নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সচল মস্তিষ্কই যখন শয়তানের কারখানা, তখন সেটাকে আর অলস ভাবে ফেলে রাখতে চাই না।

আশার বাপ

আমি নিজেকে মানুষ ভাবতে ভালবাসি। আর সেই মানুষ প্রজাতির কিছু গুণ আমি রপ্ত করেছি যার কয়েকটা আপনাদের শেয়ার করার চেষ্টা করছি মাত্রঃ১, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মাথা নষ্ট করা।২, অপরের সমালোচনা করা।৩, নিজের দোষ গুলো ছোট করে দেখা।৪, অপরের উন্নতি দেখে ঈর্ষা করা।৫, সুযোগ পেলেই অসৎ পন্থা অবলম্বন করা।৬, প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাহিদা।৭, মানুষের কান ভারী করা।৮, বিনা পরিশ্রমে অধিক সফলতা আশা করা।৯, সর্ব ক্ষেত্রে সুবিধাবাদী মনোভাব পোষণ করা।আমার এই গুণ গুলোই আমাকে আংশিক মানুষে পরিণত হতে সহায়তা করেছে।তবে কিছু পশুর সাথে আমার বেশকিছু মিল আছে,১, আমি বিড়ালের মত আরাম প্রিয়।২, পিঁপড়ার মত সঞ্চয়ে ভালবাসি।৩, গরুর মত নিরীহ আমার মন।৪, মাঝে মাঝে শিয়ালের মত পান্ডিত্ত করি।৫, প্যাঁচার মত রাত জাগতে ভাল লাগে।৬, পাখির মত স্বাধীনতা পছন্দ করি।পরিশেষে বলতে চাই, সৃষ্টি জগতে আমি একটি প্রাণী।তাই নিজেকে প্রাণী ভাবতেই ভাললাগে এর বেশি কিছু হয়ে অন্য প্রানীর সম্মানে আঘাত দিতে চাই না, হয়তো পারবও না।

আশার বাপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বল্প দৈর্ঘ্য প্রেম কাহানী

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

দাওয়াতে যাচ্ছিলাম এক বন্ধুর বাসায়।বাসা থেকে বের হয়েই দেখি বাস আসছে।বাস থামানোর জন্যে হাত দেখিয়ে, নিউটনের গতিসুত্রকে কাজে লাগিয়ে, আইনস্টাইনের আপেক্ষিক গতির উপর ভর করে, বাসের সাথে সমগতিতে দৌড়ে ডান হাতে কোন রকমে বাসের-হেন্ডেল ধরে, চিরায়ত ভাবে বাম পা-দিয়ে বাসে উঠলাম। উঠেই যথারীতি বাসের সামনে থাকালাম। একটা সুন্দরী মেয়ে বসে ছিল মহিলা সিটে।দেখে বেশ ভালই লাগছিল। ওমা! মেয়ে দেখি আমার দিকে থাকানো শুরু করেছে। মনে মনে বেশ পুলোকিত হতে শুরু করলাম। এর মাঝে চোখাচোখি চলছিল বেশ। পাছে, লজ্জায় আমিই চোখ সরিয়ে নিচ্ছিলাম। কিন্তু মেয়ের চোখ সরে না। আমাকে কেমন জানি খুব ভাল ভাবেই দেখতেছে।

আমি ভাবতেছিঃ হায়, আল্লাহ্‌, মেয়ের কি "লাভ এট ফাস্ট সাইড" হইল নাকি?

নিজেকে লাভার লাভার মনে হতে লাগল।বুকের বাম পাশে হার্টটা লাফাচ্ছিল।



অমা! একি! মেয়েতো আমার দিকে দেখে দেখে হাসে।

নিজের এই চরম দুর্ভোগে কি করব বুঝতে পারছিলাম না।অবশেষে বাস স্টপ এলো। তাড়াতাড়ি করে নেমে পড়লাম।আর মনে মনে ভাবতে লাগলাম, যাক বাবা, বাচাঁ গেল।

কিন্তু হঠাৎ পিছন থেকে ডাক এলো, ইসফাক, এই ইসফাক।

আমি হতবাক।

পিছন ফিরে থাকালাম, দেখি সেই মেয়েটি। হায় হায়, মেয়েতো আমার নামও জানে!

-জী, বলুন।

-কিরে আমাকে চিনতেছ না।

-না, মানে ঠিক মনে পাড়ছে না।

-আমি অমুক, তোমার স্কুল ফ্রেন্ড।(যেহেতু মেয়েদের পর্দা মেনে চলতে হয়, তাই নাম উল্লেখ করলাম না।)

-(ভাল করে খিয়াল করে) ও...ও তুমি, সরি চিনতে পারি নাই।

-এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলা।(মেয়েদের রোগ, সুযোগ ফেলেই খোঁটা দেয়া।)

-না,মানে তুমি অনেক বড় হয়ে গেছ তো। তাই চিনতে পারিনি।

-তা, কি খবর তোমার? (তখনো কথা শেষ হয়নি, পাশ থেকে এক ছেলে তাকে ডাকতে শুরু করেছে।)

-এইতো আছি ভাল। (ছেলেটিকে লক্ষ্য করে বললাম) ও, কে?

-ও আমার বয়-ফ্রেন্ড।

(তারপর কি আর করা পরিচয় পর্ব সেরে ধীরে ধীরে আমি নিজের পথে রওনা হলাম। আর ভাবতে একটি অসমাপ্ত প্রেম কাহানীর করুণ পরিণতির কথা।)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.