নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয়পর্ব পরে সেরে নেবো।

উল্টা দূরবীন

কেন এক অচিন মানুষের বাস মানুষের ভিতর? জর্জরিত বোধ তবু অভিনয় যেন সুখের সাঁতার!!

উল্টা দূরবীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছবিব্লগঃ এ জার্নি বাই লঞ্চ

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৮

এবার ঈদে বাসের টিকেট ছিল এক দুর্লভ বস্তু। তাছাড়া ঈদের ক'দিন আগ থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েতে জ্যাম লেগেছিলো। তাই ভাবলাম এবার বাড়ি যাওয়ার জন্য অন্য উপায় বেছে নিতে হবে। ট্রেনের চিন্তা প্রথমেই বাদ দিলাম। ভালো লাগে না। বেছে নিলাম লঞ্চ।

ভ্রমণটা আমার কাছে খুবই উপভোগ্য ছিলো কারণ এটিই ছিল আমার প্রথম লঞ্চ ভ্রমণ। তাছাড়া নদী, মুক্ত আকাশের প্রতি আকুলতা কার নেই?

যাত্রাপথে গিলে গিলে খেয়েছি নদীর সৌন্দর্য। মোবাইলফোনে বেশকিছু ছবিও তুলেছি।

ছবিঃ এক



সদরঘাট হতে যাত্রা শুরু করে কিছুদূর যাবার পর কেরানীগঞ্জের গ্রামের দৃশ্য


ছবিঃ দুই



নদীবন্দরটা নারায়নগঞ্জের ঠিক কোন জায়গায় পড়েছে বলতে পারি না। তবে যাওয়ার পথে এটিকে একেবারেই নিশ্চল মনে হয়েছিলো। একটি মাত্র জাহাজ থেকে মাল খালাসের দৃশ্য চোখে পড়েছে। আর বন্দরের কন্টেইনার রাখার জায়গাটা প্রায় ফাঁকা ছিল।


ছবিঃ তিন



মুন্সিগঞ্জে অবস্থিত নদীর কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে জনপদ। এমন একটা আবাসের স্বপ্ন আমি দেখি যেখানে আমার ঘর হবে একেবারে নদী লাগোয়া। বারান্দায় দাঁড়ালেইই চোখে পড়বে নদীর সুললিত দৃশ্য।

ছবিঃ চার



এই জায়গাটাতে এসে যতদূর চোখ গেছে শুধু ইটের ভাটা চোখে পড়েছে।


ছবিঃ পাঁচ



ইট ভাটার দৃশ্য উপেক্ষা করলে নদীর বুকে সূর্যের ঝিলিক দেখে যে কারো মনই নেচে উঠবে। খুবই অপূর্ব লেগেছে।


ছবিঃ ছয়



শুধু দেখেই গেছি। মুগ্ধতার তুলিতে মনে আঁকতে চেয়েছি।


ছবিঃ সাত



এই ছবির কোন বর্ণনা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।


ছবিঃ আট




ছবিঃ নয়



পূর্বে ব্রীজের উপর থেকে নদী দেখতাম। এখন নদীর উপর থেকে ব্রীজ দেখছি।


ছবিঃ দশ



লঞ্চ তখন মেঘনায় এসে পৌঁছেছে।


ছবিঃ এগারো



কোন বিঘ্নতা ছাড়াই লঞ্চ এগিয়ে যাচ্ছিলো। মাঝে মাঝে বিপরীত দিক হতে আসা লঞ্চ, ট্রলার, মালবাহী নৌযান পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছিলো অপরূপ নিঃশব্দে। শুধু জলের গায়ে ঢেউ তুলে।


ছবিঃ বারো



বিকাল চারটার দিকে মাঝ নদীতে আমরা। আকাশেও যেন স্বর্গীয় রূপ। নদীও যেন ব্যতিক্রম নয়।


ছবিঃ তেরো



এমন দৃশ্যায়নেই সেজেছিলো প্রকৃতি।


ছবিঃ চোদ্দ



দৃশ্যপটে দূরের গ্রাম রেখার মত।


ছবিঃ পনেরো



সূর্য তখন পশ্চিম আকাশে হেলান দিয়েছে। পূর্ব আকাশে জমে থাকা মেঘ ঝরে পড়ছে উর্বর বাংলায়। দেখা মিলেছে সাতরঙ্গা ধনুকের।


ছবিঃ ষোল




ছবিঃ সতেরো



বিকেল ঘনিয়ে এলে নদীটা যেন হয়ে উঠলো সদ্য যৌবনবতী কিশোরীর মত।


ছবিঃ আঠারো



এই দৃশ্য দেখে মনে হলো লিখে ফেলিঃ

সফল দশ বছর আয়ু বন্ধক রেখে
একদিন নিজের করে নেবো এই নদী
শৈশবের বিকেল বেলায় নিয়ে যাবো তারে।


ছবিঃ উনিশ



সমগ্র বিকেল নদীর বুকে বিছিয়ে রাখা সোনালী আঁচল তুলে নিয়ে সূর্য ডুবে গেছে।


ছবিঃ বিশ



কত সন্ধ্যা পার করে দিয়েছিলাম বিষণ্ণতা আঁকড়ে ধরে। কত সন্ধ্যায় ছিলো উচ্ছ্বাস, উচ্ছলতা। কিন্তু এমন সন্ধ্যা আগে আর দ্বিতীয়টি পাইনি।


ছবিঃ একুশ



ঢাকা ফিসে আসার সময়ও নৌপথ বেছে নিলাম। ছবিটা চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে। এখানেই মিলিত হয়েছে পদ্মা আর মেঘনা।


ছবিঃ বাইশ



তপ্ত দুপুর। লঞ্চে উঠেই সোজা চলে গেলাম ছাদে। প্রচন্ড গরম আর রোদের একগুঁয়েমিতে অল্পক্ষণেই কাহিল হয়ে গেলাম। সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে যাবো তখনই টবের ফুলগাছে তাকে বসে থাকতে দেখলাম। লঞ্চ তখন মাঝনদীতে। বেচারা বাস্তুহারা বুলবুলি উপায়ান্তর না দেখে নির্ভীক বসেছিলো অজানা ফুলগাছের ডালে।


ছবিঃ তেইশ



কাছেধারে কোন চরও নেই। বেচারা যাবে কোথায়? মানুষের সঙ্গ তো তারা কোনকালেই ভালোভাবে দেখেনি।


ছবিঃ চব্বিশ



উত্তরের আকাশে মেঘের অভিমান। প্রার্থনায় ছিলাম। ঝড় যেন না উঠে। যদিও এই মৌসুমে ঝড় ঝাপ্টা তেমন হয় না। তবুও...


ছবিঃ পঁচিশ



ঝড় বৃষ্টি কোনটায় আসেনি। কিছুক্ষণ পর মনোমুগ্ধকর নীলের সাথে জলের আলিঙ্গন। শোভিত দুপুর।


ছবিঃ ছাব্বিশ



বিশালতা ছুঁয়েছে জলরাশি।


ছবিঃ ২৭



এমন অনিন্দিত অপরূপ দৃশ্য নয়নে গাঁথা থাকে হাজার লক্ষ বছর।


ছবিঃ ২৮



বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি,
তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর।

- জীবনানন্দ দাশ


বোনাস ছবিঃ চাঁদপুরের বন্ধু স্বর্ণা। তাকে বলেছিলাম কখনো নদী দেখিনি খুব কাছে থেকে। সে যত্ন করে ছবিগুলো তুলে পাঠিয়েছে। তার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো ভার্চুয়ালি আমার তৃষ্ণা দূর করার জন্য। নদীর মত তাকেও ভালোবাসি।


















বন্ধুর পাঠানো ছবিগুলোর বর্ণনা সন্মানিত পাঠকরাই করবেন।

সবার জীবনে আনন্দ আসুক। শুভ হোক পথচলা।

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আজকের সকালটা উপভোগ্য করে দেবার জন্য ধন্যবাদ! :)

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

উল্টা দূরবীন বলেছেন: শুধু সকাল নয়। আপনার সামনের সব দিন উপভোগ্য হয়ে উঠুক গেমু ভাই।

ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা কি দেখাইলেন অপূর্ব!!!!
সুন্দর সব ছবিগুলোই দেখি মুনশিগঞ্জ ঘাটের :)

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫০

উল্টা দূরবীন বলেছেন: নদীপথে প্রথম ভ্রমণ ছিলো। তাই কোন ছবিটা কোন জায়গার সেটা সঠিক বলতে পারবো না। হতে পারে মুন্সিগঞ্জ ঘাটের আবার হতেও পারে মুন্সিগঞ্জ ঘাটের। ;)

অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা জানবেন আপা।

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৯

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: মনোমুগ্ধকর সব ছবি, সাথে চমৎকার বর্ণনা।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৫

উল্টা দূরবীন বলেছেন: ধন্যবাদ ভুত ভাই।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৬

উল্টা দূরবীন বলেছেন: ধন্যবাদ ভুত ভাই।

৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ছবিগুলো দেখে উপলব্ধি- শরৎকাল তাহলে এসেই গেছে!

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৭

উল্টা দূরবীন বলেছেন: হ্যাঁ।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আকাশ, আকাশ, আকাশ, সীমাহীন দীগন্ত, দীগন্তের কয়েকটি রূপ।

বেশ ভাল পরিবেশটা।

ছবিগুলো ভাল লাগলো। +

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৯

উল্টা দূরবীন বলেছেন: শুধু ভালোই না। মুগ্ধ হওয়ার মতই ভালো।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ভাল লাগা রইল পোস্টে
:)

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১১

উল্টা দূরবীন বলেছেন: ধন্যবাদ আপা।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১১

উল্টা দূরবীন বলেছেন: ধন্যবাদ আপা।

৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসাধারণ একটা ফটো ব্লগ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১২

উল্টা দূরবীন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার পোস্ট !!

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৩

উল্টা দূরবীন বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই।

৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: উল্টা দূরবীন ,



অনিন্দ্য সুন্দর ছবিব্লগ ।
মোবাইলফোনে চাঁদপুরের স্বর্ণার বন্ধুর তোলা নদীর বুকে সূর্যের ঝিলিক মাখা ছবিগুলো গিলে খাওয়ারই মতো ।
আর স্বর্ণার তোলা স্বর্ণালী ছবিগুলোও কম যায়নি ।
টবের ফুলগাছে বসা জড়সড় বুলবুলিকে কই পেলেন ? লঞ্চে ? লেখা তো তাই ।

শুভেচ্ছা রইলো ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৫

উল্টা দূরবীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

লঞ্চের ছাদে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরির পর নামতে যাবো এমন সময় বুলবুলিটাকে দেখেছিলাম। পালক কিঞ্চিত ভেজা মনে হয়েছিলো। তাই কাছে গিয়ে ছবি তোলার সুযোগ দিয়েছে।

১০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৪

মাদিহা মৌ বলেছেন: ক্যাপশন না পড়েই শেষ দিকের ছবিগুলি দেখতে দেখতে ভাবছি, এই দিগন্ত এত পরিচিত লাগছে কেন? পরে দেখি, এ যে আমার শহরেরই ছবি! :P

১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:০৫

উল্টা দূরবীন বলেছেন: আপনার শহর আমার খুব ভালোলেগেছে।

১১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: আকাশের ভিন্ন রূপ !

অসাধারণ ছবি ব্লগ ভাইয়ু। :)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:১৪

উল্টা দূরবীন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়ু। :)

১২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৩

নেক্সাস বলেছেন: নাইচ ফটোগ্রাফী।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:১৫

উল্টা দূরবীন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার এলকা আমি জানি :)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:১৬

উল্টা দূরবীন বলেছেন: :)

১৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:১০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভালোবাসি ছবি ব্লগ, ভালোলাগে নদী আকাশ, তাই ভালোলাগা পোষ্টে।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:১৯

উল্টা দূরবীন বলেছেন: নেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫২

প্রামানিক বলেছেন: অসাধারণ ফটো ব্লগ। ধন্যবাদ

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

উল্টা দূরবীন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.