![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রশ্ন: হাতিটা বনে ঢুকে কী ধরনের আচরণ করেছিল?
উত্তর: হাতিটা বনে ঢুকে তুলকালাম কাণ্ড বাধিয়ে দেয়। বনে ঢুকে প্রথমেই সে গলা ফাটিয়ে একটা প্রচণ্ড হুঙ্কার দিল। সেই হুঙ্কারে থরথর করে কেঁপে উঠেছিল পুরো বন। শুধু তা-ই নয়, হাতিটা এমন ভাব করতে শুরু করেছিল, যেন সে-ই বনের রাজা। পাখি, ইঁদুর, গুবরে পোকার দল এমনকি অমিত শক্তিধর সিংহ ও থাবা উঁচিয়ে চলা বাঘও হাতিটার এই আচরণে ভয়ে তটস্থ ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছিল।
প্রশ্ন: হাতির আস্তানায় ঢুকে শেয়াল হাতিটাকে কীভাবে কী বলেছিল?
উত্তর: হাতির অত্যাচারে বনের সবাই ভীত, তটস্থ ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। সিংহ, বাঘ, ভালুক, বানর, হরিণ ও বনবিড়ালের পরামর্শে বুদ্ধিমান শেয়ালকে এই বিষয়ে একটা ব্যবস্থা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়, সেই অনুযায়ী একদিন শেয়াল ভয়ে ভয়ে হাজির হয় হাতির আস্তানায়।
হাতির আস্তানায় ঢুকে শেয়াল লেজ গুটিয়ে, হাঁটু মুড়ে প্রথমে হাতিকে সালাম দিল। তারপর বলল, আপনি তো বনের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রাণী। আপনিই আমাদের রাজা। বনের সব প্রাণীই এ কথা জানে। ওই দেখুন, নদীর ওপারে সবাই উদ্গ্রীব হয়ে বসে আছে। আপনাকে রাজা হিসেবে বরণ করে নিতে চায়।
প্রশ্ন: অহংকারী ও অত্যাচারীর পরিণাম শেষ পর্যন্ত কী হয়?
উত্তর: বলা হয়ে থাকে অহংকার পতনের মূল, অত্যাচারীর পরিণামও হয়ে থাকে ভয়াবহ। অহংকারী ও অত্যাচারীকে কেউ পছন্দ করে না। তার বিপদে কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসে না।
‘হাতি আর শেয়ালের গল্প’ থেকে এই কথাগুলো আরও স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। গল্পের হাতিটা ছিল বিশাল দেহের অধিকারী। শক্তিও ছিল প্রচণ্ড। এই শরীর আর শক্তি নিয়ে তার যত অহংকার। বনের পশুদের ওপর তার অত্যাচারও ছিল নজিরবিহীন। নিরীহ প্রাণীদের শুঁড়ে জড়িয়ে দূরে ছুড়ে ফেলা কিংবা পায়ের তলায় পিষে ফেলা তার নিত্যনৈমিত্তিক কাজ ছিল। অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে বনের সব প্রাণী। একসময় বনের পশুরা এই অত্যাচারের প্রতিকার করার জন্য পরামর্শ করে। সিদ্ধান্ত অনুসারে শেয়াল কৌশলে হাতিকে নদীতে ডুবিয়ে শাস্তি দেয়। কাজেই বলা যায়, অহংকারী ও অত্যাচারী সাময়িক সুবিধা ভোগ করলেও শেষ পর্যন্ত তার পরিণাম হয় ভয়াবহ।
©somewhere in net ltd.