নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ধত্ব ও গোড়ামিত্ব পরিহার করে জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তিক জীবন গড়ি

বিবেক ও সত্য

স্রষ্টা প্রদ্ত্ত বিবেক ও বিচার-বিবেচনা শাক্তি ব্যবহার করে বুদ্ধিবৃত্তিক ও আলোকিত জীবন গড়াই সত্যিকার মানুষের আসল কর্ম

বিবেক ও সত্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি কি সত্যে, ন্যায় ও কল্যানের পক্ষে নাকি ইসলামের পক্ষে?

১১ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪১



আপনি সত্যের পূজারী নাকি নবীর পূজারী ? আপনি কি সত্যে, ন্যায় ও কল্যানের পক্ষে নাকি ইসলামের পক্ষে? প্রশ্নদ্বয় শুনে কেউ ভ্রু-কুঞ্চিত করবে, আবার কেউ অর্থহীন বলে এড়িয়ে যাবে, আবার কেউ বলবে ফালতু প্রশ্ন, আবার কেউ বলবে ইসলাম বিরোধী প্রশ্ন । প্রশ্নদ্বয় নিয়ে চিন্তা করুন । অবশ্যই প্রশ্নদ্বয় তাৎপর্যপূর্ণ । বিজ্ঞ পাঠকদের, বিশেষত ইসলাম প্রেমিকদের সনির্বন্ধ অনুরোধ করছি উক্ত প্রশ্নদ্বয়ের উত্তর দেয়ার । এরপর আমি ব্যখ্যা করবো এ প্রশ্নদ্বয়ের তাৎপর্য কি আর কেনই বা আমি এরুপ প্রশ্ন করেছি।
প্রথমে আপনাকে জবাব দিতে হবে আপনি কোন পক্ষে, এরপর ব্যখ্যা করবেন কেন?

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

আহলান বলেছেন: #:-S

২| ১১ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৫৭

বিবেক ও সত্য বলেছেন: ?

৩| ১১ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:২০

সবুজ সাথী বলেছেন: আমরা আমাদের মহান রবের পূজারী। আমরা নিজ বিবেকের পূজা করি না।
فَأَمَّا الَّذِينَ آمَنُواْ فَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ
সুতরাং যারা ঈমান এনেছে তারা যানে এ সত্য উদাহরন তাদের রবের কাছ থেকে এসেছে

মানুষের বিবেক হোক আর বিজ্ঞান হোক এগুলো স্থান কাল পাত্র ভেদে পরিবর্তনশীল। প্রত্যেক মানুষের বিবেক আলাদা আলাদা। তাই বলে কি সবগুলাই সত্য? কোন পাগলেও একথা বলবে বলে মনে হয় না। ৫০ বছর আগে যে সমস্ত বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ সত্য বলে মনে করা হতো সেগুলা এখন সত্য নাই। আর একই সমাজে বসবাসকারী দুজন মানুষের বিবেকের মাঝে অনেক তফাৎ দেখা যায়।

কাজেই আপনার উদ্ভট বিবেক আর সত্যের পুজার কন্সেপ্ট থেকে বের হয়ে আসেন। যেই বিবেকের জন্য আপনি আপনার বোনের সাথে সেক্স করেন না। সে একই বিবেক দিয়ে পৃথিবীর আরেক জায়গায় অন্য একজন এই কাজ করছে। এগুলা ভন্ডামী ছাড়া কিছুই না।

১১ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

বিবেক ও সত্য বলেছেন: মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ । প্রথমত আপনার মন্তব্য আমার লেখার শিরোনাম সংশ্লিষ্ট নয় । তথাপিও উত্তর দিচ্ছি । আপনার প্রথম কথার ‘আমরা আমাদের মহান রবের পূজারী’ সাথে আমি ১০০% একমত । হিন্দুরাও তো তাদের রবের পূজারী । খ্রিষ্টানরাও তো তাদের রবের পূজারী-নয় কি? এ কথা বললেও আপনি হিন্দু বা খ্রিষ্টান সঠিক না বেঠিক তার প্রমান নিয়ে কথা বলবেন, নয় কি? তখন আপনি হিন্দু/খ্রিষ্টানদের ভূল প্রমান করতে কিসের আশ্রয় নিবেন? নিশ্চয় যুক্তি, প্রমান ও বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ, নয় কি? নিশ্চয়ই আপনি এমন ব্যখ্যা দিবেন না যা বিবেক বিরোধী । তাহলে আপনি বিবেকের বাইরে গেলেন কিভাবে? রবের কথা মানবেন এটাই তো বিবেকসম্মত কথা ।
কোনটি রবের কথা আর কোনটি মানব রচিত তা যাচাই বাছাই না করে অন্ধভাবে মানা মুর্খতা, নয় কি? মহান রবকে আমিও মানতে আপনার চেয়ে বেশি আগ্রহী । তবে প্রমান দিতে হবে যে এটা রবেরই কথা ।
বিবেক পরিবর্তনশীল-এ কথা সঠিক । তারপরও মানুষ স্রষ্টা প্রদত্ত বিবেব ব্যবহার করে চলাই মনুষত্ব । এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে গেলে একটি বড় লেখা হবে । আপাতত এটুকুই যথেষ্ট। ভাল থাকবেন ।

৪| ১১ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:২২

মহসিন ৩১ বলেছেন: আমি আমার মায়ের ভাষা , ধর্মীয় বোধে সদা জাগ্রত থাকতে প্রস্তুত ; ঘুম নেই মনে ; ঘুম নেই দেহেও ............ বিজ্ঞান মনস্কতা ছাড়া কোন ধর্মই যে প্রকৃত ধর্ম হয়ে উঠতে পারবে না । আমি মার্কিন বিরোধী মুসলমান ।

১১ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০

বিবেক ও সত্য বলেছেন: মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ । তবে আপনি বললেন না যে আপনি কোন পক্ষে?

৫| ১১ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭

বিপরীত বাক বলেছেন: মুসলিম রা জন্ম থেকেই অটোমেটিক মুসলিম। অার বেহেশতে যাওয়ার জন্যে এদের প্রিরিক্যুইজিট হলো মুসলিম হওয়া।
সো মুসলিম রা জন্ম নেয় মুসলিম হিসেবেই। তারপর বড় হয়ে এগুলো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করে। যেহেতু প্রাইমারি প্রিরিক্যুজিট অাগে থেকেই ফুলফিল অাছে তাই খুব একটা গা এরা করে না অন্য বিষয়ে।
অন্যদিকে খ্রিস্টানদের দেখুন জন্ম নেয় মানুষ হয়ে। এরপর এদেরকে গির্জায় নিয়ে খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষিত করা বিভিন্ন অাচার অনুষ্ঠান দ্বারা।
তাই খ্রিস্টান রা সারাজীবন চেষ্টা করে যায় মানুষ থেকে থ্রিস্টান হতে।
অার মুসলিমরা সারাজীবন চেষ্টা করে যায় মানুষ হতে।

৬| ১১ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

মহসিন ৩১ বলেছেন: এমন ভাবেই , সরস ব্যাখ্যা করেছেন যে , মন্তব্য তো নাইই , গন্তব্যও নিষ্প্রয়োজন। @ বিপরীত বাক । যাক সেকথা , চেষ্টার ফলাফল একক হবেনা বলেই ধারনা করছি। ............... যারা পড়তে থাকে তাড়া তো পড়ুয়াই ; আর যারা করণিক তাদের কি বলবেন। বিস্রিংখলা আসলে খুব কম প্রাণীদেরই কব্জাগত।

১১ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩

বিবেক ও সত্য বলেছেন: আমি জানি এ প্রশ্ন দেখে অনেকেই দ্বিধায় পড়ে যাবে । এরুপ প্রশ্নের যৌাক্তিকতা আমি অবশ্যই আলোচনা করবো । তার পূর্বে আমি দেখতে চেয়েছি কে কিভাবে এর উত্তর দেয়।

৭| ১১ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: আমার মনে হয় আপনার প্রশ্নই হয়নি। কেননা, ইসলাম নিজেই তো সত্য, ন্যায় ও কল্যাণ।
কেউ যদি এই তিনটি বিষয়ের সংমিশ্রণ কিছুতে খুঁজে পেতে চায় তাহলে তাকে ইসলামের কাছেই আসতে হবে।

১১ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯

বিবেক ও সত্য বলেছেন: মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। আমার প্রশ্নটি হয়নি, এরুপ মন্তব্য আসতে পারে সেটা আমার লেখায়ই প্রকাশ করেছি। আমি আমার প্রশ্নের যৌক্তিকতা শিঘ্রই দিব।

৮| ১১ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: “আপনি সত্যের পূজারী নাকি নবীর পূজারী ? আপনি কি সত্যে, ন্যায় ও কল্যানের পক্ষে নাকি ইসলামের পক্ষে?” আপনার কথাটিাই স্বয়ংস্ম্পূর্ণ নয়। আপনি বলছেন“ আপনি সত্যের পূজারী নাকি নবীর পূজারী?” আসলে প্রশ্নটাই কেমন বিবেক বর্জিত। আমি মুসলিম হিসেবে বলতে পারি। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তো সত্যেরই একটি অংশ। সত্য চিরন্তন একটি বিষয় যা যুগে যুগে ফিরে ফিরে ফিরে আসে। আমাদের নবীতো অবশ্যই সত্য একটি বিষয়। তিনি যে সময় টি পৃথিবীতে প্রবেশ করেছিলেন সেই সময় থেকে এখন পযন্র্ত তিনিই সত্য বলে আমরা জানি। তার জন্মের পূর্বে অন্যেরাা যখন নবী ছিলেন তারাও সত্য ছিলেন। এই ধারাবাহিকতা অবশ্যই সত্য। এ ক্ষেত্রে মিথ্যা কোনটি? মিথ্যা হলো সে সকল নবীর মৃত্যুর পর তাদের ভক্ত কতৃক কিছু তত্ব সংযোজন বিয়োজন। যা সত্যের সাথে মিথ্যার বেসাতি। আর এই কারনে নব সত্যের আগমন। আসলে সত্য যুগে যুগে একই প্রকৃতি সমৃদ্ধ। এর কোন পরিবর্তন ছিলো না। আর আপনি যদি মনে করেন নবী রাসুল সব মিথ্যা কথা তাহলে সেক্ষেত্রে আমার কিছু বলার নেই। কারণ আল কোরান বলে “ হে মুহাম্মদ তুমি তাকে যতই নসীহত কর সে বুঝিবে না কারন আমি তার দুচোখে পর্দা দিয়েছি সে দেখিবে না, তার দু কানে পর্দা দিয়েছি সে শুনিবে না। “ আল কোরআনের মাধ্যমে আমাদের প্রভু আমাদের জানিয়ে দিয়েছে তিনি কিছু নাস্তিক ধর্ম অবিশ্বাসী সৃষ্টি করেছি যারা মানসিক অসুস্থ। তাদের হৃদয় অথাৎ তারা ডিএনএ দ্বারা লিপিবিদ্ধ জিনেটিক্যালি ধর্মের উপর অবিশ্বাসী। তাদেরকে কোন ভাবে ধর্ম বা স্রষ্টা বোঝানো যাবে না।
পরবর্তী বাক্যে আবার বলছেন “আপনি কি সত্যে, ন্যায় ও কল্যানের পক্ষে নাকি ইসলামের পক্ষে?” আপনার এ কথাটাও আমার কাছে অসংলগ্ন বলে মনে হলো। আমি একটি প্রশ্ন করতে চাই “ ইসলাম কি সত্য, ন্যায় ও কল্যান জনক নয়?” ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি । এটি সনাতন একটি বিষয়। যা যুগে যুগে বিভিন্ন মানুষের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন সময় আর্বিভূত হয়েছে মানুষের জ্ঞানের বিন্যাসের উপর ভিত্তি করে। সেই ধারাবাহিকতায় ইসলাম সত্য ন্যায় ও কল্যানজনক একটি বিষয়।
আসলে আপনি কি বোঝাতে চাইলেন? আপনার ভাষা বোঝা আমার হলো না।

৯| ১১ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১

বিবেক ও সত্য বলেছেন: আপনার মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। আপনার কথায় যুক্তি আছে । আমি আমার প্রশ্নের যৌক্তিকতা শিঘ্রই দিব।

১০| ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:০০

আমি দেলোয়ার বলেছেন: মহানবী (স) ের মৃত্যুর সময় আবু বকর (রা) এসে ঘোষণা করেছিলেন,

"তোমাদের মধ্যে যারা মুহাম্মদ (সা) এর পূজা করতে তারা জেনে রাখুক যে মুহাম্মদ (সা) মৃত্যুবরণ করেছেন। আর যারা আল্লাহর ইবাদত করতে, অবশ্যই আল্লাহ সর্বদাই জীবিত থাকবেন কখনো মৃত্যুবরণ করবেন না।"

আবু বকর (রা) কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন:

"মুহাম্মদ (সা) একজন রাসুল ছাড়া আর কিছু নয়। তার পূর্বে অনেক রাসুল গত হয়েছেন। সুতরাং তিনি যদি মারা যান বা নিহত হন তবে কি তোমরা পিঠ ফিরিয়ে পিছু হটবে? আর যে পিঠ ফিরিয়ে সরে পড়ে সে কখনও আল্লাহর ক্ষতি করতে পারবে না। আর আল্লাহ শীঘ্রই কৃতজ্ঞদেরকে পুরস্কৃত করবেন।” (সুরা আল ইমরান, আয়াত ১৪৪)


"(হে রসূল!) বলুন! হে মানব জাতি! অবশ্যই আমি তোমাদের সকলের জন্য আল্লাহর রসূল, যিনি আকাশসমূহ ও পৃথিবীর সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক, তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি জীবিত করেন, তিনিই মৃত্যু দান করেন। কাজেই তোমরা আল্লাহ এবং তাঁর রসূল নিরক্ষর নবীর প্রতি ঈমান আন, যিনি আল্লাহ ও তাঁর বাণীর প্রতি ঈমান রাখেন এবং তা মেনে চলেন, তাহলেই তোমরা হিদায়াত প্রাপ্ত (সঠিক পথপ্রাপ্ত) হবে।" (সূরা আরাফ : ১৫৮)

"আমি আপনাকে বিশ্ববাসী সমস্ত মানুষের জন্য সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারী করে প্রেরণ করেছি, অথচ অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।" -(সুরা সাবা : ২৮)

"যেভাবে আমি তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের নিকট রাসূল পাঠিয়েছি, যিনি আমার আয়াতসমূহ তোমাদের নিকট তিলাওয়াত করেন, তোমাদেরকে পরিশুদ্ধ করেন, তোমাদেরকে শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকামাত এবং তোমাদেরকে শিক্ষা দেন সে সকল বিষয়, যা তোমরা জানতে না। অতএব তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করব। আমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর, অকৃতজ্ঞ (কাফির) হয়ো না। -(সূরা বাকারা : ১৫১-১৫২)

মুমিনদের প্রতি আল্লাহ নিঃসন্দেহে অনুগ্রহ করেছেন, তিনি তাদের মধ্য থেকে তাদের নিকট একজন রসূল পাঠিয়েছেন, যিনি তাদের কাছে তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করেন, তাদেরকে পরিশুদ্ধ করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমাত। যদিও আগে তারা সুস্পষ্ট ভ্রষ্টতার মধ্যেই ছিল।" (আলে ইমরান : ১৬৪)

"হে নবী! নিশ্চয় আপনাকে আমি সাক্ষী, সুসংবাদদাতা এবং সতর্ককারী হিসেবে প্রেরণ করেছি। (৪৬) আপনাকে প্রেরণ করেছি আল্লাহর অনুমতিক্রমে আল্লাহর দিকে আহ্বানকারী এবং (হিদায়াতের) উজ্জ্বল প্রদীপ হিসেবে। (৪৭) আর আপনি মুমিনদেরকে এ সুসংবাদ দিন যে, নিশ্চয়ই তাদের জন্য আল্লাহর নিকট বিরাট নিয়ামত রয়েছে।" -(সূরা আহযাব : ৪৫-৪৭)

"(হে রাসূল!) নিশ্চয় আমি আপনাকে সত্যসহ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে প্রেরণ করেছি। জাহান্নামের অধিবাসীদের সম্পর্কে আপনি জিজ্ঞাসিত হবেন না।" - (সূরা বাকারা : ১১৯)

"আমি সত্যসহ এ কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং সত্যসহ এটা অবতীর্ণ হয়েছে। আমি তো আপনাকে শুধু সুসংবাদদাতা ও ভয়প্রদর্শক করেই প্রেরণ করেছি" (বনী ইসরাঈল ১০৫)

মহানবী (স) হলেন আল্লাহ্‌র প্রেরিতও একজন রাসুল যিনি সারা জীবন আল্লাহ্‌র বানী প্রচার করেছেন। আমরা শুধুই আমাদের রবের পূজা করি। আমরা এই কালিমাতে বিশ্বাস করি

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।
অর্থ : আল্লাহ এক আর কোন মাবুদ নেই। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর প্রেরিত রাসূল।

অতএব আপনার এই (আপনি সত্যের পূজারী নাকি নবীর পূজারী ? ) প্রশ্নটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

আপনি কি সত্যে, ন্যায় ও কল্যানের পক্ষে নাকি ইসলামের পক্ষে?
"সুতরাং তোমরা কল্যাণকর্মে প্রতিযোগিতা কর।" (সূরা বাকারা : ১৪৮)

"যারা সত্য নিয়ে আগমন করেছে এবং সত্যকে সত্য মেনে নিয়েছে তারাই তো আল্লাহভীরু" (যুমার :৩৩)

"তোমাদের মধ্যে অবশ্যই এমন একটি দল থাকতে হবে, যারা মানব জাতিকে কল্যাণের দাওয়াত দেবে, সত্কাজের আদেশ করবে এবং অসত্কাজে নিষেধ করবে, তারাই সফলকাম’" (আলে ইমরান : ১০৪)


"আপনার প্রতিপালকের বাক্য পূর্ণ সত্য ও সুষম। তাঁর বাক্যের কোন পরিবর্তনকারী নেই। তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী। আর যদি আপনি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথা মেনে নেন, তবে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে বিপথগামী করে দিবে। তারা শুধু অলীক কল্পনার অনুসরণ করে এবং সম্পূর্ণ অনুমান ভিত্তিক কথাবার্তা বলে থাকে"(আন‘আম ১১৫-১১৬)

"হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক" (তওবাহ ১১৯)


"তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিওনা এবং জানা সত্তেও সত্যকে তোমরা গোপন করোনা।"( সূরা বাকারাহ: আয়াত ৪২)

"যখন সত্য এসে মিথ্যার সামনে দাঁড়ায় তখন মিথ্যা বিলুপ্ত হয়। কারণ মিথ্যা তাঁর প্রকৃতগত কারণেই বিলুপ্ত হয়।"
(বানী ইসরাঈল, আয়াত ৮১)

যেখানে সত্যে, ন্যায় ও কল্যানই হল ইসলাম সেখানে আপনার এই (আপনি কি সত্যে, ন্যায় ও কল্যানের পক্ষে নাকি ইসলামের পক্ষে?) করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

পরিশেষে কোরআনের আয়াত দিয়েই বলতে চাই,

‘বলুন, হে মানবকূল! সত্য তোমাদের কাছে পৌঁছে গেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের তরফ থেকে। এখন যে কেউ পথে আসে সে পথপ্রাপ্ত হয় স্বীয় মঙ্গলের জন্য। আর যে বিভ্রান্ত ঘুরতে থাকে, সে স্বীয় অমঙ্গলের জন্য বিভ্রান্ত অবস্থায় ঘুরতে থাকবে। অনন্তর আমি তোমাদের উপর অধিকারী নই’ (ইউনুস ১০৮)

১১| ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

বিবেক ও সত্য বলেছেন: মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। আমার এ লেখার পূর্ণরুপ যথাশিঘ্রই পোষ্ট করার চেষ্পা করবো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.