নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটু বেশি ভাবি।স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি আর ভালবাসি গান শুনতে।পড়াশোনা যা হয়েছে হয়তো বা অনেক, বাকিটা চেষ্টা চলছে।ভালবাসি নিজেকে,ভালবাসি বই পড়তে।এই আমি এই আমার পৃথিবী.........
গল্পের নায়ক অভ্র নীল! বাস্তবতার চরম সীমানায় দাঁড়িয়ে থাকা এক মানব মূর্তি। বলা আর না বলার আক্ষেপ যাকে বিদ্ধ করছে বার বার!
অভ্র ছোট বেলা থেকে একটু অন্যরকম।কারো থেকে আগ বাড়িয়ে কথা বলে না।কারো সাথে সহজে মিশে না। স্কুল, কলেজ এমন কি ভার্সিটির বন্ধুদের কাছে ও সে একটি রহস্যের নাম!
বাস্তব জীবনে সে যতটা লাজুক, কথা কম বলা মানুষ কিন্তু কর্ম জীবনে সে ততটা ভয়ানক বাচাল।কনফিউজ হওয়ার কারন নেই! অভ্র পেশায় এক জন রেডিও জকি!
এই কারনে ই বন্ধুরা অভ্র কে হেইট করে বেশি।যে ছেলেটা সারা শহর কথায় মাতিয়ে রাখে সেই ছেলেটা বাস্তব লাইফে কথাই বলতে ভুলে যায়। ফেসবুক বা কোনো সোস্যাল সাইটে তার ইন্টারেস্ট খুবই কম। বন্ধু মহলে এ নিয়ে কানাঘুষো কম নয়। অবশ্য ফেসবুকে একাউন্ট ছিলো এক সময়। কিন্তু কোনো এক আজানা কারনে একাউন্ট টি ডিলেট করে দেয় সে।
জীবন চলছিলো বেশ ই! কিন্তু এই রং ছাড়া বেখাপ্পা জীবনে চৈতির আগমন! আগমন বললে ভুল হবে এ যেন বিনা মেঘে বৃষ্টিপাত। চৈত্র মাসে যেমন বৃষ্টি হওয়াটা অস্বাভাবিক তেমনটি অভ্রের জীবনে কারো আগমন টা তেমন অস্বাভাবিক।
অভ্র প্রতিদিনের মত রেডিও টুডের অফিসে বসে আছে।শো এর বাকি এক ঘন্টা।তাই বন্ধু সালমান এর সাথে বিভিন্ন ব্যাপারে পড়ামর্শ নিচ্ছে।হঠাৎ পিয়ন জানালো অফিসের টেলিফোনে ফোন আসছে ইমার্জেন্সী অভ্র কে চায়। অভ্র খানিকটা ভয় পেয়ে পকেটে থাকা মোবাইল বের করে তাকালো, না ফোন তো বন্ধ না।তাইলে অফিসের টেলিফোনে কে ফোন করলো।কারো কোনো সমস্যা হলো না তো! আর, তার অফিসের নাম্বার তো আব্বু আম্মুর কাছে নাই।তাইলে ইমার্জেন্সী কে ফোন করলো?
অভ্র প্রচন্ড ভয়ে ইতস্তত হয়ে ফোনে হ্যালো বলার সাথে সাথেই অন্য প্রান্ত থেকে একটি মেয়ে বলে উঠলো, "ভাইয়া প্লিজ ফোন কাটবেন না।জাস্ট একটা কথা বললো।আমি চৈতি। আপনি আমার মেসেজ লাইভে পড়েন না কেন?"
অভ্র কোনো উত্তর না দিয়ে ফোন টা কেটে দিলো।তাহলে এই সেই মেয়ে যে অভ্রের শো তে টানা ৩ ঘন্টা শুধু মেসেজ ই দিতে থাকে।অভ্র বিরক্ত হয় আর ভাবে এই মেয়েটির সিরিয়াসলি সমস্যা আছে।
মেয়েটা প্রত্যেক দিন একই টাইমে অফিসে ফোন করে করে এক প্রকার অসহ্য করে তুলেছে।অফিসে বলে দিয়েছে, যেন তাকে আর ডাকা না হয় ফোন আসলে।
মেয়েটির অত্যাচার দিনের পর দিন বাড়ছে।মেয়েটি ফোন করেই চলেছে।আর অভ্র ফোন অভোয়েট করে চলেছে।
হঠাৎ করে অভ্র অসুস্থ।টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত।এক মাসের ছুটি নিয়েছে। চৈতি প্রত্যেক দিন অপেক্ষা করে কিন্তু অভ্রের শো তে অভ্র নেই।মেসেজ দিলে অন্য আরজে খোলাসা করে কিছু বলে না।শুধু বলে সে আসবে একটু সমস্যা আছে।
শেষমেশ চৈতি রেডিও টুডের অফিসে চলে যায়।অভ্রের খোজ জানতে চাইলে সবাই ই তথ্য দিতে আপারগতা প্রকাশ করে।
চৈতি ফিরে আসে তবে আসার সময় অনেক কান্না কাটি করে।অভ্রের কলিগ ফোন করে সব বলে দেয়। অভ্রের কেন জানি হাসি পায়।মানুষ কেন যে এমন আচরন করে?
অভ্রের সুস্থ হতে ২ মাস লেগে যায়। সে তার কর্ম ব্যস্ত জীবনে ফিরে আসে।সময় চলতে থাকে...
বেশ কিছু দিন পর, খালাত বোনের বিয়ে উপলক্ষ্যে অভ্র গেছে খুলনাতে।অতিথি তে বাসা জাকজমকপূর্ন।একটা ফ্যামিলি এসেছে ঢাকা থেকে। অনেক গোছানো একটা ফ্যামিলি। দুই মেয়ে এক ছেলে।কিন্তু বড় মেয়েটা কেমন যেন আচরন করছে। স্বাভাবিক লাগছে না।অভ্র কিছুক্ষন পর জানতে পারে এই ফ্যামিলি টা ওর খালাত বোনের ফুফুর পরিবার!
অভ্রের যে খালাত বোনের বিয়ে সে আবার অভ্রের বয়েসী।সন্ধ্যায় হলুদের অনুষ্টান।বাসায় মানুষ এসে ভরে গেছে।অভ্র ছাদে বসে আছে।একা একা থাকতেই ভালো লাগে তার। হঠাৎ করে খালাত বোন মিরার ডাকে পিছনে তাকিয়ে দেখে পিছনে সেই মেয়েটি আর মিরা দাঁড়িয়ে আছে।
মিরা চৈতি কে পরিচিত করিয়ে দিলো কিন্তু মিরা কিছু বললো না শুধু মাথা নাড়ালো আর অভ্র তার নাম নীল বললো কারন বাসায় সবাই তাকে এই নামেই ডাকেই।
চৈতি নাম শুনাতে অভ্র প্রথমে কিছু টা হোচট খেয়েছিলো।চৈতি কেন জানি ছাদ থেকে চলে গেল।বেশি ক্ষন থাকলো না।অভ্র মিরা কে বললো মেয়েটা অদ্ভুত! এক ক্ষনে একটা কথা ও বললো না শুধু হা করে আকাশের দিকে চেয়ে রইলো!
মিরা বললো, চৈতি এমনটা ছিলো না।গত ৩ মাস ধরে মানষিক সমস্যা হয়েছে ওর।ও একটা ছেলে কে ভালোবাসত কিন্তু ছেলেটা ওকে একটু ও পাত্তা দিত না।অন সাইড লাভ বলতে পারিস।
আর একটা মজার কথা শুনবি নীল, ছেলেটাকে না দেখেই মিরা লাভ করে ফেলছে।ছেলেটা আবার আরজে।অহ ওয়েট! তুই ও তো আরজে। ছেলে টার নাম অভ্র! চিনিস নাকি?মিরা ঐ যে অভ্রের অফিস থেকে এসেছে তখন থেকে ই পাগলামী করতেছে।
পুরো কাহিনী শুনে অভ্র থ খেয়ে গেল।আচ্ছা, এটা কি ডেস্টিনেশন নাকি মিরাকেল?
মিরা অভ্র কে রিকোয়েস্ট করলো যেন সে চৈতি কে হেল্প করে।মিরা বলে গেল সে চৈতি কে ছাদে পাঠাচ্ছে। মিরা চলে যাওয়ার পর অভ্রের মনে হাজার টা প্রশ্ন উঠে এলো? তাহলে কি সে অন্যায় করেছে মেয়েটির সাথে? চৈতির এই অবস্থার জন্য কি সে দায়ী?
ভাবতে ভাবতেই চৈতি আবার ছাদে চলে এসেছে।অভ্র চৈতির কাছে গিয়ে জানতে চাইলো, "এসবের মানে কি? আপনি এসব করছেন কেন? অভ্র তো আপনাকে ভালোবাসে না তাহলে কেন খামখা জীবন টা নষ্ট করছেন?"
চৈতি কোনো জবাব দিলো না।যদিও কিছু বলতে চেয়েছিলো। অভ্র দেখলো চৈতির চোখ দিয়ে অঝরে পানি পড়ছে।
"আপনি কাদবেন না প্লিজ। আমি অভ্র কে আপনার কাছে এনে দিবো!" বললো অভ্র।চৈতি একটু ও তাকালো না অভ্রের দিকে।সে আকাশের দিকে তাকিয়ে কেদেই চলেছে।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে, অন্ধকার হচ্ছে চারদিক।অভ্রের মন আকাশ ও অন্ধকার। দুইটি অতৃপ্ত প্রানী ছাদে দাঁড়িয়ে আছে কিছু প্রশ্নের দোলনায় উপর.....
২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:০১
*কালজয়ী* বলেছেন: প্রভাতী সাহিত্য.........
৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: বেশ ভাল লিখেছেন। +
শেষের লাইনটা চমৎকার, তবে টাইপো দুটো সংশোধন করে নিলে আরো ভাল লাগবে।
৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আর একটা মজার কথা শুনবি নীল, ছেলেটাকে না দেখেই মিরা(চৈতি) লাভ করে ফেলছে।ছেলেটা আবার আরজে।অহ ওয়েট! তুই ও তো আরজে। ছেলে টার নাম অভ্র! চিনিস নাকি?মিরা(চৈতি) ঐ যে অভ্রের অফিস থেকে এসেছে তখন থেকে ই পাগলামী করতেছে।
পরে মিরার জায়গায় চৈতি হবে।
ভালো লেগেছে।
৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৯
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভালো লিখেছেন,তবে মিসটেকটা শুধ্রে নিবেন।
৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪
আখেনাটেন বলেছেন: ভালো।
শেষে এসে কেঁচে গুণ্ডুস করে ফেলেছেন। শুধরে নিন।
শুভকামনা।
৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: অভ্র এবং চৈতির ছবি দেন, দেখি।
৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:০২
নীল আকাশ বলেছেন: ম্যাওপ্যাও পোষ্ট। গল্প যদি সুন্দর করে না লিখতে পারেন তাহলে মজা পাওয়া যায় না। অনেক জায়গায় ভূল আছে।এডিট করে ঠিক করে দিন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৫৯
মৌরি হক দোলা বলেছেন: কাহিনিটা সুন্দর। তবে...শেষে কি কোনোভাবে ভুল করে চৈতির স্থানে মীরা এসে পড়েছে??