![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জামাতি নেতা কামরুজ্জামানের ফাসির আদেশ বহাল হল আজ সোমবার। অভিযুক্তদের বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল গঠন ও কর্মকান্ডের মাধ্যমে নৈতিক বৈধতা হারিয়ে ফেলেছে অনেক আগে। তাই বিগত কয়েকটা ফাসির মত বাংলাদেশে "জুড়িশিয়াল কিলং" এর তালিকায় নতুন নাম যুক্ত হল। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের অবৈধ সরকার ও তার পুতুল ট্রাইবুনালের সাথে অমত প্রকাশ করছি। "যো সুই কামরুজ্জামান"।
যুদ্ধাপরাধী বিচার বাংলাদেশে খুবই সংবেদনশীল একটা বিষয়। বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ ও তার পরগাছা কমিউনিস্টরা প্রপাগন্ডার মাধ্যমে একাত্তরের ঘটনাবলীকে একটা ট্যাবুতে পরিনত করেছেন। কোন বিষয়ে ট্যাবুর বিশেষত্ব হচ্ছে যে কোন সচেতন মানুষ উক্ত বিষয়টা নিয়ে নিজে নিজ বিবেকের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন যাতে প্রচলিত মতামতের বাইরে কোন চিন্তা বিবেককে স্পর্স করতে না পারে। আর তাই বিশাল জনমত ট্রাইবুনালকে অনিয়ম মনে করলেও কেউ সাহস করে প্রতিকার চাইতে পারছেননা। জনগনের বিশাল একটা অংশ এই ট্রাইবুনাল নিয়ে কোন প্রকার আলোচনা করতে চাচ্ছেননা। অনেকেই মনে করেন যাক বাবা কয়েকটা মানুষ মারা গেলে ল্যাঠাটা যদি চুকে যায়. তারপর সব ঠিক হয়ে যাবে। যারা এ ধরনের কথা ভাবছেন তারা নিতান্ত বোকার স্বর্গে বাস করছেন। এতদিন আওয়ামো-কমিউনিস্টরা জামাতিদের যুদ্ধাপরাধী বলে দাবি করতেন. এখন থেকে তারা দাবি করবেন জামাতিরা প্রমানিত যুদ্ধাপরাধী. এতদিন তারা সন্দেহের তীর ছুড়তেন. এখন থেকে ট্রাইবুনালের রায় নিয়ে ছড়ি ঘোরাবে। একাত্তর নিয়ে যে ট্যাবু তার সৃষ্টি করেছেন এটা তার শুধু পরবর্তি ধাপ মাত্র। তার পরবর্তি ধাপ হবে এ রায়খানা টাঙ্গিয়ে ইসলামপন্থি যে কোন দলের উপর নিষেধাজ্ঞা স্থাপন। একটা মুসলিম প্রধান দেশে ইসলামি মূল্যবোধ প্রকাশের রাস্তা বন্ধ করার ফন্দি মাত্র। ব্যাক্তিগতভাবে ইসলামপন্থি না হলেও অনৈতিকভাবে কারো কন্ঠরোধ যে একসময় বিস্ফোরনে পরিনত হবে তাতে উদ্বিগ্ন হচ্ছি। ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের দিকে তাকালেই আমার উতকন্ঠার কারন খুজে পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশে জুড়িশিয়াল কিলিং শুধু ইসলামপন্থিদের দমানোর জন্য ভয়ঙ্কর নয়. এখানে গনতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ বিচার বিভাগকেও চুরমাচুর করা হচ্ছে। যে দেশে বিচারবিভাগ সরকারের পোষা কুকুর হয়ে যায় সে দেশে গনতন্ত্র থাকেনা. আর মুসলিম প্রধান যে দেশে গনতন্ত্র নেই সেখানেই জন্ম নেয় উগ্রপন্থি জঙ্গিদল. গৃহযুদ্ধে দেশ হয় ক্ষতবিক্ষত। হয়ত আমাদের দেশের ক্ষমতাদখলদাররা মনেপ্রানে জঙ্গিদলের উত্থানের কামনা করছেন। তাহলে মিসরের আদলে একনায়ক সৈরাশাসনের মাধ্যমে ক্ষমতার চিরস্থায়ি বন্দোবস্ত করতে পারবেন।
বাংলাদেশের সকল সচেতন নাগরিককে শুধু বর্তমান নয়. ভবিষ্যতের দিকে একচোখ রেখে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে হবে। জামাতি নেতাদের ফাসিতে হয়তো একাত্তরের অতিরন্জিত ক্ষততে মলমের সাময়িক প্রশান্তি দেবে কিন্তু ভবিষ্যতের অনন্ত অশান্তি সৃষ্টি করবে. দেশকে বিভাজিত করে রাখবে। তাই মানবতাবাদের কাঠমোল্লাদের না বলুন। বলুন "যো সুই কামরুজ্জামান"।
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৩৬
ভাদাধর বলেছেন: প্রথমে আপনার কাছে প্রশ্ন আপনি কি যে আঈনে কামরুজ্জামানদের বিচার হচ্ছে সেই আঈনের সম্মুখিন হতে রাজি আছেন? যদি রাজি থাকেন তাহলে বলছি কেন আপনার রাজি না হওয়া উচিত।
প্রথমত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের বিচারকরা বিতর্কিত। তারা সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন আওয়ামি সংগঠনের সাথে জড়িত। যুদ্ধাপরাধের মত একটা স্পর্সকাতর বিচার প্রক্রিয়ায় এ ধরনের সম্পৃক্ততা ন্যায় বহির্ভুত। ইংরেজদের প্রবাদে আছে মোরগের বিচারে শিয়াল কখনো বিচারক হতে পারবেনা, যদি শেয়ালই বিচার করে তা ন্যায় বিচার হবেনা বরং শক্তির প্রদর্শন হবে।
তারপরে ট্রাইবুনালের বিশেষ কিছু বিতর্কিত আঈন আছে, একটার কথাই বলি, যেকোন জনশ্রুত ঘটনা, কিংবা পত্রিকার আর্টিকেল কিংবা সাহিত্য আদালতে প্রমান হিসেবে গন্য হবে। তার অর্থাত কোন গুজব যদি একাধিক লোক শুনে থাকে কিংবা কোন পত্রিকা যদি গুজবের কথা ছাপায় সেটা সত্য হয়ে যাবে, আদালতে প্রমান হিসেবে গন্য হবে। এ আঈনটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নুরেমবার্গ ট্রাইবুনালেও ছিল, পরবর্তিতে বিশ্ব দেখেছে কিভাবে এই আঈনের অপব্যাবহার করে সোভিয়েত ইউনিয়ন অনেকগুলা গনহত্যার দায় জার্মান বাহিনীর উপর অন্যায়ভাবে চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। বাংলাদেশেও এ আঈনের অপব্যাবহার হয়েছে নিশ্চিত শুধু এই ভিডিওটা দেখলেই প্রমান পাবেন, একজন প্রসিকিউটর কিভাবে চুটিয়ে মিথ্যা গল্প পয়দা করছিল। https://youtu.be/ky1q9IIi3pQ । বঙ্গবির কাদের সিদ্দিকি সেদিন চোখে আঙ্গুল দিয়ে প্রমান করেছেন প্রসিকিউশন মিথ্যাবাদি। তার পরেও এ ট্রাইবুনালকে বিশ্বাস করা বোকামি। তবে মজার ব্যাপার হল বাংলাদেশের ফৌজদারি আঈনে কিন্তু শোনা কথা প্রমান হিসেবে গন্য হয়না। তাহলে বাংলাদেশের নাগরিকদের কেন বিশেষ আঈনে বিচার করা হচ্ছে।
তারপর আসে স্কাইপগেইট। সবাই জানে সরকার, বিচারক, বাদিপক্ষ আর বেলজিয়ামঅবস্থিত একজন লোক এই বিচারের নেপথ্যে কাজ করছেন। বেলজিয়ামে থাকা লোকটা আদালতে উপস্থিত না থেকেও রায় লিখে পাঠিয়েছেন। এটা কি আপনার কাছে ন্যায় বিচার মনে হয়। একজন লোক আপনার আরজি না শুনে, আপনার সাওয়াল জবান না করে অগ্রিম রায় পাঠিয়ে দেবে, এটাতো বিচার নয় বরং আপনার মৃত্যুদন্ড সাদাকরা মাত্র। এছাড়া, সরকার পক্ষ, বিচারকরা যখন বাদি ও সাক্ষিদের শিখিয়ে দেন কি কি বলতে হবে এটাকে বিচার নয় বলা হয় প্রহসন। এসুযোগ যদি সবাইকে দেয়া হয় তাহলে দেখুন কত সহজে আপনাকে খুনের মামলায় ফাসানো যাবে।
এই মামলা সম্পর্কে আরো জানতে ইউটিউবে অভিযুক্তদের উকিলের ভিডিও গুলো দেখুন অনেক কিছু জানতে পারবেন। তবে সবচাইতে আমাকে ব্যাথিত করেছে যখন শুনেছি বিচারকরা যখন প্রসিকিউসন দুর্বল প্রমান উত্থাপন করেছেন বা কোন জায়গায় প্রমান উত্থাপন করতে পারেননি বিচারকরা নিজ দায়িত্বে তদন্ত করে প্রমান সংগ্রহ করেছেন। অর্থাত এখানে সম্পুর্ন নৈতিক অধিকার খেলাপ করে পক্ষপাতিত্ব হয়েছে। এরকম ট্রাইবুনালে কি আপনার বিচার হলে মানবেন। আপনার বিপক্ষ পক্ষ যখন আপনার বিরুদ্ধে কোন প্রমান আনতে পারেনি বিচারকরা প্রমান আনবে সেখানে আপনি আপত্তি তুলতে পারবেননা এটা কি মেনে নিতে পারবেন।
সর্বোপরি রাষ্ট্র যখন বিতর্কিত আঈন ও বিচারক দিয়ে বিরোধী দলের বিচারের আয়োজন করে তাহলে সেটা প্রহসন হতে বাধ্য। হয়ত একাত্তরের আবেগমাখানো ঘটনা বলে আপনারা কামরুদ্দিনদের বেলায় সত্য দেখতে অস্বিকৃতি জানাচ্ছেন। কিন্তু ওদের জায়গায় আপনাকে বসিয়ে দেখেন, যে আঈনে ওনাদের বিচার হচ্ছে সে আঈনে আপনি পড়লে আঈনের ফাক ফোকর দিয়ে আপনাকে ফাসানো যাবে কিনা সেই প্রশ্নটাই করুন। বেদনার আবেগ কাটিয়ে নির্মোহভাবে ঘটনা পর্যালোচনা করতে চেষ্টা করেন তাহলে সত্য দেখতে পাবেন।
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৩৭
ভাদাধর বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:২২
ডিজ৪০৩ বলেছেন: ভাই আপনাদের আইনজীবী ত ছিল এবং তারা বারের সভাপতি তাহলে কিভাবে জুডিশিয়াল কিলিং হল ? আর একাত্তরে কি হয়েছিল ?