|
|
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঊদাসপথিক
গিরগিটি প্রাণীটা বড়ই অদ্ভুত!! ক্রমাগত রঙ পরিবর্তন করে কত সহজেই না নিজেকে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করে।
পিপ পিপ পিপ...........।
অনবরত প্রাইভেট কারটি হর্ন বাজিয়ে যাচ্ছে। অথচ এদিকে মেয়েটির যেন কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।
অগত্যা প্রাইভেট কারের যাত্রী নিজেই নেমে এলেন মেয়েটিকে রাস্তা থেকে উঠিয়ে দিতে।
-এই মেয়ে রাত বাজে ১০ টা। মরার জন্য গুলশান বাস স্ট্যান্ডটাই তোমার পছন্দ হল।
জ্বি কিছু বলছেন আমাকে?
- হ্যাঁ । ডান দিকে মোড় নিব, রাস্তা থেকে সরে দাঁড়াও।
ঠিক আছে
মেয়েটি বাস স্টান্ডে গিয়ে দাড়াতেই পিঠে মানুষের হাতের অস্তিত্ব পেল। ঘুরে দাড়াতেই আসমার মুখোমুখি।
- কি রে সীমা তুই এখনও এখানে?
হ অনেক্ষন ধরে দাড়াইয়া আছি। সুবিধামত একটা ও পাই নাই। তুই এখনও এখানে কেন? কাস্টমার পাস না?
- নারে আইজ মনে হয় মিলব না। বুইড়া একটা আইছিল। কয় ফুল টাইম ৫০০ টাকা। না কইরা দিছি। বাজারে সব মালের দাম বাড়ছে। আমাগ দাম কমব কেন।
হুম্ম। আমিও সেই সন্ধ্যা থেকে আছি। দুই পোলা আইছিল। দেইখা হিরোইঞ্ছি মনে হইছিল। ২০০০ টাকা কইছিল , না কইরা দিছি।
- প্রত্যেক বৃহস্পতিবারে বেটারা আমগোরে লইয়া টানাটানি করে। কিন্তু আইজকা কি হইল?
আসমা আইজ যেমনেই হোক আমার ৩৫০০ টাকা রুজি করতে হইব।
শনিবারে সোহেলরে হাতে দিতে হইব।
- কোন সোহেল? তোর ছোট ভাইটা।
হুম্ম।
- কেন ওরে এত টাকা দিতে হইব?
শনিবারে ওর এইচ এস সি ফরম ফিলাপের লাস্ট ডেট। ৯০০০ টাকা লাগব। ৫৫০০ টাকা ম্যনেজ করছি। এখন ৩৫০০ টাকার ঘাটতি আছে।
- ওওওওওওওও। দাড়া আরো কিছুক্ষন মালদার একটা ঠিক পেয়ে যাবি।
খাইছস কিছু?
- খাইছি একটা রুটি আর একটা কলা।
মাসের ১০ তারিখ হইছে এখন অফিসে এখনও বেতন দেয় না। প্রতি মাসে এই রকম করে। ভাবতাছি ফ্রন্ট ডেস্ক এর চাকরিটা ছেড়ে দিব।
- তোর বসটা একটা লুচ্ছা না। সেই দিন তোর অফিসে গেলাম যে আমার দিকে এমন কইরা তাকাইয়া ছিল যেন একলা পাইলে খাইয়া ফালাইব।
ওই বেটা অনেক বদ। প্রতি মাসে ২-৩ দিন বেটার লগে আমার রাত কাটান লাগে। নাইলে বেতন দিতে দেরী করে।
মনে হয় আবার বেটার লগে থাকার সময় হইছে তাই বেতন দিতাছে না।
পিপ পিপ.......।আবারো গাড়ীর হর্ন ।
দুজনে সামনে তাকতেই দেখল গাড়ীর ড্রাইইভারের সিটে বসা লোকটি তাদের ডাকছে।
- সীমা তুই যা। আমার আইজ না হইলেও চলব। সোহেলরে পরিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হইব। তুই যা।
সামনে এগিয়ে গেল সীমা।
-নাম কিরে তোর?
জ্বি মোহনা। (সীমার প্রফেশনাল নাম)
-আজ রাত আর কাল সারা দিন, সারা রাত। সাথে ডিনার আর লাঞ্ছের ব্যবস্থা আছে।
কত নিবি?
জ্বি আমারে কোথায় নিয়ে যাইবেন?
-মতিঝিলে হোটেল পুর্বানীতে।
জ্বি যামু। আমি কোন ট্যাবলেট খাইতে পারমু না। মাল চলব। ৬০০০ টাকা দিয়েন।
- নাহ আমি ৫০০০ টাকা দিমু।
ঠিক আছে যামু । এডভান্স আমারে ৪০০০টাকা দেন। দিলে আমার খুব উপকার হয়।
- এই নে ৪০০০ টাকা।
টাকা হাতে পেয়ে সীমার চোখ আর বাধ মানল না। দুই ফোটা বেরিয়ে এল।
কিন্তু কাস্টমারকে তা বুঝতে দেওয়া যাবে তাই তা তাড়াতাড়ি মুছে ফেলল।
আসমা এই ধর ৪০০০ টাকা। ৩৫০০ টাকা সোহেলরে দিবি বলবি ফরম ফিলাপ যাতে করে নেয়। আর ৫০০ টাকা মারে দিয়া বলবি বাজার আর ওষুধ কিনতে।
আমার কথা জানতে চাইলে বলবি অফিসিয়াল ট্যুরে আমি সিলেট গেছি। পরশু দিন ফিরব।
পরক্ষনেই গাড়ীতে করে হাসিমুখে সীমার পস্থান।
ভাইয়ের পরিক্ষার ফরম ফিলাপের সমস্যা সমধান করে আজ যেন তার ক্ষতবিক্ষত হওয়ার যন্ত্রনা একটু কমেই গেল।
সারকথাঃ
নিশিকন্যারা আমাদের সমাজে নিষিদ্ধ। কিন্তু তাদের এই পথে আসার ইতিহাসটা অনেক বিচিত্র। কেউ আসে জীবিকার তাগিদে আবার কেউ আসে শুধুই জৈবিক চাহিদা পুরনের তাগিদে।
বড়ই অদ্ভুত সে সব কাহিনী।
যতদিন রাষ্ট্র এই দেশের সকল নাগরিকের জীবিকার পুর্ন ব্যাবস্থা করতে না পারবে তত দিন প্রথম কারনে আসা নিশিকন্যাদের ঠেকানো যাবে না। বরং দিন দিন তা বাড়বে।
আর জৈবিক তাড়নার আসা কারনটা আমার কাছে বড়ই হাস্যকর। 
আমার আগের পোস্টটিঃ পড়েছেন গ্যাড়াকলে।সামনে এগুতে পারছেন না। গভীরতায় যাওয়ার গুরুত্বপুর্ন ছবকসমুহ। No 18+
২৩ টি 
+২/-০ ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৫
ঊদাসপথিক বলেছেন: জৈবিক তাড়নায় যারা আসে তাদের কাছে টাকাটা মুখ্য নয়। তবে তারা নিশিকন্যাদের মতই ফোনের আসায় বসে থাকে।
টাকা পেলে ছাড়ে না।
২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হুমম। লেখা টা পড়ে কেমন যেন কষ্ট হলো 
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
ঊদাসপথিক বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৫
মাক্স বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন!
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
ঊদাসপথিক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: .
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩০
ঊদাসপথিক বলেছেন:
৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩০
টানিম বলেছেন: হুম ।
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
ঊদাসপথিক বলেছেন:
৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫১
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন:
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
ঊদাসপথিক বলেছেন:
৭| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭
রবিউল ফকির বলেছেন: আমি অল্প কয়েকদিন একটা এনজিওর প্রজেক্টে একজনের সহযোগী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে এই নিষিকণ্যা আর মাধবী লতাদের সাথে মিশে কিংবা কথা বলে জানতে পেরেছি অনেক যন্ত্রনাদায়ক কথা। কেউ এসেছে প্রেম করতে গিয়ে প্রেমিক দ্বারা সর্বস্ব হারিয়েছেতো বটেই সেই সাথে সমাজের চোখে তাকে করা হয়েছে ছোট মুখ লুকুতে গিয়ে পেটের দায়ে বেছে নেয় নিশিকণ্যার পথ। কেউবা আবার পারিবারিক অভাব মিটাগে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়ে বেছে নেয় এই পথ। আবার কেউ কেউ কোন মক্ষিরাণীর খপ্পরে পড়ে হয়ে যায় নিশিকন্যা। এমন গল্প অনেক শুনেছি। পরে নিজেকে কেনযানি অপরাধী মনে হতো তাদের কাছে এইসব গল্প শুনতে কেউবা আবার আমাদের বিশ্বাস না করে বলতোনা সত্যি গল্পটি। অবশেষে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি।
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯
ঊদাসপথিক বলেছেন: আমার লেখাটা নিতান্তই কল্পনায় লেখা তবে বাস্তবতার মিল আছে।
আপনি অভিজ্জতার আলোকে লিখতে পারেন এর কারন, সমস্যা, প্রতিরোধ ,প্রতিকার এই সব নিয়ে।
৮| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮
খাটাস বলেছেন: অপ্রাসঙ্গিক কথা ঃ এমন অনেক ভাল ছেলেকেই দেখি, যারা দেশ বা ধর্ম দুইটা নিয়া ই বেশ সচতন। পতিতা দের জীবন নিয়ে আলোচনায় সত্যি ই মন থেকেই বেথিত হয়। কিন্তু মাঝে মাঝে ঠিক ই যায় কোন পতিতার কাছে। জৈবিক চাহিদা মনে হয় মাঝে মাঝে মানবতাকে ছাপিয়ে যায়।
সুন্দর গল্প , বাস্তবতা। প্লাস।
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪
ঊদাসপথিক বলেছেন: গনতান্ত্রিক দেশ, চিন্তাভাবনা গনতান্ত্রিক, কোন মতার্দর্শে নিজেকে চালাবেন সেটাও গনতান্ত্রিক।
আমাদের জাতীয় নেতারাই ভোটের আগে পতিতাদের বলেন মা আর নির্বাচিত হলে তাদের নিয়ে এমপি হোস্টেলে রাতযাপন করেন। করে ফেলেন এক রাতের বউ।
বড়ই সেলুকাস।
৯| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
তাসজিদ বলেছেন: অথচ, অদ্ভুত ব্যাপার কি জানেন, যারা বিকৃত সুখ খুঁজতে ...... গমন করে তারাই ...... ওদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।
পতিতারা নোংরা আর তাদের খদ্দেররা আরও বেশি নোংরা।
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২
ঊদাসপথিক বলেছেন: পতিতারা নোংরা আর তাদের খদ্দেররা আরও বেশি নোংরা।
কথাটি খাটি সত্য।
১০| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১
চারশবিশ বলেছেন: বেশিরভাগই এই কাজে আসে
ইচ্ছার বিরুদ্ধে
এবং সবাই সুজগ পেলে এই কাজ ছেরে দিবে
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭
ঊদাসপথিক বলেছেন: ছেড়ে দেওয়ার মত পরিস্থিতি কি তাদের জীবনে আসে ?
পেটের দায়ে যারা এ পথে আসে তারা চায় ফিরে আসতে কিন্তু পারে না।
পেটে টান পড়লে, অসুস্থ মায়ের ওষুধের টাকার দরকার পড়লে, ছোট ভাইবোনের খাবার না জোটলে আবার আবার রাস্তায় এসে দাঁড়ায়।
১১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
মামুinসামু বলেছেন: নিশিকন্যাদের প্রতি সিম্প্যাথি রইল
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১১
ঊদাসপথিক বলেছেন: 
১২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৫
আর.হক বলেছেন: কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহন প্রয়োজন
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৩
তোমোদাচি বলেছেন: জৈবিক তাড়নায় কেও এই কাজ করে তা আমার বিশ্বাস হয় না!
তারা অন্য লাইনের লোক, তারা রাস্তায় দাড়ায় না; ভদ্র নারীর মুখোশ পরে আমাদের সমাজেই বসবাস করে!!!