নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটু বেশি ভাবি।স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি আর ভালবাসি গান শুনতে।পড়াশোনা যা হয়েছে হয়তো বা অনেক, বাকিটা চেষ্টা চলছে।ভালবাসি নিজেকে,ভালবাসি বই পড়তে।এই আমি এই আমার পৃথিবী.........
ধর্ষনের কারন কি? মেয়েদের পোষাক নাকি ছেলেদের অতিরিক্ত পর্ন আসক্তি?
আগে বলা হত বাংলাদেশ প্রাকৃতিক ভাবে ঝুকি পূর্ন দেশ, কিন্তু এখন খানিকটা ঘুরিয়ে বলা যায় বাংলাদেশ ধর্ষকের অভয়ারণ্য। ধর্ষনের ঝুকি পুর্ন দেশ। বাংলাদেশের গত কয়েক বছরের খাতা উলটিয়ে পালটিয়ে দেখলে দেখা যায় এমন কোনো দিন নেই যে দিনে একটা ও ধর্ষকের খবর সংবাদ পত্রের পাতায় আসে নাই। শিশু থেকে বৃদ্ধা, কেউ রেহাই পাচ্ছে না । এই ঘৃন্য জিনিসটার সর্বশেষ স্বীকার ঢাবির এক বোন!
আমাদের দেশের এক শ্রেনীর মানুষ মনে করে, ধর্ষনের জন্য মেয়েদের পোশাক দায়ী। তারা খোলা মেলা ভাবে নিজেদের উপস্থাপন করে বিধায় ই এমন টা হয়। আসলেই কি ব্যাপার টা তাই? ইউরোপিয়ান দেশ গুলোর দিকে তাকালেই এই প্রশ্নের উওর খুজে পাওয়া যায়। তারা তো অনেক ছোট ছোট পোষাক পড়ে ঘুরাফেরা করে ,কই ঐ খানে তো ধর্ষন হচ্ছে না আমাদের দেশের মত! মূলত সমস্যা আমাদের মানষিকতায়। পারিবারিক সুশিক্ষার অভাব ই মূলত ধর্ষক তৈরিতে সাহায্য করছে। পরিবারে যদি ছোট ছোট ছেলেদের কে সুশিক্ষা দিয়ে বড় করা হত তাহলে তারা ধর্ষক হত না। পরিবারে ছোট ছোট ছেলেদের ধর্ষনের ব্যাপারে সম্যক ধারনা দিইয়ে বড় করতে হবে, বুজাতে হবে ধর্ষন একটা জঘন্য ঘৃন্য কাজ।
এদেশের প্রায়টা টিনএজার পর্নে আসক্ত। যা দিনের পর দিন মারাত্বক রুপ ধারন করছে। অতিরিক্ত পর্নগ্রাফিতে আসক্তি এবং সেক্সয়াল ফ্রাস্টেসন থেকে এদেশের এক শ্রেনীর মানুষ ধর্ষকে পরিনত হচ্ছে। তাই পোষাক থেকে এই পর্নের আসক্তি কে ই বড় করে দেখছি ধর্ষনের কারন হিসেবে।
ধর্ষন যেহেতু এলার্মি রুপ ধারন করেছে, এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় কি কি পদক্ষেপ নিতে পারি প্রশ্ন আসতে পারে!
১। বাড়ির ছেলেদের কে পারিবারিক নৈতিক শিক্ষা দেয়া, ধর্ষন কে মারাত্বক আপরাধ হিসেবে তাদের মনের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়া।
২। স্কুল কলেজে আলাদা কোর্স/বই চালু করা।
৩। প্রচার প্রচারনা বাড়ানো।
৪। নারীদের ক্ষমতায়ন। সুষ্ট কাজের জায়গা তৈরি করে দেয়া। নারীদের কে পণ্য হিসেবে ব্যবহারের যে ট্রেন্ড চালু হইয়ে সেখান থেকে বের হয়ে আসা।
৫। সুষ্ট আইন শৃঙ্খলার প্রয়োগ, কঠোর আইন পাশ।
৬। মেয়েদের আরো সাহসী হওয়া। কোন অবস্থাতেই তাদের চুপ থাকা যাবে না। যেখানে ই অপমান-অপদস্থের স্বীকার হবে সেখানেই প্রতিবাদ করা। আর এ ক্ষেত্রে আমাদের সাধারন মানুষদের বিশাল ভুমিকা আছে। তাদের কে প্রচন্ড হেল্পফুল হতে হবে।
৭। প্রত্যেকটা বাসের ভিতর বাসের নাম্বার প্লেট দিতে হবে। ফলে, বাসের ভিতর কেউ কোনো ধর্ষকের দ্বারা আক্রান্ত হলে সরাসরি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্য নিতে পারে।
৮। সর্বোপুরী, পুরুষদের আসল পুরুষ হয়ে উঠতে হবে তার মা-বোন-বউ কে এই দুর্যোগের হাত হতে বাচাতে।
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: কঠিন বিচার করতে হবে। যেন দুষ্টলোকদের কলিজা কেঁপে উঠে।
৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪১
সোহানী বলেছেন: কঠিন বিচার চাই। রাস্তায় দাড়িঁয়ে যেন সবাই দেখতে পায় এমন শাস্তি চাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ক্রসফায়ার চাই।