নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জঙ্গল থেকে উঠে আসা মানুষ। খুব সহজে মানুষকে আপন ভেবে বসি, তাই দিনশেষে কষ্টের পাল্লাটা ভারী হতেই থাকে। ছোটবেলা থেকে \"মাসুদ রানার\" ভক্ত ছিলাম। এজন্যই হয়তো নিজেকে একটা রহস্যের মায়াজালে আড়াল করে রাখাটা স্বভাবে পরিণত হয়েছে।।

উড়ন্ত শিক্ষানবিস

উড়ন্ত শিক্ষানবিস › বিস্তারিত পোস্টঃ

"লাকি চার্ম"

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

বেশ কিছুদিন আগের কথা। আফ্রিকা মহাদেশের কোনো এক জায়গায় ঘটনাটা ঘটেছিল।

একটা বাস ভর্তি মানুষ এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাচ্ছিল। রোডের দুইপাশে প্রচুর গাছ। যাত্রার মাঝপথে শুরু হল প্রচণ্ড বৃষ্টি আর মুহুর্মুহু বাজ! একটার পর একটা বাজ পড়া শুরু করল বাসের আশেপাশে, বাসটা প্রতিবারই অল্পের জন্য বেঁচে যাচ্ছিল। পুরো বাসের মানুষ তখন ভয়ে কাঁপাকাঁপি অবস্থা!

বাস ড্রাইভার দ্রুত বাসটাকে একটা খোলা জায়গায় নিয়ে গেল, গাছপালা থেকে দূরে। সেখানে বাস থামিয়ে সব যাত্রীদেরকে বলল "আমাদের মাঝে কারও একজনের আজ মৃত্যু নিশ্চিত। তাকে পেতেই মৃত্যুদূত আমাদের উপর বাজ ফেলছে। সেই একজনের জন্য আজ আমাদের সবাইকে মরতে হতে পারে। তাই চলুন আমরা এক কাজ করি, বাস থেকে একজন একজন করে নেমে ওই গাছগুলো ছুঁয়ে আবারো বাসে ব্যাক করি। যার জন্য মৃত্যুদূত ওঁত পেতে আছে তাকে নিয়ে যাক বাকিরা বেঁচে থাকুক।"

কথাটা সবার মনে ধরল। ভয় পেলেও এক এক করে সবাই গাছগুলো ছুঁয়ে আসা শুরু করল। প্রত্যেকেই গাছ ছুঁয়ে এসে হাঁফ ছেড়ে বাসে এসে বসল, তখন কেবল বাসের শেষ যাত্রীটার যাওয়া বাকি। সে এখন মোটামুটি নিশ্চিত যে তার মৃত্যু অবধারিত, তাই কোনমতেই সে বাস থেকে নামতে চাচ্ছিল না!

বাসের বাকি যাত্রীরাও বুঝল এই শেষ যাত্রীর জন্যই আজ তাদের দুর্দশা। তাই তারা জোর করে শেষ যাত্রীকে বাস থেকে নামিয়ে দিল। মানুষটা কাঁদতে কাঁদতে গাছগুলোর দিকে আগানো শুরু করা মাত্র বাসের ড্রাইভার বাস চালু করে দিল!!

হঠাৎ আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে বাজ পড়ল! বিচ্ছুরিত আলোয় চারিদিক ঝলসে উঠল। অবাক বিস্ময়ে সেই শেষ যাত্রী চোখ খুলে দেখল তাকে ছেড়ে যাওয়া বাসটা আগুনে পুড়ছে!! বাসের ভেতরে থাকা একটা যাত্রীও বেঁচে থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই!!

এতক্ষন সে ভেতরে ছিল বলে মৃত্যুদূত কাউকে ছুঁতে পারছিল না!

------------------------------------------------------------------

গল্পের মোরাল হলঃ আমরা মাঝেমাঝে কোন কাজে সফল হলে সেই সাফল্যের ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু বাস্তবে আপনার ভাগ্য যতটা না সাফল্য লাভে সহায় ছিল তার চাইতে হয়তো বেশি কাজে লেগেছিল আপনার পাশের মানুষটার দোয়া!!

গল্পের আরেকটা মোরাল হলঃ আপনার আশেপাশে কেউ একজন আছেন যিনি সবসময়ই আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করেন। হয়তো মায়ের রূপে, নাহয় বাবার রূপে, এমনকি ভাই-বোন- প্রতিবেশী কিংবা বন্ধুবেশে আপনার পাশেই আছে।

খুঁজে দেখুন, পেয়ে যাবেন।।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


গল্পের আরেকটা মরাল হলো যে, পিগমীরা আফ্রিকায় থাকে; শুধু একজন পিগমী বাংলা জানে

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগলো মরাল, গল্পটাও সুন্দর।শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১২

উড়ন্ত শিক্ষানবিস বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা :)
ধন্যবাদ।।

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১০

অস্তিত্বহীন বলেছেন: আর সেই পিগমিটা হলো "চাঁদগাজী"

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

উড়ন্ত শিক্ষানবিস বলেছেন: ওনাকে কি রিপ্লাই দিব ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা -_-

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫২

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: সুন্দর গল্প, সুন্দর মোরাল। :)
শুভকামনা জানবেন।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১২

উড়ন্ত শিক্ষানবিস বলেছেন: শুভকামনা রইল আপনার জন্যও। :)

৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গল্পটা ভালো। মোরাল একেকজনের কাছে, একেকরকম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.