নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতা দুর্বোধ্য হওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত তার পক্ষে আমার যুক্তি নেই। কিন্তু কবিতা দুর্বোধ্যকে আঘাত করে কবিতার ছবিটা সহজভাবে তুলে আনবে, এটাই কাম্য হওয়া উচিত। এটাই নান্দনিক কবিতার বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত।
এমনিতেই মানুষ কবিতার ভাব, রস, অর্থ বুঝতে কষ্ট হয়। তার উপর দুর্বোধ্য!
কবিতা জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দিতে হলে অবশ্যই সহজ-প্রানময় ভাষা প্রয়োগ কবিতায় আবশ্যক।
অনেকেই ভাবে দুর্বোধ্য ভাব- শব্দের কবিতা আধুনিক কবিতার স্টাইল কিন্তু ভবিষ্যতের বাস্তবতা তেমন না। সবসময়ের স্টাইল এটাই - দুর্বোধ্য ভাবকে সহজ ভাষায় তুলে আনাই সব সময়কার কবিতার স্টাইল- ।
কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, ভাবগুলোকে সহজ ভাষায় প্রকাশের ছেয়ে দুর্বোধ্য ভাষায় প্রকাশ করা অনেক অনেক সহজ। আর এই দুর্বোধ্য ভাব অনেক আগেই রোখা।
সহজ ভাষা আসলে সহজ না, কঠিনের ভীত ও ভিত্তিকে ভাঙাই হল সহজের সৌন্দর্য।
আচ্ছা যাই হোক, একটা কথা বলব ভাবছি। আগে বলে নিই। একটা কবিতা গত ২০ই ফেব্রুয়ারি নোয়াখালী শিল্পকলা একাডেমির প্রাঙ্গনে ২১শের বই মেলায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র- এর তত্ত্বাবধানে একটা দেয়ালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে আমার একটি কবিতা প্রকাশ হয়। একদিন পর আমার কয়েকজন বন্ধুকে ডেকে এনে বললাম। কবিতাটি পড় এবং এর ভেতর কি গল্প আছে তা আমাকে বল।
কারোই কাছে সন্তোষ জনক উত্তর পাই নি। তার মানে আমি ব্যার্থ । কবিতা ছবি হল না।
আমি তাদের বোঝাবার যথেস্ট উপকরণ ব্যাবহার করতে সক্ষম হইনি।
কবিতাটি নিম্নে এবং সবশেষে তার ব্যাখা।
প্রিয় বর্ণমালার চিহ্ন
..................
সে ফালগুণের বিকেলে ভাষার দাবিতে
আন্দোলনে উত্তাল ছিল ঢাকার রাজপথ।
আন্দোলন দমাতে
চারপাশ থেকে বিক্ষিপ্তভাবে হঠাৎ......
মিছিলে জড়ো হওয়া
অনেকের মধ্যে একজন।
বর্ণমালা অংকিত প্ল্যাকার্ড হাতে
যে লুটে পড়ল মাটিতে।
যার বাহকের বুক থেকে তাজা রক্ত
স্রোত প্রবাহে গড়িয়ে ঝরছে আর পড়ছে
কালো পথের বুকে।
এক হাত এখনো শক্ত করে ধরে আছে বর্ণমালার প্ল্যাকার্ড
অন্য হাতের............।
তালুর মাঝখানে বন্দি,
ফালগুণের প্রথম প্রহরের মেহেদী রাঙ্গা লালছে রং।
প্রিয়ার দেয়া এ চিহ্ন থাকার কথা ছিল
বসন্তের শেষ বেলা অবধি।
বিকেল শেষে সন্ধ্যা গনিয়ে
বেলা শেষের পথে।
আজ সারা শরীর জুড়ে লেপ্টে আছে
মেহেদীর মত লালছে রক্ত।
এই চিহ্ন প্রিয় বর্ণমালার।
এই চিহ্ন মিশে আছে
মাতৃ ভাষার চরনে চরনে
নিজস্ব উচ্চারনে
আর একান্ত আবেগে।
ভেঙে ভেঙ্গে সব ব্যাখা দিচ্ছি না।
অন্য হাতের............।
তালুর মাঝখানে বন্দি,
ফালগুণের প্রথম প্রহরের মেহেদী রাঙ্গা লালছে রং।
প্রিয়ার দেয়া এ চিহ্ন
আজ সারা শরীর জুড়ে লেপ্টে আছে
মেহেদীর মত লালছে রক্ত।
এই চিহ্ন প্রিয় বর্ণমালার।
আশা করি এই দুটো কথা পুরো আবেদন প্রকাশ করছে।
প্রিয়ার চিহ্ন ( মেহেদির)
প্রিয় রংটি মেহেদির বিনিময় করে রক্ত দিয়ে।
পি্রয়ার চিহ্ন মেহেদির রং ।
বর্নমালাগুলো চিহ্ন বুকের রক্ত
এখানে বিনিময় দেখানো হল , রক্তের বিনিময়ে মেহেদি পাতার রং।
যে রং সারা দেহে।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩০
আমি বাংলাদেশের বলেছেন: তাহলে সব ঠিক। কঠিন সব কবিতার প্রতি এই লেখা। ধন্যবাদ
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি বাংলাদেশের ,
কবিতা কিম্বা গল্প যা -ই হোক হতে হবে প্রাঞ্জল , বোধ্য, সহজীয়া । জটিল শব্দের মারপ্যাঁচে দুর্বোধ্য নয় কিছুতেই । শব্দের কারুকাজ থাকবে, ঋজুতা থাকবে ভাবের যা নান্দনিকতার কথা বলবে ।
পানির মতো সরল ও নয় যা ঢকঢক করে গিলে ফেলা যায় আবার কাঁকড়ের মতো শক্তও নয় যা চাবানো যায়না ।
আপনার কবিতাটি না বোঝার মতো নয় । আপনি নন বরং আপনার বন্ধুরাই ব্যর্থ ।
শুভেচ্ছান্তে ।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বুঝলাম না কবিতাটা কেন দুর্বোধ্য হবে। আমি তো পানির মতো বুঝতে পারলাম। আর হ্যাঁ দুর্বোধ্যতা কিংবা বোধ্যতা অনেকটা নির্ভর করে মনোযোগ আর জমানো শব্দভাণ্ডারের উপর। তাই একজনের কাছে যা দুর্বোধ্য অন্য জনের কাছে তা না। অবশ্য কবি কিংবা লেখক যদি অভিধান থেকে খুঁজে খুঁজে শব্দ বের কর কবিতা কিংবা গদ্য লিখেন তবে তার কথা ভিন্ন