নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
ভারত-বাংলাদেশ সমুদ্রসীমা নিয়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায় বিশ্লেষণ করে ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, বঙ্গোপসাগরে এক্সকুসিভ ইকোনমিক জোনের বাইরে ভারতের কর্তৃত্ব এই রায়ে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং সেটা স্ট্র্যাটেজিক দৃষ্টিকোণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তবে বিতর্কিত দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপটি রায়ে ভারতের দিকে পড়লেও তার আলাদা কোনো তাৎপর্য নেই বলেই তারা মনে করছেন।সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চার দশকের পুরনো বিবাদের নিষ্পত্তি করে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল তাদের রায় দিয়েছে গত মাসের গোড়ার দিকে। সাগরে এক্সকুসিভ ইকোনমিক জোন বা ইইজেড-এর যে অংশটা নিয়ে বিরোধ ছিল, তার বেশিটা বাংলাদেশের দিকে পড়েছে ঠিকই, কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রায় খুঁটিয়ে পড়ে ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তার বাইরে সাগরের বড় অংশে এই রায় ভারতের পক্ষেই গেছে।জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার মেরিন শাখায় সাবেক ডিজি বিজন কুমার সাহা বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বিবিসিকে বলছিলেন, ‘সমুদ্রসীমার রেখাটা যেহেতু ১৭৭ ডিগ্রি ৩০ মিনিট বরাবর সোজা টানা হয়েছে- কোনো ডানদিক বাঁদিক করা হয়নি- তাই ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত ইইজেডে বাংলাদেশ তাদের দাবির অনেকটাই পেয়েছে, তবে তার বাইরে কিন্তু তারা বিশেষ কিছুই পায়নি।’‘ইইজেডে-র বাইরে এই অংশটায় বাংলাদেশ চেয়েছিল সীমারেখাটা টানা হোক আরো পশ্চিম ঘেঁষে, ২১৪ ডিগ্রিতে, কিন্তু তা হয়নি। তা ছাড়া দক্ষিণে ভারতের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ আর পূর্বে মিয়ানমার থাকায় ইইজেডে-র বাইরে বাংলাদেশের এলাকা খুবই সঙ্কুচিত হয়ে গেছে, অন্যদিকে ভারতের স্বার্থ সুরতি হয়েছে,’ বলছিলেন সাহা।অর্থাৎ বঙ্গোপসাগরের বেশির ভাগ অংশে ভারতের কর্তৃত্ব এই রায়ে নিশ্চিত হয়েছে, তাই স্ট্র্যাটেজিক দৃষ্টিতেও এই রায়ে ভারত খুশি। তবে হাড়িয়াভাঙা নদীর মোহনার কাছে দক্ষিণ তালপট্টি তথা নিউ মুর আইল্যান্ড দ্বীপটি ভারতের দিকে পড়লেও সমুদ্রসম্পদের দিক থেকে একে আলাদা গুরুত্ব নারাজ দিতে বিশেষজ্ঞরা।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমুদ্রবিদ্যা বিভাগের প্রধান ড: সুগত হাজরা বলছেন, বঙ্গোপসাগরের উত্তরভাগে তেল বা প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। কারণ সেখানে উপকূলে ম্যানগ্রোভ অরণ্য আছে। তবে সেটা আছে সীমান্তের দুদিকেই, ফলে ভারত-বাংলাদেশ দুদেশই তাতে লাভবান হতে পারে, যদিও এখন পর্যন্ত ওই অঞ্চলে অনুসন্ধান খুব কমই হয়েছে।শুধু হাইড্রোকার্বনই নয়, সীমানা নির্ধারণের পর ইলিশ-পমফ্রেট-সার্ডিনের মতো দামী মাছ আহরণের সুযোগও বাড়বে দুদেশেরই। তবে তালপট্টি কোন দিকে গেল তাতে খুব একটা কিছু আসবে-যাবে না বলেই তাদের ধারণা।সার্বিকভাবে এই রায় প্রতিবেশীসুলভ সৌহার্দ্যেরই দৃষ্টান্ত, সম্প্রতি বিবিসি বাংলার এক প্রশ্নের জবাবে মন্তব্য করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মুখপাত্র সৈয়দ আকবরউদ্দিন বলেন, ‘দুই পক্ষই ট্রাইব্যুনালে গেছে, তাদের রায় মেনে নিয়েছে এবং এখন দুই দেশই চেষ্টা করছে এই রায়ের ভিত্তিতে কিভাবে সহযোগিতার নতুন নতুন পথ খোলা যায়। ফলে এই রায়কে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্কের আলোতেই দেখছি- সাদা-কালোয় বিচার করছি না।’জেতাহারায় না-গেলেও ভারত মনে করছে, এই রায়ে তাদের কোনো লোকসান তো হয়ইনি- বরং লাভই হয়েছে। কারণ এতদিন থমকে থাকার পর এক্সকুসিভ ইকোনমিক জোনে নানা কর্মকান্ড যেমন এবার শুরু করা যাবে, তেমনি তার বাইরেও বঙ্গোপসাগরে ভারত জানান দিতে পারবে তাদের স্ট্র্যাটেজিক উপস্থিতি
সূত্র : বিবিসি।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৯
কলাবাগান১ বলেছেন: এই সরকারের কোন অর্জনকে ছোট করতে আপনাদের মত লোক রা এখন ভারতীয়দের কথাকে ই বিশ্বাস করবেন আর এই আপনারাই এই ভারতীয়দেরকে (যেহেতু হিন্দু) কোন ভাবেই বিশ্বাস করা যায় না বলে বুলি ছাড়েন...।
আপনাদের উদ্দেশ্য যে সেটা বলতে হবে না যেখানে সবাই বলছে বাংলাদেশই লাভবান হয়েছে ~৭৯% চাওয়া জায়গা বাংলাদেশ পেয়েছে (বিবিসির ওয়েব সাইট টা দেখে নিয়েন), এখন ভারতীয় রা যারা এখন নিজেদের মুখ রক্ষা করার জন্য খুশী হওয়ার ভান করছে, সেই ভানকে নিয়ে খুশী হয়ে গেলেন। আমার মতে তো ভারত একুল ওকুল দুকুল ই হারিয়েছে
Click This Link
তালপট্টি নিয়ে তো আপনারা বলছিলেন ওরা সব নিয়ে নিল তাহলে এখন তাদের মুখেও কেন এই কথা....।