নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ধত্ব ও গোড়ামিত্ব পরিহার করে জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তিক জীবন গড়ি

বিবেক ও সত্য

স্রষ্টা প্রদ্ত্ত বিবেক ও বিচার-বিবেচনা শাক্তি ব্যবহার করে বুদ্ধিবৃত্তিক ও আলোকিত জীবন গড়াই সত্যিকার মানুষের আসল কর্ম

বিবেক ও সত্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বাস (ঈমান) করার পূর্বে আগে ভাল করে জানুন বিশ্বাস বলতে কি বোঝায়

১৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:২৬


বিশ্বাস বাংলা শব্দ আর ঈমার এর আরবী প্রতিশব্দ।বিশ্বাস মানব জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । বিশ্বাস মানুষের কর্মকে নিয়ন্ত্রন করে থাকে । যেমন বিশ্বাস তেমন কর্ম। বিশ্বাস প্রধাণত দু’প্রকারের হয়ে থাকে:
ক)যথার্থ বিশ্বাস (প্রবন্ধের সম্পূর্ণটা এ প্রকারের বিশ্বাসের ব্যখ্যা)
খ)অন্ধ বিশ্বাস (ধর্মীয় বিশ্বাস,সমাজের বিভিন্ন কু’সংস্কার ইত্যাদ)
এ উভয় প্রকারের বিশ্বাসই নিম্নোক্ত শ্রেনীতে ভাগ করা যেতে পারে:
১. সন্দেহাতীত বিশ্বাস
২. সাধারণ বিশ্বাস
৩. দূর্বল বিশ্বাস
৪. অবিশ্বাস (নেতিবাচক বিশ্বাস)
বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে মানুষের সকল কর্মনীতি নির্ভর করে।একটি উদাহরণ দেয়া যাক। আপনাকে কেউ বললো আজ রাত দুইটার সময় কিছু লোক আপনারা ঘুমন্ত থাকা অবস্থায় আপনাদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দিবে।এখানে বিশ্বাসের প্রশ্ন আসে। কেউ আপনাকে এরুপ কথা বললে আপনি বিশ্বাস করলে আপনার মধ্যে এক ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে আর অবিশ্বাস করলে আরেক ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে। বিশ্বাস করার পর আপনার প্রতিক্রিয়া ধরন নির্ভর করে আপনার বিশ্বাসের তীব্রতার উপর।
না দেখে কি বিশ্বাস করা যায়?
বিশ্বাস কখনো না দেখে হয় না-হোক সে দেখা বাহ্যিক চোখ দ্বারা বা অন্ত:চক্ষু দ্বারা। প্রত্যেক মানুষের ৪ টি চক্ষু আছে-দুটি বাহ্যিক চক্ষু অপর দুটি অন্ত:চক্ষু।আমকে আম, কাঠালকে কাঠাল বলে আমরা বিশ্বাস করি বাহ্যিক চোখ দ্বারা দেখে।কেউ আপনার কাছে টাকা ধার চাইলে আপনার টাকা তাকে দেয়া না দেয়া নির্ভর করে আপনি তাকে কতটুকু বিশ্বাস করেন। এ বিশ্বাস/অবিশ্বাস নির্ভর করে আপনি তাকে কতটুকু চেনেন ও তার পূর্বের কার্য্যাবলি পর্যালোচনা করে। আপনি অন্তচক্ষু দ্বারা তার অতীত কার্যাবলী বিশ্লেষণ করে উপরে উল্লেখিত ৪ প্রকারের এক প্রকার বিশ্বাস আপনি করেন।
বিশ্বাস কি কখনো উঠানামা করে?
মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধির সীমাবদ্ধতার কারনে আজ সে যা বিশ্বাস করে কাল তাহা ভূল হিসাবে প্রমাণিত হয়। এ কারনে মানুষের বিশ্বাস শুধু উঠা-নামাই করে না, উহা সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হতে পারে।
বিশ্বাস পরিবর্তন করা কি খারাপ?
আপনি আজকে যা বিশ্বাস করেন তা যদি কেউ ভূল প্রমাণিত করে, তাহলে সে ভূলকে আকড়ে ধরে রাখা তো কোনক্রমেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়।বরং যে আপনার চিন্তার ভূল ধরে দিল সে তো আপনার অনেক বড় উপকার করল।জ্ঞান পিপাসুদের বিশ্বাস প্রতিনিয়তই পরিবর্তিত হতে পারে। নতুন নতুন জ্ঞানে পূর্বের অর্জিত ভূল বিশ্বাস পরিবর্তন করে সত্যের দিকে এগিয়ে যায় বুদ্ধিমানেরাই। আর যারা অন্ধত্ব ও গোড়ামিতে লিপ্ত তারাই পূর্ব পুরুষ থেকে পাওয়া বিশ্বাসকে যাচাই বাছাই ছাড়া অন্ধভাবে কঠোরভাবে আকড়ে ধরে থাকে।
বিশ্বাস কি জোর করার বিষয়?
বিশ্বাস/অবিশ্বাস হয় স্বত:স্ফুর্তভাবে।মানুষ তার ৪ চক্ষু দ্বারা কোন কিছু দেখে তা বিশ্বাস করে। কেউ যদি কোন কিছু অবিশ্বাস করে তার অর্থ হল সে তার ৪ চক্ষু দ্বারা উহাকে দেখতে পাচ্ছে না।
বিষয়টি যদি এমন হয় যে আপনি যা দৃঢ়ভাবে সত্যে ও অকাট্য বলে বিশ্বাস করেন অপর একজন ব্যক্তি তা দৃঢ়ভাবে অবিশ্বাস করে,সেক্ষেত্রে কে সঠিক বিষয়ে বিশ্বাসী?সেক্ষেত্রে হতে পারে উভয়ের যে কোন একজন সঠিক অপরজন বেঠিক অথবা উভয়েই আংশিকভাবে ঠিক অথবা উভয়েই ভূল।যদি উভয়ে গোড়া না হয়, তাহলে তাদের জন্য আশার বিষয় হল কিছুদিন সময় নিলেও তাদের জ্ঞানের বিকাশ হবে এবং সত্যের সন্ধান পাবে।তাদেরকে যে কাজটি করতে হবে তাহল উভয়কে উভয়ের চিন্তা-চেতনাকে পরস্পরের সাথে অত্যান্ত বন্ধুত্বপূর্ণ ভাষায় ও পরিবেশে বিনিময় করতে হবে।উভয়কে স্বীকার করে নিতে হবে যে তারা যত বড় জ্ঞানবানই হোক না কেন তাদের চিন্তা-চেতনাই কিছু ভূল থাকতে পারে।
নিজের বুঝ বা বিশ্বাসকে ১০০% সঠিক বলে সকলের কাছেই প্রতিয়মান হয়।পৃথিবীর মানুষগুলো হাজার হাজার বিশ্বাসে বিভক্ত।তিক্ত সত্যে হল পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ ভূল বিষয়ে বিশ্বাস করে অথচ নিজেদের বিশ্বাসকে ১০০% সঠিক মনে করে।নিজের বিশ্বাস নিজের কাছে ১০০% সঠিক বলে প্রতিয়মান হলেও একথা মনে রাখতে হবে যে মানুষ হিসাবে আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারনে আমার বিশ্বাসে ভূল থাকতে পারে।মানুষ যখন এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি পোষন করতে পারবে, ঠিক তখন মানবতা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে।
আপনি যখন কোন কিছুকে বেঠিক বলে বিশ্বাস করেন তখন যদি আপনাকে কেউ জোর করে যে আপনি যেটাকে বেঠিক বলছেন সেটাকে আপনাকে ঠিক বলতেই হবে অন্যাথায় আপনি ধর্মত্যাগি হয়ে যাবেন বা আমাদের সমাজ থেকে বের হয়ে যাবেন- এমন কথা বলা মূর্খতা বৈ কি?
সুতরাং ঈমান (বিশ্বাস) জোর করার বিষয় নয়।হতে পারে আপনার বিশ্বাস ঠিক আর আপনার বিশ্বাস প্রত্যাখ্যান কারি বেঠিক,কিন্তু যে প্রত্যাখ্যান করেছে তাকে তো বুঝতে হবে যে যা সে প্রত্যাখ্যান করেছে তা বেঠিক।যখন সে বুঝবে যে সে যা প্রত্যাখ্যান করেছে তা প্রকৃতপক্ষে সঠিক ছিল আর তার বিশ্বাস ভূল ছিল তখন তো আপনি তাকে জোর করলেও সে আগের বিশ্বাসে ফিরে যাবে না।
মানুষ কি যুক্তির উর্ধ্বে উঠতে পারে?
কোন কাজ আপনি কেন করছেন/বলছেন/বিশ্বাস করছেন তার গ্রহণযোগ্য ব্যখ্যাই হল যুক্তি।গ্রহণযোগ্য শব্দটি আপেক্ষিক।আপনার কাছে যা গ্রহণযোগ্য আরেকজনের কাছে তা অগ্রহণযোগ্য হতে পারে, আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য হলেই তা আপনার কাছে যৌক্তিক আর যার কাছে ব্যখ্যাটি গ্রহণযোগ্য নয় তার কাছে অযৌক্তিক।তবে মনে রাখতে হবে যে একই জিনিস যৌক্তিক ও অযৌক্তিক উভয় হতে পারে না।যে বিষয়টি একজনের কাছে যৌক্তিক আর আরেকজনের কাছে অযৌক্তিক, সে বিষয়টি একজন ভাল করে বুঝেছে আর অপরজন বুঝতে পারেনি।
এবার আসি মূল বিষয়ে। মানুষ কি যুক্তির উর্ধ্বে উঠতে পারে?কোন বিবেকবান বুদ্ধিমান মানুষ কখনো যুক্তির বাইরে যেতে পারে না।পাগল ও অবুঝ শিশু ছাড়া কেউ যুক্তির উর্ধ্বে উঠতে পারে না।’কেন?’ প্রশ্নের উত্তরে যুক্তি আসে। আপনি যদি বলেন এ মহাবিশ্বের একজন স্রষ্টা আছে তাহলে আপনাকে বলতে হবে কেন আপনি বিশ্বাস করেন এ মহাবিশ্বের একজন স্রষ্টা আছে, আর যদি আপনি বলেন এর কোন স্রষ্টা নেই তাহলেও আপনাকে বলতে হবে আপনি কেন বিশ্বাস করেন এর কোন স্রষ্টা নেই।এ ’কেন?’ প্রশ্নের জবাবই যুক্তি।
কিছু লোক বলে থাকেন যে যুক্তি খোজা ভাল, তবে সব কিছুর যুক্তি খোজা ভাল নয়।আপনি যদি এ বক্তব্য দেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই পরিস্কার করে বলতে হবে যে কোন কোন জিনিসের যুক্তি খোজা ভাল নয় এবং কেন? আপনার এ প্রশ্নের উত্তরটিই হবে যুক্তি। আপনার যুক্তি সঠিক কিনা বেঠিক সেটা আলাদ বিষয়। তবে আপনি যুক্তির বাইরে যেতে পারলেন না।
যুক্তির বিরোধীতা কারা, কেন করে?
কিছু মানুষকে যদি যুক্তি খোজা বন্ধ করানো যায়, তাহলে অনেক সুবিধা।যেমন আমি যদি কোন ধর্মীয় গুরু হয় হই, আর উক্ত ধর্মের নামে যদি আমার রুজি-রোজগার ও যশ-খ্যাতির কোন সুবিধা থাকে অথচ উক্ত ধর্ম সঠিক নয় বা উক্ত ধর্মের এমন কিছু বাণী আছে যাহা সঠিক নয় তবে আমার যশ-খ্যতি ও রুটি-রুজির পক্ষে, সেক্ষেত্রে উক্ত বেঠিক বক্তব্যগুলোর পক্ষে যথার্থ কোন উত্তর আমার কাছে নেই তখন মানুষকে (বিশেষত অনুসারিদেরকে) যুক্তি খোজা বন্ধ করতে পারাটাই সর্বশ্রেষ্ঠ পদ্ধতি।যদি লোকদের ’কেন?’ প্রশ্ন করা থামাতে পারি তাহলে তো বহু কিছু করেই পার পাওয়া যায়।
অতএব, কেউ যদি আপনাকে যুক্তি খুজতে নিষেধ করে তাহলে নিঃসন্দেহে সে বুঝে/না বুঝে আপনাকে চরম বোক/হাদারাম বানাতে চাইছে।
স্রষ্টায় বিশ্বাস: কারা সঠিক?
যারা স্রষ্টায় বিশ্বাস করে তাদের কাছে প্রমান বলতে একমাত্র যুক্তি আছে।অপরদিকে যারা স্রষ্টায় অবিশ্বাসী (নাস্তিক) তাদের কাছেও তাদের কথার স্বপক্ষে যুক্তি আছে। কাদের যুক্তি কি ও তা কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা আলোচনার পূর্বে স্রষ্টার পরিচয় সম্পর্কে আলোচনা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
স্রষ্টা ও সৃষ্টি:
১. স্রষ্টা: স্রষ্টার কোন শুরু নেই, শুরু থাকলে তিনি স্রষ্টা নন। কিন্তু শুরু নেই বলা যত সহজ কথাটি বাস্তবে কল্পনা করা বহুগুন কঠিন।যত বিলিয় বছর আগের কথাই বলুন না কেন একটি শুরু তো থাকা মানবীয় জ্ঞান দাবি করে। সুতরাং বিষয়টি বোধগম্য নয়। তবে স্রষ্টা যদি থেকে থাকেন তাহলে তার শুরু আছে কথা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।
সকল সৃষ্টির শুরু আছে এবং থাকতেই হবে। শুরু থাকাটাই সৃষ্টির গুণ।
২. যদি বলা হয় স্রষ্টার জীবন আছে-এ কথাটিও গ্রহণযোগ্য নয়।প্রশ্ন আসে স্রষ্টার জীবন বা জান কে সৃষ্টি করেছে?
সৃষ্টির জীবন আছে যা স্রষ্টা সৃষ্টি করেছে। একটি প্রাণীর মাঝে যতক্ষন তার জান থাকে ততক্ষন জীবন স্পন্দন থাকে। সুতরাং সৃষ্টি জীবনের মুখাপেক্ষি।
৩. স্রষ্টা সর্বশক্তিমান- এ কথাটিও গ্রহণযোগ্য নয়। সর্বোশক্তি বলতে সকল শক্তি বুঝায়। ’সর্ব’ বা ’সকল’ শব্দটি সীমিত কোন কিছুর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। আপনি যদি বলেন অসীম শক্তির অধিকারী তাও যৌক্তিক নয়। কারন স্রষ্টাকে কোন শক্তির অধিকারি হতে হয় না। তিনি তো ‘শক্তি’রই স্রষ্টা কর্তা। ’শক্তি’ নিজেই একটি সৃষ্টি। স্রষ্টা তো উহার মুখাপেক্ষি হতে পারেন না।
৪. স্রষ্টা বিনা উদ্দেশ্য কিছুন করেন কি?
স্রষ্টা বিনা উদ্দেশ্য কিছু করেন না এ কথাও যেমন গ্রহণযোগ্য নয়, আবার উদ্দেশ্য ছাড়া কিছু করেন তাও গ্রহণযোগ্য নয়। সৃষ্টি ’উদ্দেশ্য’র মুখাপেক্ষি, স্রষ্টা নয়। উদ্দেশ্য বলতে কোন লক্ষ্য অর্জন বোঝায়। স্রষ্টার কোন লক্ষ থাকতে পারে না, লক্ষ থাকে সৃষ্টির। যার কোন কিছু প্রয়োজন আছে সেই কিছু অর্জনের জন্য লক্ষ্য নির্ধারন করেন। স্রষ্টা সকল প্রয়োজনের উর্ধ্বে। স্র
আবার স্রষ্টা খেলাচ্ছলে কিছু করেন বললে প্রশ্ন আসে- স্রষ্টা কি বিনোদনের মুখাপেক্ষি?
৫. যদি বলা হয় স্রষ্টার ইচ্ছা হলে অমুক কাজ করেন-প্রশ্ন হল স্রষ্টার কি মন আছে? স্রষ্টার কি ইচ্ছা জাগরিত হয় যেভাবে মানুষের মনে বিভিন্ন ইচ্ছা জাগরিত হয়ে থাকে?মানুষের মনে যখন কোন ইচ্ছা জাগে তখন বলা হয় স্রষ্টা সে ইচ্ছা জাগিয়েছে, কিন্তু স্রষ্টার মনে কে ইচ্ছা জাগায়।যদি বলা হয় স্রষ্টার মনে ইচ্ছা এমনিতেই জাগে কেউ জাগায় না, তাহলে তো এ কথা মানা হবে সৃষ্টিও এমনিতেই হয় কেউ সৃষ্টি করে না।বস্তুত: স্রষ্টার মনে ইচ্ছা জাগে কথাটি স্রষ্টার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

মানুষ নাস্তিক কেন হয়?
নাস্তিকেরা দু’টি প্রধান যুক্তির কারনে নাস্তিক হয়। যুক্তি দু’টি হল:
ক)তারা পৃথিবীতে বিদ্যমান কোন ধর্মেই স্রষ্টা, সৃষ্টির কারন ও মহাবিশ্ব ইত্যাদি সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য,বিজ্ঞোচিত ও যৌক্তিক জবাব ও নির্দেশনা পায়নি
খ)আর স্রষ্টা সম্পর্কে উল্লেখিত প্রশ্নের মত বহু প্রশ্নের কারনে।
আস্কিক,বিশেষত:মুসলমানদের যুক্তি:
ক)আল কুরআনেই স্রষ্টা, সৃষ্টির কারন ও মানুষের পরিণতি সহ মানব জীবনের সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে।
খ) স্রষ্টা সম্পর্কে উপরোক্ত প্রশ্ন উত্থাপন করলে তাদের জবাব স্রষ্টা সম্পর্কে এত প্রশ্ন করা ঠিক নয়।
বিশ্লেষণ:
মুসলমানগন কুরআনের পক্ষে কথা বলে এর প্রধান কারন তারা মুসলিম বংশে জন্মগ্রহণ করেছে।কুরআন আসলে স্রষ্টার বিধান হওয়ার যোগ্য কিনা তা কোন মুসলমান মাথায়ও আনে না। তারা শুধু পক্ষের লোকদের থেকে কুরআনের পক্ষের গুনগান শুনতে পছন্দ করে, কেউ সমালোচনা করলে তাকে অপছন্দ করে। নিজের ভূল তো সমালোচক তথা যিনি বা যারা ভূলকে খুজে পেয়েছে তাদের থেকে জানার কথা, তাদেরকে শত্রু মনে করলে সত্যে কখনো জানা যায় না।
এবার আসি স্রষ্টার ব্যপারে। আপনি যখন স্রষ্টার অস্তিত্বের পক্ষে যুক্তির আশ্রয় নেন যে সবকিছু এমনে এমনে সৃষ্টি হতে পারে না, এত সুশৃঙ্খল সৃষ্টি অটোমেটিক হয়েছে তা বিশ্বাস করা অযৌক্তিক ঠিক তদ্রুপ আপনাকে স্রষ্টা সম্পর্কে বাকি প্রশ্নগুলোরও যৌক্তিক উত্তর দিতে হবে। আপনি প্রশ্ন করা থামিয়ে দিতে পারেন না। তাহলে নাস্তিকেরা আপনার প্রশ্ন- এতসুন্দর সুশৃঙ্খল সৃষ্টি স্রষ্টা ছাড়া অটোমেটিক কিভাবে হতে পারে? থামিয়ে দিতে পারে এ বলে যে এ বিশাল সৃষ্টির কাছে আমরা কিছুই নই; সুতরাং এ প্রশ্ন করা ঠিক নয়।আপনি একটি প্রশ্নের যৌক্তিক উত্তর খুজবেন আর অপর প্রশ্নগুলো যেগুলোর উত্তর দিতে গিয়ে আপনি বেকায়দায় পড়ে যান সেগুলোর ব্যপারে প্রশ্ন করা থামিয়ে দেয়ার জন্য বলবেন যে ওসব প্রশ্ন করা ঠিক নয় সেটা গ্রহণযোগ্য নয়।
আমার বিশ্বাস:
যেহেতু স্রষ্টা আছে বললে তারও কোন প্রমাণ নেই, আবার নাই বললে তারও কোন ভিত্তি নেই; সুতরাং যে বিষয়ে কোন প্রমান নেই সে বিষয়ে চ্যালেঞ্জ সহকারে কোন কথা বলা গোড়ামিত্ব ও বোকামি ছাড়া কিছু নয়। যে বিষয়ে আপনার প্রমান নেই সে বিষয়ে আপনি আপনার অনুমানের ভিত্তিতে বড়জোর মতামত দিতে পারেন। এ কারনে কেউ যদি আমাকে বলে সে স্রষ্টায় বিশ্বাস করে না তাহলে সেটাকে আমি শুধুমাত্র তার মত হিসাবে গ্রহণ করি। আমার ব্যক্তিগত মত হল- স্রষ্টা বলে কেউ আছেন। তবে স্রষ্টাকে বোঝা সৃষ্টির পক্ষে সম্ভব নয়। আর পৃথিবীর সকল ধর্ম মানব রচিত। সামাজিক কল্যানের কথা বিবেচনা করে কিছু ভাল মানুষ কর্তৃক ধর্মগুলো সৃষ্টি। যেহেতু মানব মস্তিস্ক থেকে ধর্মগুলো তৈরি তাই ভাল উদ্দেশ্য থাকলেও প্রত্যেক ধর্মেই এমন কিছু বিধান রয়েছে যা মানবতার জন্য ক্ষতিকর। যারা ধর্ম বানিয়েছেন তাদের দূরদর্শিতায় ঐ সকল ক্ষতিকর দিকগুলো ধরা পড়েনি। তাদের উদ্দেশ্য ভাল ছিল।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১:১৮

কুব্বত আলী বলেছেন: ভালই জাহেলগিরী শিখেছেন,, আমি জানি আপনি মুছলিমের ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন, হয়তো কুরআন পড়েছেন, হেদায়েত পাননি, পেয়েছেন গুমরাহী, আল্লাহ বলেন, আমি কুরআন দিয়েই পথ দেখাই, এবং কুরআন দিয়েই পথভ্রষ্ট করি , এখন আপনাকে কুরআন বুঝতে হবে, বুঝাতে চেয়েছিলাম, কিন্তূ খুব ঘুম আসতেছে এখন এতো কস্ট করে মন্তব্য করতে পারবোনা, তবে আমি বিশ্বাস করি, ইসলাম বলেছে, কাউকে সঠিক পথের সন্ধান দিলে, বা কাউকে উপকার করতে চাইলে ও করলে, আল্লাহ খুশি হন, এই আশায়, করতে চেয়েছিলাম, কিন্তূ আপনাকে আমি বুঝাবো, ও সকল প্রশ্নের উত্তর দেবো, কিন্তূ আপনি তো তবুও নেতাগিরি দেখাবেন আর বলবেন আপনার কথা আপনার মুখেই থাক, এটা আমি নিবোনা, তাহলে আমি কি এতই বুকা যে নিবেনা তাকে দিয়ে নিজে বেকাইদায় পড়বো? আপনি যে প্রশ্ন করেছেন, তাতো প্রশ্নের কাতারেই পরেনা, এর চেয়ে আরো বড় বড় প্রশ্ন আবিস্কার করে সেসব প্রশ্নের উত্তর দেয়ায় নিজেকে নিয়োজিত করি,, কেউ প্রশ্নের উত্তর দিলে তা সুন্দর করে গ্রহন করবেননা, তাহলে প্রশ্ন করেন কেনো?
আপনার অবস্থা দেখে বলতে ইচ্ছা করছে আপনি একটা দুকান দিয়ে নিন প্রশ্ন বিক্রি করার,
একটা কথা বলি তাহলো নিজেকে আবুজেহেলের মতো বিরাট জ্ঞানী, মানে আবুল হাকাম মনে করিয়েননা, তাহলে ভয়ঙ্কর বিপদের আশংকা আছে, নিজের জিবনে অভিজ্ঞ উস্তাদের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করে শিখার চেষ্টা করুন,, দুনিয়াতে উস্তাদ ছাড়া কেউ মানুষ হয়না, মায়ের পেট থেকেও কেউ শিখে আসেনা, তাই অভিজ্ঞ আলেমদের সাথে সময় দিন, মনে রাখবেন এটা বিরাট ইমান পরিক্ষা ।
প্রশ্নের উত্তর অন্য এক সময় দেয়ার ইচ্ছে আছে ইংশাআল্লহ ।

১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:৪৫

বিবেক ও সত্য বলেছেন: ভাই, অনেক কষ্ট করে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন, এজন্য আপনাকে অসংখ্যা ধন্যবাদ। আপনি আমার প্রতি যে মমত্ববোধ দেখিয়ে এতগুলো কথা বলার চেষ্টা করেছেন তার জন্য শুধু ধন্যবাদ জ্ঞাপন যথেষ্ট নয়। স্রষ্টা আপনার জীবনকে সুখময় করে তুলুক সে প্রার্থনা করি।
আপনি লিখেছেন- কেউ প্রশ্নের উত্তর দিলে তা সুন্দর করে গ্রহন করবেননা, তাহলে প্রশ্ন করেন কেনো?
আপনাকে সবিনয়ে জিজ্ঞাসা করছি, আপনি আমাকে একটিও দৃষ্টান্ত দেখাতে পারবেন যে কেউ প্রশ্ন করেছে আর আমি তা সুন্দরভাবে নেইনি? আপনি যদি ধারনা থেকে এমন মন্তব্য করে থাকেন তাহলে মনে রাখবেন ধারনা করে কথা বলা গুনাহের কাজ। কুরআনে আল্রাহ বলেছেন-’তোমরা বেশি বেশি ধারনা থেকে বেচে থাক, কারন অনেক ধারনাই পাপ’’

২| ১৯ শে মে, ২০১৬ ভোর ৬:১৯

কুব্বত আলী বলেছেন: এই মন্তব্যটা পূর্বের একটা পুস্টে করেছিলামঃ
আপনি যা তুলে ধরেছেন তা সম্পূর্ণ ভুল,, আপনি যে কুরআন পড়েননি, হেদায়েতের উদ্দেশ্যে, এটা তার জালজ্যান্ত প্রমান,
কারন কুরআনে আছে, নিশ্চয় বেশিরভাগ মানুষ ও জিন, জাহান্নামে যাবে,
এটা বাস্তব ও আল্লাহ আগে থেকেই জানেন, তাই তিনি যা সত্য তাই বলেছেন, মানুষ জাহান্নামে যাবে কেনো? তা কুরআনে দেয়া আছে, এখানে এটা আমি বলবোনা, আপনি কুরআনে পড়ে নিয়েন,
অার মনে রাখবেন, ঘরে কয়েল ধরিয়ে স্ট্যান এ না রেখে খাটের চৌকাঠে রেখে ঘুমালে খাট সহ আগুন ধরে সব পুড়ে গেলে আল্লাহর দুষ না,, এটা আপনার দুষ,, আল্লাহ বলেন যেমন কর্ম তেমন ফল, কুরআনে বলেনঃ
"মানুষ যা করে তাই পাই " ও তাকে তাই দেয়া হবে, এত বড় বড় ব্যাখ্যা বিশ্লেশন করতে পারেন, এই কমনসেন্সটা মাথায় রাখেননা??
বিশ্বাসের ক্ষেত্রে আপনার অবস্থান এমন এক পর্যায়ে, যেখানে আপনিই একা, আপনার বিশ্বাসে বিশ্বাসি মানুষ এই বাংলাদেশে আর একটাও নাই।
তাই কুরআন পড়ুন হেদায়েতের উদ্দেশ্যে, জ্ঞানী হলে এতোটুকুতেই চোখ খুলার কথা,,

২০ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:১১

বিবেক ও সত্য বলেছেন: যে প্রশ্ন যে বিষয়ের সে বিষয়ের লেখার সাথে করলে কথা বলতে সুবিধা হয়।
আপনি লিখেছেন- বিশ্বাসের ক্ষেত্রে আপনার অবস্থান এমন এক পর্যায়ে, যেখানে আপনিই একা, আপনার বিশ্বাসে বিশ্বাসি মানুষ এই বাংলাদেশে আর একটাও নাই।- আপনার ধারনা ভূল।
বাংলাদেশে যারা আমার মত বিশ্বাসী তারা তাদেরকে প্রকাশ করলে ধর্মান্ধ কর্তৃক নিগ্রহীতের শিকার হয়, তাই তারা নিজেদের প্রকাশ করে না- এ কারনে আপনার কাছে অজানাই রয়ে গেছে যে আমার মত বিশ্বাসী লোকের সংখ্যা।
আমি অবশ্যই কুরআন পড়ি হেদায়েতের উদ্দেশ্য

৩| ১৯ শে মে, ২০১৬ ভোর ৬:৩০

কুব্বত আলী বলেছেন: "আমি কুরআন দিয়েই পথ দেখাই, আবার কুরআন দিয়েই পথ ভ্রষ্ট করি"
(এটাই কুরআনের সত্যতা)
"এমন এক দিন আসবে যেদিন মানুষ ইসলাম থেকে দ্রুতগতিতে বেড় হয়ে যাবে"
(এটাই হাদিসের সত্যতা)
কুরআন যে মানব রতিচ গ্রন্থ নয় তা বুঝতে আপনাকে কুরআন পড়তে হবে,
যারা ব্লগে অথবা অন্য কোথাও সত্যকে খুজে আল্লাহর কিতাব বাদ দিয়ে, তারা কখনোই সত্যকে পাবেনা ।

২০ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:২৩

বিবেক ও সত্য বলেছেন: মনে করুন আপনি বেদ পড়লেন, তারপর দেখলেন এতে যা লেখা আছে তা প্রমান করে না যে ইহা স্রষ্টার, তখন আপনি বেদকে অস্বীকার করলেন, তখন বেদের অনুসারীরা আপনাকে বললো ‘আমি বেদ দিয়েই পথ দেখাই, আবার বেদ দিয়েই পথ ভ্রষ্ট করি"
(এটাই বেদের সত্যতা):
তখন আপনার মন্তব্য কি হবে?

৪| ১৯ শে মে, ২০১৬ ভোর ৬:৩৯

কুব্বত আলী বলেছেন: "আমি কুরআন দিয়েই পথ দেখাই আবার কুরআন দিয়েই পথ ভ্রষ্ট করি"
(এটাই কুরআনের বাস্তব নিদর্শন)
যেমন ধরুন আমরা পথ পেয়েছি আর আপনি পথভ্রষ্ট হয়েছেন, এটা চুরান্ত বাস্তবতা
বুঝুন এবং তওবা করুন, ফিরে আসুন ইসলামে
যারা ব্লগে অথবা অন্য কোথাও সত্যকে খুজে আল্লাহর কিতাব বাদ দিয়ে, তারা কখনোই সত্যকে পাবেনা
নিচে একটি পুস্ট দিলাম, সব বাস্তব ঘটনা, যা আল্লাহ জানিয়েছেন, তার নবি(ছঃ)কে

৫| ১৯ শে মে, ২০১৬ ভোর ৬:৪১

কুব্বত আলী বলেছেন: এই পুস্টে কিছু বাস্তবতা পাবেন
সাধারন নবির ভবিষ্যত বানী
""
এমন বাস্তব কথা আর কেউ কি কয় ???
মহানবি
সাল্লাল্লহুআলাইহিঅছাল্লাম একজন লেখা পড়া না জানা সাধারন মানুষ, যাকে বলা হয় উম্মি,, তিনি বিজ্ঞানি নন, তিনি কবি নন,
তিনি কিছু ভবিষ্যত বানী করে গেছেন, তা সত্য কিনা তা পাঠক যাচাই করতে পারেন।
★আমি যা বলি তা সত্য কারন তা স্রষ্টার দূত জিবরাইল আমাকে জানান
★ এমন এক দিন আসবে যখন নারী পোষাক পরেও উলঙ্গ থাকবে।
★এমন একদিন আসবে যখন ভূমীকম্প বেশি হবে ।
★ এমন একদিন আসবে যখন অধিক পরিমানে বজ্রপাত হবে ।
একজন সাহাবী জিজ্ঞাসা করিলেন, হে সত্য নবি এতো বেশী পরিমানে ভূমীকম্প ও বজ্রপাত হবে কেনো??
সত্য নবি বললেনঃ তখন বেশী পরিমানে মানুষ হত্যা চলবে, খুন ধর্ষন, জুলুম অত্যাচার বেশী হবে, নারীরা বেহায়াপনা ও উলঙ্গপনা এবং বেপর্দায় চলবে, তখন যিনা ব্যভিচার বৈধ মনে করা হবে, মদ্যপান ও ভোগ বিলাসিতা বৃদ্ধি পাবে।
★ এমন একদিন আসবে যেদিন তুমরা দেখবে কিছু যুবক ও তরুনদের দল যাদের মূখে থাকবে নিতী বাক্য অর্থাৎ যারা আল্লাহর বানী কুরআন ও রাসুলের বানী হাদিস, পাঠ করবে, কিন্তূ তারা ইমান আনবেনা।
★ এমন একদিন আসবে তখন এমন কিছু যুবক তরুন, ইসলাম থেকে ঠিক তেমন ভাবে বেড়িয়ে যাবে, যেমন ভাবে ধনুক থেকে তীর দ্রুত গতিতে বেড়িয়ে যায়, অতপর তাদের হত্যা করা হবে
★ এমন একদিন আসবে যখন মানুষ কুরআন পড়বে, কিন্তূ তা তাদের অন্তরে প্রবেশ করবেনা।
(প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা আমি সবকটা ভবিষ্যতবানীর সত্যতা প্রমান পেয়েছি,
নারী আজ পুষাক পরেও উলঙ্গ, খুন ধর্ষন ব্যাপকহারে হচ্ছে, ভূমীকম্প, বজ্রপাত, ইত্যাদী দারুন ভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে
আর আসবে তরুন প্রজন্ম যাদের মুখে কুরআন হাদিসের বানী থাকবে, কিন্তূ তারা ইমান আনবেনা, তারা কুরআন পড়বে কিন্তূ তা তাদের অন্তরে পৌছবেনা, তারা এমন ভাবে ইসলাম থেকে বেড়িয়ে যাবে যেমন ভাবে ধনুক থেকে তীর বেড়িয়ে যায়, সে সময় তাদের হত্যা করা হবে,, আমি আশ্চর্য হচ্ছি !! এসব বাস্তব চিত্র যেনো মহানবি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে গেছেন, আমি এটা বেশী লক্ষ করি ব্লগে এমন কিছু ব্লগার আছে যারা কুরআন পড়ে, ও হাদিস পড়ে, কিন্তূ তারা ইমান আনেনা, যাদের ইমান আছে তারাও দ্রুত গতিতে বেড়িয়ে যাচ্ছে, হায়হায় !! এই বাস্তবতা দেখে তাদের ইমানের উপর অটল থাকা উচিৎ,সবাই চরম বাস্তবতা শেয়ার করে জানিয়ে দিন, যে মরার পরের জিবন বিশ্বাস করে তার যদি ইমানের এই কঠিন পরিক্ষায় পাশ করার ইচ্ছা থাকে তবে সে তা করুক, ও ভেবে দেখুক। (একটি কথা সন্দেহবাদীরা মনে রাখুন, নবি কোনো বিজ্ঞানি নন যে তাকে সব বিজ্ঞান বলে যেতে হবে, তিনি সাধারন মানুষ, তারও ভুল হয়, এবং তিনি তা স্বিকার করেছেন, তিনি বলেছেন, আমি তুমাদের মতোই মানুষ তুমাদের যেমন ভুল হয় আমারও তেমন হয়, কুরআনে নবির ভুলকে সুদরে দিয়েছেন মহান আল্লাহ পাক, নিজের ইমান ঠিক রাখুন, ভুল বুঝবেননা, প্রশ্ন থাকলে করুন
আশা করি বোধসম্পন্নরা ফিরে আসবেন, যারা নির্বোধ তারা ফিরে আসবেনা এটাও ভবিষ্যত বানী
বোখারী শরীফে এই ভবিষ্যতবানী দেখুন এই লিংকে http://www.dailyislam.com.bd/?p=7531

২০ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:২৭

বিবেক ও সত্য বলেছেন: মন্তব্যগুলো প্রবন্ধ সংশ্লিষ্ট হলে ভাল হয়। এক প্রসঙ্গের প্রবন্ধে অন্য প্রসঙ্গ আনলে আলোচনার বহু দ্বার একসাথে উম্মোচিত হয়, যার ফলে কোনটিরই সমাধান সঠিকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না।
আমি নিজেকে জ্ঞানের ছাত্র মনে করি। যারা জ্ঞানী তাদের থেকে শিখতে ভালবাসি। ভাল থাকবেন।

৬| ১৯ শে মে, ২০১৬ সকাল ৭:০৪

কুব্বত আলী বলেছেন: এটাও দিলাম দয়া কর, কারন হযরত মোহাম্মাদ (ছঃ) বলেন যে মানুষের প্রতি দয়া করেনা, আল্লাহও তার প্রতি দয়া করেননা ।
নিশ্চয়ই প্রশান্তি ও আত্মিক শান্তির একটি উৎস রয়েছে, আর তাহলো আল্লাহর প্রতি ঈমান। খাঁটি ঈমান ও দৃঢ় বিশ্বাস, সন্দেহ যাকে পঙ্কিল করতে পারে না, কোন নেফাকী যাকে নষ্ট করতে পারে না- তা যে মানুষকে স্থিরচিত্ত ও প্রশান্ত হ্রদয়ের অধিকারী করে, তা দৃষ্টিসম্পন্ন ও নির্মোহভাবে দেখা যেকোন লোকই উপলব্ধি করে। যুগ যুগ ধরে এর ধারাবাহিকতা আমরা লক্ষ করি। এর বিপরীতে যারা ঈমানের দৌলত ও দৃড়বিশ্বাসের শিতলতা থেকে বঞ্চিত, তাদেরকেই সবচেয়ে অস্থির, সংকীর্ণ, উৎকন্ঠায়মগ্ন দেখা যায়। তাদের জীবনের প্রকৃত কোন তৃপ্তি ও স্বাদ নেই। তারা আনন্দ ও আয়েশের সকল উপকরণের মাঝে জীবনযাপন করেও প্রশান্তির দেখা পায় না। কেননা তারা জীবনের কোন উদ্দেশ্যই ঠিক করতে পারে না। পারে না কোন লক্ষ্য স্থির করতে। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ ''আর যেইজন আমার স্মরণ থেকে ফিরে যাবে তার জন্যে তবে নিশ্চয়ই রয়েছে সংকুচিত জীবিকানির্বাহের উপায়, আর কিয়ামতের দিনে আমরা তাকে তুলব অন্ধ অবস্থায়''। (সুরা তোয়া-হা, আয়াতঃ ১২৪) "আল্লাহর প্রতি ঈমান এমন এক শক্তি যা ব্যক্তির জীবন যাপনের সহযোগীতায় অত্যাবশ্যক। আর ঈমান ছাড়া সে জীবনে দুঃখ দুর্দশা লাঘবে অক্ষম হয়ে পড়বে"। আর্নেস্ট রিনান, ফরাসি ইতিহাসবিদ

৭| ১৯ শে মে, ২০১৬ সকাল ৭:১৬

কুব্বত আলী বলেছেন: উপরের কমেন্টে প্রথম যে কথাটা বলেছি তাহলোঃ
এটাও দিলাম দয়া করে, কারন হযরত মোহাম্মাদ (ছঃ) বলেছেন, যে মানুষের প্রতি দয়া করেনা আল্লাহও তার প্রতি দয়া করেননা
তাই একটু দয়া করলাম, এবং কয়েকটি মন্তব্য একসাথে করলাম,
স্বরন রাখুন
যারা ব্লগে অথবা অন্য কোথাও সত্যকে খুজে আল্লাহর কিতাব বাদ দিয়ে, তারা কখনোই সত্যকে পাবেনা।
বেশী বেশী কুরআন তরজমা ও তাফসির পড়ুন, আপনারর জিবন সুন্দর হোক, পরকালে চির সুখের জান্নাতি হোন এই কামনা রইলো, কুরআন পড়তে ভুলবেননা যেনো, কোনো উস্তাদের নিকট পড়া সর্ব উত্তম, যাকে আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করা যায়,আমার ধারাবাহিক পুস্টে চোখ রাখুন,

২০ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:১৮

বিবেক ও সত্য বলেছেন: মনে করুন আপনাকে কোন হিন্দু বলল তার বিশ্বাস অনুসারে- যারা ব্লগে অথবা অন্য কোথাও সত্যকে খুজে ভগবানের বই বাদ দিয়ে, তারা কখনোই সত্যকে পাবেনা।
বেশী বেশী কুরআন বেদ পড়ুন, আপনারর জিবন সুন্দর হোক,বেদ, উপনিষেদ পড়তে ভুলবেননা যেনো, কোনো ঠাকুরের নিকট পড়া সর্ব উত্তম’
আপনি কি বলবেন? যারা সত্যের প্রেমিক তাদের জন্য আরো কিছু কথা নিম্নে দিলাম:
সত্যানুসন্ধান বলতে কি বুঝায়?
মানব জাতি শত শত চিন্তা-দর্শন, মত,পথ ও ধর্মে বিভক্ত।এর মধ্যে থেকে কোন মত, পথ বা ধর্ম ঠিক তা খুজে বের করাই হল সত্যানুসন্ধান।
সত্যানুসন্ধান কি সকলেরই দায়িত্ব?

যে যেই ধর্ম,মত বা পথের অনুসারি সে সেই ধর্ম,মত বা পথকে ১০০% সঠিক মনে করে। আর যখন আপনি মনে করবেন যে আপনার ধর্ম,মত বা পথ ১০০% নির্ভূল এবং এর বাইরে যা কিছু আছে সবই ভূল তখন তো আপনি মনে করবেন সত্যানুসন্ধানের দায়িত্ব আপনি ও আপনার ধর্মাবলম্বীরা/মতালম্বীরা ছাড়া পৃথিবীর বাকি সকল লোকের দায়িত্ব সত্যানুসন্ধান করা।আপনি মনে করেন সত্যানুসন্ধান অন্যের দায়িত্ব আর অন্যেরা মনে করে সত্যানুসন্ধান আপনার দায়িত্ব।সকলেই নিজ নিজ ধর্ম,মত বা পথ নিয়েই ১০০% সঠিক মনে করে সন্তুষ্ট। আর এ কারনেই প্রত্যেক ধর্ম,মত বা পথের অনুসারিরা তাদের নিজেদের মধ্যে আংশিক বা সর্ম্পূর্ণ বা যতটুকুই ভূল রয়েছে তা কখনো আর সংশোধীত হয় না।পৃথিবীর সকল ধর্ম, মত ও পথের লোকেরা যদি পরস্পর পরস্পরের চিন্তাধারা পরস্পর পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে শেয়ার করত তাহলে মানবতা বড়ই উপকৃত হত।
আপনি নিজ চোখে দেখছেন একটি হাতি দাড়িয়ে রয়েছে, উহাকে যখন কেউ ঘোড়া বলে তখন তার সাথে আলোচনা কিসের, সে তো আপনার দৃষ্টিতে চরম মূর্খ, তার সাথে কথা বললে আপনি তো তাকে শেখানোর মুড ও ‍দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মুখোমুখি হবেন। একই রকম দৃষ্টিভঙ্গি আপনার চিন্তা, মত বা পথের বিপরীত পক্ষের লোকেরাও করে থাকে। আপনি যেটিকে হাতি হিসাবে দেখছেন সেটিকে অন্য কেউ ঘোড়া বা গন্ডার হিসাবে দেখছে।কার দৃষ্টিতে কতটুকু সমস্যা তা কে সংশোধন করবে?কেউ তো মানতেই চায় না যে তার মত,পথ বা ধর্মে ভূল থাকতে পারে।সাধারন মত,পথ বা বাদ-মতবাদের ক্ষেত্রে পারস্পারিক আলোচন-সমালোচনা কিছুটা হলেও সহজ, কিন্তু ধর্মের বিষয়ে কথা বলা স্পর্শকাতর-যদিও ধর্মের নামেই সবচেয়ে বেশি মূর্খতা হয়ে থাকে। আপনার ধর্ম সঠিক কিনা বা স্রষ্টা আদৌ কোন ধর্ম দিয়েছেন কিনা এসব যাচাই বাছাইয়ের চিন্তা করাই তো বড় পাপ মনে করেন। শিশুকাল থেকে যাচাই-বাছাইয়ের বদলে নিজ ধর্মকে অতি শ্রদ্ধা ও পবিত্র মনে করতে শিখেছেন, তাতে যে ভূল থাকতে পারে তা ভাবার অবকাশ কোথায়?ভাল ও পবিত্র কিছুকে শ্রদ্ধা করা অবশ্যই ভাল কাজ।তবে আপনি যেটাকে ভাল বলছেন তা তো অবশ্যই বিবেক বুদ্ধি ও প্রমাণ দ্বারা যাচাই করে নিতে হবে, এরপর শ্রদ্ধার প্রশ্ন আসে। সবচেয়ে জ্ঞানী ও আলোকিত ব্যক্তি তারাই হতে পারবে যারা-১. অন্ধত্ব ও গোড়ামিত্ব পরিহার করে এরুপ চিন্তা করতে পারবে যে আমার নিজ ভাবনা যত সঠিকই মনে হোক না কেন কাল তাহা পরিবর্তন হতে পারে।
২. আমি মানুষ। আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারনে আমি আজ যা চরম সত্যে হিসাবে মনে করছি তা ভূলও হতে পারে।
৩. আমার নিজ চোখে দেখা বিষয়ও ভূল হতে পারে। আপনি নিজ চোখে যদি দেখে একটি বিড়াল আপনার সামনে বসে আছে আর কেউ যদি বলে উহা বিড়াল নয়, সাথে সাথে আপনি তার থেকে বা তার অনুসারিদের থেকে উহার ব্যখ্যা জানার চেষ্টা করুন (শেখার নিয়তে, তর্কে পরজিীত করার স্বার্থে নয়)।গ্রহণযোগ্য হলে গ্রহণ করুন, গ্রহণযোগ্য ব্যখ্য না পেলে বিনয়ের সাথে বলুন আপনার বিবেচনায় আপনি তখনও সঠিক হিসাবে গ্রহণ করতে পারছেন না, পরবর্তী যদি কখনও তার বক্তব্য আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য বলে প্রতীয়মান হয় তখন আপনি গ্রহণ করবেন।
৪. ভিন্ন মতের বা ধর্মের কারো সাথে গঠনমূলক বিতর্কে ভিন্ন মতের ব্যক্তি যদি তার বক্তব্য প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়, তার অর্থ নিশ্চিতভাবে কখনও এই হয় না যে সে ভূল ছিল আর আপনি ১০০% সঠিক।কারন হতে পারে যিনি বিতর্কে তার বক্তব্য প্রমানে ব্যর্থ হলেন তিনি হয়ত গুছিয়ে কথা বলতে পারেন না বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপর্যাপ্ত জ্ঞান রাখেন।তবে ইহা তার বিষয়টি ভূল হওয়ার সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত করে।
৫. যেহেতু পৃথিবীর সকল ব্যক্তির কাছে নিজ ধর্ম বা দর্শন ১০০% সঠিক বলে প্রতিয়মান হয়, কারো জন্য এ দাবি করা ঠিক নয় যে তার ধর্ম বা চিন্তা দর্শন এতটাই নির্ভূল যাতে বিন্দু মাত্র ভূল নেই বা থাকতে পারে না। কেউ এতটুকু বলতে পারে যে আমার জ্ঞানানুসারে এখন পর্যন্ত আমি যতটুকু বুঝতে পারছি সে আলেকে অমুক ধর্ম বা চিন্তা দর্শন ১০০% নির্ভূল বলে প্রতিয়মান হচ্ছে, তাই আমি উহাকে বাস্তব জীবনে পালন ও প্রচার-প্রসারে চেষ্টা সংগ্রাম করছি। যে কেউ আমার অনসৃত ধর্ম বা দর্শন নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করলে তাকে আমি বন্ধু মনে করি, কারন সে হয়ত আমার কোন ভূল থাকলে ধরিয়ে দিবে অথবা পারস্পারিক আলোচনার কারনে সে হয়ত কিছু শিখবে। বিশ্বের আমরা সকলেই সকলের ছাত্র।
কেউ প্রশ্ন করতে পারেন যে মানবীয় চিন্তা দর্শনে ভূল থাকতে পারে, তাই মানবীয় চিন্তা দর্শন ও বাদ-মতবাদের ক্ষেত্রে আমার উপরোক্ত বক্তব্য খাটে-কিন্তু স্রষ্টা প্রদত্ত কোন বিধান কেউ অনুসরণ করলে সে বিধানের ক্ষেত্রে কোন প্রশ্ন তোলা তো সাজেই না বরং স্পর্ধার শামিল। আমি আপনার কথার সাথে একমত যে স্রষ্টার কোন বিধানে ভূল থাকতে পারে না আর তার বিধানের কোন বক্তব্যর বিষয়ে প্রশ্ন তোলা চরম হঠকারিতা বৈ কিছু নয়। তবে কোন পুস্তক বা বিধানকে স্রষ্টা প্রদত্ত বলে কোন ব্যক্তি বা জাতি দাবি করলে তা আসলেই স্রষ্টা প্রদ্ত্ত কিনা তা যাচাই বাছাই না করে স্রষ্টার হিসাবে গ্রহণ করা চরম মূর্খতার পরিচয়। স্রষ্টার বিধান হিসাবে আপনার কাছে ১০০% প্রমানিত হলে তখন আপনি প্রশ্ন তুলতে পারেন না।সুতরাং কোন পুস্তক আসলেই স্রষ্টা প্রদত্ত কিনা তা প্রশ্ন করা ও যাচাই-বাছাই করা শুধু উচিতই নয় প্রত্যেক বুদ্ধিমান মানুষের দায়িত্ব।
অতএব সত্যানুসন্ধানের দায়িত্ব পৃথিবীর সকল মানুষের।

৮| ১৯ শে মে, ২০১৬ সকাল ৭:২১

কুব্বত আলী বলেছেন:

২০ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:২০

বিবেক ও সত্য বলেছেন: একজন খ্রিষ্টান বলবে-খ্রিষ্ট ধর্মই একমাত্র সত্যের পথ, হিন্দু বলবে হিন্দুত্ববাদই একমাত্র সত্যের পথ এবং -------------

৯| ২৮ শে মে, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

রোষানল বলেছেন: আপনি চরম গোমরাহিতে পড়েছেন।

২৮ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:০৭

বিবেক ও সত্য বলেছেন: মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। আপনি আমাকে বলেছেন যে আমি গোমরাহিতে পড়েছি। দয়া করে কি ব্যখ্যা করে বলবেন আমার কোন কথাটি সঠিক নয় কোন ব্যখ্যার আলোকে এবং কোন যুক্তির আলোকে। যদি ব্যখ্যা দিতে না পারেন তবে ধরেই নিতে হবে আপনার মন্তব্য ধর্মান্ধতা হেতু যা চরম অর্থহীন।

১০| ১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০১

কুব্বত আলী বলেছেন: যদি কোনো ধর্মই সত্য না হয়, তবে আপনি একটা ধর্ম বের করুন, অথবা তৈরী করুন, যা প্রকৃত সত্য হবে ও মানব রচিত নয়, আপনি যে ধর্ম তৈরী করবেন সেটা মানব রচিত নয়, হাঁ হাঁ হাঁ, তাহলে গবেশনা করে বেড় করবেন বিবেক ও বুদ্ধি দিয়ে কোন্ টা প্রকৃত স্রষ্টার ধর্ম,,
এপর্যন্ত পেয়েছেন কি ??
উত্তর যদি 'হ্যা' হয় তবে আমাদের জানিয়ে দিন কোন্ সে ধর্ম।,
আর যদি অন্ধকার বা ঘোলাটে ধারনা হয় যে স্রষ্টা কোনো ধর্মই দেননি ,,
তাহলে উত্তর। হ্যা ' না হয়ে না হবে, যদি তাই হয় তবে বেটা বেয়াদপ এতো ঘ্যান ঘ্যান করিস ক্যান্ ,
কোনো সত্যের সন্ধান দিতে পারবিনা মানব জাতীকে সঠিক ধর্ম এনে দিতে পারবিনা, মানব জাতীকে ভয়ঙ্কর হতাশার জিবনে ফেলে দিতে ও মানব জাতীকে অনর্থক সৃষ্টি মনে করে চরম নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়ে হা করে বসে বসে শুধু ভাবতে থাকবি, আর বিতর্ক করে স্রষ্টার দেয়া জিবনের মূল্যবান সময় নস্ট করবি ,,
মানুষের মাথার কোন্ অংশে এমন সমস্যা হলে মানুষ তুর মতো আস্ত গাধা হতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা,,,।
এবার তোর মতো ভয়ঙ্কর মূর্খ বুদ্ধিজিবির নিকট আমার কথা থাকবে
১/ এমন কোনো ধর্ম এনে দে যেটা মানব রচিত নয়
২/এমন ধর্ম চাই যা স্রষ্টা প্রদত্ত
৩/যদি তা না করতে পারিস তবে নিজের ইমানকে নস্ট করে জাহান্নামের দিকে গিয়ে যে বিপদে পড়েছিস, সেই বিপদে আমাদেরকে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করবিনা !!!!!!!!! ;%#*&%@*%%)(-**))
আমি স্রষ্টাকে বিশ্বাসের পর এটাও বিশ্বাস করি তিনি কাউকে অযথা জাহান্নামী বানাবেননা,, নিশ্চয় তার পিছনে থাকবে বিরাট কারন,, বেশী মানবতা দেখানোর নামে মূর্খতা দেখাতে যাবিনা, স্রষ্টা ও স্রষ্টার পাঠানো রাসুলের চেয়ে বড় মানবতাবাদী হতে চাইস না, নিঃসন্দেহে বিশ্বাস করি যিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন মানুষকে কোথায় দিতে হবে না দিতে হবে সেটা তার চিন্তা, আমার চিন্তা নয়,, আবুজেহেল নবির আপন চাঁচাঁ হয়ে জাহান্নামে গেলো, এতে নবির উচিৎ ছিলো ঐ আল্লার প্রতি অবিশ্বাস করা কারন চাঁচাঁ বাপের মতই নিজের চাঁচাঁকে চিরস্থায়ী জাহান্নামে পাঠিয়ে দিতে নবির মনচাইতোনা, আর যেহেতু সেই নবিই ঘোষনা করলেন যে কালেমা পাঠ বা বিশ্বাস না করার কারনে সে জাহান্নামে যাবে,, এটা নবির বাবার আপন ভাই তবুও সে জাহান্নামে যাবে, এখানের নবির চিন্তার বিষয়, আমাদের নয়,, নিঃসন্দেহে নবি, আল্লাহকে ভয় করতেন, আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে দুজখে দিবেন এটা তার নিজের ব্যাপার, সৃষ্টির প্রতি যদি মায়া থাকে আমাদের চেয়ে বেশী তবে অবশ্যই যা করার তাই করবেন, তবে আল্লাহ জালেমদের ভালোবাসেননা, তাদেরকেই জ্বালানো হবে জাহান্নামে,,,
আর স্রষ্টা যা করবেন তা অবশ্যই ন্যায় বিচার,, যদি সবাইকে জান্নাতে দেয়া হয় তবে বিচার বলে কিচ্ছু থাকেনা, যে ধারনা আপনি করে বসে আছেন যে কেনো তাদেরকে চিরতরে জাহান্নামে দেয়া হবে, এটা কেমন বিচার, স্রষ্টাকি এতই নিষ্ঠুর, স্রষ্টা এতো নিষ্ঠুর হতে পারেননা ,,,
একটা উদাহারন দেই, তুমার মাকে যদি কেউ সর্বনাশ করে তবে তুমি কি চাওনা তার মৃত্যুদন্ড হোক ? যদি তুমার বোনের মূল্যবান ইজ্জত নিয়ে কেউ খেলা খেলে ও হত্যা করে তবে তুমি কি চাওনা তার মৃত্যুদন্ড হোক ??
যদি না চাও তবে তুমি কান্ডজ্ঞানহীন নির্বোধ,, আসলে এটাই ধর্ম ও ন্যায় বিচার যদি তুমিও চাও ঐ বেক্তির সর্বনাশ কারন তাকে মাফ করলে সে আবার এমন করবেনা তা কে বলেছে ??
সে তুমার মা ও বোনের মূল্যবান সম্পদ ছিনিয়ে নিয়েছে সে এমন ভাবে আরো দশ জনের এমন ক্ষতি করবে, এখন তুমি যদি বলো মানবতার খাতিরে তাকে মাফ করে আরো দশ জনের ক্ষতি করার সাহস দিলাম, তুমি পারো তুমার মা বোনের প্রতি এমন অবিচার করতে কিন্তূ এমন অবিচার স্রষ্টা মহান আল্লাহ করতে পারেননা, যে তার নিজের মা ও বোনের সন্মান বোঝেনা তার আবার মানবতা ??
সবচেয়ে বড় মানবতা আল্লাহ ও তার রাছুল দেখালেন, কিন্তূ তুমি করলে অবিচার নিজের মা বোনের প্রতি, ধিক্কার ও থুথু ছুড়ে মারি তুর মতন সন্তান ও ভাই নামের কলক্ঙের উপর,,
যে তার মায়ের সন্তান ও বোনের ভাই হয়ে এসব করতে পারে, চরম ঘৃণা জানাই তার উপর
চরম ঘৃণা জানাক সমগ্র বিশ্বের মানবতাবাদী ধর্মপালনকীরারা ।
এবার বলবো যে অবিশ্বাস করবে সে জাহান্নামী, মনে রাখতে হবে অবিশ্বাসী মাত্রই উপরের মতন সিমালংঘনকারী,, মনে করি আর কিছু বলতে হবেনা এসব ব্যাপারে ।
নিশ্চয় কোরআন ভিতী প্রদর্শনকারী গ্রন্থ যা একটি মানুষের উপর নাজিল হয় এবং সেই মানুষটি ইহা পাঠ করে শোনাই,, এটা পড়ার গ্রন্থ তাই এতে আছে আল্লাহর প্রসংশা ও মানুষ যেভাবে কথা বলে ও প্রসংশা করে ঠিক তেমন ভঙ্গীতে প্রসংশা, আল্লাহ প্রসংশিত ।
আপনি এখন এর উত্তরে যা বলবেন তা আমি জানি কোরআন এসব আগেই বলে দিয়েছে
যেমন আপনি বলতে পারেন সেই কথাঃ
একজন খৃষ্টান তার গ্রন্থকে কতোভাবে সত্য প্রমান করার চেষ্টাই না করে,
প্রত্যেক ধার্মীক আপনার মতো অন্ধবিশ্বাসের শক্তিশালী বক্তৃতা উপরের মতো করে দিয়ে থাকে,
যতো যাই বলেন আপনি আপনার ধর্মের প্রেমে এসব বললেন, ইত্যাদী কথা হয়তো বলবেন।
আল্লাহ বলেন তাদের যাই বলুন না কেনো তারা তা মানতে রাজী নয়,
আচ্ছা আমরা দেখি এর উত্তরে আপনি কি বলতে পারেন যেমনঃ
একজন খৃষ্টান তার ধর্মের বানী বলে বলবে ইশ্বর বলেছেন, অখৃষ্টানরা কখনোই এটা মানতে রাজী নয় যেমন করে জনাব কুব্বত আলী সাহেব বললেন ।
এবার আমি বলবো তুর মতন একটা মানব রূপী শয়তানই পারে এমন উত্তর দিতে ।
মানে আমি যা বলবো ঠিক তাই তুই অন্য একটা বিষয়ের সাথে তুলনা করবি, তাহলে তুর মতন নির্বোধের সাথে কথা বলে এমবি নস্ট ও স্রষ্টার দেয়া সময় নস্ট করে লাভ কিরে ??
পারলে স্রষ্টার ধর্ম এনে দেখা না পারলে পথ থেকে সড়ে দাড়া অযথা সময় নস্ট করবিনা,,, সময় নস্ট করলে আমি অখুশী, শুভ বুদ্ধি উদয় হওয়ার পর সময় নস্ট না করলে শুভ কামনা ও ধন্যবাদ ।

১১| ১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫২

বিবেক ও সত্য বলেছেন: কুব্বত আলী ভাইকে বলছি - আপনি যে ভাষায় আপনার মন্তব্য করেছেন তা ইসলাম সমর্থন করে না । আপনি ইসলামের বিধান লঙ্ঘন করে ইসলামের পক্ষে কথা বলছেন। বিরোধীতা করা সম্পর্কে ইসলামের বক্তব্যর জন্য দেখুন-ধর্মীয় অনুভূতীতে আঘাত:আলেমদের ভূমিকা-ইসলামের দৃষ্টিতে সঠিক না বেঠিক
আপনি বলেছেন- সত্য ধর্ম না থাকলে একটি ধর্ম নিয়ে আসতে । অদ্ভূত প্রশ্ন । ধরুন আপনি আমাকে বললেন একটি গ্লাস আর এফ এল এর একটি রিক্সা নিয়ে আস । আমি খুজে দেখলাম যে আর এফ এল কোন রিক্সা বানাইনি তখন আমি এ ছাড়া আর কি উত্তর দিব যে আর এফ এল কোন রিক্সা বানাইনি?
আপনি যদি হ্য বোধক উত্তর দেন তাহলে আপনার দায়িত্ব দাড়ায় তার পক্ষে প্রমান দেয়া।
স্রষ্টা কোন ধর্ম দিয়েছে আমি খুজে পাইনি। আপনি পাইলে তার পক্ষে প্রমান উপাস্থাপন করুন ।
স্রষ্টা অবিচার করতে পারে এমন কোন কথা আমি বলিনি । বরং কুরআনে যেসব বক্তব্য আছে তা বিশ্লেষন করলে স্রষ্টাকে অবিচারক বলতে হয়, আমি স্রষ্টাকে অবিচারক মানতে নারাজ । কুরআন মানব রচিত প্রমানিত হওয়ার বহু কারনের এটাও একটি কারন। সকল অস্বীকার (কুফর) কারী জাহান্নামী-এটা কি ন্যয়বিচার?
আপনার এ কথাটি দেখে একুট হাসি পেয়েছে - ‘মানে আমি যা বলবো ঠিক তাই তুই অন্য একটা বিষয়ের সাথে তুলনা করবি’
আপনার কোন কথা যদি অন্য একটি বিষয়ের সাথে মিলে যায় তখন তুলনা ছাড়া কি করা যায়, বলুন। আপনি তখন একটু বেকায়দায় পড়ে যান । আপনার কাছে পৈত্রিক ধর্মের চেয়ে সত্য বেশি প্রিয় হলে বেকায়দায় পড়বেন না ।
আপনার মত খারাপ ভাষা ব্যবহার আমার স্বভাব বিরুদ্ধ, আমি কবির কথাটি স্বরনে রাখি বেশি করে- ’কুকুরের কাজ কুকুর করেছে কামড় দিয়েছে পাই----’। কবিতাটিতে প্রানীর নাম থাকায় দোষটা আমার নয়, কবির।
আমি আপনাকে আপনি বলেই সম্মোধন করলাম ।
আরো কয়েকটি লেখা পড়ার সনির্বন্ধ অনুরোধ করছি: আপনি কোন পক্ষে?
তর্কের প্রয়োজনীয়তা
নৈতিকতা কি ধর্মের উপর নির্ভরশীল (প্রমান ভিত্তিক আলোচনা)( পর্ব-৩)

১২| ১৭ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬

কুব্বত আলী বলেছেন: তাহলে আপনি কি বলতে চান ?
ধর্মকে ছেড়ে দিয়ে বিধর্মী হতে ?
যা বলার ক্লিয়ার বলুন, এসব বিষয়ে ব্লগ লেখার আপনার উদ্দেশ্য কি ?

১৩| ১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:০৭

বিবেক ও সত্য বলেছেন: সুন্দর প্রশ্রের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই । প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পূর্বে একটি কথা বলে নেই । সেটা হল- আমরা সকল মানুষই (আস্তিক,নাস্তিক সবাই) ক্ষুদ্র জ্ঞানের । আমরা যদি পরস্পর পরস্পরের জ্ঞানকে সুন্দর পরিবেশ ও সুন্দর ভাষা ব্যবহার করে শেয়ার করি তাহলে যার জ্ঞানে যতটুকু ভূল আছে তা সংশোধিত হয় । আর যদি পরস্পরকে প্রতিপক্ষ মনে করি বা তর্ক করে জেতার নিয়ত করি তাহলে যিনিই এটা করবেন সেইই ভূল করবেন। আমি সবিনয়ে বলতে চাই যে তর্ক করে জেতার উদ্দেশ্য নেয়, স্রেফ জ্ঞানকে শেয়ার করার মানসে এসব বিষয় তুলে ধরা । আমার কোন মন্তব্য আপনার বুঝে না আসার জন্য অসংলগ্ন বা অসংশ্লিষ্ট মনে হতে পারে, সেক্ষেত্রে আপনি সুন্দর করে প্রশ্ন করুন আমি চেষ্টা করবো উত্তর দেয়ার।

এবার আপনার প্রশ্নের উত্তর দেই। আপনি বলেছেন কোন স্রষ্টা প্রদত্ত ধর্ম না পেলে আমরা কি ধর্মহীন হবো নাকি? আগের মন্তব্যের দৃষ্টান্ত থেকে বলি যে আপনি দেখলেন আরএফএল কোন চেয়ার বানাইনি তাহলেও কি আপনি আর এফ এল চেয়ার বানিয়েছে বলে জপতে থাকবেন? যদি আমরা এমন কোন ধর্ম না পাই যা স্রষ্টা বানিয়েছে তাহলে তো ধর্ম পালনের কোন প্রয়োজনীয়তা নেই । নিম্নে একটি দৃষ্টান্ত দিলাম ।
মনে করুন কেউ এসে একটি বই দিয়ে আপনাকে বলল যে- মাঠে ধান চাষের সর্বশ্রেষ্ঠ নীতি এ বইয়ে লেখা আছে য স্রষ্টা নিজে দিয়েছেন, আরেকজন এসে বলল ভাই ওটা স্রষ্টার লেখা বই নয় বরং জনৈক লোক লিখেছেন বরং চলুন আমরা অভিজ্ঞ কৃষকগন মিলে মিশে আলোচনার ভিত্তিতে যে পদ্ধতি ভাল হয় সে পদ্ধতিতে জমি চাষ করি ।
প্রথম ব্যক্তির কথা যদি সত্য হয় অর্থাৎ বইটি যদি সত্যিই স্রষ্টার হয় তাহলে দ্বিতীয় লোকের কথা অবশ্যই পরিত্যজ্য, কারন স্রষ্টার নীতির উপর কোন নীতি, অভিজ্ঞতা কোন কিছুর মুল্য নেই । কিন্তু যদি প্রমানিত হয় যদি প্রথম ব্যক্তির দাবি মিথ্যা অর্থ্যাৎ স্রষ্টা কোন কিতাবই দেননি, ওটা মানব রচিত এবং দাবিদার মিথ্যাবদী, তাহলে কোনটি অধিকতর পরিত্যজ্য? নিশ্চয়টি প্রথমটি, নয় কি?
আমি জানি আমার এ ক’টি কথা আপনার মনের সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দেয় না । প্রশ্নের পূর্বেই উত্তর না দিয়ে আপনার প্রশ্নের অপেক্ষায় রইলাম ।
ভাল থাকবেন।

১৪| ২২ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

কুব্বত আলী বলেছেন: আরে মিয়া, আপনি স্রষ্টায বিশ্বাস করতে পারেননা, কারন স্রষ্টা বলে কিছু নেই, যদি থাকে তবে দেখান ?
আর স্রষ্টা বলে কেউ থাকলে স্রষ্টা কেনো নিরব ?
স্রষ্টাকে বিশ্বাস করা চরম মূর্খতা, যেহেতু করেন, তবে আপনি চরম অন্ধ বিশ্বাসী ।
যে অন্ধ বিশ্বাসী তার সাথে কথা বলে লাভ কি ?
মানুষকে যে বিবেক বুদ্ধি দেয়া হয়েছে তা স্রষ্টা দিয়েছেন তার প্রমান কি ?
মানুষ বানর থেকে এসেছে, ব্যাস , এতো চিন্তা ভাবনা সত্য মিথ্যা নির্নয় এসব ছাড়ুন, আর ভালো করে একটু দম নিন এবার ঘুমান ;; কোনো কামনা নেই,

১৫| ২২ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:০৬

বিবেক ও সত্য বলেছেন: আপনার এ মন্তব্যর ব্যখ্যা আপনি নিম্নের লেখায় পাবেন। উক্ত লেখায় যদি সন্তুষ্ট হতে না পারেন তা হলে উক্ত লেখাতে বাকি প্রশ্ন করার জন্য অনুরোধ করছি।

১৬| ২৩ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৫:২২

কুব্বত আলী বলেছেন: এভাবেই এড়িয়ে যায়, অবিবেক ও মিথ্যা, পালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ নেই.... সঠিক উত্তর না পারিলে বেড়িয়ে যায় পাদ।
এ প্রসংঙ্গ ছাড়িয়া দিয়া পরের আর্তনাদ।

১৭| ২৩ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৫:৪২

কুব্বত আলী বলেছেন: শেষ কমেন্টঃ

কোনো হেদায়েতের বানী এখানে করতে যাবোনা,, কারন আমার মূল ব্যাখ্যা ও বিশ্লেসন ও কথা বা বিতর্ক ও যুক্তি, যা কিছু করতাম তা সুমহান সুউচ্চ ও মহামর্যাদা সম্পন্ন যা মহান দয়াময় মমিনদের প্রতি,আর দারুন কঠুরময় কাফেরদের প্রতি, সমগ্র সৃষ্টি জগতের মালিক ও পালনকর্তা আল্লাহ পাকের বলতে বলা কোরআন থেকে, কিন্তূ যখন জানলাম কোরআন একবার পড়েও হেদায়েতের পরিবর্তে গোমরাহী লাভ হয়েছে তখন আমি আমার সব যুক্তি ও বিশ্লেষণ পরিহার করলাম,,
কুরআন বারবার বুঝে পড়া থেকে যদি কারো হেদায়েত ও মঙ্গল হয় তবে তা ই একমাত্র হতে পারে, এবং সম্ভব,
কোরআন বার বার
কোরআন বার বার
কোরআন বার বার, এর অনুবাদ তফসির তরজমা, পঠন করাই শ্রেয়.;

১৮| ২৩ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৪৩

কুব্বত আলী বলেছেন: শেষ কমেন্টের আরেকটি অংশ,

সাধারন নবির ভবিষ্যত বানী
""
এমন বাস্তব কথা আর কেউ কি কয় ???
মহানবি
সাল্লাল্লহুআলাইহিঅছাল্লাম একজন লেখা পড়া না জানা সাধারন মানুষ, যাকে বলা হয় উম্মি,, তিনি বিজ্ঞানি নন, তিনি কবি নন,
তিনি কিছু ভবিষ্যত বানী করে গেছেন, তা সত্য কিনা তা পাঠক যাচাই করতে পারেন।
★আমি যা বলি তা সত্য কারন তা স্রষ্টার দূত জিবরাইল আমাকে জানান
★ এমন এক দিন আসবে যখন নারী পোষাক পরেও উলঙ্গ থাকবে।
★এমন একদিন আসবে যখন ভূমীকম্প বেশি হবে ।
★ এমন একদিন আসবে যখন অধিক পরিমানে বজ্রপাত হবে ।
একজন সাহাবী জিজ্ঞাসা করিলেন, হে সত্য নবি এতো বেশী পরিমানে ভূমীকম্প ও বজ্রপাত হবে কেনো??
সত্য নবি বললেনঃ তখন বেশী পরিমানে মানুষ হত্যা চলবে, খুন ধর্ষন, জুলুম অত্যাচার বেশী হবে, নারীরা বেহায়াপনা ও উলঙ্গপনা এবং বেপর্দায় চলবে, তখন যিনা ব্যভিচার বৈধ মনে করা হবে, মদ্যপান ও ভোগ বিলাসিতা বৃদ্ধি পাবে।
★ এমন একদিন আসবে যেদিন তুমরা দেখবে কিছু যুবক ও তরুনদের দল যাদের মূখে থাকবে নিতী বাক্য অর্থাৎ যারা আল্লাহর বানী কুরআন ও রাসুলের বানী হাদিস, পাঠ করবে, কিন্তূ তারা ইমান আনবেনা।
★ এমন একদিন আসবে তখন এমন কিছু যুবক তরুন, ইসলাম থেকে ঠিক তেমন ভাবে বেড়িয়ে যাবে, যেমন ভাবে ধনুক থেকে তীর দ্রুত গতিতে বেড়িয়ে যায়, অতপর তাদের হত্যা করা হবে
★ এমন একদিন আসবে যখন মানুষ কুরআন পড়বে, কিন্তূ তা তাদের অন্তরে প্রবেশ করবেনা।
(প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা আমি সবকটা ভবিষ্যতবানীর সত্যতা প্রমান পেয়েছি,
নারী আজ পুষাক পরেও উলঙ্গ, খুন ধর্ষন ব্যাপকহারে হচ্ছে, ভূমীকম্প, বজ্রপাত, ইত্যাদী দারুন ভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে
আর আসবে তরুন প্রজন্ম যাদের মুখে কুরআন হাদিসের বানী থাকবে, কিন্তূ তারা ইমান আনবেনা, তারা কুরআন পড়বে কিন্তূ তা তাদের অন্তরে পৌছবেনা, তারা এমন ভাবে ইসলাম থেকে বেড়িয়ে যাবে যেমন ভাবে ধনুক থেকে তীর বেড়িয়ে যায়, সে সময় তাদের হত্যা করা হবে,, আমি আশ্চর্য হচ্ছি !! এসব বাস্তব চিত্র যেনো মহানবি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে গেছেন, আমি এটা বেশী লক্ষ করি ব্লগে এমন কিছু ব্লগার আছে যারা কুরআন পড়ে, ও হাদিস পড়ে, কিন্তূ তারা ইমান আনেনা, যাদের ইমান আছে তারাও দ্রুত গতিতে বেড়িয়ে যাচ্ছে, হায়হায় !! এই বাস্তবতা দেখে তাদের ইমানের উপর অটল থাকা উচিৎ,সবাই চরম বাস্তবতা শেয়ার করে জানিয়ে দিন, যে মরার পরের জিবন বিশ্বাস করে তার যদি ইমানের এই কঠিন পরিক্ষায় পাশ করার ইচ্ছা থাকে তবে সে তা করুক, ও ভেবে দেখুক। (একটি কথা সন্দেহবাদীরা মনে রাখুন, নবি কোনো বিজ্ঞানি নন যে তাকে সব বিজ্ঞান বলে যেতে হবে, তিনি সাধারন মানুষ, তারও ভুল হয়, এবং তিনি তা স্বিকার করেছেন, তিনি বলেছেন, আমি তুমাদের মতোই মানুষ তুমাদের যেমন ভুল হয় আমারও তেমন হয়, কুরআনে নবির ভুলকে সুদরে দিয়েছেন মহান আল্লাহ পাক, নিজের ইমান ঠিক রাখুন, ভুল বুঝবেননা, প্রশ্ন থাকলে করুন
আশা করি বোধসম্পন্নরা ফিরে আসবেন, যারা নির্বোধ তারা ফিরে আসবেনা এটাও ভবিষ্যত বানী
বোখারী শরীফে এই ভবিষ্যতবানী দেখুন http://www.dailyislam.com.bd/?p=7531' target='_blank' >এইখানে

আশা করি দেখেছেন, এবার কথাটি বুঝার চেষ্টা করুনঃ
কোন্ হিন্দু বা খৃষ্টান বা অন্যধর্মাবলম্বীরা কি বললো তার সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক, বা তুলনা, নেই,,
আর প্রধানত,ইসলাম যা বলে তা অন্য ধর্ম কখনোই বলতে পারেনা, কিন্তূ সমস্যা হলো আপনাকে হেদায়েতের ও দুনিয়া ও পরকালের মঙ্গলের জন্য এতো কস্ট করে কিছু লেখা সংগ্রহ করলাম, কিন্তূ আমি, আপনার জন্য যে মঙ্গলকামনা করলাম, আপনি তার অবমূল্যায়ন করলেন, ঠিক এইভাবেঃ
""প্রত্যেক ধর্মের অনুসারী চাই তার ধর্মে অনুসারী বাড়ুক, যেমন আপনিও চাইলেন""
ঠিক এভাবেই আপনি আমার সাথে ফাইজলামী করলেন, এবং অন্য ধর্মের দোহায় দিলেন,,, আপনার থাকতে পারে এমন অভ্যাস, কিন্তূ আমার নেই, যেহেতু আজ এই পোস্টে আলোচনা শেষ করছি তাই শেষ কমেন্টের অংশ হিসেবে এই কমেন্ট রেখে দিলাম, কি বলে শেষ করবো বুঝতেছিনা
হিন্দু হলে আদাব দেওয়ার কথা ভাবতাম
মোসলিম হলে ছালাম দেওয়ার কথা ভাবতাম, অশেষ দুঃখ নিয়েঃ
এমন একদিন আসবে যখন একদল তরুন প্রজন্ম স্থুল বুদ্ধির অধিকারী হবে, কোরআন পড়বে কিন্তূ তা তাদের অন্তরে প্রবেশ করবেনা, ইসলাম থেকে তারা এমনভাবে বের হয়ে যাবে যেমন করে ধনুক থেকে তীর বেড় হয়ে যায় !!
সেই সত্য আজ চোখে দেখছি হে আল্লাহর রাসুল (ছঃ) আপনার বানী সত্য প্রমানিত হয়েছে অবশ্যই আপনি সত্যবাদী, যদিও এই পোস্টের লেখক এসব কথা ধুলোই উড়িয়ে দিতে পারে,,,,,, যেকোনো ভাবে, হোক সেটা অন্য ধর্মের দোহায় দিয়ে,
যেমন আমি আরেকবার এই অভিনয় না করলেই নয়ঃ
"" অন্য ধর্মের অনুসারীরাও তাদের ধর্ম গুরুকে এভাবেই সত্য বলে সাক্ষী দ্যায়""
এবার আমি বলবো
হায়রে হতভাগা, বিশ্বের সকল ধার্মীক মানুষকে যেমন তুমি গাধা মনে করেছো, তার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ধর্মের অন্ধপ্রেমে পড়ে ধর্মের জন্য কস্ট মেহানত করে,,
এটা অন্য ধর্মের ক্ষেত্রে হতে পারে
কিন্তূ ইসলামের ইতিহাস সাক্ষী (লেখা পড়া যদি করে থাকো তবে হয়তো জেনে থাকবে) পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ধর্ম কিভাবে ছেড়ে দিয়ে আবুবক্কর, উমর, উসমান, আলী, বেলাল, (রাঃ) এদের মতো মানুষ মহা মানুষের খাতায় নাম লেখিয়ে গেছেন,
যা হোক আল্লাহ বলেনঃ
সে তো নিজের খেয়াল খুশী মতো চলে,

শেষ কথাঃ নিজে যেমন বিপদে পড়েছো ও মারাত্মক দুশ্চিন্তায় পড়েছো
ঠিক লেজ কাটা শেয়ালের মতো,
মোসলিমদেরকে এইরকম লেখা লিখে ভুলের মধ্যে ফেলার অপচেষ্টা করবিনা

যেমন

বিশ্বাস (ঈমান) করার পূর্বে আগে ভাল করে জানুন বিশ্বাস বলতে কি বোঝায়

এসব বিভ্রান্তীমূলক বিষয়ের কাজে অযথা সময় নস্ট না করে বাজারে গিয়ে বেগুন বিক্রি করো
অথবা কম্পিউটারে বসে ফ্রিল্যান্সীং বা আউটসোর্সিং ইনকাম করো
ফালতু বিষয় নিয়ে সময় নস্ট করার কোনো মানে হয়না, এই পোস্টে আমার মন্তব্য এখানেই শেষ হলো !
ফাও আলোচনা ও এম্বি নস্ট,মূল্যবান সময় নস্ট করার জন্য, আমার কাছে মাফ চাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি,
দুঃখিত ধন্যবাদ দিতে পারলামনা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.