![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাঠ্যবই সম্পৃক্ত প্রশ্নোত্তর
প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ বাংলা পাঠ্যবই থেকে ‘বীরের রক্তে প্রতিষ্ঠিত দেশ’ নিয়ে আলোচনা করব।
প্রশ্ন: বিপরীত শব্দ লেখো: দুরন্ত, অসীম, স্বাধীনতা, সুনাম, বীর, জয়, জীবন, পরবর্তী।
উত্তর:
প্রদত্ত শব্দ বিপরীত শব্দ
দুরন্ত শান্ত
অসীম সসীম
স্বাধীনতা পরাধীনতা
বীর ভীরু
সুনাম দুর্নাম
জয় পরাজয়
জীবন মরণ
পরবর্তী পূর্ববর্তী
প্রশ্ন: জাতীয় দিবসগুলোর পাশে তারিখবাচক শব্দ লেখো:
(ক) শহীদ দিবস (খ) স্বাধীনতা দিবস
(গ) বাংলা নববর্ষ
(ঘ) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
(ঙ) বিজয় দিবস।
উত্তর:
(ক) শহীদ দিবস -২১ ফেব্রুয়ারি
(খ) স্বাধীনতা দিবস - ২৬ মার্চ
(গ) বাংলা নববর্ষ - ১ বৈশাখ/১৪ এপ্রিল
(ঘ) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস - ১৪ ডিসেম্বর
(ঙ) বিজয় দিবস -১৬ ডিসেম্বর
প্রশ্ন: নূর মোহাম্মদ শেখ কীভাবে শহীদ হলেন?
উত্তর: ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। যশোরের গোয়ালহাটি গ্রামে টহল দিচ্ছিলেন পাঁচ মুক্তিযোদ্ধা। তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ। পাকিস্তানি সেনারা টের পেয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান। রাজাকারদের সহায়তায় তিন দিক থেকে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের ঘিরে ফেলে। প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত হন নূর মোহাম্মদের সহযোদ্ধা অসীম সাহসী নান্নু মিয়া। নূর মোহাম্মদ নান্নু মিয়াকে এক হাতে কাঁধে তুলে নিয়ে অন্য হাতে কৌশলে গুলি চালাতে থাকেন। একসময় হঠাৎ মর্টারের একটা গোলা এসে লাগে তাঁর পায়ে। চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায় তাঁর পা। মৃত্যু আসন্ন বুঝতে পেরে তিনি সঙ্গী মুক্তিযোদ্ধা সিপাহি মোস্তফাকে নির্দেশ দিলেন আহত নান্নু মিয়াকে নিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে। আর নূর মোহাম্মদ মোস্তফার রাইফেল দিয়ে যতক্ষণ সম্ভব গুলি চালাতে চালাতে শহীদ হলেন। নিজের জীবন তুচ্ছ করে নূর মোহাম্মদ শেখ সেদিন এভাবে শহীদ হয়ে রক্ষা করেন মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন।
প্রশ্ন: নূর মোহাম্মদ শেখের কী ইচ্ছা ছিল?
উত্তর: দুরন্ত কিশোর নূর মোহাম্মদ শেখ। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। নাটক, থিয়েটার আর গানের প্রতি ছিল তাঁর প্রবল অনুরাগ। তাই শৈশবে তাঁর ইচ্ছা ছিল একজন সংস্কৃতিকর্মী হওয়ার।
প্রশ্ন: নূর মোহাম্মদ শেখের জীবন কীভাবে বদলে গেল?
উত্তর: বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান দুরন্ত নূর মোহাম্মদ শেখ। নাটক, থিয়েটার আর গানের প্রতি ছিল তাঁর প্রবল অনুরাগ। ইচ্ছা ছিল ভবিষ্যতে হবেন একজন সংস্কৃতিকর্মী-নাট্যকর্মী কিংবা সংগীতশিল্পী কিন্তু ওই কিশোর বয়সেই তাঁর বাবা-মা মারা গেলেন। এরপর তার জীবন বদলে গেল। যোগ দিলেন ইপিআর, অর্থাৎ ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসে। একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধ আবার বদলে দিল সবকিছু। তিনি যোগ দিলেন মুক্তিযুদ্ধে।
প্রশ্ন: সিপাহি মুন্সী আবদুর রউফের যুদ্ধের ঘটনাটা লেখো?
উত্তর: আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যে সাতজন শ্রেষ্ঠ সৈনিক বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি পেয়েছেন, সিপাহি মুন্সী আবদুর রউফ তাঁদেরই একজন। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের মহালছড়ি এলাকায় যুদ্ধরত ছিলেন। ১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি নৌসেনাদের ওপর আক্রমণ করার জন্য মহালছড়ির কাছে বুড়িঘাট এলাকার চিংড়ি খালের দুই পাশে অবস্থান নেন। পাকিস্তানি সেনারা সাতটি স্পিডবোট আর দুটি মোটর লঞ্চ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ করতে এগিয়ে আসে। আবদুর রউফ হালকা একটা মেশিনগান দিয়ে গুলি ছুড়ে শত্রু সেনাদের রুখে দিতে থাকলেন। আর সহযোদ্ধাদের নিরাপদে সরে যেতে বললেন। সেই যুদ্ধে পাকিস্তানিদের সাতটি স্পিডবোটই ডুবে গেল এবং মারাও গেল পাকিস্তানি অনেক সেনা। বাকি লঞ্চ দুটি থেকে গোলাবর্ষণ করতে করতে পাকিস্তানি সেনারা পিছু হটতে থাকে। কিন্তু হঠাৎ একটা গোলা এসে পড়ল তার গায়ে। তিনি শহীদ হলেন। বীরের পবিত্র রক্তস্রোতে রঞ্জিত হলো মাটি। রাঙামাটির বোর্ড বাজারে অন্তিম শয়ানে শায়িত আছেন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ। তিনি আমাদের গৌরব।
©somewhere in net ltd.