নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাঙ্গালী সহজে জাগে না, সহজে ঐক্যমত্যও হয় না। তবে একবার জাগলে আর ক্লান্ত হয় না। এর শেষ করেই ছাড়ে।
বাঙ্গালী কি জিনিস এটা পাকিস্তান টের পেয়েছিল ১৯৫২ আর ১৯৭১-এ। তাদের মাথা নত করেই বাঙ্গালী থামছে।
ভারত ভেবেছিল বাঙ্গালীরা ঘুমিয়ে গেছে আর জাগবে না।
আমাদের সীমান্তে আমাদের মানুষ মারে আবার তাদের দেশে গুজব ছড়ায়, সব দোষ আমাদের।
তিস্তার পানি চুরি করে আমাদের কৃষক শেষ করছে।
ক্রিকেটে তিন মোড়ল হয়ে তারা আমাদের বাদ দেয়ার পরিকল্পনা করে।
আন্তর্জাতিকভাবে সব যায়গাতেই তারা আমাদের হেনস্থা করে।
আমাদের সংস্কৃতি আমাদের অর্থনীতির উপর আঘাত আনে।
আমাদের ভাল কাজগুলো তাদের দখলে নিতে চায়।
আমাদের শিল্পে তারা আঘাত দেয়।
আমাদের সব বিষয়ে তারা নাক গলাতে আসে।
পরিনামে তাদের শোষন সহ্য করে চলছি। ট্রানজিট নিল ফ্রি।
তারা আমাদের ভাষার উপর আঘাত দিচ্ছে।
তারা আমাদের বাজার দখলের পায়তার করছে।
তারা আমাদের কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে জোকের মত আমাদের রক্ত শুষে চলছে।
কিছুই বলছি না।
তারা শেষ পর্যন্ত আমাদের স্বাধীনতা তাদের দান বলে আখ্যা দিয়ে চলছে পুরো পৃথিবীর কাছে।
আমাদের রক্ত দেয়ার ইতিহাস তারা ভুলে গেছে। এখন সেই রক্ত তাদের হয়ে গেল।
আমরা ১৯৫২-তে রক্ত দিয়েছি ভাষার জন্য।
কয়েক দিন পর বলবে এই ৫২ তাদের ।
ইতিহাস তৈরি করার সাহস ইন্ডিয়ানদের নেই কিন্তু চুরি করার নিম্ন মনমানষিকতা ঠিকই আছে।
১৯৭১-এ আমাদের সাহায্য করেছে রাশিয়া।
তারা তো বলছে না আমরা ক্রিয়েট করেছি বাংলাদেশ।
আসলে আমরা কৃতজ্ঞ জাতি তাই ইন্ডিয়ার কৃতজ্ঞতা সহজে স্বীকার করায় তারা ভাবছে, আমাদের দেশের বানানো গল্পগুলো সত্য।
ভারতের স্বাধীনতায় বাংলাদেশ রক্ত দেয়নি?
আমরা ভারত ক্রিয়েট করেছি।
ভারতের স্বাধীনতায় কার অবদান বেশি?
তারা খুজে দেখুক।্্্
যুদ্ধ হলে স্বাভাবিক, এক দেশ অন্য দেশকে সাহায্য করবে।
পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে আমেরিকা চিন।
তেমনি আমাদের সাহায্য করেছে ভারত রাশিয়া।
আজ বাংলাদেশ স্বাধীনতা না পেলে ভারত কি বলত?
বলত, পূবর্ বাংলা বা পূবর্ পাকিস্তান নিজেদের রক্ষা করতে পারল না। আমাদের ও রাশিয়ার সাহায্যও কাজে আসল না।
আমাদের ৭জন বীরশ্রেষ্ঠ, মুক্তিযোদ্ধা, নেতাদের নেতৃত্ব শিল্পী বুদ্ধিজীবী ৩০লক্ষ প্রানের আত্নত্যাগ, ২লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের কোনও অবদান নেই , বাংলাদেশ সৃষ্টিতে।
দেশ কিভাবে স্বাধীন করতে হয়, ইন্ডিয়ানরা এটা জানে না। তাই তাদের সিনেমার মত বানানো আজগুবি গল্প বিশ্বাস করতে পারে।
তারা ভাবছে তাদের এত অত্যাচার সহ্য করা জাতী কিভাবে স্বাধীনতা চিনিয়ে নেবে।
স্বাধীনতা চিনিয়ে আনার মর্মব্যাথা তাদের অনুভবের বিষয় না।
তাইতো তারা বীরঙ্গনারদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করতেও গা শিরিয়ে উঠে না।
শোন পশ্চম বঙ্গবাসী, আমরা শুধু বাংলাদেশকেই স্বাধীন করি নাই। তোমাদেরকেও স্বাধীনতা এনে দিয়েছি।
কিভাবে?
বাংলাদেশ যদি স্বাধীন না হত তবে, পূবর্ পাকিস্তান আর ভারতীয়দের যুদ্ধে তোমাদের বাংলা শ্বসান হয়ে জ্বলত কাশ্মীরের মত।
তাই বলছি সাবধান হও বাংলাদেশকে সম্মান করতে শেখ।
বাংলাদেশ পুরো বাংলার নেতৃত্ব দিচ্ছে।
এই বাংলাদেশ যেনতেন কিছু নয়।
এটা বাংলাদেশ রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনা। কারও দয়ায় নয়।
©somewhere in net ltd.