নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়াহিদুজ্জামান এর বাংলা ব্লগ

ওয়াহিদ০০১

ওয়াহিদ০০১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্ত আলোচনা পোস্ট: আমাদের সমাজের প্রেম-ভালোবাসাবিরোধী অবস্থানের কারণ কী বলে মনে করেন?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:৩০

আমাদের সমাজ এখনো ঘোরতর রোমান্টিক সম্পর্ক বিরোধী। বিয়ে করা স্ত্রীর হাত ধরে হাটলেও দেশের বেশিরভাগ স্থানে লোকজন আড়চোখে তাকায়। আর বিয়ের পূর্বে ছেলেমেয়েদের মধ্যে রোমান্টিক সম্পর্ক এখনো ট্যাবু হিসেবেই বিবেচিত হয় সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকেদের কাছে। অথচ এরাই আবার সিনেমা-নাটকে প্রেমিক-প্রেমিকার বিরহে চোখ ভাসায়।



সমাজের এই প্রেম-বিরোধী অবস্থানের কারণ সম্পর্কে আপনাদের ধারণা জানতে চাইছি। এটা একটি মুক্ত আলোচনা পোস্ট। যার মনে যা আছে শেয়ার করতে পারেন।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:৩৪

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: কমন ভিলেন বাপে

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সমাজের মানুষ গুলো এটাকে শূধূ অন্ধর কি বাত! ;) ভাবে তাই!!

সমাজ প্রেম ভালবাসা বিরোধী নয়, বরং মুক্ত্র প্রকাশে সংকোচবদ্ধ।
আর প্রেম তো জিনিষই তাই... ভাইরে প্রেম কি দেখঅনোর জিনিষ!! উপলদ্ধি আর গভীর অনুভবের জিনিষ।

আর যে হাতে হাত ধরে চলা বলতে যেই ফ্রি অবাধ চলাফেরা বোঝাচ্ছেন.. তাতে সমাজের আপত্তি আছে বৈকি।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:১২

ওয়াহিদ০০১ বলেছেন: হাত ধরে চলাটা লোকদেখানো কোন ব্যাপার নয়। সত্যিকারের আবেগ থেকেই পথচলার সময় প্রেমিকা/স্ত্রীর হাত ধরতে ইচ্ছা হতে পারে।

ছেলেমেয়েরা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছে শুনলেই বাংলাদেশের বেশিরভাব বাবা মা অযৌক্তিক বিরোধীতা করে থাকে।

৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:৫৯

দিগন্তের পথিক বলেছেন: বিয়ের পূর্বে ছেলেমেয়েদের মধ্যে রোমান্টিক সম্পর্ক এখনো ট্যাবু হিসেবেই বিবেচিত হয় সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকেদের কাছে।
কথাটা কি সত্যনিষ্ঠ হলো? উপরিউক্ত লাইনে আপনি 'সংখ্যাগরিষ্ঠ' শব্দটি ব্যবহার করেছেন, আজকের যুগে যারা পেরেম-বালোবাসাকে অনুচিত ও নিন্দনীয় বলে মনে করে তারা কি আসলেই সংখ্যাগরিষ্ঠ? নাকি সংখ্যালঘু?
পেরেম-বালোবাসাকে পরিহারযোগ্য হিসেবে মত পোষণ করা মানুষরা যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েই থাকে তাহলে বিশ্ব বালোবাসা দিবসে রাস্তা-ঘাট, পার্ক-রেস্টুরেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত দখল করে কপোত-কপোতীদের ঢল নামে কেন? কেন আমাদের বেশিরভাগ সাহিত্যকর্মে মানব-মানবীর অবৈধ সম্পর্ক তথা প্রেমকে অনিবার্য উপস্থিতির মর্যাদা দেয়া হয়েছে? কেন আমাদের দেশে শতকরা ৯৯% সঙ্গীত, নাটক-সিনেমা, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিভিন্ন সৃষ্টিকর্ম পেরেম-বালোবাসাকে মূল উপজীব্য করেই রচিত ও বিনির্মিত হয়? আর কেনই বা এসব সৃষ্টিকর্মের সর্বাধিক ব্যবসাসফল নির্মাণগুলোর সবকয়টাই পেরেম-বালোবাসার রসনায় বুঁদ অবস্থায় পরিলক্ষিত হয়?
প্রশ্নগুলোর উত্তর কখনো ভেবে দেখেছেন কি?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:০৭

ওয়াহিদ০০১ বলেছেন: পেরেম-বালোবাসা অর্থ কী?

শহরের তরুন সমাজই পুরো বাংলাদেশ নয়।

৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:২৬

রাকিব বলেছেন: কারণ বাঙালি উদার ভালবাসা গ্রহণ করতে পারে না। তাদের মন সবসময় সন্দেহপ্রবণ, বিশ্বস্ততার অভাব। আর সমাজের সন্দেহের ফলেই আজকের দিনে তৈরী হচ্ছে ঈভটিজিং, যৌন হয়রানি, এমনকি এডামটিজিং এর। তারা ভুলে যায় ভালবাসা কত মহৎ জিনিস, তারা ভুলে যায় নারী-পুরুষের যুগ-যুগান্তের ভালবাসার জন্যই মানুষ এখনো পৃথিবীতে টিকে রয়েছে এবং তারা পরস্পরকে ভালবাসতে
চায়।...There is no life without love...

৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৩৯

ওয়াহিদ০০১ বলেছেন: আমার একটি বিশ্লেষণ রয়েছে:

আমাদের সমাজের একটি পজিটিভ দিক হচ্ছে শক্তিশালী পরিবার প্রথা। আমরা নিজেদের আলাদা একজন মানুষ হিসেবে দেখার চেয়ে একটি পরিবারের সদস্য হিসেবেই দেখি, সেটাই আমাদের মূল পরিচয়।

আমাদের ট্রাডিশনাল সমাজে বিয়ের মাধ্যমে নতুন একটি পরিবার গঠন হয় না, বরং ছেলের পরিবারের উত্তরসূরী তৈরী হয়। অর্থাৎ, মেয়েটির বিয়ে একটি ছেলের সাথে নয়, তার পুরো পরিবারের সাথে হচ্ছে। ট্রাডিশনাল সমাজে মেয়েটি ছেলেটির সাথে যতটা সময় কাটায়, তারচেয়ে অনেক বেশি সময় কাটায় শাশুড়ি, ননদ, জা এদের সাথে। এজন্যই হয়তো পরিবারের সবাই চায় সবার পছন্দ অনুযায়ী ছেলেটির বিয়ে হোক। আর প্রেমের বিয়েতে যেহেতু পরিবারের সদস্যদের মতামত জানানোর উপায় নেই, তাই ছেলে প্রেমের সম্পর্কে জড়ালে তারা নিরাপত্তাহীনতাবোধ করে, মেয়েটি কেমন হবে সেটা নিয়ে, বা ছেলের ওপর মেয়েটির অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ থাকবে কী না সে বিষয়ে।

৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৪০

মা-নবি০৩ বলেছেন: ভাই এই সমাজের প্রেম যৌন বিষয়ে একটু কোষ্ঠকাঠিন্য আছে ।
(তবে আদুনিকরা যা করে তা ও মানা যায় না )
সমাজের বন্ডামি টা হচ্ছে
বিপরীত লিঙ্গের কারো দিকে তাকানো যাবে না , কথা বলা যাবে না , (ন্যায় বোধ অথবা পাপের পিলার আছে ) ,
সমাজে বা শিক্ষা ব্যবস্থায় যৌন শিক্ষা র কোন সুযোগ থাকবে না । ( প্রেমের ও না )
তার পর কি হবে আবার বাসর রাতে গিয়ে বিঢ়াল মারতে হবে যার সাথে বিয়ের আগে হয়তো এক দুবার দেখা হয়েছে এমন কারো সাথে

সমাজ বাতাস আসার জানালা এমনকি ঘুলঘুলি ও বন্ধ রাখতে চায়কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের বাতাসে সমাজের সদর দরজাই আজ ভাংগনের মুখে (যত জ্বালা যে কোন অর্থে মধ্যবিত্ত দের -উচ্চ বিত্তের এ সব সেন্টিমেন্ট ছুয়ে দেখার সময় নেই আর নিন্ম বিত্তের সুযোগ নেই )

সমাজ যদি তার দরজা জানালা খুলে দিয়ে ভাল করে পর্দা দিয়ে রাখত তাহলে আলো বাতাস ডুকত , ধুলো ডুকত না (অল্প ডুকত যা ঝাট দিয়ে পরিষ্কার যোগ্য ) আর সমাজের সদর দরজাও ভাঙত না

"প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া এই দেশে অপরাধ/ঘুষ খাওযা কখনো নয় "

কিংবা
"ইউরোপ আর আমাদের পার্থক্য আমাদের দেশে রাস্তায় কিসি করা যায় না হিসি করা যায় আর ইউরোপে ২য় টা করা যায় না ১ম টা যায় '

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৪৯

ওয়াহিদ০০১ বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সমাজে স্বীকৃত না হলেও তরুনরা বাবা মা কে না জানিয়ে অনেক কিছুই করছে। এবং যা করছে তার বেশিরভাগই ভুল করছে। কোন বিষয়ে ভালো সিদ্ধান্ত কীভাবে নিতে হয়, সেটা বাবা মার কাছ থেকেই সন্তানেরা শিখে থাকে। আমাদের বাবা মা সন্তানদের কখনোই কী করে একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলতে হয় তার আভাস দেন না। বরং ভুলের ভয়ে সম্পর্কই এড়িয়ে চলতে বলেন, যেটা প্রাকটিক্যালি সম্ভব নয়।

৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৫০

দিগন্তের পথিক বলেছেন: বিয়ে করা স্ত্রীর হাত ধরে হাটলেও দেশের বেশিরভাগ স্থানে লোকজন আড়চোখে তাকায়।
প্রথম কথা হচ্ছে, হাত ধরাধরি করে হাঁটাহাঁটি করা যুগলটি কি স্বামী-স্ত্রী, নাকি অনিবন্ধিত কপোত-কপোতী? এই প্রশ্নের উত্তর লোকজন পাবে কোথায়? যুগলটির উভয় সদস্যের জামা-কাপড়ে কি পরিচয় সংবলিত ব্যাজ লাগানো থাকে যে তাদের স্বামী-স্ত্রী কিংবা অনিবন্ধিত প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে?
দ্বিতীয় কথা হলো, যুগলরা কেবল হাত ধরাধরি করে হেঁটেই পূর্ণ সন্তুষ্ট হয়ে যায়, এ কথা ভাবা কি বাস্তবসম্মত? খেয়াল করে দেখলে নিশ্চিতভাবেই প্রত্যক্ষ করবেন, যুগলরা হাত ধরাধরির পাশাপাশি নিজেদের সুউচ্চ কন্ঠস্বর, হাসাহাসি, দাপাদাপি, হাত ছোঁড়াছুঁড়ি কিংবা ওষ্ঠদ্বয় সহ নিজেদের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অভাবনীয় সব ব্যবহার করে এমন দৃষ্টিকটু পরিবেশ-পরিস্থিতির অবতারণা করে থাকে যা দেখে মনে হয় তারা মনে করছে তাদের আসেপাশে তারা বাদে আর কেউ নেই, এই মুহূর্তে এ সমগ্র পৃথিবীতে কেবল সে আর ও!
এখন আপনি-ই বলেন, কেউ দুইজন তাদের আশপাশের পুরো পরিবেশটাই তার নিজেদের সম্পত্তি হিসেবে পরিগণিত করে যা-তা করে বেড়ালে তাতে কোন দোষ-ত্রুটি খোঁজা যাবে না কিন্তু তাদের আশপাশের সবাই তাদের এমন বেহায়াপনা দেখে আড়চোখে তাকালে তাতেই মহাভারত অসুদ্ধ হয়ে যাবে, এমন মতামত পোষণ করাটা কি আসলেই সুবিচারমূলক?
পরিণত বয়স্ক এবং অজাচারমুক্ত দুজন মানব-মানবীর ঘনিষ্ট সংস্পর্শ যৌনতার লক্ষ্যগামী। কাজেই, হাত ধরাধরি করে হাঁটার সময়ে আশপাশ থেকে যদি আড়চোখের চাবুক নিক্ষেপকারী দৃষ্টি পতিত না হয় তাহলে তাদের হাত ধরাধরি অচিরেই যৌনতায় পর্যবসিত হবে। আর যৌনতার প্রতি যদি কারো দুর্নিবার আকর্ষণ থেকেই থাকে তবে তারা বিয়ের মাধ্যমে সামাজিক স্বীকৃতি আদায় করে নিজেদের বেডরুমে যাচ্ছেতাই করুক না, কার তাতে কি এসে যায়? কিন্তু সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত একটা স্থানে এই সব বেহায়াপনা চালানোর হেতু কি?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৫৬

ওয়াহিদ০০১ বলেছেন: শুধু হাত ধরার মধ্যে বেহায়াপনার কিছুই দেখি না আমি। দুজন ছেলে বা দুজন মেয়ে হাত ধরে হাটলে কেউ কিছুই মনে করে না। একজন যুবক ছেলে আর একজন যুবতী মেয়ে হাত ধরে হাটলে লোকজনের চোখ কপালে উঠে।

তারা স্বামী-স্ত্রী, প্রেমিক-প্রেমিকা, ভাই-বোন যাই হোক না কেন, তাতে কিন্তু কারোই কোন ক্ষতি হয় না। রাস্তায় প্রেমিকার হাত ধরে হাটা যে কতটা রোমান্টিক সেটা যে এটা উপভোগ করে নি তার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়।

৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:১৬

দিগন্তের পথিক বলেছেন: একটা প্রশ্নের উত্তর দিন, একটা ছেলে যখন একটা মেয়ের হাত ধরে কিংবা একটা মেয়ে যখন একটা ছেলের হাত ধরে তখন তারা আসলে কোন উদ্দেশ্য সাধনের জন্য পরস্পরের হাত ধরে? কিংবা পরস্পরের হাত ধরার মাধ্যমে তারা আসলে কি প্রাপ্তিটা পেয়ে থাকে?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:২০

ওয়াহিদ০০১ বলেছেন: দেখুন, মানুষের হাত কোন প্রজনন অঙ্গ নয়। দুজন মানুষ, তাদের মধ্যে সম্পর্ক যাই হোক, হাত ধরতেই পারে। বন্ধু/আত্মীয়/প্রেমিকা র হাত ধরি একাত্মতা প্রকাশের জন্য, ভালোবাসা প্রকাশের জন্য। এতে সমাজের চোখ রাঙানির কোন কারণ দেখি না।

আর সমাজ শুধু ভালোবাসার প্রকাশকেই নিরূৎসাহিত করে না, ভালোবাসার সম্পর্ককেই নিরুৎসাহিত করে।

৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৩৩

কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: আকাশের তারাগুলি বলেছেন: কমন ভিলেন বাপে

.... সহমত! :D

১০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৫২

দিগন্তের পথিক বলেছেন: একাত্মতা কিংবা ভালোবাসা প্রকাশের জন্য যে কোন প্রকারের শারীরিক সংপর্শতা কি অপরিহার্য? একাত্মতা অথবা ভালোবাসার অবস্থান মানুষের মনে, কিন্তু এগুলোকে ব্যক্ত করার জন্য অযাচিত শারীরিক সংস্পর্শতার প্রয়োজনীয়তা আসছে কেন?
দেখুন, প্রেমের সম্পর্ককে যদি যৌনতা থেকে মুক্ত রাখতে চান তাহলে আপনাকে একথা স্বীকার করতেই হবে যে প্রেম হচ্ছে কেবলই একটি মনস্তাত্ত্বিক সম্পর্ক। কিন্তু একটি মনস্তাত্ত্বিক সম্পর্কের উত্কর্ষ সাধনের জন্য আপনাকে হাত বা শরীরের সাহায্য নিতে হচ্ছে কেন? প্রশ্নের উত্তরটা কি কখনো ভেবে দেখেছেন?
আমি বলছি উত্তরটা কি। ভালোবাসার মানে যদি হয় দুটি মনের কাছাকাছি আসা কিংবা দুটি মনের মিলন তাহলে এক্ষেত্রে সেই ভালোবাসাকে ধারণকারী দুটি শরীরও কাছে আসতে চাইবে বা শরীর দুটিও মিলিত হতে চাইবে? প্রশ্ন হলো কেন?
কারণ, মানুষের শরীর ও মন পরস্পরের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত ও সন্নিবিষ্ট। ছোটবেলায় হয়তো 'স্বাস্থ্যরক্ষা' রচনায় পড়েছেন যে শরীর খারাপ থাকলে মনও খারাপ হয়ে যায় এবং মন খারাপ থাকলে তার প্রভাব শরীরের উপরেও পড়ে। যাই হোক, এখান থেকে বোধ করি একটি কথা ভালো করেই অনুধাবন করতে পারছেন যে নারী-পুরুষ যখন তাদের পরস্পরের হাত ধরে তখন সেটা তাদের ঘনিষ্টতম শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের সচেতন বা অবচেতন ইচ্ছার প্রাথমিক রূপভেদ। এই প্রথমিক রূপভেদটা ধীরে ধীরে সামনের দিকে অগ্রসর হবে, পরবর্তী ধাপসমূহকে একে একে অতিক্রম করে অভিষ্ট লক্ষ্য তথা নিরেট যৌনতার পথে অগ্রসর হতে থাকবে। একটা ধাপকে বাঁধাহীন করে দিলেই পরবর্তী ধাপটা অনেকটাই অবারিত হয়ে যাবে। কাজেই, আপনি যদি শেষ ধাপটাকে তথা নিরেট যৌনতাকে রোধ করতে চান তাহলে এই প্রক্রিয়ার প্রাথমিক ধাপকে রোধ করাই সর্বোত্তম পন্থা। নিশ্চয়ই জেনে থাকবেন যে কোন রোগকে প্রতিকার করার চেয়ে প্রতিরোধ করা অপেক্ষাকৃত অনেক সোজা।
আমাদের সমাজ নারী-পুরুষের অবৈধ যৌনতাকে নিরুত্সাহিত করে এবং অত্যন্ত গর্হিত করে গণ্য করে, যা নিঃসন্দেহে সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ। আর সেই কারণেই আমাদের সমাজ নারী-পুরুষের হাত ধরাধরিকে তাদের যৌনাকাঙ্ক্ষা সংবলিত ইচ্ছার অবচেতন বহিঃপ্রকাশ হিসেবে গণ্য করে সেটাকে নিরুত্সাহিত করে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:০৮

ওয়াহিদ০০১ বলেছেন: দেখুন, যৌনতা অস্বীকার করছি না। আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্মের একটি বড় ড্রাইভিং ফোর্স যৌনতা। যৌনতা রোধ করে তো আপনি মানবজাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারেবেন না।

নারীপুরুষের ভালোবাসার সম্পর্কের একটি বড় ড্রাইভিং ফোর্স যৌনতা, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। এজন্য কি মানুষের প্রেমে পড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন?

আর হাত ধরার মধ্যে যৌনতা ছাড়াও আরো অনেক বিষয় কাজ করে। সবকিছু ছাপিয়ে শুধু যৌনতা চোখে পড়াটা সমাজের মানসিক বিকৃতির ফল।

১১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:০৪

দিগন্তের পথিক বলেছেন: আসলে কখনো প্রণয়ভগলতা, সেই সূত্রে আবার কখনো যৌনাকাঙ্খার ঈপ্সিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর দুর্নিবার মানসে আমাদের বর্তমান নবীন প্রজন্ম ঠিক এমনি ভাবেই সদা উদগ্রীব থাকে!
পশুর যৌনতা আর মানুষের যৌনতার মধ্যে জীববিদ্যাগত পার্থক্য না থাকলেও সামাজিক পার্থক্য যে আছে, সেই কথা মনে আছে তো? পশুদের জন্য যৌনতার কোন বিধিবিধান নেই, কিন্তু সামাজিক জীব বিধায় মানুষের জন্য যৌনতার আওতা এবং ক্ষেত্র নির্দিষ্টকৃত। মনে রাখবেন, যৌনতা মানব জীবনের কোন মৌলিক চাহিদা নয়। কাজেই যৌনতাকে ড্রাইভিং ফোর্স হিসেবে আখ্যায়িত করে মানুষ যদি সামাজিক জীবন যাপনে ব্রতী হয় তবে তাহলে মানব সমাজ অচিরেই একটা পশুর পালে পরিণত হবে।
পুরুষের সাথে নারীর মিলন হবে, এটা ধ্রুব সত্য। তবে সেটা যথেচ্ছাচারের মাধ্যমে নয়, সেটা হবে একটা সামাজিক কাঠামোর আওতার মধ্যে। সমাজিক বৈধতা তথা বিয়ের মাধ্যমে একজন পুরুষ বা নারী তার সঙ্গীর সাথে শারীরিক মিলনের বৈধতা লাভ করে। যৌনতার ত্বরিত ও যথেচ্ছ স্বাদলাভকে মূল লক্ষ্য ধরে যখনই আপনি এই কাঠামোকে লংঘন করে নিষিদ্ধতার পথে অগ্রসর হবেন তখনই সমাজে দেখা দিবে বিশৃঙ্খলা, অসন্তোষ আর ভাঙ্গন। এখন আপনি-ই ভেবে বের করুন, একটা মজবুত ও টেকসই সমাজ কাঠামো চান? নাকি পশ্চিমাদের অনুকরণে যৌনতানির্ভর একটা ভঙ্গুর সমাজব্যবস্থা চান? সেটা বের করার আগে এটা মাথায় রাখতেই হবে যে প্রেম ও যৌনতাকে যদি সমার্থক কিংবা বিকল্প বানিয়ে ফেলেন তাহলে আপনার রচিত সমাজ কাঠামোর স্থায়িত্ব হবে বালির বাঁধের মতো।
নারী-পুরুষের অযাচিত হাত ধরাধরি কিংবা শারীরিক সংস্পর্শতার মধ্যে যৌনতার দুরভিসন্ধি যদি দিব্যদৃষ্টি দিয়ে অনুমান করাটা মানসিক বিকৃতি হয়, তাহলে যৌনতাকে ড্রাইভিং ফোর্স তথা অভিষ্ট লক্ষ্য হিসেবে মনোনীত করে প্রেমকার্যে নিয়োজিত হওয়া, মতান্তরে যৌনতার অভিষ্ট লক্ষ্যে অগুয়ান হওয়াটা কি তবে মানসিক সুগঠনের পরিচয়বহ?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৭:০৭

ওয়াহিদ০০১ বলেছেন: প্রেম এবং যৌনতাকে আমি সমার্থক হিসেবে দেখি না কখনো। সমাজ সেটা দেখে বলেই তার প্রেম বিরোধী অবস্থান। সামান্য হাত ধরার মাঝেও সমাজ যৌনতা খুঁজে বেড়ায়।

আর প্রেম আগে হবে না বিয়ে আগে হবে? যার সাথে আপনার বিয়ে হলো, তার সাথে আপনার প্রেম হবে কিনা বুঝবেন কি করে? এটাতো জোড় করে হয় না, তাইনা?

১২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৩৫

মিঠাপুর বলেছেন: :P :P :P

১৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:২৯

দিগন্তের পথিক বলেছেন: প্রেম এবং যৌনতাকে আমি সমার্থক হিসেবে দেখি না কখনো। সমাজ সেটা দেখে বলেই তার প্রেম বিরোধী অবস্থান। সামান্য হাত ধরার মাঝেও সমাজ যৌনতা খুঁজে বেড়ায়।

নারীপুরুষের ভালোবাসার সম্পর্কের একটি বড় ড্রাইভিং ফোর্স যৌনতা, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। এজন্য কি মানুষের প্রেমে পড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন?

উপরের মন্তব্য দুটো আপনারই করা, বোঝাই যাচ্ছে যে মন্তব্য দুটি পারস্পরিক বিরোধী। আপনার মতে প্রেমের ড্রাইভিং ফোর্স হচ্ছে যৌনতা, সেই হিসেবে প্রেমের চালিকাশক্তি তথা অভিষ্ট লক্ষ্যও হচ্ছে যৌনতা। তাহলে প্রেম আর যৌনাকাঙ্খার বাস্তবায়নের মধ্যে পার্থক্য রইলো কোথায়? আর প্রেমের নামে নিষিদ্ধ ও অনাচারমূলক যৌনাকাঙ্খা তথা ব্যভিচারের বিরুদ্ধে সমাজের হস্তক্ষেপ করাটা কি উচিত-ই নয়?

আর প্রেম আগে হবে না বিয়ে আগে হবে? যার সাথে আপনার বিয়ে হলো, তার সাথে আপনার প্রেম হবে কিনা বুঝবেন কি করে? এটাতো জোড় করে হয় না, তাইনা?

আজকাল বৈবাহিক জীবনে দম্পতিদের পারস্পরিক মিল ও সমঝোতার নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য প্রেমকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে বেশিরভাগ, যা একেবারেই অমূলক। পারিবারিক পছন্দে বিয়ে করাটা তো নিশ্চয়ই দৈবচয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাচ্ছেতাই ভাবে বিয়ে করা না, ঠিক নয় কি? আজ থেকে ২৫-৩০ বছর আগেও আমাদের সমাজের শতকরা ৯০ ভাগেরও বেশী বিয়ে হতো পারিবারিক সম্মতিতে, তখন শহুরে ও শিক্ষিত সমাজের মধ্যেও ডিভোর্সের অপ্রতুল উপস্থিতি কি তাদের সুখী দম্পতি হিসেবেই তুলে ধরে না? বরং এখন চেয়ে দেখুন, বেশীরভাগ বিয়েই হচ্ছে পাত্র-পাত্রীদের নিজেদের পছন্দে, এবং সেই সাথে ডিভোর্সের উচ্চমাত্রায় উপস্থিতি। কাজেই, প্রেম করে বিয়ে করলেই সুখী দম্পতি হওয়ার নিশ্চয়তা মিলে এমন ধারণা কি আসলেই যুক্তিযুক্ত?
পারিবারিক পছন্দের বিয়েতে যথেষ্ট যাচাই-বাছাই, খোঁজখবর, মূল্যায়ন, বিশ্লেষণ করে তবেই পাকা কথার দিকে অগ্রসর হওয়ার রেওয়াজ বিদ্যমান। কাজেই এক্ষেত্রে একেবারেই বিপরীত বৈশিষ্ট্যাবলী সংবলিত ও একসঙ্গে বসবাসের অযোগ্য সঙ্গী/সঙ্গিনী জুটবে, এমন আশংকা করাটা একেবারেই অমূলক। আর দম্পতিদের মাঝে মতানৈক্য বা অমিল প্রধানত তখনই হয়ে থাকে যখন তাদের ধৈর্য, সহনশীলতা, মমত্ববোধ, সমঝোতা ও পারস্পরিক অনুরাগে ঘাটতি দেখা দেয়, যেটা নিজেদের পছন্দে বিয়ে এবং পারিবারিক পছন্দে বিয়ে উভয় ক্ষেত্রেই হতে পারে। কাজেই, আগে থেকে চেনা-জানার দোহাই পেড়ে প্রেমকে অবশ্য পালনীয়র মর্যাদা দেয়াটা অদূরদর্শিতা ও নির্বুদ্ধিতার নামান্তর মাত্রই।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৪২

ওয়াহিদ০০১ বলেছেন: ১. প্রেমের একটি ড্রাইভিং ফোর্স যৌনতা। আরো অনেক ড্রাইভিং ফোর্স আছে এর সাথে। সন্তান আকাঙ্খা, সঙ্গ আকাঙ্খা এগুলোও ড্রাইভিং ফোর্স। যৌনতা একমাত্র ড্রাইভিং ফোর্স নয়।

"সেই হিসেবে প্রেমের চালিকাশক্তি তথা অভিষ্ট লক্ষ্যও হচ্ছে যৌনতা" এটা আপনার বক্তব্য আমার নয়।

যৌনতা অবশ্যই খারাপ কোন বিষয় নয়। তবে প্রকাশ্য যৌনতা বর্জনীয়। হাত ধরাটা প্রেম, ভালোবাসা, স্নেহ, বাৎসল্য এগুলোর প্রকাশ, এটা কোন যৌনকর্ম নয়।

২. যৌন অনাচার/ব্যাভিচারের ক্ষেত্রে সমাজের অবশ্যই হস্তক্ষেপ করা উচিৎ। এর মাত্রা কতটুকু হবে সেটা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। স্ত্রী/ প্রেমিকার হাত ধরলে সেটা ব্যাভিচার হয়ে যায় না।

৩. ছেলেমেয়েরা পছন্দ করলেই যে অনুপযুক্ত সঙ্গী বাছাই করবে সেটা নিশ্চিত হলেন কী করে? কোনরূপ যাচাই বাছাই ছাড়া ছেলেমেয়েদের প্রেমের সম্পর্কে বাধা প্রদান কি যুক্তিযুক্ত? এক্ষেত্রে সমাজ কি যুক্তি দিয়ে বিচার না করে আবেগ দিয়ে বিচার করছে না?

১৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৩৮

মা-নবি০৩ বলেছেন: @ দিগন্তের পথিক

"আমাদের সমাজ নারী-পুরুষের অবৈধ যৌনতাকে নিরুত্সাহিত করে এবং অত্যন্ত গর্হিত করে গণ্য করে, যা নিঃসন্দেহে সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ। আর সেই কারণেই আমাদের সমাজ নারী-পুরুষের হাত ধরাধরিকে তাদের যৌনাকাঙ্ক্ষা সংবলিত ইচ্ছার অবচেতন বহিঃপ্রকাশ হিসেবে গণ্য করে সেটাকে নিরুত্সাহিত করে। "

আমাদের সমাজ যৌনতার কোন প্রকাশ ই দেখতে রাজি না অবৈধ বা বৈধ {বিপরীত লিঙ্গের কারো দিকে তাকানো যাবে না , কথা বলা যাবে না , (ন্যায় বোধ অথবা পাপের পিলার আছে ) ,
সমাজে বা শিক্ষা ব্যবস্থায় যৌন শিক্ষা র কোন সুযোগ থাকবে না । ( প্রেমের ও না )
তার পর কি হবে আবার বাসর রাতে গিয়ে বিঢ়াল মারতে হবে যার সাথে বিয়ের আগে হয়তো এক দুবার দেখা হয়েছে এমন কারো সাথে }

যৌনতার প্রকাশ শুধু অংগ মোটা তাজা করন লিফলেটে সারা রাস্তা জুড়ে যা বিতরন করা হয় ।

**সমাজের সমস্যা আপনার মতই যৌনতা জীবনের অংশ না বলে ধরে নিয়েছে (বিপরীত একটা গ্রুপ আছে যাদের যৌনতা ই সব )। আপনাকে একটা উদাহরণ দেই আমাদের দেশে কতজন শিক্ষিত মুসলমান ইমাম গাজজালির কিমিয়ায়ে সাআদাত ২ য় খন্ড পড়েছে । যার উপজীব্য বিষয় শুধু দাম্পত্য জীবন নয় যৌন শিক্ষা ও )

সমাজ দরজা জানালা বন্ধ করে পশ্চিমা বাতাস , বানিজ্যের বাতাস রুখতে পারবেনা তাকে দরজা জানালা খুরে ভেতরের আসবাব পত্র গুলোকে ডেকে ই চলতে হবে

{আমি ও আধুনিক দের বিরোধী , আমার বোন কে ভাই কে এ রকম প্রেম করতে দিতে রাজি নই কিন্তু ঘর দুয়ার বন্ধ করে রাখতে ও রাজি নই }

**"আজ থেকে ২৫-৩০ বছর আগেও আমাদের সমাজের শতকরা ৯০ ভাগেরও বেশী বিয়ে হতো পারিবারিক সম্মতিতে, তখন শহুরে ও শিক্ষিত সমাজের মধ্যেও ডিভোর্সের অপ্রতুল উপস্থিতি কি তাদের সুখী দম্পতি হিসেবেই তুলে ধরে না?"

১.সামাজের কোন মূল্যবোধ ই কি সে পর্যায়ে আছে ।
২.আর ট্রাডিশন জাস্টিফিকেশন হতে পারে না হিন্দু ধর্মে সহমরন ছিল . ৩০০ বছর আগেও আপনি কি সেটাকে ভাল বলবেন ? কিংবা
৫০ বছর আগেও স্ত্রীরা দিনের বেলায় স্বামীর সাথে দেখা করতে পারত না

**** ডিভোর্স রেট নিয়ে ১০০০ পৃষ্টা লেখা যাবে । ডিভোর্স রেট বাড়া সমাজের জন্য পজেটিভ না নেগেটিভ সে বিষয়ে । আগে কত শতাংশ নারী চকিরি করত এখন নারীদের চাকরী ও করতে হয় আবার বাসার সংসার ও দেখতে হয় সুতরাং শুধু সে কম্প্রোমাইজ করবে কেন পুরুষ কে ও করতে হবে । এখন পুরুষ যদি কম্প্রোমাইজ না করে সে সংসারে ডিভোর্স হওয়ায় ভাল না মন্দ সেটা ডিবেটের বিষয়


***** সমাজের যানিত্রক অংশের উন্নতির সাথে মানুষের রুচিবোধ ,নীতি বোধ পালটায় । আমাদের আগের জেনারেশন গরুর গাড়ি নৌকার জেনারেশনের কাছে অাবদুল আলীম ,আব্বাস উদ্দিনের যে আবেদন প্লেন রেলের যুগের তরুনের কাছে তা কিন্তু স্লো
সুতরাং সমাজকে নিয়মিত পরিবর্তনের সাথে পালটাতে হয় নতুন অর্ডার (ব্যবস্থা ) তৈরী করতে হয় আমাদের আগের ব্যবস্থা ভেংেগ গেছে নতুন কোনটা গড়ে উঠে নি (আবার কেউ কেউ পুরনো ব্রবস্থা যে ভেংগে গেছে সেটা বুঝতে পারে না কেউ বুঝেও মানতে পারে না

*********"পারিবারিক পছন্দের বিয়েতে যথেষ্ট যাচাই-বাছাই, খোঁজখবর, মূল্যায়ন, বিশ্লেষণ করে তবেই পাকা কথার দিকে অগ্রসর হওয়ার রেওয়াজ বিদ্যমান। কাজেই এক্ষেত্রে একেবারেই বিপরীত বৈশিষ্ট্যাবলী সংবলিত ও একসঙ্গে বসবাসের অযোগ্য সঙ্গী/সঙ্গিনী জুটবে, এমন আশংকা করাটা একেবারেই অমূলক।"

ভার্সিটি থেকে মাস্টার্স পড়ৃয় ছেলে বা মেয়ের মতামত বাবা মা ই বুঝতে পারবে (বাপ মা কতা পোলাপাইন কি গান শুনে কেন শুনে সেটাই বুঝতে পারে না ) ?????!!!!!


*********"আর দম্পতিদের মাঝে মতানৈক্য বা অমিল প্রধানত তখনই হয়ে থাকে যখন তাদের ধৈর্য, সহনশীলতা, মমত্ববোধ, সমঝোতা ও পারস্পরিক অনুরাগে ঘাটতি দেখা দেয়, যেটা নিজেদের পছন্দে বিয়ে এবং পারিবারিক পছন্দে বিয়ে উভয় ক্ষেত্রেই হতে পারে।"

একই কথা বাপ মায়ের তাহলে ছেলের বা মেয়ের পছন্দের পাত্র বা পাত্রি টির সাথে একবার কথা বলতে ও আপত্তি কেন

"প্রেমকে অবশ্য পালনীয়র মর্যাদা " এখন ও পুরোপুরি দেয়া হয়নি তবে সমাজ তার মেকানিজম না বদলালে হবে


আর আপনার জন্য একটা কবিতা :

On Children
Kahlil Gibran

Your children are not your children.
They are the sons and daughters of Life's longing for itself.
They come through you but not from you,
And though they are with you yet they belong not to you.

You may give them your love but not your thoughts,
For they have their own thoughts.
You may house their bodies but not their souls,
For their souls dwell in the house of tomorrow,
which you cannot visit, not even in your dreams.
You may strive to be like them,
but seek not to make them like you.
For life goes not backward nor tarries with yesterday.

You are the bows from which your children
as living arrows are sent forth.
The archer sees the mark upon the path of the infinite,
and He bends you with His might
that His arrows may go swift and far.
Let your bending in the archer's hand be for gladness;
For even as He loves the arrow that flies,
so He loves also the bow that is stable.


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.