নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটু বেশি ভাবি।স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি আর ভালবাসি গান শুনতে।পড়াশোনা যা হয়েছে হয়তো বা অনেক, বাকিটা চেষ্টা চলছে।ভালবাসি নিজেকে,ভালবাসি বই পড়তে।এই আমি এই আমার পৃথিবী.........
কয়েকটা ভিডিও তে দেখলাম রাস্তাঘাটে পুলিশ যাকে পাচ্ছে তাকে দেদারছে পিটাচ্ছে, কান ধরে উঠবস করাচ্ছে। এর ভিতরে কেউ বাদ পড়ছে না, ভ্যানচালক-মুদিদোকানদার-সিএনজি চালক থেকে শুরু করে রাস্তায় চলা গার্মেন্টস কর্মী!
আচ্ছা, এরা কেন বাইরে বের হচ্ছে? কেন বাসায় থাকছে না? এই জটিল প্রশ্নের উত্তর খুব ই সোজা। এরা প্রত্যেকে ই দিন মজুর বা শ্রমজীবী শ্রেনীর৷ যাদের প্রত্যেকে ই দিন আনে, দিন খায়৷ তারা একদিন বের না হলে খাওয়া বন্ধ।
একটা ভিডিও তে দেখলাম, একজন লোককে কান ধরাচ্ছে পুলিশ। আর, লোকটি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে ফ্যালফ্যাল করে হাসছে। সেই হাসির মাঝে এক অদ্ভুত কৌতুহল লুকিয়ে আছে। লোকটি হয়ত নিরুপায়, হয়ত আরো ৫-৬ টা মুখ তাকিয়ে আছে তার দিকে। সে ঘরে খাবার নিয়ে ফিরবে এবং তার ঘরে চুলা জ্বলবে।
সব কিছু বন্ধ করে দেয়ার আগে আমরা কি এই শ্রমজীবী মানুষের কথা ভেবেছি? তারা কাজে না গেলে খাবে কি? কিভাবে চলবে? কিভাবে এই লক ডাউনের দিন গুলো পার করবে?
আমাদের মত মধ্যবিত্তরা ই হিমশিম খাচ্ছি এখন। এভাবে চলতে থাকলে দশ-পনের দিন পর আমাদের ও পেটে টান পড়বে। আর, এ সংকট দুই মাস স্থায়ী হলে উচ্চ মধ্যবিত্তরা ও হায় হায় করবে। সেখানে এই দিনমজুর শ্রেনীর অবস্থা জাস্ট কল্পনা করুন!
এদেশে উচ্চবিত্তদের সংখ্যা নেহাত কম নয়! এরা চাইলেই সরকারের সাথে এই বিশাল জনগোষ্টির ১-২ মাসের দায়িত্ব নিতে পারে৷ এই যুদ্ধটা শুধু নিজে বেচে থাকার যুদ্ধ না, সবাই কে নিয়ে বেচে থাকার যুদ্ধ। উচ্চবিত্তরা যদি মনে করে থাকে তারা ঘরে বসে থাকলে ই সেভ, তাদের কিছু হবে না৷ তাহলে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। কারন, গরীবরা না বাচলে তারা ও বাচতে পারবে না। ঘরে বসে কত দিন সার্ভাইভ করবে তারা?
সো, উচ্চবিত্তরা 'করোনা'র বিপক্ষে জয়ী হবে তখন, যখন তারা সমাজের নিম্নবিত্তদের প্রয়োজনে এগিয়ে আসবে,তাদের কে বাচতে সাহায্য করবে। মনে রাখা টা জরুরী, পৃথিবী এখন অসুস্থ। সবাই মিলে তাকে সুস্থ করে তুলতে হবে নিজেদের প্রয়োজনে, নিজেদের বাচার তাগিদে।
২| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪৬
শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: শালারা আস্ত শুয়োর
৩| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এ্যাকশানটা সীমার অতিরিক্ত হয়ে গিয়েছে। বেশী মার খাচ্ছে দিনে আনে দিনে খাওয়ার লোক।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: এই পরিস্থিতিতে কেউই শখ করে বাইরে যায় না।
এইভাবে মারা মোটেও ঠিক না।
না মেরে বুঝিয়ে বললেই কাজ হবে।