারণ এনলাইটেনমেন্ট নেই- জীনগতভাবে ইনফেরিওরর লোক সাধারণতঃ সুপিরিওরিটি দেখিয়ে অতীতকে ঢাকতে চায়। একটি পরিবারে তিনপ্রজন্ম শিক্ষা-সংস্কৃতি চর্চা না থাকলে এবং পরিবারের মাসলোর হায়ারার্কি অফ নিড সতভাবে পূরণ না হলে; ওই পরিবারের ছেলের মধ্যে অন্যকে সম্মান জানানোর সক্ষমতা ও বিনয়বোধ তৈরী হতে পারেনা। এগুলো জাপান-জার্মানীতে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পাওয়া অনুসিদ্ধান্ত। তাই সিভিল সার্ভিসের মেডিক্যাল টেস্টে জীন-মানচিত্র পরীক্ষা খুবই জরুরী। নইলে কোন নৌকা ডাকাতের পরিবারের ছেলে ম্যাজিস্ট্রেট হলে এইভাবে শিক্ষক এবং শিক্ষার অমর্যাদা করবে। এগুলো দেখে তরুণ প্রজন্ম শিখে যাবে শিক্ষা দীক্ষা দরকার নাই এমপি হয়ে ম্যাজিস্ট্রেটকে চড়ানো চাই।

(ঘটনা যাই ঘটুক তার আইনী সুরাহা হতে পারে; এখানে পা ধরার ঘটনাকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে; ছবিটি বিশ্লেষণ করা হয়েছে; কারণ ঘটনায় যাবার দরকার নেই মনোবিশ্লেষণে। একজন মানুষের যে কোন ভালো বা মন্দ ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া নির্ধারিত হয় জীনগত বৈশিষ্ট্য দ্বারা)

সংগৃহীত

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১৩

ময়না বঙ্গাল বলেছেন: ভাই আপনার চিন্তা চেতনার সাথে নিজের মিল পেলাম । আপনার সাথে মত চিন্তা বিনিময় করতে চাই । ০১৫৫৬৪৫৫৯৭৩ আমার নাম্বার । আপনার মোবাইল নাম্বারটা লিখে দিবেন প্লিজ ।

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

টি এম মাজাহর বলেছেন: একজন শিক্ষকই বা কোন যুক্তিতে এই কাজটি করলেন তা নিয়ে আর একটু মনোজাগতিক ব্যাখ্যা করলে ভালো হতো

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:২৪

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: শিক্ষকরাও বিভিন্নভাবে নিজেদের প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন বলেই আজ তারা পা ধরে মাফ চাইতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না।

আচ্ছা, এই ছবিটা তুলল আবার কে?

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:২৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: দুনিয়াতে সবচাইতে নিকৃস্ট মনুষ্যজীব হলাম আমরা বাংলাদেশীরা।

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৩৬

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: তিনি আমাদের দেশের প্রচলিত শিক্ষা তো ১০০% শেষ করেছে সাথে
বিসিএস করেছে তাহলে আবার আর কি শিক্ষা দরকার যার মাধ্যমে জীনগত বৈশিষ্ট চেন্জ হবে?

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৫১

শ্রাবণধারা বলেছেন: হে হে মজিস্ট্রট !!! খোঁজ নিলেই দেখবেন চাত্রলীগের নামকরা সন্ত্রাসী ছিল, ঘুস দিয়ে মজিস্ট্রট বনে গেছে । এর স্বভাব চরিত্র তো এরকমই হবে । জনগনের গলায় পা দিয়ে এরা পেট ভর্তি করে ঘুস, গু খাবে, আবার রাতের অন্ধকারে রাজনৈতিক ন্যাতা, এমপি মন্ত্রির লিঙ্গ চুষবে ।

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

গ্রহান্তরের বাসিন্দা বলেছেন: ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার জন্য আজকাল বিসিএস দিতে হয় না, ছাত্রলীগ করাটাই পর্যাপ্ত কোয়ালিফিকেসন।

৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৯

নিজাম বলেছেন: অতিব দুঃখজনক।

৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১২

টি এম মাজাহর বলেছেন: মাঘের আকাশ ভাই, আমার ও মনে প্রশ্ন ছিলো- ছবিটা তুলেছে কে? দেখেন যদি ব্যাপারটা মিটমাট করার জন্য হতো, টীচার মনে করছেন সামান্যতেই ঝামেলা মিটে যাক, ছবিটা না থাকলে কেউ জানতোও না, আর ওই টিচার টা শান্তিতে ঘুমাতো (হয়তো বউরেও বলতোনা, যে কি ঘটছে) । ছবিটা তুলার জন্যেই বিষয়টা আরও বড় হয়ে উঠেছে। ছবিটা প্রতিকী অর্থেও ধরা যায়। বাংলাদেশে থিউরিটিক্যালী শিক্ষকদের বিশাল মর্যাদার কথা বলা হলেও প্র্যাকটিক্যালী তাদের মর্যাদা যে কোথায় এবং তাদের নিজেদের আত্নসম্মানবোধ ও যে কোথায় দাড়িয়েছে তার প্রতিকী ছবিই এটি। কেরানী হিসেবে সারাজীবন গাল দিয়ে এসেছি যাদের তাদের একজন গতকালই সাহসিকতার সাথে গ্রেনেড হাতে থাকা ডাকতদের ধরতে গিয়ে নিহত হলেও তার প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা অবনত হয়ে আসে। আর এই ছবিটা দেখার পর থেকে শিক্ষকদের সম্বন্ধেও সমাজের ধারণাটা অনেক নীচেই নেমে গেলো্‌। ওই ম্যাজিস্ট্রেটের যত বড় শাস্তিই হোক না কেন, মানুষের মন থেকে এই ছবি কি সহজে মুছে যাবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.