নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাম -রিয়াদ খন্দকার। বয়স -কৈশোর থেকে তারুণ্য পার করে যৌবনে পা দিয়েছি । পেশা- ছাত্র, টিউ ডার্মস্টার্ড, জার্মানী। শখ- মটর সাইকেল চালানো। ঠিকানা- পুরাতন বাংলাদেশের পুরাতন ঢাকা, বাংলাবাজার, নতুন জার্মানীর ডার্মস্টার্ড। ব্লগ নাম- উপনাম।

উপনাম

পুরোনকে বাচাঁতে চাই, নতুন হয়ে থাকতে চাই।

উপনাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইনকিলাব জিন্দাবাদ নাকি নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবার

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:১৭



ইনকিলাব জিন্দাবাদ স্লোগানের ইংরেজি অর্থ নাকি "Long Live the Revolution," যার মানে বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক। এটি প্রথমে ব্রিটিশ ভারতে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় জনপ্রিয় হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবীদের জন্য এটি একটি সংগ্রামী স্লোগানে পরিণত হয়, যারা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল।

ইনকিলাব স্লোগানটি ১৯২১ সালে ইসলামি পণ্ডিত, উর্দু কবি, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা হাসরাত মোহানি দ্বারা সৃষ্টি হয়। পরে, এটি ভগত সিং (১৯০৭-১৯৩১) এর বক্তৃতা ও লেখার মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়েছিল। – উইকিপিডিয়া

রাজনৈতিক ও আদর্শিক ব্যবহার:
১। ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন: এটি রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারা ব্যবহৃত হত যারা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ছিলেন।
২। বামপন্থী ও মার্কসবাদী আন্দোলন: স্বাধীনতার পরে, এটি সমাজতান্ত্রিক, কমিউনিস্ট এবং বামপন্থী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যারা অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারের পক্ষে ছিল।
৩। পাকিস্তান আন্দোলন: পরবর্তীতে এটি পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও কিছু গুরুত্ব পায়, বিশেষ করে সমাজতান্ত্রিক বা জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে।

মার্কসিজম, লেনিনিজম বা কমিউনিস্ট ভক্তারা এই স্লোগানটি তবজি পাঠের মতো যেকোনো সময় যপতে যপতে এর জনপ্রিয়তা এমন এক পর্যায়ে নিয়ে যান যে মনে হয় বিপ্লবের পুঁথি আওড়াচ্ছেন!

কিন্তু বাংলাদেশে এই স্লোগানটা ইদানীং জনপ্রিয় হচ্ছে। ফ্রান্সে অবস্থানরত একজন অতি ক্ষমতাশালী শরনার্থীর মারফতে। তার আদর্শ একসময় ছিল বামি-বামি, ঘুরে দাঁড়াইয়া গামি। এখন সে দুধ দিয়ে নিজেকে ধুয়ে বাম-ডানের মাঝখানে অবস্থান করার চেষ্টা করছে। কিন্তু পুরোনো প্রেম তো মাঝে মধ্যে নাড়া দেয়! মজার বিষয় হলো, এই স্লোগান তিনি গুলিয়ে খাওয়ালেন— পুরো বাংলাদেশের একটা প্রজন্মকে।
আমি আবার তার বেশ ভক্তও। ফ্রাঙ্কফুর্টে আসছিল, তখন ৩০ মিনিট গাড়ি ড্রাইভ করে একখানা ছবি তুলতে তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম। যাই হোক, নাম নিলাম না—নাম নিলে আবার তার বট বাহিনীর চেতনার দণ্ড দাড়াইয়া যেতে পারে! সেই ভয়ে নাম নিলাম না। ভাইরে, তিনি যেই পরিমাণ ক্ষমতাশালী! ফ্রাঙ্কফুর্টে কেউ আসতেন সেই দিন, বুঝতেন! তার সাথে একটা ফটো তুলে ফ্রাঙ্কফুর্টের মানুষজন ফেবুতে দিয়ে নতুন কমিউনিউইজম এর বিপ্লবী সাজতেছে।

এখন উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে একদল নব্য তুর্কি, দেখতে খুব সুন্দর লাগছে, তাই না? ইসলামিক ক্যালিগ্রাফির সামনে দাঁড়িয়ে তরুণ বিপ্লবীরা হয়ত গাজওয়ায়ে হিন্দের স্বপ্ন দেখছে, অথবা ইসলামিক খিলাফতের। ভাই, একটু দাঁড়ান! ইসলামিক খিলাফতের সাথে কমিউনিস্ট স্লোগান "ইনকিলাব জিন্দাবাদ" কিভাবে সম্ভব? তাহলে কি এমন ইসলাম আসছে যেখানে লেনিন-মার্ক্সের সাথে মিশে এক নতুন পতাকা নিয়ে যুদ্ধ হবে? তরুণরা লুঙ্গি পরে বাতাসে হেঁটে যাচ্ছে—ভাই, বাতাসে কিন্তু আপনার প্যান্টির ঝলক দেখা যায়! ও মা, ট্রু লাভ!



খাইছে আমারে! আমি তো আবার ইসলামিক জ্ঞান দেওয়া শুরু করে দিলাম, যে থাকে কাফেরদের দেশে! হবে না, হবে না! ইসলামিক বট যোদ্ধারা, দয়া করে আমাকে কাফের বানাবেন না। আপনারা ঠিক করে ফেলুন, আপনারা "ইনকিলাব জিন্দাবাদ" বলবেন, না "নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার" বলে চেল চেলাইয়া জান্নাতে যাবেন, একটু কমেন্টে জানিয়ে দিয়েন।

এই বার এসে পড়ি কাওয়ালি গানের নতুন আসরে! শুনেছি, তারাও নাকি ইসলামিক তরুণ তুর্কি। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়, "আমার পা থেকে মাথার চুল পর্যন্ত ভারত-বিরোধী!" কিন্তু গান গায় ভারতের হিন্দি গান "কুন ফায়া কুন"! ইহা হালাল, কারণ এতে কোরআনের শব্দ আছে, লেখক এবং গীতিকার মুসলিম! গিটার আর তবলা দিয়ে গান বানিয়ে জান্নাত পাবার মত! ভাই, এটা কিভাবে সম্ভব? ইসলামের ফতওয়া বোর্ড বাংলাদেশে জন্য গানবাজনা হালাল ঘোষণা দিলেই সম্ভব। তাহলে রাতে এশার পর গান গাওয়া শুরু করেব " মাঝি পাল তুইলা দে আমি যাবো মদিনা" মদিনা যাওয়ার পর ওখানে নামায পইড়া বাংলাদেশে আইসা আবার গান করবে "কুন ফায়া কুন" গান শুরু করবে সাথে সাথে জান্নাত পেয়ে যাবে। গানে গানে জান্নাত। এবং এরা এভাবে নাচা শুরু করবে।



আপনারা ইসলামিক দল, কাওয়ালি দল, নাকি ইসলামিক কমিউনিজম দল—কোন নৌকায় চড়ে আল্লাহর শাসন কায়েম করবেন? খাইছে, জাত গেল আমার! "নৌকা" বলেই ফেললাম! ক্ষমা করে দেন ভাই, ভুল হয়ে গেছে!



আপনারা গণতন্ত্র চান, না খিলাফত? আল্লাহর শরিয়াহ চান, না মানুষের আইন? যদি আল্লাহরটা চান, তাহলে পরিষ্কারভাবে স্বীকার করুন! দ্বিচারিতা করবেন না

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.