নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষণ

সাব্বির আহমেদ ভাষন

একটু বেশি ভাবি।স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি আর ভালবাসি গান শুনতে।পড়াশোনা যা হয়েছে হয়তো বা অনেক, বাকিটা চেষ্টা চলছে।ভালবাসি নিজেকে,ভালবাসি বই পড়তে।এই আমি এই আমার পৃথিবী.........

সাব্বির আহমেদ ভাষন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুঃস্বপ্ন

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩০

মাসের প্রায় শেষ দিক। তিন বন্ধু মেজবা, মাহবুব আর শিহাব উদাস মনে বসে আছে, কারো পকেটে একটা ফুটোকড়ি ও নাই। ও দিকে মন কাচ্চির জন্য ফুরুস ফারুস করছে।

কারো পকেটে যেহেতু একটা টাকা ও নাই তাই সবাই এক সাথে প্লান করলো আজ তাদের বান্ধবী পৃথার পকেট ঝাড়বে৷ কিন্তু সমস্যা দেখা দিলো আরেক জায়গায়! এখন ফোন করলে পৃথা জীবনে ও বাসা থেকে বের হবে না। তাই তারা সিদ্ধান্ত নিলো বাসার নিচে গিয়ে একবারে ফোন দিবে যাতে সে না আসার কোনো কারন না পায়৷

পৃথার বাসার নিচে এসে মেজবা পৃথাকে ফোন করলো। "দোস্ত, একটু নিচে নামবি। আমরা তোর বাসার এ দিকে আড্ডা দিতে আসছিলাম। চিন্তা করলাম তোর সাথে একটু দেখা করে যাই।"

পৃথা ২০ মিনিট পরে নিচে নামলে মাহবুব পৃথাকে বলে চল আমরা কোথাও গিয়ে বসি৷ মেজবা বলে এখন ১২ টা বাজে চল কোনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাই। শিহাব বলে একটা কাজ করা যায়। পাশে ই একটা কাচ্চির দোকান আছে অল্প দামে ভালো মানের কাচ্চি পাওয়া যায় ঐ খানে আড্ডা দেই আর কাচ্চি খাই।

পৃথা বললো, না না আমি যাবো না। আমি ঘুম থেকে উঠছি ১১ টায়, আর নাস্তা ই করছি কিছু ক্ষন আগে। তোরা বরং যা৷ আমি বাসায় যাই।

শিহাব বললো, এটা কেমন কথা? আমরা তিন জন যাবো, তুই যাবি না। তুই না খাইলে ও আয়, বসে থাকবি। দেন আড্ডা দিমু নে।

তারপর তিন বন্ধু মিলে ভরপেট কাচ্ছি খেতে লাগলো। খাওয়া শেষ হলে ওয়েদার বিল নিয়ে আসলো। তিন জনের বিল আসছে ৮৯০ টাকা। বিল দেখে শিহাব আর মেজবা বের হয়ে গেল। মাহবুব তখন ও খাচ্ছিল।

খাওয়া শেষ হলে মাহবুব বিলের কাগজ টা ওয়েদারের হাত থেকে নিয়ে পৃথার হাতে গুজে দিলো এবং বললো, 'দোস্ত, বিল টা দিয়ে দে৷ আমার পড়ানো আছে আমি গেলাম।'

পৃথা যেন আকাশ থেকে পড়লো। ও বিল কেন দিবে? পৃথার মেজাজ প্রচন্ড গরম হলো। মনে মনে শালা ফকিন্নি বলে গালি দিলো সব গুলাকে।

রাগে খাবারের টেবিলে লাথি দিলো পৃথা এবং ব্যাথায় ও মা বলে কুকড়ে উঠল আর সাথে সাথে ঘুম ভেঙ্গে গেল৷ ঘুম থেকে উঠে দেখে ঘুমের ঘোরে সে তার পাশে থাকা ছোট বোন কে লাথি মেরেছে৷ তার ছোট বোন কাদছে ব্যাথায়৷ পৃথার মেজাজ খারাপ হলো কিন্তু আরেকটা জিনিস ভেবে উৎফুল্ল হলো, যাক বিলের টাকা দেয়া লাগে নাই। জাস্ট একটা খারাপ স্বপ্ন ছিল।সে ছোট বোন কে একটা আইসক্রিমের লোভ দেখিয়ে শান্ত করলো আবং ভাবলো ৮৯০ টাকার কাছে ৫০ টাকা তুচ্ছ৷

হঠাৎ তার পাশে থাকা ফোন টা বেজে উঠলো। মেজবা তাকে ফোন করেছে। ফোন রিসিভ করার পর মেজবা তাকে বাসার নিচে নামতে বললো। নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে পৃথা নিচে নামতে অস্বীকৃতি জানালো। একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল, "যাক বাবা, একটা দুঃস্বপ্ন অনেক গুলা টাকা বাচিয়ে দিলো।"

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: টাকা বড় অদ্ভুত এক জিনিস।

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসামান্য ভাবনা

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৩

ঊণকৌটী বলেছেন: স্বপ্ন তো না বাস্তব।

৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: এই কামডা কী আপনে নিজে করছেন নিহি B-)) জাতি জানবার চায়, লগে মুই ও চাই :P :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.