![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ওস্তাদ বায়ে পেলাস্টিক চাইপা মারেন নাইলে কানবো।
রাত ২:৩৫ প্রায়, মোবাইলের ক্রাং-ক্রাং (মেসেজ টোন) শব্দে ঘুম ভাঙল অভির । ঘুম ঘুম চোখে চোখ খুলতে One Message Received লিখা দেখে খানিকটা হচকচিয়ে উঠল অভি।
এত রাতে কে মেসেজ দিলো ?
যাক আর কথা না বাড়িয়ে মেসেজ রিড আউট করা শুরু করলো । মেসেজ পড়া শেষ করে খানিকটা বিমর্ষ লাগছিলো অভিকে কেন জানি বুকের ভিতর টুং করে একটা কষ্টের দলা মিশ্রিত শব্দ বড়ই এলোমেলো করে দিলো অভিকে। খানিকটা আগেও তো প্রেশমাকে নিয়ে কত সুন্দর স্বপ্ন দেখছিলো অভি।
প্রেশমা । হ্যাঁ প্রেশমা ।। যে মেয়েটি সুদূর মালেশিয়া থেকে প্রত্যহ খোঁজ নিতো অভি এখন কোথায় , কি করে , কোথায় যাচ্ছে, কি খেয়েছে প্রত্যেক দিনের মতো আলসেমি করে ব্রাশ না করেই ঘুমিয়ে পরেছে কিনা। সপ্তাহের প্রায় দিন আলসেমি করে কি এখনো না গোসল করে থাকে।
ও হ্যাঁ প্রেশমা। অভি যখন সবেমাত্র ফেসবুক ব্যবহার শুরু করেছে তখনই প্রেশমার সাথে পরিচয়। হাই হ্যালো থেকে কখন যে প্রেশমা অভিকে আপন ভাবতে শুরু করছে তা বোধহয় প্রেশমাও জানতো না।
ফেসবুক লগইন করতে একটু দেরী হলে হাউমাউ শুরু করতো চ্যাটে বসেই।
হোয়াই আর ইউ লেট ? ইউ আর নট কনসার্ন এবাউট মি। ইত্যাদি টাইপের গাল ফুলোনো কথাবার্তা । প্রমিজ নিতো আর লেট করবানা। অনলাইনে বসো না কেন ? তোমার লেখাপড়া আমি বুঝি না তোমাকে শুধু আমি অনলাইনে দেখতে চাই সবসময়।
আরে আমার কি খেয়ে দেয়ে কোন কাজ নেই এমন কথার উত্তরে শুধু প্রেশমা চুপই থাকতো। ক্ষানিক বাদে অভি তুমি আমাকে বুজলা না।
সম্ভবত প্রেশমাকে যেভাবে বুঝার দরকার অভি বোধদয় সেভাবে বুঝেনি ।
২য় পর্বে আসছে..............
©somewhere in net ltd.