![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৫ই আগষ্ট! একটি শোকাবহ দিন। এই দিন নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল জাতির স্বপ্নদ্রষ্টাকে। শুধু তাঁকে নয়, তাঁর পরিবারকেও নিশ্চিহ্ন করে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। যদিও শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন। অনেককেই জাতির পিতাকে হত্যাকে জায়েজ করার চেষ্টা করতে দেখি। তারা সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন আরেকটি ১৫ ই আগষ্ট হওয়ার কথা। অবশ্য তারা এখন তাদের প্রাপ্য ফল হাতে নাতে পাচ্ছেন। জাতি হিসেবে নিজেকে খুব ছোট মনে হয় যখন দেখি সাবেক প্রধাণমন্ত্রী ১৫ই আগষ্ট রাতে হাসৌজ্জ্বল মুখে কেক কাটেন। এবার নাকি উনি ৭০ পাউন্ডের কেক কাটবেন। বিশাল এক কর্মযজ্ঞ বটে! এমন না যে ১৫ ই আগষ্ট কারোরই জন্মদিন নেই। অনেকেই হয়তো এই দিন কেকও কাটেন। কিন্তু এই অনেকের সাথে বেগম খালেদা জিয়ার যায় না। কারণ এক সময় তিনি এই দেশের প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি আর ১০টা/ ৫টা মানুষের মত না। তাঁকে রাজনীতির শিষ্টাচারিতা মেনে চলতে হবে। আচ্ছা এমন যদি হতো তিনি যদি আজ রাতে বলতেন ১৫ই আগষ্ট(যদিও তাঁর নাকি কয়েকটা জন্মদিনের খবর বেরিয়েছে!) আমার জন্মদিন হলেও জাতির একজন নায়ককে হত্যার দিনে আমি তা পালন করবো না, তাহলে এই দেশের মানুষ কৃতজ্ঞচিত্তে তাঁকে সম্মান জানাতো। এবং বিএনপি নামক দলটিরও অনেকাংশে লাভ হতো। টিভিতে কয়েক দিন ধরে বলতে শুনি বঙ্গবন্ধুকে যেনো দলীয় বৃত্তে আবর্ত করে রাখা না হয়। আচ্ছা বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর এই দেশে তো তাঁর নামই নেয়া যেতো না। আমি যদি ভুল না করে থাকি কবি নির্মলেন্দু গুণই প্রথম ব্যক্তি যিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাঁর মৃত্যুর পর প্রথম কোন অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন। তাঁকে এই জন্য হেনস্তাও হতে হয়েছিল। ৭৫এর পর ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামীলীগ প্রথম ক্ষমতায় আসলো তখন বিটিভিতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রথম বারের মত অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হলো। মাঝখানে কিন্তু সুদীর্ঘ ২১ বছর পেরিয়ে গেছে। পরবর্তী সময়ে বিএনপি যদি জোট কখনো ক্ষমতায় আসে (আমি ক্ষমতা শব্দটির প্রচন্ড বিরোধী। আমরা আসলে তাঁদেরকে দায়িত্ত্ব দেশ পরিচালনার জন্য! কিন্তু তাঁরা এমনভাবে দেশ চালান তাই ক্ষমতা শব্দটি না চাইলেও ব্যবহার করতে হয়), আপনার কি মনে হয় তাঁরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনুষ্ঠান প্রচার করতে দিবে? তাহলে এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কি? একমাত্র উপায় দেশ বিরোধীদের সঙ্গ ত্যাগ করা!
©somewhere in net ltd.