নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রসঙ্গঃ হেপাজতে ইসলাম
-হেপাজত ইসলামের উৎপত্তি কীভাবে?
- নাস্তিক ব্লগারদের বিচারের দাবি কেন্দ্র করে।
- কে নাস্তিক ব্লগার?
- যারা ব্লগে মহা নবীকে কটাক্ষ করেছে তারা।
- কী ভাবে জানলো কারা ব্লগে লেখছে?
- আমার দেশ পত্রিকা তা প্রকাশ কড়ছে।
- আমার দেশ পত্রিকায় কে লেখছে?
- সম্পাদক মাহমুদুর রহমান লেখছে।
- তার লেখা কী ধর্মী?
- সে সরকারে সমালোচনা করায় তাকে জেলে যেতে হয়েছে। তাই বুজা যায় সে বি, এণ, পি র পক্ষে পাত দুষ্ট।
- তার লেখার বিশ্বাস যোগ্যতা কতটুকু?
- অবশ্য এ বিষয়ে তার নামে অভিযোগ আছে তা হল সে সত্য চুরি করে মানে একটা ঘটনার বিবরন এমন ভাবে দেয় যেখানে সত্য মার খায়। সব সময় মুক্তিঝুদ্দের পক্ষের সমালচনা করে এবং ধর্ম ও দেশ/ স্বাধীনতাকে মুখমুখি অবস্থানে দাড় করেছে। যুদ্ধঅপরাধীর বিচারকে বানচাল করার চেষ্টা করেছে। যুদ্ধঅপরাধীর বিচার হোক এর পক্ষে কখনও সে মত দেয় নি। বরঞ্চ যুদ্ধঅপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইবুনালকে অস্বচ্ছ আর বানোয়াট বিচার বলে এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তার লেখার সমস্ত শক্তি ছিল এই অপরাধীদের পক্ষে। এ ক্ষেত্রে সে ধর্মের ব্যাবহার ও বাদ রাখেনি।
- কিভাবে এই যুদ্ধঅপরাধীদের বাঁচানোর ক্ষেত্রে সে ধর্মের ব্যাবহার করেছে?
- যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারের বিরোধীদের জবাব দিতে ঘটিত হয় গনজাগরণ মঞ্চ। সম্পাদক মাহমুদুর রহমান তার পত্রিকার মাধ্যমে ধর্ম প্রান মুসলমানদের ক্ষেপীয়ে দিয়েছে নাস্তিক বলে এই জাগরণ মঞ্চকে।
- নাস্তিক কি সত্যি ছিল না?
- গনজাগন মঞ্চের দাবির সাথে নাস্তিকদের সম্পর্ক নেই। গনজাগরনের দাবী ছিল যুদ্ধঅপরাধীদের বিচার। আর যারা নাস্তিক তারা ব্লগের অল্প কয়েক জন। প্রকৃত পক্ষে নাস্তিকরা ব্লগে মহানবীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ক্ষেপে গেছে। আর এই সুযোগ কাজে লাগায় আমার দেশের সম্পাদক। জাগরণ মঞ্চের সমর্থক কি আস্তিকরা ছিল না? তাদের সম্পর্কে মাহমুদের মন্তব্য নেই কেন।
- মুসল্লিরাত গনজাগন মঞ্চ বন্ধ করতে চাইছে?
- হ্যাঁ চাইছে। কারন আমার দেশ পত্রিকার মাধ্যমে মাহমুদুর রহমান জাগরণ মাঞ্চ আর নাস্তিক সব এক করে গুলিয়ে পেলেছে। আর মুসল্লি ও কাওমি মদ্রাসার হুজুরা এত মুক্ত চিন্তা বুজে না তাই তারা গ্রহন করেছে মাহমুদের মিথ্যে তথ্য। আর সে জাগরন মঞ্চ নিয়ে মিথ্যে ইসলাম বিরোধী তথ্য প্রকাশ করত।
- কি ছিল সেই ইসলাম বিরোধী কাজ?
- এসব মিথ্যে প্রচারণা। মুলত তার লক্ষ ছিল জাগরণ মঞ্চ বন্ধ হোক। এর আগেও জাগরণ মঞ্চ নিয়ে সে প্রকাশ করেছে বিভ্রান্তিকর তথ্য। কিন্তু সফল হয়নি বলে ধর্ম প্রান মুসল্লিদের ক্ষেপীয়ে দিয়েছে জাগরনের বিরুদ্ধে। আমি যদি বলি মাহ্মুদুর রহমান নিজে ইসলাম বিরোধী কাজ করেছে?
- এটা কিভাবে সম্ভব?
- পবিত্র কোরআনে মিথ্যার বিরোধিতা করেছে, যারা মিথ্যার মাধ্যমে সমাজে বিশৃঙ্খলা করে তাদের বিরুদ্ধে। কোরআনের এই বিরোধিতার পক্ষে যারা তারা কি ইসলাম বিরোধী নয়! সে ক্ষেত্রে মাহমুদ ও তার অনুসারীরা ইসলাম বিরোধী।
- আবার আসা যাক হেপাজত প্রসঙ্গ। হেপাজত হল সাধারন মুসুল্লিদের এটা বিশ্বাস করেন?
- হ্যাঁ। তবে আমি আবারও বলছি এরা মাহ্মুদুর রহমানের স্বার্থের জালে বন্দি। কারন তার লেখা এই মুসল্লিরা এমন ভাবে গ্রহন করেছে যেন এটা বড় হুজুরের আদেশ। এর সমালোচনা হয় না। মিথ্যাও হওয়া সম্বব না।
- বড় হুজুরের আদেশ বলে কি বুজাতে চেয়েছেন। ?
- মানে এ পত্রিকা যা লেখে তাই সত্য মানতে হবে। আমি বলি হুজুরদের এত কোরআনের আয়াত না সত্য মনে হয় কেন?
- হেপাজতের নেতা সম্পর্কে কোন সমালোচনা আপনার আছে?
- হেপাজতের সাধারন কর্মীরা সাধারন মুসল্লি এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। তবে এটা সত্য এরা এখনও মাহমুদের স্বার্থ ও মিথ্যের জাল চিড়তে পারে নি। আর হেপাজতের কেন্দ্রীয় কর্মীদের অধিকাংশ চার দলীয় জোটের ইসলামি অন্য সরিক দল। খোঁজ করে দেখেন পাবেন।
- হেপাজত ইসলামে তো যে কোন ধর্ম প্রান মুসল্লি ডুকতেই পারে?
- এটা ঠিক। তবে যারা চার দলের সাথে যুক্ত তারা হেপাজতকে সে ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করবে যেভাবে করলে মহা জোটের ক্ষতি হয়। তাদের এখন ইসলাম প্রীতির চেয়ে জোটের প্রিতি বেশি। আর এই মাওলানারা এখন যেভাবে ওআজ করে তাতো রাজনৈতিক বক্তব্য। তাদের নিয়ন্ত্রণে পক্ষপাতিত্ব আছে।
- ধর্মের প্রীতির চেয়ে জোটের প্রীতি বেশি এটা বুজিয়ে বলুন?
- যেই হেপাজতরা কঠিন আন্দোলন করেছে মহা নবীকে কটাক্ষ করায়। তাদের সমাবেশে মহা গ্রন্থ আল কোরআন পুড়ল এতে তাদের বিন্দুমাত্র প্রতিবাদ নেই। তারা বলছে এটা অনুপ্রবেশকারী। তবে কে এই অনু প্রবেশকারী যাদের বিরুদ্ধে কথা বলা সম্ভব না। তবে তো তাদের এই আন্দোলন বিশেষ কারও জন্য।
- কে এই বিশেষ কেউ?
- এটা তারাই জানে। তারা বলছেও তাদের নিয়ন্ত্রণ জামাত শিবিরের হাতে চলে গেছে।
- তবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নেই কেন?
- পক্ষপাত। এই হেপাজতের সব তো শিবির নির্ভর ছিল। বললাম না হেপাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা চার দলের সরিক নেতা। মাঠ পর্যায় নেতারা ভুল বিভ্রান্তি আর সত্য পথে আছে। আর সাধারন কর্মীরা সত্যি নবী ও ইসলাম প্রেমী। অবশ্য অল্প কিছু স্বার্থের জন্য।
- মাঠ পর্যায়ের নেতা ভুলে কেন?
- আসলে তারা কিছু হলেও বুজে কিন্তু তারা নবী প্রেমী।
- কি বুজে?
- নবী প্রেমে দুনিয়াবি স্বার্থ কেন? তাছাড়া হেপাজতের কর্মী দাবী করে বি, এন, পি এর জন্য ভোট চাইতে দেখা গেছে। এছাড়া এরা মুফতি নয় তবু ফতুয়া দিয়ে যাচ্ছে। আর বলছে আওয়ামীলীগ নাস্তিকদের দল। ইসলাম ধর্ম তো কারও স্বার্থে না। এটা সকল মানব জাতির কল্যাণের জন্য। তবে কেন তারা ইসলামকে তাদের হীন স্বার্থে ব্যাবহার করে।
- ব্লগের লেখা যেমন কিছু নাস্তিকের ব্যাক্তিগত চরিত্র তেমনি মাহ্ মুদুর রহমানের ব্যাক্তিগত চরিত্র সত্য মিথ্যে গুলিয়ে মিথ্যের জয় দেয়া।
©somewhere in net ltd.