নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ

ভাবতে থাকি

আমি বাংলাদেশের

ভাবতে থাকুন

আমি বাংলাদেশের › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব বিবেকের বিড়ম্বনা

৩১ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯

শুরুটা আমার করতে হচ্ছে এলোমেলো কিছু শব্দ দিয়ে এই যেমন আমি কোথায়? আমি বলছি, আমি বাংলাদেশের একটা সবুজ গ্রামে, আমার ঘরে। আর অন্যদের পক্ষ থেকে আমার অবস্থানের উত্তরটি কি হবে? যেমনঃ জড় বস্তু বলবে আমি জীব। এলিয়েনরা বলবে, আমাকে যে তুমি পৃথিবীর একটা বস্তু যেটা হয়তো আমাদের বিপরীত। এটা ধরেই নিলাম হয়ে গেল, আসলে কি হল!? সর্বোপরি আমি কে, এই উত্তর দেবে কে? নিশ্চয় মানুষকেই দিতে হবে। আর বলতে হবে আমি মানুষ। আমি যখন নিজের ঘরে থাকি তখন আমি নিজেকেই উদ্ধে রাখতে চাই। এভাবে আমার আমার বাড়িতে আমার পরিচয় আমার ঘর। এভাবে যেতে যেতে আমি দেশ ছেড়ে আমার পরিচয় দেব, আমি বাঙালি, আমার দেশ বাংলাদেশ। এভাবে আমি করে আমরা সবাই পরিচয় দিই। যদি পৃথিবীর বাহিরে মানে আমরা মহাবিশ্বের বাসিন্দা। তখন আমাদের পরিচয় হবে আমরা পৃথিবীর অধিবাসী আমরা প্রাণী এবং সেরা জাতী মানুষ। আর আমরা ভাবতে পারি আমাদের দ্বারাই বিশ্ব এক পরিনতি পেয়েছে। মানুষের মাঝেই জন্ম নিয়েছে মহা মনিষীরা। আর মানুষেরাই হতে পারে হিংস্র থেকেও হিংস্র। জাহেলিয়া( উদাহরণঃ জাহেলিয়া যুগে দেখেছি একটা মানুষের পুকুরে জল খেয়েছে অন্য মানুষের উট। এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ চলত সেই মানুষদের মধ্যে বছরের পর বছর। দাদা মারা গেলে নাতির প্রতি নির্দেশ থাকত যুদ্ধ চালিয়ে যাবার। বিনা শর্তে জ্যান্ত মেয়ে শিশুকে মাটিতে পুতে দেয়া) যুগের নাম মুছে দিয়েছে মহা মনীষী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)। এই মহা মনিষীও মানুষ আর জাহেলিয়া যুগের অত্যাচারীরাও মানুষ। সুতরাং মানুষের মধ্যেই বাস করে মানবিকতা আবার এই মানুষই পাষণ্ড। এখন আমাদের পরিচয় আমরা কি দেব? আমরা নিজেদের চিন্তাকে কত উচ্চতায় উঠিয়ে এই প্রশ্নের জবাব দেব। এই পৃথিবী আমাদের বেঁচে থাকার জন্য এই পৃথিবীতে আগামীতে যারা আসবে তাদের জন্যে। আমাদের বাঁচাতে হবে এই সবুজ বিশ্বকে। না হয় আমরা হেরে যাব। মানুষ হিসেবে যদি বলি, আমি দুঃখিত? তবে এটা হবে শ্রেষ্ঠ পরাজয় আর লজ্জার। আমাদের ভাবতে হবে আমাদের হেরে যাওয়া মানে পৃথিবী হেরে যাওয়া আমাদের হেরে যাওয়া মানে মানুষ ছোট হয়ে যাওয়া আমাদের হেরে যাওয়া মানে হিংস্রতার জয় আমাদের হেরে যাওয়া মানে অসাম্যের জয়, অমানবিকতার জয়। আমরা শ্রেষ্ঠ জাতী হয়ে কি পারি হেরে যেতে। আমরা কি সইব অসম্মান করতে আর হারিয়ে দিব তাদের যারা লড়াই করেছে প্রতিকূল পরিস্থিতির সাথে, অমানবিকতার সাথে কিম্বা নিজেদের অস্তিত্তের সাথে। তাদের ভালোবাসা আমাদের অস্তিত্তের রক্ষার কিংবা অগামির জন্য এই সুন্দর পৃথিবী বেঁচে থাকুক।

পৃথিবী হোক বাঁচার জন্য, পৃথিবী হোক সাম্যের তরে

পৃথিবী নয় যুদ্ধের জন্য, পৃথিবী বেঁচে থাক আগামীর জন্যে।

আমরা পারবো না অন্য কোন গ্রহে বেঁচে থাকতে আমরা পারব না কৃত্রিম কল্পনা করতে। আমরা, পাখি, পশু, আমাদের স্বপ্ন, আমাদের ঘর আর গাছগুলো সবাই বাঁচতে চাই এই পৃথিবীতে।

বিশ্বের শান্তি আর বিশ্বের শিশুদের জন্য চাই আমাদের বিশ্ব। আগামীর শিশুরা স্বপ্ন দেখুক এখানেই। যদি এমন হয় বর্তমান পৃথিবীর মানুষদের কৃতকর্মের জন্য আগামীর শিশুরা পৃথিবীকে ভয় পায় তবে আমাদের উত্তর কি হবে? তারা বলবে পৃথিবীতে একটা রাষ্ট্র “ইসরাইল” আছে যারা শিশুদের হত্যা করে। তারা শিশুদের শত্রু। বিশ্বের সকল মানব শিশু তাদের “না” বলেছে। অথচ এই পৃথিবীর বিবেকবান যারা আছে তারা প্রতিবাদ করা তো দূরে আরও সমর্থন দিচ্ছে ইসরাইলকে। বিশ্বের সব শিশু এই সকল বিবেকবান মানুষকে ধিক্কার দিচ্ছে যারা ইসরাইলকে সমর্থন দিচ্ছে। একটা শিশুর কথা ভাবুন, তার মুখের কোনও পাপের চিহ্ন আছে? আপনে কি পারবেন তাকে মারতে। যারা এই শিশুদের হত্যা করছে তাদের কথা ভাবুন, তারা কি মানুষের চরিত্র বহন করছে? তবে আমরা কেন এই অমানুষদের নিষেদ করছি না আমাদের মানব শিশুদের হত্যা বদ্ধ করতে। শিশুদের কোমল শরীরটাকে জলসে দিচ্ছে ঐ অমানুষরা। যাদের পৃথিবীতে থাকার অধিকার নেই। এই বর্বর, অত্যাচারী, অমানুষ আর বিবেকহীন ইসরাইল কেন আমাদের সুন্দর পৃথিবীতে থাকবে। এই বর্বর ইসরাইলী জাতী যতদিন থাকবে ততদিন শিশুরা ভয় পাবে ততদিন শিশুরা নিঃশ্বাস নিতে বাধা পাবে ততদিন শিশুরা জন্ম নিবে না। এই বর্বর ইসরাইলী জাতী যতদিন আমাদের পৃথিবীতে থাকবে ততদিন আমাদের পৃথিবীর বুকে সত্যিকার শান্তি থাকবে না।

জাতিসংঘ(un), মানবাধিকার সংস্থা (human rights watch) সহ আন্তর্জাতিক সংস্থা দেখে লজ্জা লাগে। তারা সন্ত্রাসের পক্ষ নিচ্ছে বর্বরের পক্ষ নিচ্ছে তারা দালাল হিসেবে কাজ করছে তারা শিশু হত্যার পক্ষে তারা ইসরাইলের পক্ষ। তারা মানবতার পক্ষ নিচ্ছে না তারা শিশুদের পক্ষ নিচ্ছে না তারা শান্তির পক্ষ নিচ্ছে না। আগামীর শিশুরা যখন জানতে চাইবে এই কলঙ্কিত ইতিহাস সম্পর্কে তখন মানুষ হিসেবে মাথা লুকাতে হবে। কিন্তু সম্ভব হবে না কারন মানুষ হয়ে কীভাবে এই অমানবিকতা সয়ে যাচ্ছি। আমাদের সীমাবদ্ধতার অজুহাত দিয়ে দুর্বলতা ঢাকা সম্ভব না।

কারো কোনও অধিকার নেই এই বিশ্বে যুদ্ধ সৃষ্টি করে বিশ্বের ক্ষতি করা।

B-)B-)B-)B-)B-)B-)B-)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৭

ইলি বিডি বলেছেন: এই বর্বর ইসরাইলী জাতী যতদিন আমাদের পৃথিবীতে থাকবে ততদিন আমাদের পৃথিবীর বুকে সত্যিকার শান্তি থাকবে না।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১৪

আমি বাংলাদেশের বলেছেন: তাদের গুরু আমেরিকা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.