![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মীম, শব্দের বয়স ত্রিশের কিছু বেশী, আমি নিজেও প্রথম শুনলাম দু বছর আগে। মীম অবশ্য যা বোঝায় তা মোটেই পুরোনো নয়, সত্যি বলতে কি মীমের ব্যখ্যা নিজেই একটা মীম, বইয়ে প্রথমবার পড়ে মনে হচ্ছিল এই মীমকে না ছড়ানো পর্যন্ত শান্তি নেই, আগে পরিচিতদেরকে বলেছি, এখন সম্ভব হলে ব্লগ পাঠকদের মধ্যে ছড়াব।
মীমের একটা কাছাকাছি শব্দ জিন (gene), এখন বহুল প্রচলিত, অনেকটা মীমের বায়োলজিকাল সমার্থক । তবে মীমের অর্থ পরিস্কার করার জন্য ভাইরাসের উদাহরন ব্যবহার করলে ব্যপারটা আরো সহজবোধ্য হবে। আমি সংক্ষেপে বলব, অনেকে আরও বিস্তারিত ভাবে বলতে পারবেন। আমরা কি কখনও ভেবে দেখেছি ভাইরাসের মতো ক্ষুদ্্র এবং তুলনামুলক ভাবে সরল বায়োলজিকাল ইউনিট কিভাবে আমাদের মতো জটিল, well equiped প্রানীকে সহজেই কাবু করে ফেলে, উত্তরটা জানতে হলে ভাইরাস কিভাবে কাজ করে জানতে হবে। ওহ আরেকটা ব্যাপার বায়োলজিকাল ভাইরাস আর কম্পিউটার ভাইরাসের স্ট্র্যাটেজি মোটামুটি একইরকম। এসব ভাইরাসের আক্রমনের দুটি স্তর, প্রথম স্তর হলো কোনো ভাবে host কোষে ঢুকে পড়া, কিন্তু ঢুকে পড়াটা অত সহজ নয়, কারন কোষের দেয়াল আছে, এবং দেয়ালের প্রোটিন বাইরের অচেনা জিনিসকে ঢুকতে দেবে না, অনেকটা প্রি-প্রোগ্রামড, আর এই প্রি-প্রোগ্রামড বলেই এর মধ্যে ভুলও আছে (কম্পিউটারের ক্ষেত্রে security hole) , যদি কোন ভাইরাসের কাছে এমন অন্য একটি প্রোটিন (অথবা কোড) থাকে যা এই ভুলকে সফলভাবে exploit করতে পারে তাহলেই কেল্লা ফতে, ভাইরাস কোষের ভেতরে ঢোকার অনুমতি পেয়ে যাবে। সর্দির ভাইরাস থেকে শুরু করে বার্ড ফ্লু সবার টেকনিক মোটমুটি একই রকম। এরপর শুরু হয় আক্রমনের দ্্বিতীয় স্তর, আমাদের কোষের মধ্যে যথেষ্ট যন্ত্রপাতি আছে যারা ভাইরাস তৈরীর উপাদান গুলো উৎপাদন করতে পারে (কারণ ভাইরাসের মৌলিক উপাদান আর আমাদের শরীরের মৌলিক উপাদান একই), সহজ ভাষায় বলতে গেলে ভাইরাস এদেরকে এমনভাবে মোটিভেট করে যে এরা নিয়মিত কাজকর্ম ফেলে ভাইরাস তৈরী করা শুরু করে দেয়, এবং অল্পক্ষনেই শত শত ভাইরাস তৈরী হয়ে কোষের দেয়াল ভেঙ্গে বের হয়ে আসে, আর আশেপাশের কোষগুলোকে আক্রমন করে। যে ভাইরাস যত ভালোভাবে নিজেকে copy করতে পারে (বা যতটা স্বার্থপর), সে তত সফল। জিন (gene) যদিও আক্ষরিক অর্থে কাউকে আক্রমন কর েছ না, তবে সেও তার হোস্টকে (প্রানী নিজেই) ম্যানিপুলেট করে নিজের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য, আমি বিস্তারিততে যাব না আজকে। এখন মীমের প্রসঙ্গে ফিরে আসি, মীম ভাইরাস বা জিনের মতোই তবে এর হোস্ট হচ্ছে মন বা মস্তিষ্ক (শুধু মানুষের জন্য সীমাবদ্ধ নয়)। উদাহরণ দিলে পরিস্কার হবে, যেমন গুজব হলো এক ধরণের মীম। এই মীম ছড়াতে পারে এভাবে, আপনি হয়ত কোন শোবিজ স্টারের খুব খোজখবর রাখেন, আমি আপনাকে তার সম্পর্কে কিছু চটকদার খবর দিলাম, আপনি শুনে এতই মোহিত ( মীম প্রথম স্তর সফল ভাবে পার হলো), পরক্ষনেই বান্ধবীকে জানালেন, বাসা গিয়ে ভাই বোন কে জানালেন, রাতে চ্যাট করে জানালেন আরও বন্ধু বান্ধবকে (copy সফল), এবং আপনি যাদেরকে বলেছেন তারাও মোটামুটি একই ভাবে ছড়াতে লাগলো, ইত্যাদি, ইত্যাদি। আরেকটা ব্লগীয় উদাহরণ, কয়েকদিন আগে অরূপ শাখামৃগ নিয়ে একটি বিশেষ ছবি সহ পোস্ট করার প্রস্তাব করল, আর যায় কোথা আমুদে লোকজন লুফে নিল প্রস্তাব, মীম-এ ইনফেকটেড কেউ কেউ লেখা ছাড়ল, বাকী ইনফেকটেডরা (আমার মতো) দিনে বহুবার লগ ইন করলো লেখা পড়ার জন্য। ফ্যাশন, ট্রেন্ড, গল্প, কবিতা, এমনকি ব্লগ, সবই এক বা একাধিক মীম। মীম নিজে ভালো বা খারাপ নয়, তবে হোস্টের ওপর এর প্রভাব ভালো, খারাপ হতে পারে। জিন বা ভাইরাসের মতো ডারউইনের সুত্র মীমের ওপরও প্রযোজ্য (survival of the fitest)। সবল মীম দুর্বল মীমকে হটিয়ে দেয় (পুরোনো ফ্যাশন আর চলেনা নতুন ফ্যাশন এলে)। যেসব মীম খুব ভালো ভাবে আমাদেরকে exploit করতে পেরেছে, এবং যাদের copy fidelity খুব ভালো, তারা যুগ যুগ টিকে যায় (যেমন রবীন্দ্র সাহিত্য)। আরো মীম আছে যারা এর চেয়েও বেশী দিন ধরে টিকে আছে, যেমন সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস, ধর্ম। ধর্ম আমাদের চমৎকার কিছু দুর্বলতা খুজে বের করেছে (যেমন, মৃত্যু ভয়, অজানা ভবিষ্যতের আশংকা, আমার মনে আছে ছোটবেলায় পরীক্ষা বা ফলাফলের আগে সৃষ্টিকর্তার দরবারে মোনাজাত বেড়ে যেত), আবার এই দুর্বলতা গুলো প্রায় সার্বজনীন হওয়ায় copy fidelity খুব ভাল। ধর্মের মৌলিক ধারণা গু লো (মীম গুলো) এ জন্য বহুদিন ধরে টিকে আছে। তবে এই মীমগুলোর অনেক ভ্যারিয়ান্ট আছে , এবং প্রতিদ্্বন্দ্বী ভ্যারিয়ান্ট গুলো মুল ধারনার বাইরেও আরো অনেক কিছু যোগ করে, যেমন প্রাত্যাহিক উপাসনা, উৎসব স্রেফ মীমের survival নিশ্চিত করতে। মীম যদি কোন হোস্ট খুজে না পায়, তাহলে মীমের মৃত্যু হবে, মীম সংশ্লিষ্ট আইডিয়া সমেত। যেমন, গ্রীক দেব দেবীদের ধর্মিয় মীম, কেউ যেহেতু এই দেব দেবীদের বাস্তব অস্তিত্বে আর বিশ্বাস করে না, এই মীমেরও আর অস্তিত্ব নেই, আক্ষরিক অর্থেদেবরাজ জিউসের মৃত্যুও এই সাথেই হয়ে গিয়েছে। বিশ্বাস ভিত্তিক মীমের এই একটা সমস্যা বিশ্বাসী না থাকলে মীম তার উপাদান সমেত (দেবতা, সৃষ্টিকর্তা, ...) মরে যেতে বাধ্য। ধর্মীয় মীম এজন্য যুক্তিবাদী খোজে না বরং খোজে অন্ধ বিশ্বাসী।
২| ১৯ শে মার্চ, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০৩
হিমু বলেছেন: আহ, অ্যাদ্দিন পর Richard Dawkins-এর আরেকজন ভক্ত পাওয়া গেলো তবে। চমৎকার।
৩| ১৯ শে মার্চ, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০৩
উৎস বলেছেন: আসলে বইটার নাম আমারই উল্লেখ করা উচিত ছিল - The Selfish Gene - Richard Dawkins।
৪| ১৯ শে মার্চ, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০৩
:) বলেছেন: ওয়াও, দারুন ব্লগিয়েছেন উৎস, 5/5
৫| ১৯ শে মার্চ, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০৩
অতিথি বলেছেন: Memeনিয়ে
৬| ১৯ শে মার্চ, ২০০৬ রাত ৮:০৩
অতিথি বলেছেন: মীম নিয়ে রিচার্ড ডকিনেসর এই লেখা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। উৎসের লেখা পড়ে আমি বুঝতে পারিনি তত্ত্বটি কি জীববিজ্ঞান সংক্রান্ত না সামাজিক বিজ্ঞান সংক্রান্ত। অথবা এটা কি কম্পিউটার বিষয়ক দর্শন?
যদি এটি সমাজবিজ্ঞান সংক্রান্ত কোনো তত্ত্বের বিষয় হয়ে থাকে, তবে আমার বেশ অবাক লাগছে জীববিজ্ঞান সংক্রান্ত ধারণার ওপর প্রতিষ্ঠা। কারণ পজিটিভিস্ট স্যোসিওলজি যে আমরা কখনও দেখিনি তা না, বরং পোস্ট-পজিটিভিস্টদেরও জন্ম হয়েছে।
তবে মীমের ব্যবহার করে যা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হচ্ছে তা ব্যাখ্যার জন্য সবচে ভালো থিওরি হলো ফুকোর ডিসকোর্স। ডিসকোর্স ত্রিশ বছর পরে এখন জ্ঞানের সব শাখাতেই সমান জনপ্রিয়। আর ঐ ব্যাখ্যাগুলো ডিসকোর্স এ্যানালাইসিস দিয়েই সবচে ভালো করা যায়।
৭| ১৯ শে মার্চ, ২০০৬ রাত ৮:০৩
হিমু বলেছেন: শোমচৌ, উৎসের উলি্লখিত বইটিতে মীমের অবতারণা করা হয়েছে জিন সংক্রান্ত বিপুল আলোচনার পর, এবং জিনের বেলায় যা খাটে, তা মীমের বেলায়ও খাটে, এমন একটা তুলনা দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে ঐ অধ্যায়টিতে, তাই উৎসের প্রতিবর্ণনে জীববিজ্ঞানের ব্যাখ্যাই চলে এসেছে। তবে সেলফিশ জিন খুব সুলিখিত একটি বই, মানুষকে ভাবায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে ডকিনস-এর লেখনশৈলীর বড় ভক্ত। ভদ্রলোকের একটি কন্যা আছে আমার বয়সী ... এরকম শ্বশুর পেলে মন্দ হতো না ।
৮| ১৯ শে মার্চ, ২০০৬ রাত ৮:০৩
অতিথি বলেছেন: কিন্তু মীম কি বায়োলজিক্যাল ফ্যাক্ট। নাকি, তাত্তি্বক কল্পনা। এবং উৎস যে মীম প্রয়োগ করে সামাজিক কাজকর্ম ব্যাখ্যা দিলো? সেটি কীভাবে হলো?
৯| ১৯ শে মার্চ, ২০০৬ রাত ৮:০৩
হিমু বলেছেন: উঁহু।
ডকিনস গোটা জীবজগতকে কল্পনা করেছেন জেনোমবাহক হিসেবে। তাঁর প্রস্তাবিত কাঠামোতে, প্রতিটি প্রাণীই জিনের বাহক, একটি জিনযান শুধু। যদিও জিন প্রোটিন সংশ্লেষণ ছাড়া আর কিছুই করে না, তবুও সেই সংশ্লেষিত প্রোটিনের সুদূরপ্রসারী প্রভাবই কিছু জিনকে টিকে থাকতে সহায়তা করে, আবার কিছু জিন প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়ে হারিয়ে যায়। এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা ছাড়া জিনের আর কোন "উদ্দেশ্য" নেই ... তাই ডকিনস একে "স্বার্থপর" একটি প্রক্রিয়া হিসেবে দেখেছেন। আমরা নিজের অজান্তেই কিন্তু রক্ষা করি কিছু জিনের স্বার্থ, নিজেদের নয়। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে জিনকে হস্তান্তর করাই আমাদের অস্তিত্বের মূল উদ্দেশ্য। ডকিনস এই আশ্চর্য তত্ত্ব দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন যৌনতা, গোষ্ঠী, পারস্পরিক সহযোগিতা, সন্তান, সঙ্গীবাছাই ... এরকম কয়েকটি বিষয়, আর আলো হিসেবে ব্যবহার করেছেন জিনবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান ... । শোমচৌ, আপনি বইটা পড়ুন। সম্ভবত আপনি সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক, আনন্দ পাবেন।
১০| ১৯ শে মার্চ, ২০০৬ রাত ৮:০৩
হিমু বলেছেন: আর মীমকে কল্পনা করা হয়েছে জিনের সাংস্কৃতিক প্রক্ষেপণ হিসেবে। এক একটি মীমও টিকে থাকতে চায় পরবর্তী প্রজন্মের কাছে। কী এই মীম? মীম হচ্ছে একটি ধারণা। হতে পারে সেটি এমন, "চকমকি পাথরে পাথর ঘষলে আগুন জ্বলে"। এই ধারণাটির বাহক চকমকি ঘষে আগুন জ্বালাতে থাকে, তার সংস্পর্শে যে আসে, তারও সুযোগ হয় কৌশলটি শিখে নেবার। আমরা ব্যাপারটিকে এভাবে দেখতে পারি, যে এই চকমকি দিয়ে আগুন জ্বালানোর মীমটি প্রবাহিত হলো দ্্বিতীয় ব্যক্তিটির মধ্যে, সে-ও এখন মীমটির বাহক। এভাবেই মীমটি বাহকের সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগ করে নিয়ে নিজের টিকে থাকার সম্ভাবনা বাড়ায়। পার্থক্য হচ্ছে, জিন হস্তান্তর ঘটে সাধারণত যৌন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন প্রাণীর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে, কিন্তু মীমের বাহক সংখ্যা বাড়ানোর পদ্ধতিটি সরল ও দ্রুত, যোগাযোগই যথেষ্ঠ। জিনের জন্যে সেক্স যে ভূমিকাটি পালন করছে, অর্থাৎ দু'টি একই প্রজাতির প্রাণীর মিলনের মাধ্যমে একটি নতুন বাহক জন্ম নিচ্ছে, সেখানে মীমের ক্ষেত্রে ভূমিকাটি হচ্ছে যোগাযোগের, তথ্য আদান প্রদানের। মীমেটিক্স নিয়ে অনেক সমাজবিজ্ঞানী ও সামাজিক নৃবিজ্ঞানী কাজ করছেন পড়েছিলাম সেই '74 সালে বেরোনো বইতে, অ্যাদ্দিনে তো অনেক কিছু হয়ে যাবার কথা, আপনি ইন্টারনেটে একটা ঘাঁটা মারুন না!
১১| ১৯ শে মার্চ, ২০০৬ রাত ৮:০৩
অতিথি বলেছেন: ধন্যবাদ, হিমু। পড়বো। আগে বইটি জোগার করে নিই।
১২| ১৯ শে মার্চ, ২০০৬ রাত ১১:০৩
অতিথি বলেছেন: গলাটা শুকায়া গেলো! ধু্যৎ!
১৩| ১৯ শে মার্চ, ২০০৬ রাত ১১:০৩
অতিথি বলেছেন: মিম নিয়ে মেমেটিক পোস্ট! সুস্বাদু হয়েছে লেখাটি। মন্তব্যগুলোও। বিষয়টি উস্কে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ লেখককে।
মিম ঘিরে নতুন নতুন শব্দ আর প্রপঞ্চ তৈরি হচ্ছে। এর সবই যে ধোপে টিকছে তা নয়, সময়ের সাথে প্রপঞ্চের আদিকল্পেও সঙ্কট দেখা দেয়। ইংরেজিতে বললে অনেকে হয়তো ভালো বুঝবেন, paradigm crisis in memetic phenomenon-এর কথা বলছি।
নিজের জ্ঞানরাজ্যের কথায় আসা যাক। এখন ফলিত গণিত আর সিনেমা থিওরিতেও জায়গা করে নিয়েছে 'মিম'। গাণিতিক মডেল দিয়ে ধর্ম বা রাজনীতির মতো অতি-বিতর্কিত বিষয় ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। অন্যদিকে নিরীক্ষাধর্মী সিনেমাকে দর্শকপ্রিয় করতে মিম কীভাবে প্রয়োগ করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা চলছে।
মাথায় অনেক ভাবনা ঘুরছে।এ নিয়ে ব্লগে বিস্তারিত লিখার ইচ্ছে আছে। সময়!
মিম সংক্রান্ত শব্দমালা নিয়ে জানতে চাইলে আমার পছন্দের একটি পারিভাষিক অভিধান (অপূর্ণাঙ্গ) দেখুন :
http://tinyurl.com/pfunr
ও, আগের একটি মন্তব্যে সামান্য ভুল তথ্য রয়েছে। 1974 নয়, 'সেলফিশ জিন' বইটির প্রথম সংস্করণ বেরোয় 1976 এ। আর দ্্বিতীয় সংস্করণ অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে, 1989 সালে।
বাংলায় কেউ অনুবাদ করেছেন নাকি? করবেন নাকি?
টীকা : 'মীম' লেখার পক্ষপাতী নই। প্রমিত প্রতিবর্ণীকরণের নিয়ম মেনে 'মিম' লিখলে ভালো হয়। 'মীমেটিক্স' নয়, উচ্চারণ অনুযায়ী হবার কথা 'মেমেটিক্স'(memetics)। যেমন জিন থেকে জেনেটিক্স।
১৪| ২০ শে মার্চ, ২০০৬ ভোর ৪:০৩
উৎস বলেছেন: হিমু ধন্যবাদ উত্তর দেয়ার জন্য।
মতাহির ভাই, (হিমু যেমন বলেছে) মিম বায়োলজিকাল ফ্যাক্ট নয়, বরং বায়োলজিতে জিন যেমন, বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষেত্রে মিমও তেমন। ডকিনসের সাফল্য এখানে, কিছু যুক্তিভিত্তিক মৌলিক ধারণা যে কেবল জীববিজ্ঞান নয়, অন্যক্ষেত্রেও প্রযোজ্য এটা প্রমান করা।
জিকো ভাই, মিমের বানান সম্বন্ধে আপনার মন্তব্য ই হয়ত সঠিক, আসলে সকালে লেখার সময় বুঝতে পারছিলাম কোনটা ঠিক হবে, তবে ইংরেজী উচ্চারণ বিবেচনা করলে মীমও হয়তো সঠিক হতে পারে।
১৫| ২০ শে মার্চ, ২০০৬ সকাল ৭:০৩
উৎস বলেছেন: হাসিমুখ ভাই ধন্যবাদ উৎসাহ দেয়ার জন্য।
সুযোগ পেলে আবার লিখব এই প্রসঙ্গে।
১৬| ২০ শে মার্চ, ২০০৬ রাত ৯:০৩
অতিথি বলেছেন: gene -কে জিন লিখতে পারলে meme-কে মিম লিখা যাবে না কেন? থিম (theme) তো একই।
যাই হোক, বানানরীতি-বিতর্কের চাপে মূল প্রসঙ্গ যেন হারিয়ে না যায়। উৎস ভাই, বিস্তারিত লিখুন এ নিয়ে।
১৭| ২০ শে মার্চ, ২০০৬ রাত ৯:০৩
অতিথি বলেছেন: হ্যাঁ, ঝিম মেরে গেলে চলবে না!
১৮| ২০ শে মার্চ, ২০০৬ রাত ১১:০৩
উৎস বলেছেন: ভাই মুখফোড়, আপনিই তো ভয় ধরিয়ে দিচ্ছেন, দেশে বাপ-মা ভাই বোন আছে, আপনারা ইমেইল ঠিকানা দিতেই ভয় পাচ্ছেন, এখন লেখার আগে কয়েকবার ভাবতে হবে।
১৯| ২০ শে মার্চ, ২০০৬ রাত ১১:০৩
অতিথি বলেছেন: ইমেইল ঠিকানা নয় ভাই, পোস্টাল ঠিকানা। জিপিওতে বাক্স ভাড়া করুম ভাবতে আছি।
২০| ২১ শে মার্চ, ২০০৬ রাত ১:০৩
অতিথি বলেছেন: আলিফ, লাম, মিম। এই কথার কোনো অর্থ মানবজাতি এখনও করতে পারে নাই। এই ভদ্রলোকও এটার ধারকাছে কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারে নাই। আল্লাহর গায়েবী জ্ঞান সবার জন্য না। আল্লাহ তুমি তোমার বান্দারে রহম করিও।
২১| ২১ শে মার্চ, ২০০৬ রাত ৮:০৩
উৎস বলেছেন: কীব্রিয়্যাহ সাহেব আপনি কি বুঝে না না-বুঝে উপরের মন্তব্য করেছেন বুঝতে পারলাম না। আমি যে meme এর কথা লিখেছি এর সাথে আপনার আলিফ, লাম, মিমের কি সম্পর্ক। এতটা ধর্ম- অন্ধ না হয়ে পড়ে বোঝার চেষ্টা করুন।
২২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১২:৪২
অতিথি বলেছেন: কীব্রিয়্যাহ ভাই ধর্ম অন্ধ নয়, বরং একটু বেশি আবেগী। আসলে আপনার লেখা পড়ে সে একটি জিনিসই হয়তো খেয়াল করেছে, আর তা হলো আপনি কারণে অকারণে ধর্মকে টেনে আনছেন এবং তা ধর্মের বিরুদ্ধে। তাই তিনি সম্পূর্ণ না বুঝেই এ মন্তব্য করেছেন। তবে ইচ্ছা হলেই কাউকে ধর্ম অন্ধ বলার মত কাপুরুষোচিত মনোভাব আমাদের ত্যাগ করে মানসিকতা একটু বড় করা উচিত।
২৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৭ রাত ৩:৪৬
অতিথি বলেছেন: পুনরুত্থান হোক!
২৪| ২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ২:১০
সোজা কথা বলেছেন: যথারীতি লেখকের আরেকটি সফল লেখা । সর্বশেষ কমেন্টের আড়াই বছরে পর এই কমেন্টে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
২৫| ২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ২:৩৪
ফারুক৫৫ বলেছেন: "ইচ্ছা হলেই কাউকে ধর্ম অন্ধ বলার মত কাপুরুষোচিত মনোভাব আমাদের ত্যাগ করে মানসিকতা একটু বড় করা উচিত। " অতিথি।
একমত , এত সহজে বহুল প্রচলিত একটা সমস্যার কথা বলার জন্য ধন্যবাদ।
২৬| ২৯ শে মে, ২০০৯ সকাল ১১:১৭
'লেনিন' বলেছেন: চমৎকার পোস্ট
২৭| ৩০ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:৩৫
অন্য কেউ বলেছেন: দারুণ!
২৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১:০৮
মুহাম্মদ শফিউল্লাহ বলেছেন: --
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মার্চ, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০৩
হিমু বলেছেন: আহ, অ্যাদ্দিন পর -এর আরেকজন ভক্ত পাওয়া গেলো তবে। চমৎকার।