![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক মৃত্যু আমাকে কাঁদিয়েছে। ২৫ শে ও ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সালে অনেক সেনা অফিসারকে নির্মন ভাবে হত্যা করলো কিছু বিপথগামী বিডিয়ার জওয়ান। বেঁচে যাওয়া কিছু সেনা অফিসার ও নিহত অফিসারদের আত্মীয়রা যখন টিভিতে এসে জওয়ানদের নিশৃংসতার বর্ণনা দিচ্ছিলেন তখন চোখের পানি আটকাতে পারি নি। আর বঙ্গবন্ধুর বিশেষভাবে বলতে হয়। টিভিতে কিংবা মাইকে উনার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুনি রক্ত সাথে সাথে গরম হয়ে যায়। কিন্তু পরক্ষণেই দু চোখ বেয়ে অশ্রু আছে। যে বাঙ্গালীদের তিঁনি আজীবন বিশ্বাস করে গেছেন তাদের হাতেই তাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছে। এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কি হতে পারে? প্রতিটা মৃত্যুই অসম্ভব রকমের কষ্টকর। একটা মৃত্যু যেমন একটি পরিবারকে একদম পথহারা করে দেয়, তেমনি একটি মৃত্যু মাথা তুলতে উৎসাহ দেয়। যে কোন মৃত্যুর খবর শুনলে আমার মন কিছুক্ষণের জন্য হলেও বিমর্ষ হয়ে পড়ে। কিন্তু তিন তিনটি আমার মনে কখনো বিষণ্ন করেনি। ভবিষ্যতে করবে না বলেও লিখে দিতে পারি। কাদের কথা বলছি আশা করি বুঝতে পারছেন। কসাই কাদের, রাজাকার শিরোমনি গো আযম ও কামরুজ্জামান। তো কি করেছিল তারা যে তাদের এখনো আমি, আমরা ঘৃণা করি। শুনুন তাহলে কামরুর ঘটনাবলী।
"বিধবাপল্লীর শতাধিক বিধবার একজন জরিতন বেওয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, 'ভাইগো, দুঃখের কতা কী কমু। কামারুজ্জামান আর ওর চেলা কাদের ডাক্তর আমগর এলাকায় পাকি আর্মিগরে নিয়াইয়া ওই দিন আমার সোয়ামিরে ঘর থেইক্যা টাইন্যা উডানে ফালাইয়্যা পরথমে ছয়ডা গুলি করে। গুলি খাইয়্যা পানি চাইলে আরেকটা গুলি করে। ওই গুলিতে উডানেই তার জীবন যায়। পরে আমার সোনা মানিক বুকের ধন হাশেমরে ধইর্যা নিয়্যা বাপের লাশের উপরে ফালাইয়্যা গুলি করে। এরপর আমার দেওররে ধইর্যা নিয়্যা বন্দুকের নল দিয়্যা কেচাইতে থাহে, পরে মুহের ভিতরে বন্দুক দিয়া গুলি করে। তহনি ওর পরান বাইরইয়্যা যায়। অহন কামরুজ্জামানের ফাঁসের কতা হুইন্না পরানডা জুড়াই গেছে।'
শহীদ রহিমুদ্দিনের স্ত্রী করফুলি বেওয়া বলেন, 'আইজকা মনে একটু শান্তি লাগতাছে। দেশেও বিচার আছে। যা আরাবার সবই তো গেছে, অহন কামরুজ্জামানের ফাঁসির কতাডা হুইন্না বুকের কষ্টডা নামছে।' আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'কামরুজ্জামানেরা পথ না দেহাইলে তো পাকবাহিনীরা আমগর গেরাম চিনতো না। হেইদিন ওরা আমার স্বামীরে মারছে, আমার ইজ্জত নষ্ট করছে। মান হারানোর পর স্বামীর গুলি খাওয়া লাশ কাঁথা দিয়া ঢাইক্যা গোয়ালঘরে রাইখ্যা ভয়ে পলাইয়্যা গেছিলাম। চাইর-পাঁচ দিন পর আইস্যা শেয়াল-কুকুরে খাওয়া স্বামীর হাড়গোড় টুহাইয়্যা কোনোমতে মাটিচাপা দিয়া রাখি। আইজকা আমগর হেদিনের দুঃখের মতো কামরুজ্জামানের সংসারের লোকরাও সোয়ামি-বাপ আরানোর কষ্টডা টের পাবো- এইডা ভাইব্বাই আনন্দ লাগতাছে।' সুত্রঃ কালের কন্ঠ। আরো পড়ুন।
সুতরাং এদের মৃত্যুতে বিচলিত নয় আনন্দ প্রকাশ করা সময়ের দাবি।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫
ভাবুক হিল্লোল বলেছেন: এই অনন্য বিচার কাজ দেশকে ন্যায় ও সত্যের পথে অবিচল রাখবে বলে বিশ্বাস করি। জয় বাংলা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৮
রাফা বলেছেন: এই মৃত্যু কখনই কান্নার মৃত্যু হোতে পারেনা।এই মৃত্যু আমাদের আরো একধাপ এগিয়ে যাওয়ার জয়যাত্রা।এই আবর্জনা পেছনে রেখে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়,তাই পরিস্কার করেই এগিয়ে যেতে হবে।বরাহ শাবকের মৃত্যু উল্লাস করার জন্য।
জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু।