নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ

ভাবতে থাকি

আমি বাংলাদেশের

ভাবতে থাকুন

আমি বাংলাদেশের › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকার সমীকরণ ( American equation)

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:৫৩

আমেরিকা একেক বার একেক সমীকরণ সৃষ্টি করে বিশ্বকে অস্থিতিশীল করে রাখে কিন্তু তারা নিজেরা এবং নিজেদের মিত্র দেশ শান্তিতে ঠিকই থাকে।

বর্তমানে তারা যে অপকৌশল চালাচ্ছে তা বুনে গেছে অনেক আগে এটাই তাদের জনপ্রিয় অপকৌশল। এর মূল তত্ত্ব হল, যে দেশের উপর নজর দিবে সে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলবে তারপর তারা আক্রমন চালাবে।

যে সব দেশ একনায়ক তন্ত্র সেসব দেশ আমেরিকার স্বার্থ খুব একটা পূরণ করতে পারে না বা তারা কুকৌশল সৃষ্টি করতে পারেনা। এই একনায়ক তন্ত্র দেশের প্রধানকে কৌশলে বিপথে ঠেলে দেয়। যেন সে হয়ে উঠে একজন স্বৈরশাসক তখন ঐ দেশের জনগণকে স্বাধীনতার ব্যাপারে উৎসাহ দেয়। আর বাধ্য হয়ে ঐ দেশের জনগন গণতন্ত্র চায়। এবং সৃষ্টি হয় দাঙ্গা আর তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সেটা উপলব্ধি করে এবং এ দেশের সরকার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। আর এ সুযোগের অপেক্ষায় ছিল আমেরিকা। ভালো সেজে তখন বিদ্রোহীদের সামরিক শক্তি দেয় আমেরিকা। আর তখন শুরু যুদ্ধ। তারপর সরকার পতন। এরপর দেয় গনতন্ত্র। যে তন্ত্রের মূলমন্ত্র আমেরিকান দাস। কেননা যাকে সরকার প্রধান দেয়া হয় সে আমেরিকার স্বার্থ পালনে বাধ্য থাকে। যদি আমেরিকার স্বার্থে সেখানেও ব্যাঘাত ঘটে তখন তার পেছনে হয় অপপ্রচার চালাবে অর্থাৎ তাকে ক্ষমতা হতে নামাবে যে কোন ভাবে।

এরপর গনতন্ত্রের নামে ঐ দেশে বিভেদ সৃষ্টি করে দেয়। সৃষ্টি হয় বিভিন্ন মতাদর্শ আর এই মতাদর্শই যথেষ্ট ঐ দেশ অস্থির করতে। এই অস্থিতিকর পরিস্থিতিতে পক্ষ বিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতারা ধরা দেয় আমেরিকার রাস্টদুতের কাছে তারা এই নেতাদের সেই বুদ্ধিই দেয় যে ভাবে আমেরিকা খেলতে পারে। বুদ্ধি না নিতে আসলেও সমস্যা নেই কূটনীতির মাধ্যমে তারা ঠিক কাজটিই করে থাকেন। অথাৎ আবার সৃষ্টি হয় অস্থিরতা। আর অস্থিরতার মাধ্যমে আদায় করে নেয় তাদের কাঙ্খিত সুবিধা।

এবার আসা যাক আমেরিকার দ্বিতীয় অপকৌশল। যে দেশ স্বাধীন অথবা উপরের মতাদর্শে নয় বা উপরের উপায়ে ঐ দেশে অস্থিরতা সম্বব না। তখন অর্থাৎ গনতন্ত্রের নামে যখন যে বিভাজন সৃষ্টি করে তা হল হয় সাম্প্রদায়িক না হয় বিভিন্ন মতাদর্শ সৃষ্টি করে ঐ দেশের জনগনের মাথায় বিভেদ বীজ বুনে দেয়। আর তাতেই অস্থিরতা।



বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকার সমীকরণ।



বাংলাদেশের উদ্ভোনের সময় আমেরিকা পাকিস্থানের পক্ষ নিয়েছে। কিন্তু কেন? পাকিস্থানের মূলমন্ত্র অন্তরে যাই হোক মুখেতো বলত তারা ইসলাম পন্থী তারপরও ইসলামের শত্রু আমেরিকা কেন পক্ষ নিয়েছে পাকিস্থানের। মূল ঘটনা এই দেশে বাঙ্গালীরা শাসন হারালে বাংলাদেস্কে আমারিকা আর পাকিস্থান ভাগাভাগি করে খেত। এই স্বার্থের বলে আমেরিকা বাংলাদেশের দুঃখী পরাধীন মানুষদের পরাজিত করতে মরিয়া হয়ে উঠে পাকিস্থানের সাথে। পারেনি প্রকাশ্যে খুব একটা করতে কারন সেখানে আন্তর্জাতিক সমর্থন ছিল না। আর এই সমর্থন তাদের দরকার মনে করেনি তারা জানত বাঙালিরা পরাজিত হলেও কেউ তাদের পক্ষ নিত না। তারপরও তাদের ক্ষোভ ও শত্রুতা শেষে হয়ে যায় নি। তাদের চিন্তা তাদের অবাক করে দিত। তাদের সে চিন্তা এই, ছোট একটা দেশ কীভাবে তাদের হারিয়ে দিল, সামরিক শক্তি খুব একটা ছিল না, তাদের সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেল এ ছিল আমেরিকার লজ্জা। সেই থেকে এ দেশের নেতাদের উপর আমেরিকা ছিল অসন্তুষ্ট। তারা বুজেছে যদি শেখ মুজিব সরকার একবার দাঁড়াতে পারে তবে তাদের কোন পরিকল্পনা এ দেশে বাস্তবায়ন করতে পারবে না। তাই শেখ মুজিব সরকারকে ব্যর্থ করতে নানা অপকৌশল ব্যাবহার করে। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করে জনগন হতে বিছিন্ন করার চেষ্টা করে কিন্তু শেখ মুজিবের জনপ্রিয়তার কাছে তা ভাটা পড়ে। বাকসাল বলে যে অপবাদের দোহায় দেয়া হচ্ছে তা কেন? বাকসালের ফলাফল জনগণ পেয়েছে যা ছিল খুব খারাপ। তখনতো শেখ মুজিব সরকারের উপর আর কোন নেতার শক্তি কিম্বা সামর্থ্য ছিল না। তারপরও তার প্রতিদ্বন্দ্বী সৃষ্টি কেন হল। আসলে তখন আমেরিকার কৌশলের কাছে মার খেয়েছে বিপথ সেনা সদস্যরা। যারা পরে ভুল শিকারও করেছে। বাকসাল থাকলে আমেরিকার ক্ষতি হত, কখনও পারতনা এ দেশের কাছ হতে স্বার্থ উদ্ধার করতে। পারতনা দেশের জনগনের ঐক্য নষ্ট করতে। আর শেখ মুজিবের নামে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে ক্ষমতা চ্যুত একমাত্র লক্ষ্য ছিল তাদের। যদি কেউ আমার যুক্তির বিরোধিতা করে তবে প্রশ্ন, জাতীয় ছয় নেতাকে কেন হত্যা করল বিনা দোষে, তাদের অপরাধ কি? সেটা কি এর প্রমান করেনা। তারপর তারা গনতন্ত্র দিল বিপক্ষ রাজনৈতিক দল দেয়ার নামে ঐক্য নষ্ট করল। আবার ফিরে এলো পাকিস্তানি সমর্থকদের রাজনৈতিক দল। যে রাজনৈতিক দলই ঝথেষ্ট এ দেশ বিভক্ত রাখতে। আমেরিকা ইসলামের শত্রু হলেও তাদের অপরাধী পাকিস্তান সমর্থক ও ইসলামের মুখোশদারি নেতাদের পাশে আছে। মাঝমধ্যে বাংলাদেশের বিভক্তি শক্তিকে উস্কে দিচ্ছে(গোলাম আযমের রায়ের পতিক্রিয়া হিসেবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন সেই উস্কে দেয়ার এক উদাহরণ)। আর আমেরিকার কৌশলে চলছে এই সমীকরণ। এই সমীকরণের শেষ ফলাফল আমেরিকানদের জানা। দেশের স্নায়ুতে মগজে রক্তে যে বিভক্তি তা অতি সংবেদনশীল এবং মজবুত।

অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে সৃষ্টি সকল সমস্যা ১। বিস্ব উস্নায়নের ফলে বাংলাদেশের উপকুলীয় অঞ্চল যাবে তলিয়ে। সৃষ্টি হবে বাসস্থান সমস্যা, ফসলি জমি নষ্ট মানে খাদ্য সমস্যা, নগরে পড়বে জনসংখ্যার অতিচাপ।

২। আমেরিকান সমীকরণের ফলাফল সরূপ সৃষ্ট সমস্যা, দেশে সৃষ্টি সাম্প্রদায়িক বিভক্তি, রাজনৈতিক বিভক্তি, নেতৃত্তের সংকট মানে মোটফলাফল অস্থিরতা।

৩। রাজনৈতিক সংকটের কারনে এ দেশে সর্বদা পশ্রয় পাবে দুর্নীতি, অনৈতিকতার জয়, অবিচার, অদক্ষ প্রশাসন এসবের জঞ্জালে পড়ে থাকতে থাকতে দেশ আর ভাবতে পারবে না তাদের আন্তর্জাতিক সমস্যা।

ফলে সর্বশেষের আগেই ঘটে যাবে আমেরিকান কৌশলের ফলাফলের ফলাফল মহাবিপর্যয়। সাহায্য করার নামে আমেরিকা চালাবে এ দেশে যুদ্ধ। তখন শত্রু আর মিত্র চিনে লাভ নেই। পরাধীন হয়ে ঝেতে হবে আমেরিকার হাতের মুঠেই বন্ধি।

বাংলাদেশে শুরুই হয়ে গেছে আমেরিকান তত্ত্ব। দেশে চলছে চরম বিভক্তি। আমেরিকা শুধু মাঝমধ্যে উস্কে দিচ্ছে আমাদের বা তাদের কথামত না চললে দিবে না অর্থনৈতিক সুবিধা। ব্যাস আমাদের বাঁচার উপায় একমাত্র আল্লাহ্‌ ছাড়া আর কারও হাতে নেই।



( আমেরিকান স্বার্থের বিরুদ্ধে যারাই যায় তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার তাদের জনপ্রিয় কৌশল। উদাহরণ হিসেবে দেখিয়েছি শেখ মুজিব সরকারকে। আরও আছে শান্তিপ্রিয় মুসলিমদের সন্ত্রাস বলা। লাদেনতো তাদেরই সৃষ্টি তবে কেন তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার আসলে সে তাদের স্বার্থ রক্ষা করেনি। আলকায়দা বা জঙ্গিকে সন্ত্রাস বলে আখ্যা দেয়া ইত্যাদি। কোন সংগঠনের পক্ষ থেকে যদি একজন বা কয়েকজন আপনাকে মিথ্যে অপবাদ দেয়া হয় তখন আপনি কিন্তু তাদের সংগঠনকে খারাপ ভাববেন। ধিক্কার দেবেন সেই সংগঠনকে। বিরোধিতা করবেন সেই সংগঠনকে। আমেরিকাও ভালোর পোশাক পরে আল-কায়দা, জঙ্গিদের, মৌলবাদিদের মিথ্যে অপপ্রচার করে চলছে। আর তারাও গৃনা ও বিরুদ্ধাচরন করে যাচ্ছে আমেরিকান ভালোর পোশাককে। তাদের ভুল ছিল এটা অন্ধ চিন্তা। ভালোর পোষাকে সত্যিকার ভালোওত ছিল। ফলে এই সত্যিকার ভালোদের কারনে তারা জনবিচ্ছিন্ন। বাংলাদেশেও একই ঘটনা ইসলামের পোশাক পরে অপকর্ম করে যাচ্ছে বিশেষ কেউ। তাদের বিরোধিতা করলে তারা প্রচার করে এরা ইসলামের বিরোধিতা করে। যুদ্ধঅপরাধীদের বিচার চাইতে গিয়ে শাহবাগ হয়ে গেল নাস্তিক। অপকর্ম, হত্যা, নারি দর্শন, বৈষম্য, নির্যাতন হয়ে গেল আস্তিক। শুধু ইসলামের মুখোশ পরলেই ইমানদার হওয়া যায় না তেমনি ভালোর পোশাক পরলে ভালো হওয়া যায় না।)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.