নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রণব কুসুম দত্ত

অতি সাধারণ ভদ্র বাঙালি যুবক।

প্রণব কুসুম দত্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বাস ও ক্ষুধার দ্বন্দ্ব

২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:২৬

ঈশ্বরকেও আর গালাগাল দেই না।
ঈশ্বর অবিশ্বাসের বিষয় নয়, বিশ্বাসের তো নয় মোটেই।
ঈশ্বর নামের বিষয়বস্তু থাকে প্রসঙ্গের বাইরে।
আমি আধাপাকা, অথবা অল্পপাকা, অথবা পেকে পঁচে
যাওয়া লেফটিস্টও নই।
সত্যি বলছি ভাইরে-
আমি মুক্তচিন্তক কুবুদ্ধিজীবী নই, ভেতরে ও বাইরে-
আমি কেবল প্রশ্ন প্রশ্ন প্রশ্ন, উত্তরের আশায় রাত জেগে রই।
আমার পূবের আলো কখনো ফোটেনা,
আমার দখিনা হাওয়ায় দুর দূষিতের গন্ধ আসে।
যার দুবেলা অন্ন সহজে জোটেনা-
তার পূজা আচ্চা পাক নরকে নির্বাসন। আমার স্বর্গবাসে-
আমিও অবাক হই
ভালবাসা বুকে এলে ডাঙা তোলপাড় করে
হিমালয়ের মতন বিরাট হতাশা যেটা বুকে চেপে রই
সেটাও ভুলে যাই হঠাৎ স্বপ্নঘোরে।
হঠাৎ ভুলে যাই পেটের ভেতরে পিত্তরস কাঁদে
ভরদুপুরে প্রেমরসে কবিতা আসে যদি তাতে কি ক্ষুধা মেটে?
তা দিয়ে কি ঘর বাঁধে-
মানব মানবী, অথবা চড়ুই পাখির জুটি দালানের কার্নিশে?
সারা দিন রোদে খেটে-
যার মাথা গোঁজার ঠাঁই অনিশ্চিত তার কবিতা চুলোয় যাক। আমার স্বর্গবাসে-
আমিও অবাক হই
ঈশ্বর ফিশ্বর ম্রিয়মাণ অথবা জন্ম থেকেই মৃত অমরখ্যাত
দেবতার সং সাজ কি করে চলে এ শহরের আনাচে কানাচে?
আমার দারিদ্রতার পিঠে কর্মফলের অসভ্য বোঝা দিয়ে
শিশ্নোদরে মধুপর্ক মেরে কি করে হয় ঢপের শৃঙ্গার!
আমাদের সমস্ত কিছুই কি এভাবেই পঁচে গেছে?
এভাবেই উচ্ছন্নে গেছে বৃহৎ মানবমেধা, ক্ষুদ্র সংসার?

প্রতিদিন ভোগের স্তুপে আছেন ঈশ্বর
আর আমার রুগ্ন শিশুটি থাকে দুবেলা না খেয়ে?
দুবেলা ঢপের আরতি গেয়ে
আমি কি শান্তি পাব? অথবা শান্তি পেয়েছে কবে বাস্তুহারারা?
কল্পনার করুণাসিন্ধু ছাড়া দীনের বন্ধু আর কবে দিল ধরা
আমাদের আমিত্বের মাঝে?আমাদের নয়নের তারা
আলোহীন অন্ধত্বের পথযাত্রী যেন!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.