![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখক পাওয়া যাচ্ছে না তাই আমিই লেখক...
উদাসীন পৃথিবীতে স্বপ্ন দেখার কোন মানে হয় না যেখানে জীবন নাশের ঘন্টা বাজার সময় অনির্দিষ্ট । আসলেই কি অনির্দিষ্ট ঠিক তা নয় নির্দিষ্ট তবে ক্ষণ অজানা । তাই বলে আশা করতে মানা নেই যে এক যুগ অথবা এক শতাব্দি বেঁচে থাকার । এই আশা করাটার একটা বড় গুণ আছে তা হলো যে কোন কিছু প্রাপ্তিতে তৃপ্তি মেলে । কিন্তু ভালো তৃপ্তি কিংবা খারাপ তৃপ্তি পাওয়া সম্পূর্ণ নির্ভর করে মেনে নেওয়ার উপর । তবে এইজন্য ‘জীবন’কে কোনভাবেই দোষারোপ করা যাবে না কারণ সে ঘন্টা বাজার আগ পর্যন্ত বেঁচে থাকার সুবিধা দেয় বলা যায় একটা প্যাকেজ । তাই ‘আমার জীবন এমন কেন ?’ এই প্রশ্নোবোধক উক্তি দাঁড় করানো যুক্তিহীন । আবার সময়কেও গালি দেওয়া যাবে না কারন সে নিজের কাছে নিজেই প্রতিনিয়ত হারছে ।যদিও ‘সময়ের কাজ সময়ে কর’ এইরকম উপদেশ ব্যাপকভাবে প্রচলিত । কিন্তু এরও একটা অন্যরকম ব্যাখ্যা আছে তা হলো ‘সময় যেহেতো নিজেকে নিজেই ধরে রাখতে পারে না সেখানে জীবনকে ধরে রাখার ব্যাপারটা ‘শূন্যতা’ । তাই বুঝতে হবে সময়ের অপারগতার কারণ সিদ্ধ করতেই এই উপদেশ ।
মৃত্যু । সে তো জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ যাহাকে ছাড়া জীবনের সমাপ্তি সম্ভব নয় । মৃত্যু যেকোন সময় ঘটার একটি ঘটনার নাম । আয়নায় মুখ দেখে নিজেকে নায়কের মত ভাবতেই মৃত্যু আনন্দ নৃত্য করতে পারে । আবার চুরি কিংবা ডাকাতির চিন্তা করতেই হঠাৎ মৃত্যু এসে যেতে পারে । যদিও খারাপ কাজে লিপ্ত হতে অনেকেই চায় কিন্তু খারাপ কাজের অন্তর্ভুক্তিকালে কেউই মরতে চায় না ।এমনও হতে পারে, অতি আনন্দের মুহুর্তেও যে কারো জন্য মৃত্যুর হাতছানি চলে আসতে পারে । ইদানিং সেলফি তোলার সময়ও অনেকের মৃত্যু ঘরে এসে হাজির হয়েছে মিডিয়া সাক্ষী ।আবার কেউ কেউ মৃত্যুকে আয়োজন করেও ডেকে এনেছে তার উদাহরনও কম নয় । যদিও বলা হয়ে থাকে মৃত্যু এত সহজ ব্যাপার নয় কিন্তু কাঙ্খিত, অনাকাঙ্খিত এবং নিমন্ত্রিত মৃত্যু অহরহই ঘটছে, আগে-পিঁছে সবজায়গাতেই ।তথাপি দিব্বি জীবনের গান গেয়ে যাই হয়তো মরতে ইচ্ছে করে না বলেই সান্তনা খুঁজি ।
নিজের বেঁচে থাকাকে গালি দেওয়ার লোকও নেহাৎ কম নয় । বিপর্যয়ে থাকলে মরতে চাওয়া আর সুখে থাকলে বাঁচতে চাওয়া এই সূত্রও প্রমানিত হয়ে আসছে বহু আগে থেকে । সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না, এই শব্দযুগলগুলোর মধ্যে প্রথম এবং শেষ অংশগুলো একে অন্যের সমার্থক । যারা প্রথম অংশের ভেতরে থাকে তারা মনে করে বেঁচে থাকার মধ্যেই সকল অর্থ নিহিত । আবার যারা দ্বিতীয় অংশের মধ্যে থাকে তারা মনে করে বেঁচে থাকার কোন অর্থ নেই । কিন্তু এই শব্দযুগলের মধ্যে এক অবাক সৌন্দর্য্য লুকিয়ে আছে তা হল এরা একে অন্যের পরিপূরক, একে অন্যের মাপকাঠি ।যেমন সবসময় আলো থাকলে অন্ধকার কি তা বোঝা যেত না আর সেই কারনে আলোর মর্যাদাও হানি হতো । তেমনি দুঃখ নামক শব্দটি না থাকলে সুখের অনুভূতি বোঝা যেত না । আসলে নেতিবাচক সময়গুলোর সৃষ্টি ইতিবাচক সময়গুলোকে মহিমান্বিত করার জন্য । তাই খারাপ মুহূর্তগুলোও জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ আর যেগুলো ছাড়া ভালো মুহূর্তগুলো বৃথা ।
নিজের খারাপ মুহূর্তগুলোর জন্য পারিপার্শিক অবস্থাকে দায়ী করাটাও অমূলক । কারন অন্যের স্বার্থের জন্য নিজের স্বার্থের অঙ্গহানী হওয়া যেমন সত্য তেমনি নিজের স্বার্থের জন্য অন্যের স্বার্থে আঘাত হানাটাও সত্য ।তবে কেন নিজের খারাপ অবস্থানের জন্য অন্যকে দায়ী করা ? তাহলে কি এখানেও মেনে না নেওয়ার হীনমন্যতা জড়িত? তথাপি জীবনের ভেতর একটা বোঝার জিনিস উপেক্ষিত থেকে যায় আর তা হলো ‘বাঁচার নির্দিষ্ট এই সময় গন্ডির ভেতরে যা ঘটবে সবই জীবনের অংশ’ । তাই হিসেব মেলানোর সময় একমুখীতার আশ্রয় নিয়ে হিসেবে ভুল করে ফেলা হয় ।জীবনের অংশকে ব্যতিরেখে অন্য সকল কিছু সুন্দরভাবে চালানোর ক্ষেত্রে লাভ বের করার খাতিরে ক্ষতির ঘরটাকে ভালোভাবে কষা হলেও শেষ পর্যন্ত কিন্তু লাভের ঘরটাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয় ।তবে জীবনকে সুন্দরভাবে চালানোর জন্য কেন এই হিসেবে ফেলা হয় না ? কেনইবা শুধু ক্ষতির হিসেবকে শক্তভাবে কষা হয় ? তবে কি খারাপের বান ধরে থাকাতেই স্বাচ্ছন্দবোধ ?
ভূমেরুক মাথায় একটা ছোট্ট টাওয়াল ঝুলিয়ে দেয় । এমনভাবে ঝুলিয়ে দেয় যেন দু’চোখ দিয়ে সামনে একটা খোলা দরজার মত দেখা যায় । তারপর সে তার জীবনকে দরজার ওপাশটায় রেখে ভাবতে শুরু করে । সে ভাবতে ভাবতে এই পর্যন্ত এসে পৌঁছে । সে এখন দেখছে কালো কালো কিছু ছায়া দরজা দিয়ে মাথা নিচু করে বের হয়ে যাচ্ছে । ভূমেরুক স্পষ্ট বুঝতে পারে এইগুলোই তার জীবনের এক একটা হতাশার মুহূর্ত কিন্তু তারা এখন বের হয়ে যাচ্ছে । কারন ভূমেরুক তার জীবনে বেঁচে থাকার সময়টুকু পুরোটাই মেনে নিয়েছে….
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২২
কলমের কালি শেষ বলেছেন: আমার মতেও তাই মনে হয় । মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগলো এহসান সাবির ভাই ।
ভালো থাকুন সবসময় ।
২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫৭
বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: ++
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৮
কলমের কালি শেষ বলেছেন: মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ বাড্ডা ঢাকা।
ভাল থাকবেন ।
৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:০৬
এম এ কাশেম বলেছেন: ভাল লেগেছে
শুভ কামনা।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১০
কলমের কালি শেষ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ এম এ কাশেম ভাই ।
শুভ কামনা রইল ।
৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৪
মামুন রশিদ বলেছেন: মোটামুটি ভালো লেগেছে ।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১২
কলমের কালি শেষ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভালোলাগার মন্তব্যে মামুন রশিদ ভাই ।
ভালো থাকুন ।
৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৪
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভ্রাতা আমার কাছে ঠিক গল্প মনে হল না। তবে কথাগুলো ভালো লেগেছে।
ভালো থাকবেন
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৯
কলমের কালি শেষ বলেছেন: হুম আমি দুই ক্যাটাগরিতে লিখিতো তাই এইটা গল্পে ফেলে দিয়েছিলাম । তবে এখন আর ছোটগল্প রাখিনি ।
ভালোলাগার মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ রায়হান ভাই ।
শুভ কামনা ।
৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০১
ঢাকাবাসী বলেছেন: অনেকগুলো বাক্য পড়লুম।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২০
কলমের কালি শেষ বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ ঢাকাবাসী ।
ভালো থাকুন ।
৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫
জুন বলেছেন: কলমের কালি শেষ হতে এখনো যে অনেক বাকি ।
কারণ যে কি না এত চমৎকার কথার মালাকার
+
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৯
কলমের কালি শেষ বলেছেন: অনুপ্রেরনার সুন্দর মন্তব্যে অনেক ভালো লাগলো বোন জুন ।
শুভ কামনা রইলো ।
৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
আধখানা চাঁদ বলেছেন: অপূর্ণ রায়হানের সাথে সহমত।
ছোটগল্প শব্দটা তুলে দিলেই ঠিক আছে।
কথাগুলো অনেক ভাল ছিল।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩১
কলমের কালি শেষ বলেছেন: হুম তুলে দিয়েছি ।
ভালোলাগার মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ আধখানা চাঁদ ।
ভালো থাকবেন ।
৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: কলমের কালি শেষ ,
ভালো তৃপ্তি কিংবা খারাপ তৃপ্তি পাওয়া সম্পূর্ন নির্ভর করে মেনে নেওয়ার উপর .....
ঠিক বলেছেন ।
আসলে মেনে নিতে পারলে জীবনকেও "জীবন" বলে মনে হয় ।
শুভেচ্ছান্তে ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৭
কলমের কালি শেষ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যে অনেক ভালো লাগা আহমেদ জী এস ভাই ।
ভালো থাকুন ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৭
এহসান সাবির বলেছেন: নিজের খারাপ মুহূর্তগুলোর জন্য পারিপার্শিক অবস্থাকে দায়ী করাটাও অমূলক.......
সঠিক কথা।