নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষণ

সাব্বির আহমেদ ভাষন

একটু বেশি ভাবি।স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি আর ভালবাসি গান শুনতে।পড়াশোনা যা হয়েছে হয়তো বা অনেক, বাকিটা চেষ্টা চলছে।ভালবাসি নিজেকে,ভালবাসি বই পড়তে।এই আমি এই আমার পৃথিবী.........

সাব্বির আহমেদ ভাষন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুয়েট, সাংবাদিকতা আর পোষাক

০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২০

কুয়েটে আরাবিয়ান পোষাক পড়ে বছরের শেষ দিন পালন করায় কিছু কু-সাংবাদিকদের দেখলাম তাদের নিয়ে নিউজ করতে। ৭১ টিভির উপস্থাপিকা তো আরো ভয়ংকর জিনিস জিজ্ঞাসা করেছে। কেন তারা আরাবিয়ান পোষাক পড়লো? এই পোষাক আমাদের সংষ্কৃতির বিপরীত, আমাদের ঐতিহ্য কে কি অবমাননা করা হলো না? কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার, যিনি প্রশ্ন করছেন তিনি ই ওয়েস্টার্ন পোষাক পড়ে আছেন!

পোষ্টটা লিখার কারন , আজ দেখলাম কুয়েটে এখন থেকে এই টাইপ পোষাক পড়াতে কর্তৃপক্ষ বাধা আরোপ করেছে, এখন থেকে অনুমতি নিতে হবে এমন কিছু করতে হলে।ভার্সিটির কোনো অনুষ্টানে আলাদা পোষাক পড়তে হলে আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে।

সব প্রেজেন্টেশন-ভাইভা-ইন্টারভিউ তে আমাদের এই সংষ্কৃতির চেতনা কই থাকে? কেন এই কার্য্য গুলোতে লুঙ্গি-ধুতি পড়ে যাওয়া যায় না? কেন শার্ট-প্যান্ট-কোট পড়ে যেতে হয়।

উপস্থাপিকা প্রশ্ন করে বসলেন, জুব্বা-আলখেল্লা পড়ে কি ইসলাম কে অবমাননা করা হচ্ছে কি না!? এই জুব্বা আলখেল্লা নাকি ইসলামী পোষাক! কিন্তু যতদূর জানি, ইসলামী নির্দিষ্ট কোনো পোষাক নেই। পোষাকের তারতম্য আসে মূলত আবহাওয়া-ভৌগলিক অবস্থানের উপর। শীত প্রধান দেশের মানুষ ইচ্ছে করলে আমাদের মত হালকা টিশার্ট আর লুঙ্গি পরে ঘুরে বেড়াতে পারবে না , তেমনি আমরা ও সাইপ্রাসে গিয়ে সেন্টু গেঞ্জি আর লুঙ্গি পড়ে ঘুরতে পারব না। আরব মরুভুমিময় হওয়ায় ঐ খানে সূর্যের তাপে বালু প্রচন্ড উত্তাপ্ত হয়, তাই তারা মাথায় পাগড়ি আর পা অবধি ঝুলন্ত ড্রেস পড়ে যাতে গরম বালু তাদের মাথার চুলের ভিতর বা শরীরের কোনো অংশে না লেগে যায়।

চিন্তা করেন, আপনি গ্রামের জমির মাঝ দিয়ে হেটে যাচ্ছেন আর আপনার পরনে ফরমাল পোষাক । সামনে পড়ল ছোট্ট একটা ডোবা যেটা আপনাকে হেটে পাড় হতে হবে। এই পোষাক পড়ে সেটা পাড় হওয়া আপনার পক্ষে অসম্ভব। বাংলাদেশ পেক্ষাপটে তাই লুঙ্গি ই হচ্ছে উপযুক্ত পোষাক। এই হিসেবে ই প্রত্যেকটা দেশে নিজেস্ব পোষাক এসেছে।

তাই, কোন দেশের পোষাক পড়লেই সেই দেশের সংষ্কৃতি কে ধারন করা হয় না , আবার সেই দেশের কৃষ্টি-কালচার কে ও অবমাননা করা হয় না। এই উন্মুক্ত তথ্য প্রযুক্তির বিশ্বে এক দেশের কৃষ্টি-কালচার আরেক দেশে হুর হুর করে ঢুকে যাচ্ছে। এখন আপনাকে বুজতে হবে আপনি কোনটা ধরবেন আর কোনটা ছাড়বেন?????

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


কুয়েট কি মাদ্রাসা, নাকি স্কুল?

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৭

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: পোষাক নিয়ে এত সমালোচনা কেন, বুঝি না। তবে একটা কথা সত্যি বাংলাদেশের ছেলে/মেয়েরা পশ্চিমা সাংস্কৃতি অনুসরণ করলে তেমন আলোচনা হয় না।

৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪২

রাজীব নুর বলেছেন:

কুয়েট কে অনেকে মজা করে কুয়েত বলে। এইজন্য ছাত্ররা এই নামটাকে থিম হিসেবে নিয়ে সেখানকার পোশাক পরছে। এর মধ্যে দোষের কি হল?

সমস্যা টা ওদের পোশাক কে নাকি যাদের চুল্কাচ্ছে তাদের মানসিকতায়?

৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৪৩

এপোলো বলেছেন: চিন্তা-ভাবনায় স্বাধীনতা থাকতে হবে। ১৫ ব্যাচের এই উৎসবের পরে দেখলাম বাংলাদেশের অনেকের চিন্তা-ভাবনায় পরাধীনতা রয়ে গেছে, মনের মধ্যে নোংরামি রয়ে গেছে, কথা-বার্তায় বর্ণবাদী আচরণ প্রকাশ পেয়েছে। তারপরও কুয়েটিয়ানরা তাদের জুনিয়রদের যেভাবে সাপোর্ট করেছে, দেখে অনেক ভাল লাগল।
বেশি খারাপ লেগেছে কুয়েট প্রশাসন থেকে জারি করা নোটিশে। প্রশাসনের উচিত ছিল এইসব ছোটখাট ব্যাপারে নাক না গলিয়ে তাদেরকে যেসব কাজে রাখা হয়েছে সেগুলো করতে মনোযোগ দেয়া।
এখনো কুয়েটে অনলাইন পেমেন্টের সিস্টেম নাই, বিদেশে কর্মরত কুয়েটিয়ানদের ডকুমেন্ট রিলেটেড কাজে কোন সহযোগিতা পায় না এই প্রশাসন থেকে। রেজিস্ট্রার বিল্ডিং এর কেউ তাদের ইমেল চেক করে কিনা সন্দেহ। ইমেল চেক করতে জানে কিনা সেটা আরও বড় সন্দেহ। এইসব না করে ওরা নোটিশ জারি করা পোলাপাইন কেমনে নাচানাচি করবে তার উপর। হতাশাজনক।

৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: রাজীব ভাই দারুন একটা মন্তব্য করেছেন। স হ ম ত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.