নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপূর্ণতা......আর অতৃপ্তি......

ভেজা চশমা

ভেজা চশমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

খন্ডিত মনের একীভূত মিলন

১১ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:০৯

........................................................................................................................................................................................................................................................প্রথম দুই তিন দিন আমি ওকে খুব ভালভাবে ফীল করতে পারতাম না। তাই আয়নার উপরে চুমু খেতাম, কোলবালিশকে ধরে তাকে কল্পনা করতাম। কিন্তু এরপর আস্তে আস্তে আমি নিজের মাঝে নায়লার অস্তিত্ব অনুভব করতে শুরু করি। আমি যখন তার গালে চুমু খাই- আমি আমার ঠোঁটে অনুভব করি তার নরম গালের ছোঁয়া, আর গালে অনুভব করি আমার নিজের ঠোঁট। আমি তার ঠোঁটে চুমু খাই- আর অনুভব করি দ্বিগুণ এক অনুভূতি, বহুগুনে বিবর্ধিত এক উত্তেজনা। আমি বুঝি সে কি চাচ্ছে, সে বুঝে আমি কি চাচ্ছি। আমি যা চাই, সে তাই-ই করে, সে যা চায়, আমিও তাই-ই করি- পরস্পরকে চুড়ান্ত পর্যায়ে তৃপ্ত করতে পারতাম আমরা। আর আমার আর নায়লার তো আর আলাদা কোন শরীর নেই। তাই সবটুকু অনুভূতি পেত আমার এই শরীরটাই। আমি তার যুবতী স্তনে মুখ ঘষতাম- আর আমার সুডৌল স্তনে মুখ ঘষতে থাকতো খোঁচা খোঁচা দাড়ি অলা এক যুবক... আমি দুটোর স্বাদই পেতে থাকতাম- একই সাথে, একই শরীরে। আমি যখন তার সাথে মিলিত হই- আমার নারীদেহের ভেতরে প্রবেশ করে কোন এক পুরুষ, আর আমি প্রবেশ করি কোন এক নারীর দেহে... উফফফফ... এতটা সুখের জন্য মানুষ আসলে তৈরী না- আমি বুঝেছিলাম ওর সাথে কাটানো আমার প্রথম রাত্রিতে- আমাদের প্রথম মিলনে। এতটা মাতাল করা সুখ, এত তীব্র কামনা, এতটা গভীর আবেগ, এতটা জ্বালাময়ী অনুভূতি- আমি নিতে পারিনি সেদিন। হৃৎপিণ্ডের ঝাঁকুনিতে, দেহের সর্বোচ্চ কাঁপুনিতে আমি চলে গিয়েছিলাম অন্য কোন বাস্তবতায়- মিলনের চুড়ান্ত মুহুর্তে আমার চোখের সামনে খুলে গিয়েছিল উজ্জ্বল একটা দরজা। আমি সংজ্ঞা হারিয়েছিলাম সেদিন। আবার হারাইও নাই। নিজের এই অপুর্নাঙ্গ শরীরের উপর থেকে সম্পুর্ণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমি ভেসে গিয়েছিলাম সেদিন- সেই প্রকান্ড দরজা পার হয়ে ভেসে গিয়েছিলাম কোন এক গমক্ষেতের উপর দিয়ে... শীতল বাতাস আর অতুলনীয় তৃপ্তিতে ভিজে গিয়েছিল আমার মন। আমি গলে পড়েছিলাম ফোঁটায় ফোঁটায় – ঐ গমক্ষেতের উপর। আমি টের পাচ্ছিলাম নিজের শরীরের ঝড়ে পড়া প্রতিটি ফোঁটাকে- আমার অস্তিত্ব ছিল সেই প্রতিটি ফোঁটায়। ওরা বাতাসে ভর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল- আমি উড়ে যাচ্ছিলাম শত সহস্র আলাদা আলাদা কণিকা হয়ে- বাতাসে ভর দিয়ে- দক্ষিনের দিকে। আমার দেহের প্রতিটি অনু অনুভব করছিল সেই বাতাসটাকে। ভেসে যাচ্ছিল দক্ষিণের সমুদ্রের দিকে- আমি দেখিনি। কিন্তু আমি জানতাম ওদিকে সমুদ্র আছে ।
আমি সমুদ্র তীরে পৌছানোর পর সেখানে বৃষ্টি নামে- আমার শরীরের বৃষ্টি। আমার প্রতিটি শরীর এক এক করে শীতল হয়ে ঝড়ে পড়তে থাকে ওই নীল পানিতে... পানিতে শব্দ হচ্ছিল আমার শরীর ঝড়ে পড়ার- টুপ...টুপ...টুপ...টুপ... প্রবল ক্লান্তিতে আমি চোখ মুদি। চোখ মুদে আমার বাকি শরীরেরাও... আমি আমার শরীরে অনুভব করতে থাকি নিজের শরীরের বৃষ্টি—নিজের দেহের শীতল সব ফোঁটা... .............................................................................

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.