নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

২০৭০ সালের পর বিশ্বের প্রথম হবে ইসলাম, ২য় হবে খ্রিষ্টান

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:২৯

সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, ২০৭০ সালের পর ইসলাম ধর্ম বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থানটি অর্জন করবে, তারপর যথাক্রমে দ্বিতীয় স্থানে খ্রিষ্টান, ৩য় স্থানে হিন্দু ও ৪র্থ নাস্তিকদের অবস্থান। গবেষণায় বিশ্বের ১৭৫টি দেশের ২ হাজার ৫০০ জরিপ থেকে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে এই বিশ্লেষণ করেছে পিউ, অর্থাৎ বিশ্বের বর্তমান মোট জনসংখ্যার ৯৫ ভাগ এই গবেষণার আওতায় এসেছে। ধর্মান্তরকরণের হারের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাদ পড়েছে শুধু ভারত আর চীনের মতো বৃহত্তর জনসংখ্যার দেশ দুদটি।বৃহস্পতিবার প্রভাবশালী মার্কিন পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমসের সহ-প্রকাশনা দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের সংখ্যা হৃাস পাবে এবং বৌদ্ধদেরকে ছাড়িয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে আসবে নাস্তিকরা! অপরদিকে, ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বে খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বী ও ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা প্রায় সমান হয়ে যাবে।পিউ রিসার্চ সেন্টারের বিশ্লেষণে দেখাযায়, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধর্মের বিকাশের গতি, জন্মহা, তরুণ জনগোষ্ঠির মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা এবং ধর্মান্তরকরণের হার বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে যে বর্তমানে ইসলামই সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম। আর এই হার অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালেই ইসলাম খ্রিষ্টান ধর্মের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে বলে গবেষণাটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছে।২০১০ সালের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ২১৭ কোটি খ্রিষ্টানের বিপরীতে বিশ্বের ১৬০ কোটি মানুষ ইসলাম ধর্মানুসারী ছিল।আর গবেষণায় তথ্য বলছে ২০৫০ নাগাদ এই সংখ্যা দাঁড়াবে, খ্রিষ্টান ২৯২ কোটি এবং ইসলাম ২৭৬ কোটি। যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার যথাক্রমে ৩১.৪ এবং ২৯.৭ শতাংশ। হিন্দু হবে তৃতীয় বৃহত্তম, ১৪.৯ শতাংশ। এরপরেই সবচেয়ে বড় অংশটি কোনো ধর্মই অনুসরণ করেন না এমন মানুষদের (নাস্তিক)। নাস্তিক থাকবে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার শতকরা ১৩.২ ভাগ নিয়ে চতুর্থ স্থানে থাকবেন।বৌদ্ধ ধর্ম একমাত্র ধর্ম যার অনুসারীরা এই সময়ের মধ্যে সংখ্যায় বাড়বে না। এর কারণ হিসেবে দীর্ঘায়ু এবং কম জন্মহারকে চিহ্নিত করা হয়েছে।ইউরোপ এবং আমেরিকা উভয় অঞ্চলেই খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা হ্রাস পাবে। যুক্তরাষ্ট্রে এই হার তিন চতুর্থাংশ থেকে দুই তৃতীয়াংশে নামবে। ইউরোপের ১০ শতাংশ মানুষের ধর্ম হবে ইসলাম। অন্যদিকে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সে বাড়বে নাস্তিকদের সংখ্যা।যুক্তরাষ্ট্রে অখ্রিষ্টীয় ধর্ম হিসেবে ২০৫০ নাগাদ ইসলাম জনপ্রিয়তায় ইহুদিবাদকে ছাড়িয়ে যাবে বলে বলছে গবেষণাটি।গবেষণাটি আরও বলছে, ২০৫০ সালে ইন্দোনেশিয়াকে হটিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হবে ভারত, তবে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতা তখনও থাকবে দেশটিতে। মূলত এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাবে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা।তবে গবেষণাটি বলছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বড় ধরণের সামাজিক, অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক পরিবর্তন, সশস্ত্র যুদ্ধ, ইত্যাদি বিষয়গুলো এই স্বাভাবিক প্রবণতাকে ব্যাহতও করতে পারে।আর তা না হলে, ২০৫০ সাল নাগাদ এমনটাই হবে বিশ্বের ধর্মভিত্তিক ভূগোল।
-সূত্র.দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.