নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটু বেশি ভাবি।স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি আর ভালবাসি গান শুনতে।পড়াশোনা যা হয়েছে হয়তো বা অনেক, বাকিটা চেষ্টা চলছে।ভালবাসি নিজেকে,ভালবাসি বই পড়তে।এই আমি এই আমার পৃথিবী.........
আমি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড কে খুন করেছি! কি অবাক হলেন? হ্যা, অবাক আমি ও হয়েছিলাম। সাহিল আর আমি সেই ছোট বেলা থেকে বন্ধু, যাকে বলে নাংটা কালের বন্ধু৷ এক সাথে স্কুলে যাওয়া, এক সাথে খেলাধুলা সহ সকল ব্যাপারে আমাদের মিল ছিল। দুই জন একই রঙের শার্ট পড়তাম। লোকে দেখে বলত, মানিক জোড় আলাল-দুলাল যাচ্ছে।
কলেজ পেড়িয়ে সদ্য ভার্সিটি লাইফে উঠেছি। ভার্সিটি লাইফের প্রথম দিনেই মিতু নামের একটি মেয়ে কে দেখে মুগ্ধ হই। আস্তে আস্তে মিতুর কাছাকাছি চলে আসি এবং এই মুগ্ধতা এক দিন ভালোবাসায় পরিনত হয়। বেস্ট ফ্রেন্ড হওয়া সত্বে আমি সাহিল কে পুরো ব্যাপার টা খুলে বলি। সাহিল আমাকে উৎসাহ দেয়, মামা তোর কপাল খুলে গেছে। চালিয়ে যা..... ইত্যাদি।
আমাদের প্রেম ভালো ই চলছিল।
একদিন হঠাৎ মিতুর কোনো খোজ নেই! মিতুর ফোন অফ। এমন টা তো হওয়ার কথা না। সারা দিন ফোনে চেষ্টা করে ও মিতু কে পাওয়া গেল না। আমি বিভিন্ন চিন্তা করতে লাগলাম। সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ একটা অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসল। রিসিভ করার সাথে সাথে অপর পাশ থেকে একটি মেয়ে বললো, ভাইয়া আমি মিতু আপুর কাজিন । আপু আপনার কথা প্রায় প্রতিদিন ই আমাকে বলত। আপু কে সকাল থেকে ফোনে পাচ্ছি না। বাসার সবাই অনেক টেনশনে আছে। আপু কি আপনার কাছে? এটা শোনার পর আমার বুকের হার্টবিট বিদ্যুতের গতিতে দৌড়াতে লাগলো৷ মনে হলো আমি স্বব্দ হয়ে গেছি। আপুটা কে বললাম, আমি ও সকাল থেকে মিতু কে পাচ্ছি না৷ ও কি আজ ভার্সিটির উদ্দেশ্যে বের হয়েছিল?
হ্যা ভাইয়া, আপু সকালে ভার্সিটির জন্য ই বের হয়েছিল।
আমি পুরো পাগলের মত অবস্থায় বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম। রাত ১২ টা অবধি ওর বাসা থেকে ভার্সিটির মোড় পর্যন্ত হাটলাম কিন্তু কোনো হদিস পেলাম না।
রাত ১ টায় মেসে ফিরে দেখি সাহিল ফোনে কাকে যেন বলছে, "মামা, কি করসিস এইটা! এখন কি হবে? তাইলে একটা কাজ কর মাল টা কে হাতিরঝিলের আশেপাশে ফেলে আয়।"
আমি রুমে যাওয়ার সাথে সাথে চুপ হয়ে গেল ও। আমাকে বিমর্ষ অবস্থায় দেখে কারন জিজ্ঞাসা করলো কিন্তু আমি কিছু না বলে ভিতরের রুমে চলে গেলাম। অনেক যায়গায় ফোন করে ফোনের টাকা শেষ। এত রাতে ফোনে টাকা লোড দেয়ার ও সুযোগ নাই। আবার আমার কয়েকটা জায়গায় ফোন ও দিতে হবে, তাই সাহিলের রুমে গিয়ে ফোন নিলাম ফোন করার জন্য। দুইয়া জায়গায় ফোন দিলাম কথা শেষ করে ফোনটা রেখে দিবো তখন চাপ লেগে ক্যামেরা অন হয়ে গেছে। ক্যামেরার নিচে একটা ভিডিও ক্লিপ দেখা যাচ্ছে। জানি না কেন ভিডিও অন করলাম এবং আমি তাজ্জব বনে গেলাম। যা না দেখার ছিল সে জিনিসটা দেখে ফেললাম। আমার হাত পা কাপছিল। সাহিল এমন পশু হল কবে থেকে? এত দিন ওর সাথে থেকেছি! ও কি না আমার ছোট্ট বেলার বন্ধু?
সে দিনের সেই ভিডিও'র মেয়েটি আর কেউ না আমার প্রিয় মিতু ই ছিলো৷ সাহিল আর সাহিলের দুইটা বন্ধু মিলে মিতু কে মেরে ফেলেছে। পরের দিন মিতুর লাশ পাওয়া যায় হাতিরঝিলে!
রাগে, ক্ষোভে, ঘৃণায় সাহিল কে কিচ্ছু বলার সুযোগ না দিয়ে শুধু বটি দিয়ে ওর মাথা দুই ভাগ করে দিয়েছিলাম সে দিন রাতে! ব্যাস, হয়ে গেলাম বন্ধুর খুনি!
আজ ফ্রেন্ডশীপ ডে! আজ ই আমার ফাসি। জেলের কাস্টেরী তে বসে ভাবছি,এটাই বন্ধুত্ব দিবসে সব থেকে বড় বন্ধুত্বের পাওনা.....।
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: খুন খারাবি কোনো ভালো কাজ নয়।
৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮
অন্তরা রহমান বলেছেন: বন্ধু জিনিসটার উপর কেন যেন আমার বিশ্বাস কম।
৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:১৪
তারেক ফাহিম বলেছেন: বন্ধু দিবসে এমন পোষ্ট!
স্বব্দ- স্তব্দ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত মর্মান্তিক।