![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
21st February বাঙ্গালি জাতির জন্য একটি গৌরবময় দিন। আর তারই প্রেক্ষিতে বিশ্বের ৫২টি দেশ এক সাথে পালন করে আসছে #আন্তর্জাতিক_মাতৃভাষা_দিবস, যা বিশ্ব দরবারে আমাদের মাথা উচু করে।
একুশে ফেব্রুয়ারীর ইতিহাস বলার কিছু নেই, ক্লাস ওয়ানের বাচ্চারাও এর ইতিহাস জানে। তবে দুর্ভাগ্য বশতঃ ক্লাস ওয়ান ও ক্লাস টেন এর বাচ্চাদের ২১শে ফেব্রুয়ারীর ইতিহাস সমপর্যায়।
যাইহুক, একটা জাতির একটা নির্দিষ্ট ভাষা নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহর নিয়ামত। আর সকল প্রকার বিশাল নিয়ামত সমূহ মহান স্রষ্টা পরিক্ষনের মাধ্যমেই দিয়ে থাকেন। অনূরূপ আমরাও আমাদের মহান নিয়ামত মাতৃভাষা পাওয়ার জন্য প্রাণ দিয়েছি, দিয়েছি রক্ত। আর এখন তাদের দেওয়া প্রাণে আর রক্তের বিনিময়ে তাদের জন্য নাজাত কামনা করা আমাদের ঈমানি দ্বায়ীত্ব।
এখন আসি ফুল প্রসঙ্গে, ফুল তিন স্থানে অর্পন করা হয়-
০১. মন্দিরে দেবির চরনে
০২. ভালবেসে প্রিয়জনকে
০৩. সৌন্দর্যের লক্ষ্যে সাজানোর কাজে
প্রথমত, দেবির চরনে ফুল দেওয়া শিরক, মুসলিমদের জন্যে। কিন্তু সনাতন ধর্মাবলম্বিদের জন্য এটা ধর্মীয় সংস্কৃতি। যা তাদের ধর্মে উপাসনার মূল উপকরণ।
দ্বিতীয়ত, যে কেউ যে কাউকে ভালবেসে ফুল প্রদান করতে পারে। এখানে ভালবাসা বলতে শুধু প্রেমিক প্রেমিকা নয়, ভালবাসার যে পাঁচটি প্রকার আছে, সেখানের যেকোন একটি প্রকারই হতে পারে। আর এই পুষ্পদান একে অপরকে জীবিতাবস্থায় করে থাকে। তাই শত ভালবাসলেও কেউ মৃত ব্যক্তিকে পুষ্প দিতে পারবে না, কারণ তার তো গ্রহণ করার ক্ষমতাই নেই।
তৃতীয়ত, ফুলকে পবিত্রতার প্রতিক বলা হয়ে থাকে। আর সৌন্দর্য্য ঈমানের অঙ্গ। সে ক্ষেত্রে সৌন্দর্যের লক্ষ্যে পুষ্প ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
#এবার, জীবন্ত মানুষ কতৃক মৃতের কবরে পুষ্প প্রদান করা কি???
যারা শহীদ হয়েছেন তারা তো বাহ্যিক দৃষ্টিতে মরেই গেছেন। যার ফলে তারা আমাদের অবলোকন করতে পারছে না, আর আমরাও তাদের দেখতে পাচ্ছি না। তারা আমাদের কথা শুনছে না। তবে আমাদের কর্ম তাদের জন্য সাফল্য অথবা তিরষ্কৃত হওয়ার পন্থা খুজে বের করে।
একুশে ফেব্রুয়ারীতে শহীদ মিনার নামক এক পাথরের তৈরী ভাষ্কর্যে পুষ্পদান করার তাৎপর্য কি-
সেই ভাষ্কর্যটি কি মন্দিরের দেব-দেবী?
সেই ভাষ্কর্যটি কি ভালবাসার মানুষ?
অথবা সেই ভাষ্কর্যটি সাজানো উদ্দেশ্য?
যদি মন্দিরের দেব-দেবী না হয় তাহলে হিন্দু-মুসলিম উভয়ের জন্য সে স্থানে পুষ্প অর্পণ করা হারাম তথা নিষিদ্ধ।
ভাষা আন্দোলনে যারা প্রাণ দিয়েছে তারা ভালবাসার মানুষ সেই ভাষ্কর্যটি নয়। অতঃএব সেখানে পুষ্পদানের মত কোন ব্যক্তিত্বও নেই।
আর কেবল মাত্র একটি দিনের কয়েক মুহুর্ত সময় একটি নির্দিষ্ট স্থানকে কোটি কোটি টাকার ফুল দিয়ে কেন সাজাবেন??
আপনি আপনার চারপাশে চেয়ে দেখুন হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে আছে। কেউ কেউ একটি বেলা খাবারের সন্ধ্যানে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। যে ডাস্টবিনের পার্শ্ব অতিক্রম কালে আমরা নাক চেপে ধরি সে ডাস্টবিনেই কেউ কেউ রিজিক অনুসন্ধান করছে।
কেউ কেউ আবার জীবনের সর্বোচ্চ সম্মানটুকু বিলিন করে অন্যের ধারে হাত পেতে আছে। চোখ মেলে চেয়ে দেখুন- শত শত প্রতিবন্ধী রাস্তায় সাহায্য প্রার্থনা করছে। অথচ আপনি একটি কনক্রিটের তৈরী ভাষ্কর্য বিনা কারণে সাজাচ্ছেন কোটি কোটি টাকার ফুলের দ্বারা।
প্রতিটা মুসলমানের উচিত হবে, ১০০টাকার ফুল সেই কনক্রিটের তৈরী ভাষ্কর্য কে না প্রদান করে কোন একটা ক্ষুধার্ত কে একটিবার আহার করান। তাতে হয়তো সেই শহীদের আত্মার মাগফেরাত হতে পারে।
হাজার টাকার ফুল না কিনে একজন প্রতিবন্ধীকে দান করে দিন, হয়তো সে তার চিকিৎসার কাজে ব্যায় করতে পারবে। আর এর পূন্যটুকু যেমন আপনার প্রাপ্ত হবে তেমনই এর পূন্য টুকু প্রাপ্ত হবে সেই সকল ভাষা শহীদদের যাদের রক্তের বিনিময়ে একটা নির্দিষ্ট ভাষায় আজ কথা বলার সুযোগ আল্লাহ করে দিয়েছেন।
আল্লাহর কাছে পূন্যের ভান্ডার রয়েছেন, নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ কৃপণ নন।
#২০০৯ সালে, ২১শে ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠানে দেওয়া বকৃতার একটি শর্ট ভার্সন
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩
ভিন গ্রহের এলিয়েন বলেছেন: রাইট