![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"নদীর স্রোতের মতোই তথ্যপ্রবাহ চিরবহমান। মনুষ্যসমাজ যতদিন থাকবে তারা ততদিনই তথ্য চাইবে এবং কেউ না কেউ সেই কাঙ্ক্ষিত তথ্য সরবরাহ করবে। অন্য কোনো শক্তি তাতে বাধা দিতে চাইলেও তথ্য সরবরাহ চলবে। এক্ষেত্রে ভয়-ডর দেখিয়ে কাজ হয় না।" ------------আতাউস সামাদ
১৯৯৪-৯৫ সালে পাঠকের জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা একটি জাতীয় দৈনিকের নাম ছিল 'দৈনিক জনকণ্ঠ'। ১৯৯৬ সালের জুন মাস থেকে দৈনিকটির অধঃপতন শুরু হওয়ায় কিছু জনপ্রিয় লেখক যারা এখানে নিয়মিত লিখতেন তারা ঘোষণা দিয়েই সরে গেলেন(এখনো তারা তাদের বিভিন্ন লেখায় এখান থেকে চলে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করেন।) ফলাফল পত্রিকাটির জনপ্রিয়তায় ধ্বস নামল। সবকিছুর মূলে কারণ একটাই সত্যমিথ্যা যাচাই না করে মনগড়া যা খুশি তাই প্রকাশ করে একটি দলের চাটুকারিতায় ব্যস্ত হয়ে পড়া। বর্তমানে কিছু ব্যক্তি যাদের লেখার গুণ বিবেচনায় অন্যান্য দৈনিকগুলোতে স্থান পায়না, তাদের শেষ আশ্রয়স্থল 'দৈনিক জনকণ্ঠ'। এজন্য পত্রিকাটি ছাপানো নাম 'দৈনিক জনকণ্ঠ' হলেও বিভিন্ন জন দৈনিকটিকে বিভিন্ন নামে ডাকেন- "দৈনিক জঘন্য কণ্ঠ", "দৈনিক জন কষ্ট", "দৈনিক জঘন্য কষ্ট" ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমি যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি গত কিছুদিন আগে সেই প্রতিষ্ঠানে কিছু সংখ্যক হিসাব রক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপণ দেওয়া হয়েছিল। বেতন উল্লেখ করা হয়েছিল তের হাজার টাকার সামান্য বেশি। উক্ত পদের জন্য যারা আবেদন করেছিলেন তাদের মধ্যে যারা লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলেন তাদেরকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হলো। আমিও সেই ভাইভা বোর্ডে ছিলাম। একজন প্রার্থী পাওয়া গেল যিনি বর্তমানে 'দৈনিক জনকণ্ঠে' হিসাবরক্ষক হিসেবে চাকরিরত। জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি বর্তমানে যে পত্রিকাটিতে আছেন সেই পত্রিকার তো এখন স্বর্ণ যুগ; এই সামান্য বেতনের জন্য আপনি আমাদের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে চাচ্ছেন কেন?
তিনি বললেন, পত্রিকাটির খুবই দুর্দিন যাচ্ছে। জিজ্ঞাসা করলাম, যেমন? তিনি বললেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বশেষ বেতন পেয়েছিলাম; এর পর থেকে কর্মীদের বেতন দিতে পারছেনা কর্তৃপক্ষ। এক সময়ের আমার প্রিয় সেই দৈনিকটির করুণ পরিণতি সম্পর্কে জানতে আগ্রহ জাগল। তাই জিজ্ঞাসা করলাম, কেন এই পরিণতি? তিনি বললেন, বর্তমানে এই পত্রিকাটিতে যে পরিমাণ উপসম্পাদকীয় ও সস্পাদকীয় লেখক আছেন তার চেয়ে পত্রিকাটির পাঠক সংখ্যা কম। তাছাড়া, বর্তমানে এই পত্রিকাটিতে যারা লেখেন, হয়তো তাদের লেখা মানুষ গ্রহণ করেন না; তাই পত্রিকাটির বিক্রি সংখ্যা দিন দিন শুধু কমছেই।
কিছুটা বুঝতে পারলাম, মানুষের নামকে ব্যঙ্গ করে, কোন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কোন কোন ক্ষেত্রে সত্যের লেশ মাত্র না থাকলেও মনগড়া প্রতিবেদন তৈরি করে, সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োগ করে নিম্ন মানের লেখকদের লেখা নিয়মিত প্রকাশ করে, নির্দিষ্ট কারো চাটুকারিতা করে আর যাই করা যাক, মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়া যায়না।
অন্যদের নাম নিয়ে ব্যঙ্গ করতে করতে পত্রিকাটির ব্যঙ্গাত্বক নামই আজ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। তাই তো পত্রিকাটির নাম শুনলেই অনেকেই বলে ওঠেন, “ও, দৈনিক জঘন্য কণ্ঠ, দৈনিক জন কষ্ট, দৈনিক জঘন্য কষ্ট ইত্যাদি ইত্যাদি।”
ভাগ্যের কী নির্মম পরিণতি- অন্যকে নিয়ে ব্যঙ্গ করায় শীর্ষে থাকা ব্যঙ্গকারীই এখন প্রতিনিয়ত অন্যের ব্যঙ্গের শিকার।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:২৪
উটপাখি বলেছেন:
কথা ঠিক।
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:২১
ব্লগার ইমরান বলেছেন: ও, এই পত্রিকাটি এখনও আছে নাকি ? অবাক হলাম।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:২৫
উটপাখি বলেছেন:
আছে, তবে মৃত প্রায়; না থাকার মতোই অবস্থা।
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:২৬
শ।মসীর বলেছেন: আহারে জ ক....
১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:২৭
উটপাখি বলেছেন:
আহহারে, জক; কষ্টে বুকডা ফাটি যার!
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৪১
বিডি আমিনুর বলেছেন: জঘন্য কণ্ঠের দেখি জঘন্য অবস্থা !!
১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:২৮
উটপাখি বলেছেন:
এর চেয়েও খারাপ।
৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৫৯
সামুরাই হান বলেছেন: টয়লেট পেপার..
১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:২৮
উটপাখি বলেছেন:
এরও অযোগ্য।
৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:০৯
বল্লাগোষ্ঠী বলেছেন: জনকণ্ঠের সাংবাদিক ভাইয়েরা অনেক আগেই তাদের মগজ বিক্রি করেছেন, এখন দেহ বিক্রি করার চেষ্টা করতে পারেন।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:২৯
উটপাখি বলেছেন:
জ্বি, তাই মনে হয়।
৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:১৭
মরূেবল বলেছেন: ভাগ্যের কী নির্মম পরিণতি- অন্যকে নিয়ে ব্যঙ্গ করায় শীর্ষে থাকা ব্যঙ্গকারীই এখন প্রতিনিয়ত অন্যের ব্যঙ্গের শিকার।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৩০
উটপাখি বলেছেন:
তাই তো দেখছি।
৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:২০
আবদুল্লাহ ১৩ হোসেন বলেছেন: এরকম পত্রিকা এখনও আছে।তারা জনকণ্ঠের অবস্হা দেখে শিখলে হয়!
১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:২৯
উটপাখি বলেছেন:
কথা ঠিক।
৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:০৯
আদম_ বলেছেন: বল্লাগোষ্ঠি বলেছেন: জনকণ্ঠের সাংবাদিক ভাইয়েরা অনেক আগেই তাদের মগজ বিক্রি করেছেন, এখন দেহ বিক্রি করার চেষ্টা করতে পারেন।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৩০
উটপাখি বলেছেন:
এমনটাই মনে হচ্ছে।
১০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৩৭
এম. মাসুদ আলম. বলেছেন: আমার দেশ আর নয়াদিগন্তেরও একই দশা হবে।
১১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৫২
রুচি বলেছেন: ভাই মনে হয় প্রথম আলোতে আছেন। প্র-পিক দেখে তো তাই মনে হচ্ছে।
যেকোন পত্রিকা নিয়ে সমালোচনা হতেই পারে কিন্তু তার নামকে বিকৃত করে লেখা মোটেই সমর্থনযোগ্য না।
যাই হোক, প্রথম আলোতে একজন হিসাব রক্ষকের বেতন ১৩ হাজার টাকা শুনে বিষ্নিত হচ্ছি !!!!!!!!!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:১৪
ধীমান অনাদি বলেছেন: দলীয় দালালির পরিণতি যে ভালো হয়না, তার প্রমান।