![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর রণ-তূর্য !
জাপান সরকার এই সফরে যে পরিমান আর্থিক অনুদান বা সাহায্য বা সহায়তা দেয়ার ঘোষনা দিবে বা সহায়তা দিবে তার সমান (বেশিও হতে পারে) টাকা খরছ করা হয়েছে ঢাকার রাস্তায় জাপানী প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে ওয়েলকাম ব্যানার-ফেস্টুন আর বিলবোর্ড- এ।
জাপানী প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে লাগানো ব্যানার-ফেস্টুন এর কথা যখন আসলো তখন এই ব্যানারে লাগানো ছবিগুলা নিয়ে একটু বলি। মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে গত প্রায় ২০/২২ বছর ধরে মহিলা প্রধানমন্ত্রী। মুসলিম মেয়েরা যেহেতু কোন পর পুরুষের সাথে সাথ মিলানো বা মোসাফা করাটাকে শরিয়তের বরখেলাফ মনে করে বা গুনাহ বলে বিবেচনা করে সেহেতু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীরা বিদেশে গেলে বিদেশের পুরুষ প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্টের সাথে সচারাচর হাত মিলানো থেকে বিরত থাকতেন। যদিও বাইচান্স হাত মিলিয়ে ফেলতই- বাংলাদেশে কিছু মিডিয়া সেটাকে রগরগে খবর হিসেবে পরিবেশন করত আর মূল ধারার মিডিয়াগুলো সেই খবর ও ছবি ছেঁপে যেত। স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা-ই মনে হয় একমাত্র মহিলা যে পর পরুষের সাথে হাতে হাত ধরে ছবি তুলে সেটাকে ঢাকার রাস্তায় নিজের সাফল্য বলে বাজারজাত করেছে।
ঢাকার রাস্তায় জাপানী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো বিলবোর্ড-ব্যানার-ফেস্টুনগুলাতে যে ছবিগুলা ব্যবহার করা হয়েছে তা হলো, স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা ক্ষমতা জবর দখল করার পর জাপান গেলে জাপানী প্রধানমন্ত্রীর সাথে তোলা ছবিগুলো। ছবিতে এমন কোন ছবি বাদ যায়নি যেটা প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকলে থাকা ফটোগ্রাফার তুলেছে। রিয়েল জোকসটা হলোঃ জাপানী প্রধানমন্ত্রী নাকি সেই দিন আমগো হাসিনা বু'রে নিয়া যাচ্ছিল আর আমগো হাসিনা দি'ও খুশিতে বাগম বাগম করতে জাপানী প্রধানমন্ত্রীর সাথে ফুরফুর করে দৌঁড়াচ্ছিল। তো যেতে যেতে কিছু দূর গিয়ে জাপানী প্রধানমন্ত্রী জাপানী কায়দায় মাথা ঝুঁকিয়ে হাসিনা দি'কে একটা দিক ইসারা করে জাপানী প্রধানমন্ত্রী হুড়মুড় করে অন্য একটা ঘরের দিকে ছুটছেন। আমগো প্রধানমন্ত্রী ওনার ইসারা না বুঝে (অতিরিক্ত পন্ডিত তো তাই, বাচালরা সবকিছুতেই অতি উৎসাহি ভাব নিয়ে থাকে) ওনার সাথে সাথে ঐ রুমে গিয়া ঢুকে। কিছুক্ষন পর ভ্যাঁবাছ্যাঁকে খেয়ে বের হয়ে রুমের সামনে দাঁড়াতেই সাংবাদিকরা ছবি তোলা আরম্ব করল। একটু পর জাপানী প্রধানমন্ত্রীও বের হলে সাংবাদিকরা আরও দ্রুত গতিতে ছবি তুলতে থাকেন। পাশ থেকে এক দোভাষি রুমের উপরে লাগানো জাপানী ভাষার লেবেলটা অনুবাদ করে দেয় "পুরুষ টয়লেট" !
যা হোক, এবার আসল কথায় আসি- স্বৈরাচারী খুনি শেখ হাসিনা এবারে ক্ষমতা জবর দখল করার আগের বার ২০০৭ সালে আরেক অবৈধ সরকারের অধিনে অনুষ্টিত একটি বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বর্হিবিশ্বের সাথে সম্পর্ক খারাপ করে তুলেছে। দেশে কোন বিদেশী বিনিয়েগ নেয় গত ৫-৬টি বছর ধরে। কোন বিদেশী সাহায্য আসছেনা। বিশ্বের সব দেশে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা বন্ধ -শ্রমীক নেয়াতো অনেক দুর। তাই স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা এবার অবৈধ ভাবে ক্ষমতা জবর দখল করার পর বিনিয়োগের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। দেশের স্বার্থের কথা বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা না করে সব কিছু উজাড় করে দিয়ে হলেও বিনিয়োগ না হোক অনন্ত দেশ ভ্রমনের জন্য ভিআইপি ভিসা কালেকশন করেছে জাপান ও লন্ডন থেকে। ভিক্ষুরে এই দশা দেখে ব্রিটিশদের দয়া না হলেও জাপানীরা চালু মাল। তারা বুঝতে পেরেছে এটা একটা অবৈধ সরকার, এদের সাথে এই মুহুর্তে ভাব রাখলে যত না যাযেজ কাজ সহজ ভাবে আদায় করে নেয়া যাবে। তার উপর আছে এক্সট্রা পেসিলিটিজ।
তাই ৩০ কোটি জাপানী ইয়েন বিনিয়োগ করার আশ্বাস দিয়ে ৩০ ডলার খরছ করায় নিচ্ছে-পাগল এই আবাল আম্লীদের দিয়া।
পরিশেষে বলিঃ
The Heartiest Well come to Bangladesh for dear Excellence, Honorable Prime minister of Japan.
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এমুন সার্ফ এক্সেল ধৌয়া দিলে- কাপড় ফকফকা হয়
মাগার খাসলত বদলায় না