নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ধত্ব ও গোড়ামিত্ব পরিহার করে জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তিক জীবন গড়ি

বিবেক ও সত্য

স্রষ্টা প্রদ্ত্ত বিবেক ও বিচার-বিবেচনা শাক্তি ব্যবহার করে বুদ্ধিবৃত্তিক ও আলোকিত জীবন গড়াই সত্যিকার মানুষের আসল কর্ম

বিবেক ও সত্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি কি সত্যিই স্রষ্টার আনুগত্য করেন নাকি নিজ ধর্মের প্রতি জন্মগত প্রেমের পূজা?

০৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩

প্রত্যেক সৃষ্টিই স্রষ্টা প্রদত্ত প্রকৃতি মানতে বাধ্য।নাক দ্বার ঘ্রান নেয়া যায় আপনি চোখ দ্বার ঘ্রাণ নিতে পারবেন না- এটাই প্রকৃতি।অর্থের প্রতি লোভ জাগা এটা মানুষের প্রকৃতি।এ লোভ জাগাকে আপনি থামাতে পারবেন না, লোভ জাগবেই প্রকৃতির নিয়মে। আপনি লোভকে প্রশ্রয় দিবেন কিনা সে সক্ষমতা আপনার আছে।একটি সুন্দরী দেখলে আপনার ভিতরে যে তার প্রতি আকর্ষন জাগে এটাই প্রকৃতি, এ জাগাকে আপনি থামাতে পারবেন না, আপনি পারবেন এ কাম চাহিদা কে দমন করে নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে।প্রকৃতি বুঝার জন্য এটুকু আলোচনা করলাম।
মানুষের মধ্যে আরেকটি বিশেষ প্রকৃতি আছে যার দাসত্ব পৃথিবীর প্রায় ৯৫% মানুষ করে থাকে। সেটা হল- মানুষ যে বংশে, ধর্মের পরিবারে, গোষ্ঠিতে, দেশে জন্মগ্রহণ করে তার প্রতি তীব্র ভালবাসা ও টান অনুভব করে।পরিতাপের বিষয় মানুষ তার এ প্রেমকে দমন করে মুক্তমনে সত্যের পুজার বদলে প্রত্যেকে তার এ প্রকৃতির পূজা করে থাকে।
এবার আসি আসল কথায়। আল কুরআনের দৃষ্টিতে সত্যিকার মুসলমান বাদে বাকি সকলে জাহান্নামে যাবে।যারা মুসলমান তারা জন্মগত কারনে মুসলমান, যারা হিন্দু তারাও জন্মগত কারনে হিন্দু, যারা খ্রিষ্টান তারাও জন্মগত কারনে খ্রিষ্টান একই কারনে অন্য ধর্মাবলম্বীরাও নিজ নিজ ধর্মের অনুসারী।জন্মগত টানের পূজার দিক থেকে সব ধর্মাবলম্বীই সমান। একজন মুসলমানকে তার ধর্ম সম্পর্কে কটুক্তি করলে তার কষ্ট লাগে, এটাও তো তার প্রকৃতগত কারনে, সে তো ইসলামকে গ্রহণ করেনি বরং প্রকৃতিগত টানের কারনে সে তা ভালবাসে ও পালন করে থাকে।প্রশ্ন হল এই প্রকৃতগতটানের পূজার কারনে কিছু লোক জাহান্নামে যাবে আবার একই প্রবৃত্তির পূজার কারনে কিছু লোক জাহান্নামে যাবে এ কেমন ন্যয় বিচার? নাকি অন্য ধর্মের পরিবারে জন্মগ্রহণ করাই তার অপরাধ।
কেউ কেউ ব্যখ্যা করেন এ বলে যে যে সকল অমুসলিম ইসলামের দাওয়াত পায়নি তাদেরকে আল্রাহ জাহান্নামের শাস্তি দিবেন না।এ কথা অবশ্য কুরআনের কোথাও লেখা নেই। কুরআনের দাওয়াত পেলে তা গ্রহণ তারা কেন করবে, আপনি যেমন জন্মগত কারনে নিজের ধর্মকে একমাত্র সঠিক মনে করেন তারাওতো একই কারনে নিজেদের ধর্মকে একমাত্র সঠিক মনে করে। সঠিক ধর্ম পালন করলে তো অন্যে ধর্মের কথা শোনার প্রয়োজনই নেই।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

হুকুম আলী বলেছেন: কঠিন প্রশ্ন

২| ০৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:১১

বিবেক ও সত্য বলেছেন: এটিই চির সত্যে ও বাস্তব। পৃথিবীর ৯০% মানুষ মুলত একটি মাত্র ধর্ম পালন করে বিভিন্ন নামে (হিন্দু, খৃষ্টান, বোদ্ধ, ইসলাম ইত্যাদি)। সেই মুল ধর্মের নাম জন্মগত পিতৃ ধর্মের প্রতি সহজাত প্রেম নামক ধর্ম।

৩| ০৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:০১

মোস্তফা ভাই বলেছেন: সত্যি কথা বলতে হিন্দু ও বোদ্ধ বলে কোনো ধর্ম নেই, এই দুই ধর্ম এসেছে আধ্যাতিকতা বা স্পিরিচুয়েলিটি থেকে। নিয়ম কানুন যোগ করে এদেরকে ধর্মে রুপান্তরিত করা হয়েছে কিছু মানুষের সুবিধার জন্যে। আমাদের অবচেতন মনে বা মগজে যে ধর্ম ঢুকিয়ে দেওয়া হয় আমরা সেই ধর্মের অনুসারী হই।

৪| ০৬ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮

বিবেক ও সত্য বলেছেন: সহমত

৫| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৪১

খন্দকার আঃ মোমিন বলেছেন: লিখক বলেছেন @ আল কুরআনের দৃষ্টিতে সত্যিকার মুসলমান বাদে বাকি সকলে জাহান্নামে যাবে।

হাঁ আতাই সঠিক
প্রশ্ন হোল সেই সত্যিকার মুসলমান কারা ?
যারা মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেছে তারা ? নাকি অন্য কেহ ? বুঝার জন্য আসুন রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি অয়াসাল্লাম এর একটা হাদিসের দিকে নজর দেই ,রাসুল বলেন

কুল্লু মাওলুদিন ইউলাদু আলা ফিত্রাতিল ইসলাম ,পাআবাওয়াহু ইউহাউএদানিহি ,অ ইউনাসসেরানিহি , অ ইউমাজ্জেসানিহি ।

অর্থাৎ ঃ সকল মানুষ ই মুসলমান হিসাবেই জন্ম গ্রহন করে থাকে , অতঃপর তার মা বাবাই তাঁকে ইয়াহুদি বানায় ,নাসারা বানায় , কিংবা অগ্নি পুজক বা হিন্দু বানায় ।
এ থেকে বুজা যায় যতক্ষন পর্যন্ত কোন শিশু তার স্রস্থা সম্পর্কে নিজে নিজে জ্ঞান নেয়ার উপযুক্ত না হয় ততক্ষন পর্যন্ত সে তার মা বাবার দিক নিদ্রেশনার মাজে থাকে
যদি সে এ অবস্থায় মারা যায় তা হলে এই শিশু জান্নাতি বলে গন্ন হবে

তার পর যদি অই শিশু তার মা বাবার বা সমাজের বা তার শিক্ষা থেকে দিক নিদ্রেশিকার কারনে ইস্লামি শিক্ষা পায় তাহলে ওই বেক্তিই কেবল মুসলমান হিসাবে গণ্য হবে
আর যদি সে অগ্নি পুজার শিক্ষা পায় , কুসংস্কার এ আবর্তিত হয়ে পড়ে বা আল্লাহ এর সাথে শিরিক এর শিক্ষা পায় তা হলে সেতো আর মুসলিম থাকল না সে বে দীন হয়ে গেল ,

এবং এই জান্নাতে যেতে পারা বা না পারা এটা পারিবারিক কারনে নয় ,বরং তার জীবন গড়ার কারনেই

আল্লাহর আদেশ মেনে জীবন গড়ার নাম ই মুসলমানি পারিবারিক সুত্রে পাওয়া মুসলমানি তো পরজগতে কাজে আসবেনা ,

যেটা লিখক ধারনা করেছেন।

০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:১৬

বিবেক ও সত্য বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।আপনি হয়ত আমার লেখার মুল বক্তব্য বুঝতে পারননি বা আমি বুঝাতে পারিনি।
আমি যেটা বলতে চেয়েছি সেটা হল-পৃথিবীর সকল ধর্মাবলম্বী একটি মাত্র ধর্ম পালন করে যার নাম দেয়া যেতে পারে ‘সহজাত পৈত্রিক ধর্মের প্রতি প্রেমের পূজ ‘।
উদাহরণ দেয়া যেতে পারে পানির সাথে। পানি যে পাত্রে রাখা হয় তার রং ধারণ করে। যারা মুসলমান আমরা বলি তারা ইসলাম ধর্ম পালন করে আর যারা হিন্দু তারা হিন্দু ধর্ম পালন করে। আসলে কি তাই? ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা ও ধর্মের প্রতি তার অগাধ ভালবাসা ও ত্যগ তিতিক্ষা তো উক্ত পাত্রের রঙ।
সেই ব্যাক্তি উক্ত সহজাত ধর্মের পূজার বাইরে যে তার স্রষ্টা প্রদত্ত বিবেক বুদ্ধিকে ব্যবহার করে যা যৌক্তিক ও চির সত্য তা গ্রহণ করতে দ্বিধা করে না যদিও তা তার পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত ধর্মের বাইরে হয়।
আশা করি বিষয়টি এখন বুঝবেন।

৬| ১৩ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মুক্ত মনের বাক্য বলেছেন: হি হি হি, কি মজাদার সমস্যায় পড়ে মজাদার প্রশ্ন করেছেন,, আপনি স্রষ্টাকে বিশ্বাস করেন তবে, স্রষ্টার কি এমন বানী আপনার আছে, কুরআন ছাড়া ? নাকি আপনিও একটা ধর্ম তৈরী করলেন যার নাম দিলেন, বিবেক ও বুদ্ধি ধর্ম " তবে মনে রাখবেন প্রত্যেকের আছে বিবেক বুদ্ধি ,, কবি নজরুলের ছিলো বিবেক বুদ্ধি ,, এটা খাটিয়ে সে যা রচনা করেছে, তা তার নামে হয়েছে , এটা স্রষ্টার হয়ে যায়নি,, আর নজরুল নবি মোহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম এর সম্পর্কে আপনার নতুন আবিস্কার করা ধর্ম বিবেক ও বুদ্ধি খাটিয়ে,, সে লিখে গেছে, তাওহীদেরি মোর্শিদ আমার, মোহাম্মাদের নাম,, এই গানটা কান পেতে ভালো করে শুনে তারপর দেখুন, নজরুল তার বিবেক বুদ্ধি দিয়ে কিভাবে স্রষ্টার প্রেরিত মহান মানুষটিকে চিনতে পেরেছিলেন?? আর আপনি সাধারন মনের দ্বিধা ও প্রশ্নের জন্য, স্রষ্টার মনোনিত ধর্ম ইসলামকে, কি রেখে কি মনে করলেন ?? হায় আফছুছ !! আপনাদের মতো মোছলিমের ঘরে জন্ম গ্রহনকারীদের জন্য,, সামন্য একটি প্রশ্নের জন্য, ইসলামকে বাদ দিতে পারেননা,, একটি কথা মনে রাখবেন, তা হলো, সব প্রশ্নের উত্তর আছেই,, আগেই নিজে নিজের সাধারন বুদ্ধি জ্ঞান দিয়ে, একটা পথ মত ও ধর্ম আবিস্কার করতে পারেননা,, আপনার প্রশ্নের উত্তর পেতে অভিজ্ঞ যেমন আমি, আমাকে জিজ্ঞাসা করুন, ইসলাম মানুষের আবিস্কার আর তিনি হলেন মোহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম ,, আপানার প্রশ্নকি এটাই?? এটার উত্তর শোনার পর আপনি কি ফিরে আসবেন ধর্মে?? নাকি নিজের খেয়াল খুশীর অনুসরন করবেন??

৭| ১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৪১

বিবেক ও সত্য বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। স্রষ্টায় বিশ্বাস করলে যে ধর্মেও বিশ্বাস করতেই হবে এমন বাধ্যবাধকতার যৌক্তিকতা ব্যখ্যা করলে কৃতজ্ঞ হতাম।
তার পূর্বে নিম্নে লিঙ্কটি দেখার অনুরোধ করছি:বিশ্বাস (ঈমান) এর সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ

৮| ১৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:১২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: জ্ঞান আছে , বিবেক আছে সেটা কাজে লাগান। কেন ইসলাম সত্য, আরগুলো মিথ্যা সেটার ব্যপারে অনুসন্ধান করুন। পৈত্রিক ভাবে পাওয়া ধর্মে কোন কোন অসঙ্গতি আছে তা নিয়ে চিন্তা করুন। কেন অন্য সব ধর্মে সংস্কার হয়েছে অথচ ইসলামে হয়নি সেটাও ভাবুন। তারপর উত্তর পেয়ে যাবেন। তবে সবই আল্লাহর ইশারা। আমরা ক্ষুদ্র জ্ঞানে সব ব্যাখ্যা করতে পারবো না। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।

৯| ১৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৩৪

বিবেক ও সত্য বলেছেন: সুন্দর পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। আপনার সদয় অবগতির জন্য বলছি যে আপনার পরার্শগুলো বহু আগেই পালিত হয়েছে। আপনার মন্তব্যটি- ’পৈত্রিক ভাবে পাওয়া ধর্মে কোন কোন অসঙ্গতি আছে তা নিয়ে চিন্তা করুন’-আমার লেখারই মুল বিষয়। কেউ যখন এ চিন্তা করতে শিখে বড় হয় যে’ এটা এমন সত্যে যা সত্যে কিনা ভাবলেই ঈমান যায়, সে ব্যক্তি কিভাবে সত্যে/মিথ্যা যাচাই করবে।
আমার অনুসন্ধানে কি কি পেয়েছি তা যদি দলি-প্রমান সহ ব্যখ্যা করতে যায় তাহলে তা একটি বই হয়ে যাবে, যার কারনে এখানে আমার প্রমানগুলো উপাস্থাপন করতে পারছি না।
আমার গবেষণায় এটাও বের হয়েছে যে অন্যান্য ধর্মানুসারীদের ন্যয় মুসলিমরাও অন্ধভাবে তাদের ধর্মে বিশ্বাস করে ও পরিপালন করে থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.