নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উৎস

উৎস

উৎসের সন্ধানে ...

উৎস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ খেকো মানুষ

১২ ই অক্টোবর, ২০০৬ রাত ১১:০৪

অনেক আগে বিটিভিতে একসময় টারজান দেখাতো, মনে আছে শুক্রবার দুপুরে সবাই আগ্রহ নিয়ে টারজানের কাজকর্ম দেখতাম। প্রায়ই দেখা যেত টারজান বা তার বন্ধুবান্ধবদেরকে জংলীরা ধরে বিশাল হাঁড়িতে রান্নার আয়োজন করছে। টারজান অবশ্য শেষমেশ দলবলসহ পার পেয়ে যেত জংলীদেরকে উচিত শিক্ষা দিয়ে। তবে শুধু টারজানের গল্প নয়, আরো অনেক কাহিনীতে মানুষ মানুষের মাংস খাচ্ছে এরকম বিবরন আছে। যতদুর মনে পড়ে রবিনসন ক্রুসো , তারপর প্রবাল দ্্বীপ এসব গল্পে মানুষ খাওয়ার বর্ণনা আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আসলেই কি মানুষ মানুষকে খায়, না কি এসবই লেখকদের বানানো কল্পনা। মানুষ খাওয়ার সত্যিকার প্রমান আছে কি না? আর খেলে কারা খায়, কেন?



গল্প কাহিনীতে যেমনই লাগুক, বাস্তবে কেউ আরেকজন মানুষের র মাংস খাচ্ছে শুনলেই আমাদের বিবমিষা আসে, নিজেরা এরকম কাজে অংশগ্রহনের প্রশ্নই আসে না। তবে বাস্তবতা অবশ্য ভিন্ন তথ্য দিচ্ছে। পাপুয়া নিউ গিনির দক্ষিন ফোর এলাকার লোকেরা 70 এর দশকেও মানুষ মানুষকে খেতো। অস্ট্রেলিয়ার সরকার নিষিদ্ধ ঘোষনার আগ পর্যন্ত, ওরা ওদের গ্রামের কেউ মারা গেলে তাদেরকে রান্না করে খেয়ে ফেলতো। বানিয়ে বলছি না পাপুয়া নিউ গিনির মানুষখেকোদের নিয়ে অনেক প্রবন্ধ, রিসার্চ পেপার আছে, ইন্টারনেটে খুজলেই পাবেন। অনেক সময় আশে পাশের গোষ্ঠির সাথে যুদ্ধে শত্রুপক্ষের যারা মারা যেত বা বন্দী হতো তাদেরকে খাওয়ার প্রথা ছিল। তবে অস্ট্রেলীয় সরকার কেন এই প্রথা নিষিদ্ধ করল তার কারন ভিন্ন। ষাটের দশকে নিউগিনির এসব লোকদের মধ্যে "Kyiy" (অথবা laughing sickness ) ভীষনভাবে ছড়িয়ে পড়ে। কুরু রোগে আক্রান্তদের প্রথমে নড়াচড়া, কথা বলায় সমস্যা হতে থাকে, এক পর্যায়ে তারা হাটা চলার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলে, শেষমেশ মারা যায়। রোগটার কারন ঠিক পরিষ্কার ছিল না, তবে বোঝা যাচ্ছিল যে সব এলাকায় মানুষখেকো প্রথা আছে সে সব এলাকায় রোগের প্রকোপ বেশী। 70 দশকে এক পর্যায়ে অস্ট্রেলীয় সরকার মানুষ খাওয়া ব্যান করে দেয়, এর পরপরই রোগের প্রকোপ বন্ধ হয়ে যায়।



পাপুয়া নিউ গিনির এসব জাতি ছাড়া অস্ট্রেলীয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় নিকট অতীতে মানুষ খাওয়ার প্রবনতা ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা, নিউ মেক্সিকো এলাকায় আনাসাজি নেটিভ আমেরিকানরা (অথবা রেড ইন্ডিয়ানরা) কিছুকাল আগেও উৎসব ও অন্যান্য উপলক্ষে মানুষ খেতো তার প্রত্নতাতি্বক প্রমান আছে। তবে বিজ্ঞানীরা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এসব উদাহরনকে ইতিহাসের বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উল্লেখ করতে পছন্দ করতেন। গোল বাধলো বৃটেনে ম্যাড কাউ রোগের বিস্তারের গবেষনা করতে গিয়ে। ম্যাড কাউ এবং নিউ গিনির কুরু রোগের লক্ষন এবং পরিনতি তে মিল আছে। কিন্তু ম্যাডকাউ বিস্তার লাভ করে আক্রান্ত গরুর মগজ খেলে।



ম্যাডকাউ হতে পারে যদি আক্রান্ত গরু থেকে [link|http://en.wikipedia.org/wiki/Prion|wc

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৬ ভোর ৫:২২

অতিথি বলেছেন: মানুষ মানুষ খায় এইটা সব সময় সত্য ,

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৬ ভোর ৬:৪৬

অরূপ বলেছেন: মানুষের মাংশ খেতে কেমন লাগার কথা?
[ইটালিক]
Jesus said, "I tell you the truth, unless you eat the flesh of the Son of Man and drink his blood, you have no life in you" (John 6:53).[/ইটালিক]

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৭:১৮

পথিক!!!!!!! বলেছেন: সুন্দর লেখা, কি ন্তু এক জিনের উপস্থিতি কি সত্যিই গুরু কোন প্রমাণ ....

৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৭:২১

অতিথি বলেছেন: বর্তমানে আমরা মানুষ না খেয়েও আগের যুগের মানুষ খেকোদের চেয়ে কোন অংশে কম নই।
আর জিনের কথা!, খাওয়ার ইচ্ছাশক্তির জিনও আছে আবার খাওয়ার পর হজমের জিনও আছে।
রাসেল ভাইয়ের কথার সত্যতা আবার উচ্চারণ করছি।

৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৭:৪৯

হিমু বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে। নিয়ান্ডার্টালরা যে মানুষখোর ছিলো তার বেশ শক্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে, পড়েছিলাম। চীনারা নাকি এখনো ভ্রুণের সু্যপ খায়।

৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৭:৫৬

অরূপ বলেছেন: চীনারা বাঘের শিশ্নের সুপও খায় @ হিমু

৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৮:০১

অতিথি বলেছেন: সমস্যা কি ?

৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৮:০৩

অরূপ বলেছেন: কার কি সমস্যা? @ জামাল ভি.

৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৮:০৫

উৎস বলেছেন: প্রানীজ শিশ্ন খাওয়া হারাম না হালাল? আমি অনেক আগে শুনছিলাম কাপালিকরা বীর্য খায়, সত্যি কি না জানি না।

১০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৮:১২

অরূপ বলেছেন: কুয়ালালুম পুরে আসার মাসতিনেক পর দেখি এক রেস্তোরা থেকে বাঘের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে। বেশী দেরী হলে নাকি বেচারা সুপ হয়ে যেত

১১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৮:১৬

অতিথি বলেছেন: খাইতে ভালো লাগলে যা ইচ্ছা খাওন যায়...সমস্যা কি

১২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৮:১৭

অরূপ বলেছেন: ক্যাভিয়ার খাইতে ভালো লাগে না!

১৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৮:১৯

অতিথি বলেছেন: এইটা খাইয়া দেখা হয় নাই...কেরম টেস্ট?

১৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৮:২১

অরূপ বলেছেন: জঘন্য!

১৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৮:২৪

অতিথি বলেছেন: ভাস্ক র ভাই কি বিড়ালের শিশ্ন খাইছেন নাকি? বাঘ তো পাওয়া যাইবো না, আর পাওয়া গেলেও ঐ জিনিষ কাটবো কোন হাজামে, তয় গ্রামে গরুর শিশ্ন বীচি খায় লোকজন পুড়ায়া।

১৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৮:২৬

অতিথি বলেছেন: খাইতে ভালো লাগলে আর পাওয়া গেলে খামুনে সমস্যা কি?

১৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৮:২৯

অতিথি বলেছেন: বিলাই খাই নাই কোনদিন...কিন্তু কুত্তা আর শিয়ালের মাংস খাইছি...তয় সজারু হইলো বেহেস্তি প্রাণী

১৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৮:৩০

অতিথি বলেছেন: সজারু খায় সাঁওতাল রা, আর শিয়াল কুত্তা রাজশাহী র হলে খাওয়াইছে শুনছি।

১৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৮:৩১

অতিথি বলেছেন: তো

২০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৮:৩৩

অতিথি বলেছেন: নাহ এইটা অবস্থান লোকেট করা। ঢাকা শহরের চিরিয়া খানায় গিয়া তো শজারু খাইবেন না, খাইলে খাল ছিলে ফেলবে, জাহাঙ্গির নগরে শজারু পাওয়া যায় কি না জানি না, তয় এইটাতে এটাকিং হওয়ার কিছু নাই, আপনে যা ইচ্ছা খাইতে পারেন, গু মুত খাইলেও আমি এর পর জিগামু না কোত্থে তুইল্যা খাইছেন।

২১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৮:৩৭

অতিথি বলেছেন: আপনে জিগাইলেই কি আর না জিগাইলেই কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.