নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটু বেশি ভাবি।স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি আর ভালবাসি গান শুনতে।পড়াশোনা যা হয়েছে হয়তো বা অনেক, বাকিটা চেষ্টা চলছে।ভালবাসি নিজেকে,ভালবাসি বই পড়তে।এই আমি এই আমার পৃথিবী.........
গ্রাম থেকে সবে শহরে এসেছে মফিজ। তার শহরে জীবন আর মেস সম্পর্কে তেমন কোনো ধারনা নেই। ফলে মেসে এসে মেসের বাজার আর খাওয়া নিয়ে বড্ড বিপদে পড়েছে। এর মাঝে আবার মেসের ম্যানেজারের দায়িত্ব এসে পড়েছে মফিজের ঘাড়ে। সন্ধ্যায় গ্রাম থেকে মফিজের বাবা ফোন করেছে দৈনিকের খোজ খবর জানার জন্য। মফিজ তার বাবাকে জানানো, সে ম্যানেজার হয়েছে। এটা শুনে তার বাবা তো ভীষন খুশি। সঙ্গে সঙ্গে ফোনে ই তার মা'কে ডেকে বলে উঠলো, 'ওগো শুনছো তোমার ছেলে ঢাকা গিয়ে ম্যানেজার হয়েছে।'
এদিকে গ্রামে খবর রটে গেল মফিজ ম্যানেজার হয়েছে। মফিজের বাবা গ্রামের সবাই কে দাওয়াত করে খাওয়ালেন। মফিজের মায়ের সে কি কথা, গ্রামের প্রত্যেকটা মহিলা কে ডেকে ডেকে মফিজের এই বিশাল কৃতির কথা সবাই কে জানাচ্ছে।
গ্রামের মাতবার রহিম সাহেব। তার ছেলে আবুল। রহিম সাহেব তার ছেলে আবুল কে বকা দিতে লাগলেন। গ্রামের সব থেকে ব্রিলিয়ান্ট ছেলে বলে আবুলের একটা সুনাম আছে৷ কিন্তু ঢাকা গিয়ে ১০ দিন ও টিকতে পারে নাই। ঢাকার একটা কলেজে ভর্তি হয়ে কয়েকদিন পরে ঢাকার লাইফে বিরক্ত হয়ে গ্রামের একটা কলেজে ভর্তি হয়েছে। রহিম সাহেব আবুল কে মফিজের এই অর্জনের কথা শুনিয়ে অনেক গালমন্দ করে গেল। মফিজ দুই দিন ধরে ঢাকা গিয়ে ম্যানেজার হয়ে গেছে আর আবুল গ্রামে পড়ে পড়ে মরছে। আর কত কি....
পরের দিন সকালে আবুল তার ক্লাস টেনে পড়া গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে গেলে আরো বিপত্তি ঘটলো৷ মরজিনা এখন আবুলের সাথে কথা বলতে চাচ্ছে না৷ সে খুব ই কষ্টে আছে কেন যে সে মফিজ কে রিজেক্ট করেছিল সেটা ভেবে। আবুল অনেক বুজাতে চেষ্টা করলো কিন্তু মরজিনা কিছুতেই বুজতে চাইছে না। মরজিনা আবুলের সাথে ব্রেক আপ করে দিলো৷ বাসায় গিয়ে মফিজ কে ফোন দিলো। মরজিনার ফোন পেয়ে মফিজ পুরাই অবাক। সে যেন বিশ্বাস করতে পারছে না। কিছু দিন আগে ও সে পাগলের মত মরজিনার পিছনে ঘুরেছে। কিন্তু তাকে পাত্তা ই দেয় নি মরজিনা৷ হঠাৎ করে মরজিনা কেন ফোন দিলো?
'হ্যালো মফিজ কেমন আছো?
ভালো আছি। তুমি কেমন?
আছি কোনো রকম৷ তুমি আমার কোনো খোজ খবর রাখো না। ভুলে ই গেছ?
মফিজ কিছু টা বিব্রত হয়ে বললো, একটু ব্যস্ত ছিলাম তো তাই দিতে পারি নি।
--হ্যা তা তো হবেই, ম্যানেজার হইছো। এখন কি আমার আমার মত গ্রামের মেয়ের কথা তোমার মনে থাকবে।
মফিজ কিছুটা অবাক হলো এবং পরে বুজতে পারলো, সে যে তার বাবাকে মেসের ম্যানেজার হওয়ার কথা বলেছিল সেই কথাটা সারা গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে।
গ্রামের সবাই বুজেছে সে কোনো ব্যাংক বা অফিসের ম্যানেজার হয়েছে৷ ফলে মরজিনা তাকে ফোন করেছে। যাই ভাবুক, মরজিনা যেহেতু ফোন করেছে আর তাকে ভাউ দিচ্ছে সে কেন এইটার ফায়দা নিবে না। ফলে মরজিনার সাথে মফিজের একটা শখ্যতা হয়ে গেল।
এদিকে আবুলের অবস্থা প্রচন্ড খারাপ। কোন ভাবেই মরজিনার সাথে কথা বলতে পারছে না, মরজিনা সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। মরজিনার বাসার সামনে ঘোরাফেরার সময় আবুল জানতে পারলো, মরজিনা এখন মফিজের সাথে প্রেম করতেছে। এটা শোনার পর আবুলের দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা।
এদিকে গ্রামে এসেছে মফিজ। গ্রামের ছোট্ট ছেলে থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই মফিজ কে দেখে সম্মান করতেছে। এটা দেখে মফিজের মনে এক প্রকার গর্ব গর্ব ফিল হচ্ছে।
মফিজের বাবা গ্রামের সব গন্য মান্য মানুষদের বাসায় দাওয়াত দিয়েছে মফিজের আগমন উপলক্ষ্যে। সবাই এসে মফিজ কে স্বাগতম জানাচ্ছে। আবুল এসেছে মফিজের বন্ধু হওয়ার সুবাদে। এদিকে খাওয়া দাওয়ার পর ছোট্ট একটা আড্ডার আসর বসেছে। আর সেই আড্ডার মধ্যমণী মফিজ৷ কথা বলার কোনো এক পর্যায়ে, এক মুরব্বি মফিজ কে জিজ্ঞাসা করেছে, "তা বাবা তুমি কোন অফিসের ম্যানেজার হয়েছ?"
মফিজ একটু বিচলিত হয়ে বললো, 'কেন আমাদের মেসের! প্রত্যেক মাসে আমাদের মেসে একজন করে ম্যানেজার চুজ করা হয় সারা মাস মেস চালানোর জন্য। আমি গত মাসে মেসের ম্যানেজার হয়েছি।'
মফিজের এই কথা শুনে সবাই হা করে মফিজের দিকে তাকিয়ে রইলো...
২| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালোবাসা
৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩৭
ঊণকৌটী বলেছেন: পোস্ট টি খুব ভালো লেগেছে, বিশেষ করে এই কোরোনার দিনে ঘরে বসে থেকে দিন গনছি, কবে আবার মুক্ত হবো,কবে পৃথিবী আবার সচল হবে। কুনো উত্তর নেই। এর মধ্যে এই লেখা গুলি মনের জানলায় মুক্ত বাতাস এনে দেয়। আরো চাই আপনার কাছ থেকে,ভালো থাকবেন, সতর্ক থাকবেন।
৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: নিজেকেই আমার মাঝে মাঝে মফিজ বলে মনে হয়।
৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৪০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: নিজেকেই আমার মাঝে মাঝে মফিজ বলে মনে হয়। আমারও!!!
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মফিজরা সবসময় মফিজই থেকে যায়!
এদের কোন উত্তরণ হয়না ভাগ্যলিপিতে।
বেটা তোর এত খোলসা করার কি দরকার
ম্যানেজারই থাকতি, তা না করে মফিজই
রয়ে গেলি !!