![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
** ঢাকায় যাওয়ার আগে কখনো বই মেলায় যাওয়া হয় নি। বাড়িতে থাকার সময় টুকটাক বই পড়ার অভ্যাস ছিল। বড় ভাই প্রায় সময়ই বই নিয়ে আসতেন। সেগুলো খুব আগ্রহ নিয়ে পড়া হত। আমার আবার একটা বদ- অভ্যাস ছিল। ভাত খাইতাম আর বই পড়তাম। এসএসসি পরীক্ষায় পাস করার পর ঢাকায় চলে আসলাম। তখনই সুযোগ চলে আসলো প্রাণের বই মেলায় যাওয়ার। এখনো চোখে ভাসে প্রথম যেদিন বই মেলায় গেলাম সারা দিন শুধু এই ষ্টল থেকে অন্য ষ্টলে ঘুরলাম। এতো এতো বই থেকে এমনই দিশেহারা পড়লাম যে বই আর কেনাই হলো না। আমার সাথে যাওয়া বন্ধুদেরও একই অবস্থা ছিল। পরে আরেক দিন গেলাম। পত্রিকায় চোখ বুলিয়ে নিলাম প্রিয় লেখকদের বইয়ের নাম আর ষ্টল নাম্বার। আমার মেসমেটদের সাথে আলোচনা করে বই কিনে নিয়ে আসলাম। এই জন এই লখকের বই তো ঐ জন আরেক লেখকের বই। সাধে কি বলি একুশের বই মেলা মানে প্রাণের মেলা!
** অনার্সে এসে ঢাকার বাইরের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। তারপর থেকে আর যাওয়া হয় না। খুব মিস একুশে বই মেলাকে।
** এখন অনেককেই দেখি স্মার্টফোনে বা পিসিতে পিডিএফ ফরম্যাটের বই পড়তে। আমার পিসিতেও এই রকম অনেক বই আছে। কিন্তু বই ধরে পড়া আর বইয়ের পাতার ঘ্রাণ কখনোই পিডিএফ এ পাওয়া যাবে না।
** আজকালকার পিচ্চিদের দেখা যায় সারা দিন গেমস খেলে অথবা ইন্টার্ নিয়ে পড়ে থাকে। বই পড়ার মাঝে কি আনন্দ তা থেকে তারা আসলেই বঞ্চিত হচ্ছে। অভিভাবকদের প্রতি তাই অনুরোধ তাদের বই কিনে দিন।
** ভেবেছিলাম ফেব্রুয়ারী মাসে বাতাসে বইয়ের গন্ধ থাকবে। পোড়া মানুষের চামড়ার গন্ধে আর তাদের স্বজনদের আহজারিতে বাতাস এতোটাই ভারী হয়েছে যে বইয়ের গন্ধ জোর করেও পাওয়া যায় না।
©somewhere in net ltd.