| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিসিবি থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ হয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। বিসিবির হাতে আকসুর পূর্নাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন আসলেই জানা যাবে কি ধরনের শাস্তি পেতে চলেছেন সর্বকনিষ্ট এ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান। তবে আশরাফুল ভক্তরা চান, বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাফল্যর এই নায়কের ন্যুনত্যম শাস্তি।
গতকাল আশরাফুলের ন্যুনতম শাস্তির দাবিতে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম চত্ত্বরে এক মানববন্ধনের আয়োজন শদেড়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়–রা শিার্থীরা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্টেডিয়াম চত্বরে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে জড়ো হতে থাকে তারা। তবে মানববন্ধন কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই পুলিশি ধাওয়ায় তা পন্ড হয়ে যায়।
আশরাফুল সমর্থকদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধনের আয়োজন করলেও পুলিশ তাদের তা করতে দেয়নি। এমনকি তাদের একত্রিত হতে দেখলেই ধাওয়া এবং লাঠি চার্জ করছে পুলিশ। পুলিশের লাঠি চার্জে মানববন্ধনে অংশ নেয়া ২ জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
সরকারী তিতুমীর কলেজের রসায়ন তৃতীয় বর্ষের শিার্থী মোজ্জামেল হক রামিম বলেন, পুলিশের আচরণ অগনতান্ত্রিক। স্বাধীন দেশে এধরনের আচরণ কারোরই কাম্য নই।
ভোলা থেকে আসা মাহমুদুল হক শুভ বলেন,‘আমরা ৮-৯ জন ভোলা থেকে এসেছি। শুধু ভোলা নই, সিলেট, ফেনী, কুমিল্লা থেকেও অনেকেই আমাদের মানববন্ধনে অংশ নেয়ার জন্য এসেছে। তবে পুলিশের বাঁধার কারনে আমরা মানববন্ধনে অংশ নিতে পারিনি।
তিনি বলেন, আশরাফুলের শাস্তি হউক এটা আমরাও চাই। তবে আমাদের দাবি একটাই, আশরাফুলের ন্যুনতম শাস্তি যেন হই। হতে পারে সেটা ১ মাস থেকে সর্বোচ্চ ১ বছরের। তবে এর বেশী নই। আমরা এখনো বিসিবির উপরই ভরসা রাখছি। বিসিবি যদি আমাদের দাবি মেনে না নেই তাহলে পরবর্তীতে ফেসবুকের মাধ্যমেই আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।
পুলিশের আচরণ নিয়েও ুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি। বলেন, আমরা যখন বাংলাদেশের বিজয়ে বিজয়উল্লাস করি তখনতো আশাদের কোনও অনুমতি নিতে হয়না। কিংবা পুলিশ বাঁধা দেই না। তাহলে এখন কেন। আমরা কোনও রাজনৈতকি এজেন্ডা বাস্তকায়নে এখানে আসিনি। আশলাফুলকে ভালবাসি তাই। সে বাংলাদেশের সাফল্যর একজন বড় অংশীদার। অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পেছনেই আশরাফুলেরই অবদান ছিল।
পুলিশের বেপরোয়া আচরণ প্রসঙ্গে নেতৃত্বপালনকরাী অফিসার তৈয়বার সঙ্গে কথা বলার চেস্টা করা হলেও তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। পরে স্টেডিয়াম চত্বরে হাজির হন মিরপুর অঞ্চলের সহকারী কমিশনার জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, মানববন্দন করতে হলে ঢাকা মেট্রপলিটন পুলিশের অনুমতি লাগে। কিন্তু তারা কোনও অনুমতি নেয়নি। তাই তাদের মানববন্ধনে বাঁধা দেয়া হয়েছে।’
বিসিবি থেকে কোনও দিকনির্দেশনা দেয়া আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জসিম উদ্দিন হ্যাঁ সূচক মন্তব্য করলেও পরে বলেন, গনমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন দেখেই আমরা সতর্কতামূলক ব্যবস্তা নেই। যাতে করে মানববন্ধনের নামে কেউ গাড়ি ভেঙে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি করতে না পারে।
©somewhere in net ltd.