নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা প্রস্তুতি বিষয়ক একমাত্র ব্লগ

ওয়াজীহ উদ্দীন

ওয়াজীহ উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রচনা: বাংলাদেশের পাখি

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪০

প্রবন্ধ রচনা  বাংলাদেশের পাখি

ভূমিকা: বাংলাদেশের অপরূপ প্রকৃতির এক অপূর্ব উপহার পাখি। এ দেশের মানুষ পাখির ডাকে ঘুমিয়ে পড়ে আবার পাখির ডাকে জাগে। বিভিন্ন ঋতুতে বাংলাদেশে নানা রকম পাখি দেখা যায়।

পরিচিত পাখি: আমাদের চেনা-জানা পাখির সংখ্যা অনেক। দোয়েল, কোকিল, ময়না, টিয়া, কাক, পায়রা, চিল, মাছরাঙা, কাকাতুয়া, বাবুই, কাঠঠোক্রা, চড়ুই, টুনটুনি, বুলবুলি, বউ কথা কও, শালিক, ঘুঘু, বক—এসব আমাদের খুব পরিচিত পাখি।

বিভিন্ন পাখির বর্ণনা: পাখি অনেক রকমের আছে। এদের মধ্যে গানের পাখি, শিকারি পাখি, রাতের পাখি, ঝিল-পুকুরের পাখি, শীতের পাখি ও পোষা পাখি উল্লেখযোগ্য।

গানের পাখি: গানের পাখির মধ্যে অন্যতম দোয়েল। গরমের দিনে ঘরের পাশে, লেবুর ডালে, ডালিম শাখায় দোয়েল মনের সুখে গান করে। দোয়েলের মতো গানের গলা খুব কম পাখিরই আছে। শীতের সময় দোয়েল গান করে না। দোয়েল আমাদের জাতীয় পাখি। শীতের শেষে বসন্ত ঋতুর আগমনীবার্তা নিয়ে আসে কোকিল। কোকিলকে তাই বলা হয় বসন্তের দূত। দেখতে কালো হলেও কোকিলের গানের গলা খুবই মিষ্টি। কোকিলের ‘কুউ-কুউ’ ডাক গানের চেয়েও মধুর। কোকিল কখনো মাটিতে নামে না।

গানের পাখির মধ্যে সবচেয়ে ছোট টুনটুনি। দেখতে ছোট হলেও টুনটুনির গানের গলা বেশ মিষ্টি আর জোরালো। টুনটুনি বেশিক্ষণ উড়ে বেড়াতে পারে না। শ্যামা, বুলবুলি, বউ কথা কও এরাও খুব সুন্দর গানের পাখি।

শিকারি পাখি: মাছরাঙা, বাজপাখি, শকুন, চিল, বক—এসব শিকারি পাখি। মাছরাঙা পুকুর পাড়ে মাটির গর্তে বাস করে আর সুযোগ বুঝে পানিতে টুপ করে ডুব দিয়ে ছোট মাছ ধরে খায়। বাজ আর চিল আকাশের অনেক উঁচুতে উড়ে বেড়ালেও দৃষ্টি থাকে নিচে। সুযোগমতো এরাও ছোঁ মেরে মুরগির ছানা ও অন্যান্য ছোট প্রাণী নিয়ে গাছের ডালে বসে খায়। বক দল বেঁধে আকাশে উড়ে বেড়ায়। আবার খাবার সময় হলে ঝিল-পুকুরের পাড়ে বসে মাছ ধরে খায়।

রাতের পাখি: পেঁচা আর বাদুড় রাতের পাখি। এরা দিনের বেলা বের হয় না। পেঁচা বিভিন্ন পোকামাকড় ও ইঁদুর খেয়ে থাকে। বাদুড় গাছের ফল খায়।

ঝিল-পুকুরের পাখি: পানকৌড়ি, হাঁস, সারস, কোঁড়া—এসব ঝিল-পুকুরের পাখি। এরা ঝিল-পুকুরের পানিতে চরে বেড়ায় আর শামুক, ছোট মাছ ও জলের পোকামাকড় খেয়ে থাকে।

পোষা পাখি: ময়না, টিয়া, কাকাতুয়া, শ্যামা, শালিক, ঘুঘু, পায়রা—এসব পাখি ঘরে পোষা যায়। পোষা পাখির মধ্যে ময়না সবচেয়ে মজার পাখি। শিখিয়ে দিলে পোষা ময়না মানুষের মতো কথা বলতে পারে এবং মানুষের অনুকরণে নানা রকম শব্দ ও গান করতে পারে। ময়না কালো রঙের পাখি। তবে গলার কাছে একটি হলদে রেখা আছে। টিয়ে পাখির পালক হলদে শ্যামল, ঠোঁট লাল রঙের। শালিক, ঘুঘু ও কবুতর খুবই নিরীহ পাখি।

গৃহপালিত পাখি: মুরগি-হাঁস গৃহপালিত পাখি। এসব পাখি বাংলাদেশের প্রায় সব ঘরে দেখতে পাওয়া যায়। হাঁস ও মুরগির ডিম আমাদের খুবই প্রিয় খাবার।

উপসংহার: পাখি বাংলাদেশের প্রকৃতির এক মূল্যবান সম্পদ। শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও পাখির ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রয়োজনে পাখিসম্পদ সংরক্ষণ করা উচিত।

এ রচনার অনুসরণে লেখা যায়: আমার চেনা পাখি, কয়েকটি পরিচিত পাখি

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪৯

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: পাখি নিয়ে আপনার লেখাটি মাশাআল্লাহ খুব ভাল হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.