![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্রষ্টা প্রদ্ত্ত বিবেক ও বিচার-বিবেচনা শাক্তি ব্যবহার করে বুদ্ধিবৃত্তিক ও আলোকিত জীবন গড়াই সত্যিকার মানুষের আসল কর্ম
অস্বীকার প্রধাণত দু’প্রকারের হতে পারে। যেমন ধরুন আপনি মানবতার কল্যাণে কিছু কাজ করছেন, আমি তা জানি ও ভালভাবে বুঝি কিন্তু আমার ব্যক্তিগত কোন স্বার্থে আপনার এ কল্যাণকর কাজকে স্বীকৃতি দিতে রাজি নয়- এ কারনে আপনার এ কল্যাণকর কাজকে কোন অজুহাতে আমি আস্বীকার করলাম। এটা হল একধরনের অস্বীকারের উদাহরণ।এ ধরণের অস্বীকার নিঃসন্দেহে নিন্দনীয় ও হীণ-কোন সন্দেহ নেই।
আরেক ধরনের অস্বীকারের উদাহরণ হল- ধরুন আপনি মানবতার কল্যাণে কোন কিছু করছেন এবং জন্য কিছু মুলনীতি নির্ধারণ করে সে আলোকে কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন।আপনার জ্ঞানানুসারে আপনার নীতি ও কর্মসূচী অতুলণীয় ও সর্বশ্রেষ্ঠ। কিন্তু আমার জ্ঞানানুসারে তা মানবতার জন্য ক্ষতিকর। এ কারনে আমি আপনার নীতি ও কর্মোকে অস্বীকার করলাম।
যেহেতু উভয়েই মানুষ, সুতরাং উভয়েই সীমিত জ্ঞানের অধিকারী। হতে পারে উভয়েরই চিন্তা পদ্ধতি ও অনুসিদ্ধান্ত ভূল অথবা একজনে ভূল অপরজন সঠিক।যেহেতু উভয়েরই উদ্দেশ্য এক তথা মানবতার কল্যাণ।কিন্তু জ্ঞান বা চিন্তা পদ্ধতির ভূলের কারণে পরস্পর পরস্পরকে অস্বীকার করছে।এক্ষেত্রে কোন অস্বীকার কারী দোষী নয়।
এবার আসি মুল কথায়।যারা ইসলামকে অস্বীকার করছে তাদের মধ্যে যদি কেউ প্রথম শ্রেণীর অস্বীকারকারী হয় তা হলে তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে তারা অপরাধী।কিন্তু যদি তারা দ্বিতীয় শ্রেণীর মধ্যে পড়ে,তাহলে তো তাদের অপরাধী বলা যায় না।অথচ ইসলাম সকল ধরণের অস্বীকারকারীকে (কাফেরদের) জাহান্নামী বলেছে।এটা সত্যিই যদি মানবরচিত না হতো তাহলে এ ধরনের অবিচারক বক্তব্য থাকতো না।
কেউ হয়ত প্রশ্ন তুলবেন যে ইসলাম যেহেতু মানবরচিত নয়, স্রষ্টার সুতরাং তার সাথে দ্বীমতের অবকাশ নেই। আমিও এ কথার সাথে একমত যে স্রষ্টার কথার সাথে দ্বিমতের স্পর্ধা দেখানোই মুর্খতা। তবে কোন কিছু স্রষ্টার বলে দাবী করলেই তা আসলে স্রষ্টার না মানবরচিত তা যাচাই-বাছাই না করে মেনে নেয়া তার চেয়ে বড় মুর্খতা।
কোনটি স্রষ্টার আর কোনটি স্রষ্টার নয় তা কিন্তু যাচাই বাছাই হয় মানুষের সীমিত জ্ঞান দ্বারা।কারো জ্ঞানে অমুকটি স্রষ্টার আবার কারো জ্ঞানে তা স্রষ্টার নয় হিসাবেও বিবেচিত হতে পারে।নিজের বিশ্বাস না মানলেই কাউকে জাহান্নামী বলা মানব প্রকৃতি হতে পারে-স্রষ্টার নয়। তাই প্রমাণীত হয় আল কুরআন মানব রচিত, স্রষ্টা প্রদত্ত নয়।
২| ০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ২:০১
বিবেক ও সত্য বলেছেন: হতে পারে
৩| ০৭ ই মে, ২০১৬ ভোর ৪:১২
মশার কয়েল বলেছেন: আপনি প্রথমে অস্বীকারের যে বিশ্লেষণ করেছেন সেটা আমার কাছে অযৌক্তিক মনে হয়েছে ৷কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ সেটা বোঝারমতো জ্ঞান মানুষের রয়েছে ৷ভালোকে মানুষ ভালই বলে আর খারাপকে বলে খারাপ ৷ যদি ভালোকে কারও দৃষ্টিতে খারাপ মনে হয় অথবা খারাপকে ভালো মনে হয়,তাহলে সে ভন্ডামী করছে ৷আর যে অপরাধ করবে তাকেতো শাস্তি পেতেই হবে ৷
০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭
বিবেক ও সত্য বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভাই, ধর্মের প্রতি বিশ্বাস/অবিশ্বাসকে খুবই সাধারন ভাল-খারাপের সাথে গুলিয়ে ফেললে তো আমার কথা আপনার কাছে অযৌক্তিক মনে হওয়ারই কথা। পৃথিবীতে এত বাদ-মতবাদ, এত ধর্ম ও বিতর্ক কি শুধু মাত্র অতি সাধারণ ভাল-খারাপের কারনে।ভাল-খারাপের দু’টি দিক রয়েছে-১। অতি সাধারন দিক-যেমন-চুরি, ডাকাতি,গুম,অপরের অধিকার হরণ ইত্যাদি
২। গভীর চিন্তার ও জ্ঞানের উপর নির্ভরশীল-যেমন কোন কর্মপদ্ধতি ও বিশ্বাস মানব জীবনের উপর কতটুকু ক্ষতিকর/উপকারী তা বুঝতে পারা। যেমন-সামাজতান্ত্রিক/পুজিবাদি অর্থনীতি মানবতার জন্য ক্ষতিকর নাকি উপকারী, ধর্মীয় বিশ্বাস মানবতার জন্য কতটুকু উপকারী/ক্ষতিকর। এরুপ বহু বিষয় আছে যা আপনার কাছে মনে হয় অতি সহজ ও সরল এবং মানবতার জন্য উপকারী ঠিক অনুরুপভাবে আপনার বিপরীত চিন্তার লোকদের কাছে তা পরিদৃষ্ট হয় মানবতার জন্য বড়ই অকল্যাণকর। পরস্পরের কাছেই কম/বেশি যুক্তি আছে। নিজ নিজ বিশ্বাস ও বুঝ নিজের কাছে সহজ বলেই প্রতিয়মান হয় এবং অপরকে মনে হয় মানবতার শত্রু। এ কারনেই ভিন্নমতের প্রতি অসহিষ্ণুতা সৃষ্টি হয়।সুতরাং দ্বিতীয় প্রকারের ভাল-মন্দ বোঝার ক্ষমতা সকলের নেই। সকলেই একই জিনিসকে ভাল/মন্দ বলে না।
৪| ০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৪০
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: সৃষ্টিকর্তাকে প্রমাণের বিষয়টা যেখানে এতই কঠিন, পৃথিবীর উচ্চতম আই.কিউ. সম্পন্ন দার্শনিক, সাহিত্যিক, বৈজ্ঞানিকগণ হিমসিম খাচ্ছেন, সেখানে সাধারণ মানুষ ভুল করে ফেললে তাদেরকে শাস্তির ভয় দেখানোর অধিকার কি কারও থাকতে পারে?
৫| ০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮
বিবেক ও সত্য বলেছেন: কুরআন যে মানব রচিত কিতাব এ সব দিকগুলো তারই সাক্ষ্য বহন করে
৬| ০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯
বিবেক ও সত্য বলেছেন: কুরআন যে মানব রচিত কিতাব এ সব দিকগুলো তারই সাক্ষ্য বহন করে
৭| ০৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:২২
মশার কয়েল বলেছেন: আমি যেটা বোঝাতে চেয়েছি আপনি সেটা বুঝেন নাই ৷
০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:২৬
বিবেক ও সত্য বলেছেন: আমার লেখার মুল উদ্দেশ্যই হল যে সকল প্রকার অস্বীকারকে (কুফর) খারাপ বলা ন্যয়বিচার নয়। সকল প্রকার বলতে বুঝিয়েছি যে যারা ইসলামকে অস্বীকার করে তাদের অধীকাংশ এ জন্য করে না যে ইসলাম ভাল তা সত্ত্বেও, বরং অস্বীকারকারীদের বেশিরভাগই মানবতার কল্যাণের কথা চিন্তা করেই অস্বীকার করে ঠিক যেমনিভাবে মুসলমানেরা অস্বীকারকারীদের ঘৃণা করে মানবতার কল্যাণের কথা চিন্তা করে।
৮| ১৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫
কুব্বত আলী বলেছেন: আপনার কথা ও ধারনা জাতির জন্য কল্যানকর হবে ঠিক তখন, যখন আপনি মানব জাতির জন্য একটা নির্ধারিত মত ও পথ আবিস্কার করতে পারবেন, মনে রাখবেন, ইসলাম ধর্ম মানব জাতির জন্য সঠিক পথ ও সুন্দর পূর্নাঙ্গ জিবন ব্যাবস্থা, ধর্মে আছে দু একটা প্রশ্ন, যার সঠিক ও সম্পূর্ণ যৌক্তিক উত্তর রয়েছে,, আর অধর্মে রয়েছে হাজার প্রশ্ন এবং যার কোনো সঠিক উত্তর নেই,,
আমরা বুঝিনা কেনো মানুষ দু একটা সামান্য প্রশ্নের উত্তর না জানার কারনে, এমন এক অবস্থানে থাকে যেখানে প্রশ্ন একটা নয়, হাজার হাজার, এটা কোন্ ধরনের মানুষের কাজ হতে পারে?? আল্লাহ বলেন তারা তো নির্বোধ, যার গায়ে একটি কাটা ফুটবে এই ভয়ে এমন এক জায়গায় আশ্রয় নেয়, যেখানে হাজার হাজার মৌমাছি তার নরম গায়ে কাটা ফুটিয়ে দেয় ও তখন সে যন্ত্রনায় ছটফট করে ,,এসব মানুষের জন্য দূর্ভোগ,, এটাতো তার নিজের দুষ?? সে যদি প্রথমে যে জায়গায় ছিলো সেখানেই থাকতো তবে সে হাজার মৌমাছির আক্রমন থেকে রক্ষা পেতো, যেখানে সে থাকতো সেখানে একটা মৌমাছিও পৌছাতো না, ও সে থাকতো নিরাপদ,
আপনার জন্য হেদায়েতের দুয়া করি
১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:২৫
বিবেক ও সত্য বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। এখানে একটি প্রশ্ন তুলে ধরার অর্থ এ নয় যে একটি প্রশ্নের জন্য আমি কুরআনকে স্রষ্টার বিধান হিসাবে মানতে পারছি না। এটা হাজারও প্রশ্নের একটি প্রশ্ন। কোন কিছু অন্ধভাবে বিশ্বাস করলে মনে প্রশ্ন জাগে না,কিন্তু স্রষ্টা প্রদত্ত বিবেক-বুদ্ধি ও বিচার বিবেচনা শক্তি ব্যবহার করে কোন কিছু যাচাই-বাছাই করে বিশ্বাস/অবিশ্বাস করতে গেলে তখন বহু প্রশ্নের উদ্ভব হবে -এটাই অতি স্বাভাবিক।
আপনার দোয়া স্রষ্টা কবুল কুরক।
৯| ১৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০১
গোধুলী রঙ বলেছেন: যে অস্বীকার করে তার সেই বিচার নিয়ে চিন্তা ক্যামনে আসে। আল্লাহ অস্বীকারকারীর তো মরার পরের জীবনের চিন্তা আসার কথা নাহ, এট ডাবল স্টান্ডার্ড হয়ে গেলো না?? আজকাল মরার ভয় পাইছে নাকি, মনে মনে কি কু ডাক শুনতে পাচ্ছেন!!!
১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৩২
বিবেক ও সত্য বলেছেন: বিধানটি স্রষ্টার নাকি মানবরচিত তা তো যাচাই করেই তো বিশ্বাস/অবিশ্বাসের প্রশ্ন আসে। যে কিতাবে সকল অবিশ্বাসকে জাহান্নামি বলে-সেটা ন্যয়বিচারের বহিঃপ্রকাশ নয়। বক্তব্যের ধরনে মনে হয় যে যিনি পুস্তক রচনা করেছেন তিনি মানুষ হওয়ার কারনে ১৪০০ বছর আগের লোকদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতাহেতু বিশ্বের সকল মানুষের সাইকোলজি যথার্থ বিশ্লেষনে ব্যর্থ হয়েছে। এ কিতাবে মানবরচিত কিতাবের অসংখ্যা বৈশিষ্টের একটি আমি তুলে ধরেছি।
১০| ১৯ শে মে, ২০১৬ ভোর ৬:১৫
কুব্বত আলী বলেছেন: আপনি যা তুলে ধরেছেন তা সম্পূর্ণ ভুল,, আপনি যে কুরআন পড়েননি, হেদায়েতের উদ্দেশ্যে, এটা তার জালজ্যান্ত প্রমান,
কারন কুরআনে আছে, নিশ্চয় বেশিরভাগ মানুষ ও জিন, জাহান্নামে যাবে,
এটা বাস্তব ও আল্লাহ আগে থেকেই জানেন, তাই তিনি যা সত্য তাই বলেছেন, মানুষ জাহান্নামে যাবে কেনো? তা কুরআনে দেয়া আছে, এখানে এটা আমি বলবোনা, আপনি কুরআনে পড়ে নিয়েন,
অার মনে রাখবেন, ঘরে কয়েল ধরিয়ে স্ট্যান এ না রেখে খাটের চৌকাঠে রেখে ঘুমালে খাট সহ আগুন ধরে সব পুড়ে গেলে আল্লাহর দুষ না,, এটা আপনার দুষ,, আল্লাহ বলেন যেমন কর্ম তেমন ফল, কুরআনে বলেনঃ
"মানুষ যা করে তাই পাই " ও তাকে তাই দেয়া হবে, এত বড় বড় ব্যাখ্যা বিশ্লেশন করতে পারেন, এই কমনসেন্সটা মাথায় রাখেননা??
বিশ্বাসের ক্ষেত্রে আপনার অবস্থান এমন এক পর্যায়ে, যেখানে আপনিই একা, আপনার বিশ্বাসে বিশ্বাসি মানুষ এই বাংলাদেশে আর একটাও নাই।
তাই কুরআন পড়ুন হেদায়েতের উদ্দেশ্যে, জ্ঞানী হলে এতোটুকুতেই চোখ খুলার কথা,,
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১:৩৯
মোস্তফা ভাই বলেছেন: স্রষ্টা মানুষের আত্মায় জ্ঞাণ দেন, বই-পুস্তকের মাধ্যমে না। আর আমি তো মনে করি আত্মার কোনো জন্ম-মৃত্যু নাই, আত্মা এই সৃষ্টির মতোই অবিনশ্বর, তাই জাহান্নামী হবার প্রশ্নই উঠে না।