নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সচল মস্তিষ্কই যখন শয়তানের কারখানা, তখন সেটাকে আর অলস ভাবে ফেলে রাখতে চাই না।

আশার বাপ

আমি নিজেকে মানুষ ভাবতে ভালবাসি। আর সেই মানুষ প্রজাতির কিছু গুণ আমি রপ্ত করেছি যার কয়েকটা আপনাদের শেয়ার করার চেষ্টা করছি মাত্রঃ১, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মাথা নষ্ট করা।২, অপরের সমালোচনা করা।৩, নিজের দোষ গুলো ছোট করে দেখা।৪, অপরের উন্নতি দেখে ঈর্ষা করা।৫, সুযোগ পেলেই অসৎ পন্থা অবলম্বন করা।৬, প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাহিদা।৭, মানুষের কান ভারী করা।৮, বিনা পরিশ্রমে অধিক সফলতা আশা করা।৯, সর্ব ক্ষেত্রে সুবিধাবাদী মনোভাব পোষণ করা।আমার এই গুণ গুলোই আমাকে আংশিক মানুষে পরিণত হতে সহায়তা করেছে।তবে কিছু পশুর সাথে আমার বেশকিছু মিল আছে,১, আমি বিড়ালের মত আরাম প্রিয়।২, পিঁপড়ার মত সঞ্চয়ে ভালবাসি।৩, গরুর মত নিরীহ আমার মন।৪, মাঝে মাঝে শিয়ালের মত পান্ডিত্ত করি।৫, প্যাঁচার মত রাত জাগতে ভাল লাগে।৬, পাখির মত স্বাধীনতা পছন্দ করি।পরিশেষে বলতে চাই, সৃষ্টি জগতে আমি একটি প্রাণী।তাই নিজেকে প্রাণী ভাবতেই ভাললাগে এর বেশি কিছু হয়ে অন্য প্রানীর সম্মানে আঘাত দিতে চাই না, হয়তো পারবও না।

আশার বাপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাস্তবতা_পর্ব-১

১০ ই মে, ২০১৪ সকাল ৭:৫৭

মানুষের জীবন বড়ই অদ্ভুত। এই হাসি এই কান্না। যেমন, গতকালের নিবেদন আজ ঝরে পড়েছে অশ্রু হয়ে। বাস্তবতার নিরিখেই ছিল সব।

>কিরে যাবে,না।ক্যান্টিনে বসে আছ কেন?

>না, মানে কই যাব?

>আমি, কিভাবে বলব কথা গুলো? এত মানুষের সামনে।

>ও হ্যাঁ, আসছি।

মোবাইলে হচ্ছিল কথা গুলো। এরপর দুজনে গেলাম পাহাড় ঘেরা রাস্তার ধারে।পাশাপাশি বসে আছি। আমি জানি সে আমায় অনেক ভালবাসে। অনেক পছন্দ করে। চায়, হয়তোবা মন থেকে। কিন্তু বাস্তবতার কাছে সে বারবার হার মেনে যায়। একটু রিস্ক সে নিতে পারে না। ভয় পায়।

>তোমাকে আমি আসলে কিভাবে কথা গুলো বলব বুঝছি না। আসলে, আসলে এটা হয় না।... ...

(কাঁপা কাঁপা কন্ঠে সে বলে যাচ্ছে কথা গুলো। আমি নিশ্চুপ শ্রোতা। আমি বুঝতে পেরেছি সে কি বলছে। হ্যাঁ সে বলেছে, বলছে, বলবে, কিন্তু এটা তার মনের কথা না। মনকে সে অনেক প্রশ্ন করেছে। কিন্তু মন তাকে যে উত্তর দিয়েছে তা সে নেয় নি। নিয়েছে বিবেকের উত্তর। মন আর বিবেকের মাঝে যে একটা ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক আছে তা সে বুঝতে পারেনি।)

-আসলে দেখ, আমার ফ্যামিলি। আমি আমার ফ্যামিলিকে কষ্ট দিতে পারব না।আমি আসলে কথা গুলো গুছিয়ে বলতে পারছি না।

(এরপর কোন কথা আমার কানে প্রবেশ করে নি।হয়তো শ্রবণ ইন্দ্রেয় নিজেই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।ক্ষণিকের জন্যে সে তার কাজের কথা ভুলে গিয়েছিল। হয়তো সেও বলতে চেয়েছ, “তুই যে কথা গুলো বলছিস তা একবার আয়নার সামনে গিয়ে বল। সব কথা বিপরীত হয়ে তোর চোখে ভেসে উঠবে”।

হ্যাঁ সেটাই ছিল। কথা গুলো সে মন থেকে বলেনি। সামান্য অভিনয় করেছে। আর আমি অপরিপক্ষ একজন। জীবনের বিশেষ মুহুর্তে এসে সব বুঝেও কিছু বলতে পারি নি।চোখের কোণায় জমা হওয়া জল, সে না বুঝে মত মুছে নিয়েছি।

আমি খুব অল্প সময়ই আহত হই। বিশেষ ভাবে বলতে গেলে, আহত হবার মত তেমন কোন উপলক্ষ আমি আজো তৈরি করতে পারিনি।তাই আজও আহত হতে পারিনি।হয়তোবা হয়েছি।হয়তোবা ব্যাথাটা হাঁড়ে লেগেছে।তাই বাহির থেকে দেখা যাচ্ছে না।)

মুখে মৃদু কৃত্রিম হাসি এসেছে আমার।

>হ্যাঁ, আসলে তুমি ঠিক বলেছ। আমার ভুল হয়েছে।আসলে অনেক চেষ্টা করেছি না বলার।কিন্তু আপেক্ষিক গতিতেও সব যেন দ্রুত হয়ে গেল। আসলেই লক্ষহীন জীবনে পরিনামহীন ভালবাসা মানায় না। তাই এর আগাছা জন্মানোর আগে ধ্বংস করা উচিত।

এরপর কিছুক্ষণ নীরবতা গ্রাস করেছিল।তারপর আবারও লক্ষহীন পথে হেঁটে চলা। কিছুটা ধীরে, কিছুটা দ্রুত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.