| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
'জোড় যার, মুল্লুক তার'। হয়তো পৃথিবীর সভ্য দেশগুলার ক্ষেত্রে এই প্রবাদটি কার্যকর নয়, তবে আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে এই প্রবাদটি যথার্থই বটে।
বাংলাদেশকে বলা হয় গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে সব নাগরিকের অধিকার সমান। তবে এই অধিকারটা বোধহয় সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্র প্রযোজ্য নয়। কেননা, এদেশের অধিকাংশ সংখ্যাগরিষ্টরাই মনে করেন এদেশ তাদের, এখানে সংখ্যালঘুদের কোনও স্থান নেই।
হয়তো ভাবছেন, এমন গুবলেট মার্কা কথা লেখার কারণ কি? বা অনেকেই আবার এই লেখাটা পরার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। চূড়ান্ত ধৈর্যচ্যুতি ঘটার আগেই যে জন্য এই লেখাটা তাই বলে ফেলাটাকেই শ্রেয় বলে মনে করছি।
হরহামেশাই প্রতিদিনের খবরেরর কাগজ কিংবা টিভি চ্যানেলে দেখানো হচ্ছে পুকুর চুরির খবর। রাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে বাসের কন্ডাকটার পর্যন্ত যে যেভাবে পারছেন এই পুকুর চুরির উৎসবে মেতে উঠছেন। অথচ নাটোর জেলার লালপুর থানার গোপালপুর গ্রামের এক অসহায় সংখ্যালঘু পরিবারের দখলে থাকা ২ হাত জমি কেড়ে নেওয়ার জন্য সেখানকার আশেপাশের মানুষগুলোর যেন রাতের ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল। অবশ্য এখন তারা নির্ঘূম রাত যাপনই করছেন। কেননা, স্থানীয় পৌর চেয়ারম্যানের সহায়তায় সেই ২ হাত জমি এখন উদ্ধার করে মহাভারত শুদ্ধের মতো পবিত্র কাজটিই তো ইতিমধ্যে সম্পন্ন করে ফেলেছন তারা।
ভিটেমাটিহীন অসহায় পরিবারটির ঠায় হয়েছিল আরও বেশ কয়েকটি অসহায় পরিবারেরর সঙ্গে। এরশাদ সরকারেরর সময় তাদের গুচ্ছগ্রাম নামক স্থানে ৯৯ বছরের জন্য ৪ কাঠা করে বসতবাড়ির মাটি লিজ দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে সময়টা বেশ ভালাই কাটছিল। বাড়ির চারপাশে বিভিন্ন ফলজ গাছ-গাছালি লাগানো হয়েছিল। সেগুলোতে ফলও এসেছিল। তবে গত ২ বছর আগে বাড়ির মালিক বৈদ্যনাথ কুন্ডু মারা যাওয়ার পর থেকেই এই জমি দখলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন প্রতিবেশি রুমি। আশপাশের পরিবারগুলোকে উৎসাহিত করে তিনি জমি দখলের নানা পায়তারা শুরু করেন। বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়ার পর কাজ না হওয়ায় তিনি সুকৌশলে এলাকার চেয়রাম্যানের শরনাপন্ন হন। চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তিনি অসহায় সেই পরিবারের বাসার পেছনের জায়গার ওরপর দিয়ে রাস্তা বানিয়ে নেন। আর এই রাস্তা বানানোর জন্য কাটতে হয় ডাবসহ বেশ কয়েকটি ফলজ গাছ। অসহায় সেই পরিবারের একমাত্র মহিলা সদস্য তার স্বামীর হাতের লাগানো গাছগুলোর কর্তন দেখে কিছুতেই ঠিক থাকতে পারছিলেন না। এসময় তার দুচোখ গড়িয়ে অশ্রু নেমে আসে। আর সেসময় নিজের স্বার্থহাসিল হওয়ার আনন্দে মাতোয়ার হয়ে উঠেছিলেন রুমি নামক সেই ভুমিদখলবাজ।
©somewhere in net ltd.