চেতনাহীনরা.. ইচ্ছে করে কোমাতে যাবেন না......

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৯

একটি ছোট্ট কৌতুক বলতে খুব ইচ্ছা করছে, তিন দেশের তিন অন্ধ ভ্রমণকারী বিশ্বভ্রমণে বেরিয়েছে, প্রথম ব্যাক্তি গাড়ির জানালার বাইরে হাত বের করেই বলে উঠল, এই গরম হাওয়ার প্রকৃতিই বলে দিচ্ছে আমরা এখন মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশে আছি। দ্বিতীয় বিদেশি কিছুদিন পর প্লেন থেকে হাত বের করেই বলল, ইস কি ঠাণ্ডা! আমরা নিশ্চয়ই মেরু অঞ্চলে আছি। তৃতীয়ব্যাক্তি আরও কিছুদিন পর হঠাৎ করে বলল, যে আমরা বাংলাদেশের গুলিস্তানে আছি। প্রথম দুই ব্যাক্তি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, কি করে বুঝলে? সে তখন উত্তর দিল, ভাইরে গাড়ির বাইরে হাত রাখতেই আমার ঘড়িটি কেউ খুলে নিয়ে গেছে। আসলেই এগুলো এখন বাঙ্গালির গর্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার হলের এক বড় ভাই থাকেন আমার পাশের রুমে, পশ্চিমাদের মত শারীরিক গঠন তাঁর। কিছুদিন আগে এই গুলিস্তান থেকেই তাঁর হাত থেকে দিনের বেলায় মোবাইল কেড়ে নিয়ে ম্যারাথন দৌড় লাগাল এক চোর। এরা চুরি, ছিনতাই, পকেটমারি করে তাদের নেশার টাকা যোগাড় করে। এরা কারা? এ প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয়, এরা রাস্তার মানুষ, দুনিয়ার সব নির্মমতা এদের দেখতে হয়েছে। তাই এদের মস্তিষ্ক সুস্থ নাগরিক সমাজের মানুষদের মত করে কাজ করার কথা নয়। এরা ভাল মানুষ, এমন কথা আমি বলতে চাই না। কিন্তু আমি এমন মানুষ দেখি যারা দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হয়েছে, অথচ তারা যেসব কাজের সাথে জড়িত, সেগুলো অত্যন্ত ঘৃণিত। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ারদি উদ্যান সবাই চিনি। সরকারি বিনোদন কেন্দ্রগুলিতে ছিনতাই নতুন কোন ঘটনা নয়। কিন্তু সেগুলোর দায়ভার যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে নিতে হয় তখন সে লজ্জা লুকোনোর জন্য কোন বিকল্প থাকেনা। মিথ্যে দায়ভার নয় বরং সত্যিই তারা জড়িত। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, এরাই সরকারের বিভিন্ন উচ্চপদে অধিষ্ঠিত হয়ে জাতিকে বারবার লজ্জা দিতেই থাকবে। আমি একথার সমর্থক নই যে বিশ্ববিদ্যালয় জাতিকে শুধু কলঙ্ক উপহার দিচ্ছে। লজ্জার শুরু এখানেই যে, কতিপয় খারাপ মানুষের কারণে ময়লাটা সবার গায়েই লাগছে। তাই বলছি ভাই, আপনি মেধাবী মানুষ, মেধাকে ভাল কাজে ব্যাবহার করুন, অর্থ না থাকলেও আপনার বিবেক আপনাকে সবসময় সম্মান করবে সাথে জাতি আর জাতির মানুষও।

তাই বলছি, চেতনাহীনরা.. ইচ্ছে করে কোমাতে যাবেন না......

৩ টি +০/-০