![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্রষ্টা প্রদ্ত্ত বিবেক ও বিচার-বিবেচনা শাক্তি ব্যবহার করে বুদ্ধিবৃত্তিক ও আলোকিত জীবন গড়াই সত্যিকার মানুষের আসল কর্ম
যারা প্রথম পর্বের আলোচনা পড়েননি তাদেরকে নিচের লিঙ্কটি দেখার জন্য অনুরোধ করছি।
নৈতিকতা কি ধর্মের উপর নির্ভরশীল (প্রমান ভিত্তিক আলোচনা)
আমাদের দেশে যে পরিমান ওয়াজ-নসিহত হয় পৃথিবীর কোথায় এত বেশি হয় না । বাৎসারিক ওয়াজ, মাসিক ওয়াজ, শবে বরাত, শবে মেরাজ, শবে কদর, রবিউল আউয়াল ইত্যাদির ওয়াজ, প্রতি শুক্রবারের ওয়াজ, ইসলামী টিভির ওয়াজ,বাসায় আরবী শিক্ষকের ওয়াজ সহ অসংখ্য ধর্মীয় আলোচনা, শিক্ষা-প্রশিক্ষন আমাদের দেশে দিনরাত চলে । অপরদিকে নৈতিকতাই আমরা পাশ্চাত্য দেশ থেকে বহু পিছিয়ে । শুধু পোষাকি নৈতিকতাই তাদের তুলনাই আমরা এগিয়ে, অথচ পোষাকি নৈতিকতা না থাকলে মানবতার জন্য কতটুকু ক্ষতিকর তা বিতর্কের অবকাশ রাখে । কিন্তু আসল নৈতিকতা তথা ওয়াদা পালন, প্রতারনা করা, ঠকবাজি, ছলচাতুরি, জোচ্চুরি, অহংকার, খুনাখুনি, হানা হানি, চুরি-বাটপারি ইত্যাদিতে আমরা বিশ্ব চ্যম্পিয়ান । ওয়াজে যেমন আমরা বিশ্ব চ্যম্পিয়ান, হীন কর্মেও আমরা বিশ্ব চ্যম্পিয়ান ।
আমি বলছিনা যে পাশ্চাত্যরা ছল-চাতুরি,চুরি ইত্যাদি মোটেই করে না। তারাও করে, তবে প্রতিযোগিতায় তারা আমাদের অনেক পিছিয়ে। আমেরিকা, ব্রিটেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে দেখা যায় সাইকেল চালাতে, সাধারনের সাথে মিশে বাজার করতে, আমাদের দেশের একজন সামান্য এমপিরও এমন মান তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। রাস্তায় প্রয়োজনে গাড়ি চলাচল করা বন্ধ করে, আপনাকে দুর্বিষহ যানজটে ফেলে, আপনার সঠিক সময়ে অফিসে/প্রোগ্রামে যাওয়া বিনষ্ট করে তাদের রাস্তায় চলাচল করতে হয়।
এবার আসি মসজীদ-মাদ্রাসায় যারা পড়েন ও পড়ান তাদের নৈতিকতা নিয়ে। যারা দেশবাসিকে ধর্মের আলোকে দিনরাত নৈতিক হওয়ার জন্য ওয়াজ করেন তাদের নৈতিকতা নিয়ে । তার আগে বলে নেই যে আমার এ আলোচনার উদ্দেশ্য এ নয় যে মাদ্রাসার ছাত্র ও মসজীদের ইমামদের বিরুদ্ধে কোন কিছু বলা। আমার শিরোনামক্ত আলোচনার প্রাসঙ্গিক হওয়াই আলোচনার ধারাবাহিকতার স্বাভাবিক অংশ ।
সাধারণভাবে মাদ্রাসার ছাত্র আর ইমামদের মনে করা হয় চরিত্রবান ও ভাল মানুষ হিসাবে। তবে বাস্তবে তাদের চরিত্রের মান কিরুপ তা সবচেয়ে ভাল করে বুঝতে পেরেছে তারাই যারা তাদের সাথে খুব কাছ থেকে মিশতে পেরেছে । আমি নিজে মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করার কারনে তাদের সম্পর্কে অনেক কাছ থেকে জানার সুযোগ পেয়েছি। আমি নিজে মাদ্রাসার হোস্টেলে ছিলাম । একজন দু’জন নয়, বহু ছাত্র ও শিক্ষককে দেখেছি সমকামিতায় লিপ্ত । বহু ইমাম-মুয়াজ্জিনও সমকামিতাই লিপ্ত । মাদ্রাসার শিক্ষকরা পরস্পরের সাথে বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে দ্বন্দে লিপ্ত। মাদ্রাসার ছাত্রী-শিক্ষকের সাথে আর পুরুষ শিক্ষক সহকর্মী শিক্ষিকার সাথে অবৈধ যৌনতায় লিপ্ত, পারস্পরিক ঠকবাজি, প্রতারণা, কারসাজি সহ হেন কাজ নয় যে তারা লিপ্ত নয় । এটা আমি নির্দিষ্ট একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি না । আমার দেখা প্রায় ২০/২৫ টি প্রতিষ্ঠান থেকে নিজ চোখে দেখা ও ছাত্র -শিক্ষকদের থেকে শোনার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।
অনেকে পরিসংখ্যান দেখিয়ে বলেন মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও ইমাম-মুয়াজ্জিনদের কেউ কেউ খারাপ থাকলেও বেশিরভাগ ভাল । এ কথা সত্য নয় । আমি বলব ৮০% এর নৈতিক অবস্থা খারাপ আর ২০% ভাল। পরিসংখ্যানকে সংখ্যাগত বিচার করা হয়, তা পার্সেন্টে দেখা হয় না । মনে করুন সারাদেশে সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র সংখ্যা যদি হয় ১০০, তাহলে মাদ্রাসার ছাত্র সংখ্যা হবে ২০ । এখন যদি পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে মাত্র ৫ জন মাদ্রাসার ছাত্র অনৈতিক কাজে জড়িত আর সাধারণ শিক্ষার ২০ জন ছাত্র অনৈতিক কাজে জড়িত, তাহলে শতকরা দৃষ্টিতে বিচার করলে কাদের সংখ্যা বেশিই হবে? নিশ্চিত সাধারণ শিক্ষার্থিদের চেয়ে শতকরা হারে মা্দ্রাসার ৫ জন ছাত্রই বেশি হবে,নয় কি?
কিন্তু পরিসংখ্যান দেখতে গেলে সেখানে আরো কয়েকটি বিষয় থেকে যায় যা বিবেচনায় আনা হয় না । সাধারণ ছাত্ররা অনৈতিক কাজ যা করে থাকে বাস্তবতার কারনে তারা যতটুকু গোপনীয়তা রক্ষা করে, মাদ্রাসার ছাত্ররা তার চেয়ে কয়েকগুন বেশি গোপনীয়তা বজায় রাখতে চেষ্টা করে । মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষক,ইমাম, মুয়াজ্জিনদের নিজস্ব পরিবারগুলো বেশি কনজার্ভেটিভ হওয়ায় তাদের অনৈতিক কাজগুলো তারা গোপন করার পাশাপাশি তাদের পরিবার ও অন্যান্যরা চেষ্টা করে গোপনীয়তার মধ্যে রাখতে। মাদ্রাসার কোন ছাত্র মাদ্রাসার কোন ছাত্রীকে ধর্ষন করলেও মা্দ্রাসার ছাত্রী তা বিচারের কোন আশা করে না, প্রকাশও করে না। সাধারনের মধ্যেও গোপনীয়তার চেষ্টা থাকে, কিন্তু মাদ্রাসা-মসজীদ সংশ্লিষ্টদের প্রচেষ্টা সাধারণের চেয়ে কয়েকগুন বেশি। অতএব তাদের বিষয়টি মিডিয়াতে কম আসে, যার কারনে পরিসংখ্যানেও কম আসে । আবার সারাদেশের সাধারন মানুষের সংখ্যা বনাম মাদ্রাসার ছাত্র, ইমাম,মুয়াজ্জিনের সংখ্যা অনুপাত করুন দেখবেন সে অনুপাতে তাদের সংখ্যা কত নগন্য। অতেএব পরিসংখ্যান দেখিয়ে যে বলা হয় মাদ্রাসার ছাত্ররা সাধারণ ছা্ত্রের তুলনায় ভাল, সেটা সঠিক নয়।
আবার বলা হয় মাদ্রাসার ছাত্ররা চাদাবাজি, টেন্ডারবাজি করে না । এ কথাও ভূয়া । সাধারণের তুলনায় অতি নগন্য সংখ্যাক মাদ্রাসার ছাত্র এটা করে- এ কথা সত্য । তবে সেটা এমন যে -ভাই আমি কখনও ঘুষ খাই না, প্রশ্ন করা হল আপনাকে কি কেউ ঘুষ দিতে চায়, উত্তর হল না। মাদ্রাসার বেশিরভাগ ছাত্র দরিদ্র হওয়ায় এ ধরনের অপরাধ করার সুযোগই তারা পায় না । সে যাই হোক । আমার পর্যবেক্ষনে সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র শিক্ষকদের তুলনায় মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষকদের চরিত্র, আচার-ব্যবহার ও নৈতিক অবস্থা নিম্নতর। তবে এখানে মাদ্রাসা বনাম সাধারণ ছাত্রদের চরিত্রের তুলনা বিষয়ে বিতর্ক করা মুল উদ্দেশ্য নয়। মুল উদ্দেশ্য হল যে নৈতিকতা ধর্মের উপর নির্ভরশীল নয় তার কিছু প্রমান দেয়া।
সুতরাং ধর্ম মানুষের নৈতিকতা নিয়ন্ত্রনে সামান্যই ভূমিকা পালন করে যা না থাকলেও সমাজের জন্য কোন সমস্যা নয় । তাহলে মানুষের নৈতিকা কিসের উপর বেশি নির্ভরশিল সে বিষয়ে পরবর্তী পর্বে আলোচনা করবো । তারপর কিছু প্রমান দেখাব ধর্ম মানবতার জন্য কি কি ক্ষতি বয়ে আনছে।
যারা যুক্তি দিয়ে সুন্দর পরিবেশ বজায় রেখে সমালোচনা করতে চায় তাদের সমালোচনাকে স্বাগত জানায়। যারা আমার ভূল দেখিয়ে দেয় তারা আমার শত্রু নয় বরং সবচেয়ে কাছের বন্ধু। সবাই ভাল থাকবেন।
১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৭
বিবেক ও সত্য বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য । স্বীকার করছি সকল ধর্ম আনলে লেখাটা নিরপেক্ষ হত । দু’টি কারনে আমাকে শুধু ইসলাম ধর্মের নাম নিতে হয়েছে ১।-অন্য ধর্ম সম্পর্কে বেশি তথ্য না জানা ২। শুধু ইসলাম ধর্মেই নৈতিকতার শিক্ষা যত হয় অন্য ধর্মে তার তুলনায় ৫% হয়। যেমন-ওয়াজ, নসিহত, জুমআর খুতবা, মাদ্রাসা (হিন্দু/খ্রিষ্টান ধর্ম শিক্ষার জন্য সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি প্যরালাল কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠা নেই) ইত্যাদি।
সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি । ভাল থাকবেন। আশা করি লেখা সম্পর্কে আর কোন প্রশ্ন থাকলে করতে দ্বিধা করবেন না।
২| ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:১৮
মোস্তফা ভাই বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ দারুন একটা লেখার জন্য। আপনার সাথে আমিও একমত, মাদ্রাসার বেশীরভাগ ছাত্র-শিক্ষকরাই যৌন-বিকারগ্রস্হ, অতি নিষ্ঠুর ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধি। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এদের কোনো ভুমিকা নেই।
১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫৯
বিবেক ও সত্য বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। আপনার কথা সত্য যে তাদের ছাত্র-শিক্ষকরাই যৌন-বিকারগ্রস্হ, অতি নিষ্ঠুর ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধি । এরজন্য তারা দায়ী নয় । তাদের অধিকাংশ সরল মনেরও । যৌন-বিকারগ্রস্হ হওয়ার কারনটা হল- একটি থিউরি আছে যে নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আগ্রহ বেশি হয়, তারা বেশি কঠোর নিয়ন্ত্রনে থাকার কারনে যৌণতার প্রতি আগ্রহ বেশি হয়। বুদ্বি প্রতিবন্ধিতার জন্যও তাদের দোষ না, তারা তাদের সিলেবাস থেকে যা শেখে তা তাদের চিন্তাকে এমন বদ্ধ করে দেয় । তাদের সিলেবাসের কোন শিক্ষাটা চিন্তাগতভাবে এমনভাবে বদ্ধ করে দেয় তা আলোচনা করতে গেলে আরো এক বিশাল লেখা হয়ে যাবে। ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে তাদেরকে এমন করে দেয়া হয়। তাদেরকে ব্যবহার করা হয় । সত্যিকার অর্থে তাদেরকে সঠিক শিক্ষা দিলে তারাই দেশের জন্য সবচেয়ে বেশি নিবেদিত হবে বলে আমার বিশ্বাস ।
৩| ১২ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭
আমি দেলোয়ার বলেছেন: "আমাদের দেশে যে পরিমান ওয়াজ-নসিহত হয় পৃথিবীর কোথায় এত বেশি হয় না ।"
"কিন্তু আসল নৈতিকতা তথা ওয়াদা পালন, প্রতারনা করা, ঠকবাজি, ছলচাতুরি, জোচ্চুরি, অহংকার, খুনাখুনি, হানা হানি, চুরি-বাটপারি ইত্যাদিতে আমরা বিশ্ব চ্যম্পিয়ান । ওয়াজে যেমন আমরা বিশ্ব চ্যম্পিয়ান, হীন কর্মেও আমরা বিশ্ব চ্যম্পিয়ান । "
‘তোমরা ওয়াদা পালন করবে, ওয়াদা সম্পর্কে তোমাদের কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হবে।’ (সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত-৩৪)।
‘যারা আল্লাহর সঙ্গে দৃঢ় অঙ্গীকারে আবদ্ধ হওয়ার পর তা ভঙ্গ করে, যে সম্পর্ক অক্ষুণœ রাখতে আল্লাহ আদেশ করেছেন তা ছিন্ন করে এবং পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে বেড়ায়, তারা অভিশাপ পাওয়ার যোগ্য এবং তাদের জন্য রয়েছে আখেরাতে নিকৃষ্ট বাসস্থান।’ (সূরা রাদ, আয়াত-২৫)।
"ও মুমিনেরা তোমরা কেন বল যা তোমরা তা করনা? আল্লাহর কাছে সবচেয়ে ঘৃন্য সে ব্যাক্তি, যে নিজে যা বলে কিন্তু সে তা করেনা।" (সুরা সফ-২/৩)
"নশ্চিতিই তনিি অহংকারীদরে পছন্দ করনে না।"( সূরা: আন নাহাল, আয়াত-২৩)
আল্লাহ তায়ালা মুমিনদের ওয়াদা পালন, প্রতারনা করা, ঠকবাজি, ছলচাতুরি, জোচ্চুরি, অহংকার, খুনাখুনি, হানা হানি, চুরি-বাটপারি করতে নিষেধ করেছেন। তারপর যদি কেউ তা করে তাহলে কি তা ধর্মের দোষ? যারা প্রকিত ভাবে ইসলামকে মানে তারা এগুলো করে না।এ রকম অনেক দৃষ্টান্ত আমি দিতে পারবো।
"আমেরিকা, ব্রিটেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে দেখা যায় সাইকেল চালাতে, সাধারনের সাথে মিশে বাজার করতে, আমাদের দেশের একজন সামান্য এমপিরও এমন মান তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। রাস্তায় প্রয়োজনে গাড়ি চলাচল করা বন্ধ করে, আপনাকে দুর্বিষহ যানজটে ফেলে, আপনার সঠিক সময়ে অফিসে/প্রোগ্রামে যাওয়া বিনষ্ট করে তাদের রাস্তায় চলাচল করতে হয়।"
এ রকম উদাহরন দিতে গেলে অনেক দেওয়া যায় যারা ইসলামের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বিশাল সম্রাজ্জের অধিকারি হয়েও কাটিয়েছেন সাধারণ মানুষের জীবন।
দ্য ডিক্লাইন এন্ড ফল অব দ্য রোমান এম্পায়ার গ্রন্থে এডওয়ার্ড গিবন উমরের সম্পর্কে বলেছেন:”Yet the abstinence and humility of Umar were not inferior to the virtues of Abu Bakr: his food consisted of barley bread or dates; his drink was water; he preached in a gown that was torn or tattered in twelve places; and a Persian satrap, who paid his homage as to the conqueror, found him asleep among the beggars on the steps of the mosque of Muslims.
এই রকম শিক্ষা একমাত্র ইসলাম থেকেই পাওয়া সম্ভব। আমদের দেশে ইসলাম প্রকিতভাবে কতজন মানে? তাহলে তারা অনয়তিক কাজে লিপ্ত থাকলে ইসলামের কি দোষ?
ইসলাম আর নয়তিকতা অভিন্ন। যারা ইসলামকে প্রকৃতভাবে মানে তারাই অনয়তিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকে। ইতিহাসে এ রকম উধাহরনের শেষ নেই।
"সাধারণভাবে মাদ্রাসার ছাত্র আর ইমামদের মনে করা হয় চরিত্রবান ও ভাল মানুষ হিসাবে। তবে বাস্তবে তাদের চরিত্রের মান কিরুপ তা সবচেয়ে ভাল করে বুঝতে পেরেছে তারাই যারা তাদের সাথে খুব কাছ থেকে মিশতে পেরেছে ।"
মাদ্রাসার ছাত্রদের আমিও দেখেছি। তবে জানি না আপনি কোন মাদ্রাসা গুলো দেখেছেন এবং অংক করে ফলাফল দিয়ছেন।
সময়ের স্বল্পতা থাকার কারনে এতটুকুই বললাম। তবে আপনাকে ধন্যবাদ। কারণ আপনার লেখা দেখে বুঝলাম আপনি সত্য জানতে আগ্রহী। তবে বলবো সত্য সব সময়ই ন্যায় আর মিথ্যা অনন্যায়। সত্য মিথ্যার মিশ্রণে ন্যায় আশা করা যায় না।
আল্লাহ বলেন
‘বলুন, হে মানবকূল! সত্য তোমাদের কাছে পৌঁছে গেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের তরফ থেকে। এখন যে কেউ পথে আসে সে পথপ্রাপ্ত হয় স্বীয় মঙ্গলের জন্য। আর যে বিভ্রান্ত ঘুরতে থাকে, সে স্বীয় অমঙ্গলের জন্য বিভ্রান্ত অবস্থায় ঘুরতে থাকবে। অনন্তর আমি তোমাদের উপর অধিকারী নই’ (ইউনুস ১০৮)।
৪| ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:১৮
বিবেক ও সত্য বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ । আপনি কুরআন থেকে নৈতিকতা বিষয়ে যে আয়াতের দৃষ্টান্ত দেখালন তা তো সামান্য । কুরআনে আরো অনেক আয়াত আর হাদিসে অনেক অনেক বক্তব্য আছে যা মানুষকে নৈতিকতার প্রতি উৎসাহিত করে । আমার লেখার কোথাও তো বলিনি যে কুরআনে হাদিসে মানুষকে নৈতিকতা বর্জন করতে বলেছে । আমার লেখার শিরোনামটার প্রতি আবার লক্ষ্য করুন ।
আমার লেখাতে প্রমান করার চেষ্টা করেছি যে ধর্ম মানুষকে নৈতিক শিক্ষা দেয় ঠিকই তবে সে শিক্ষার প্রভাব খুব সামন্যই হয় । প্রশ্ন হল তাহলে সমাজকে ভাল করতে কি পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত? আর ধর্ম যতটুকুই ভূমিকা পালন করছে তা ভালর দিকেই করছে খারাপ তো কিছু করছে না, তাহলে ধর্মের বিরোধিতা করার কি প্রয়োজন”?
এ দু’টি প্রশ্নের উত্তর আমি আমার এ লেখার পরবর্তী পর্বে দিব।
আমার লেখার ব্যপারে আপনার আর কোন প্রশ্ন থাকলে একটু কষ্ট হলেও করবেন। চিন্তার শেয়ার মানুষের জ্ঞানের বিকাশে ভূমিকা পালন করে। আামার কোন ভূল ধরিয়ে দিলে অবশ্যই শুধরে নিব । ভাল থাকবেন।
৫| ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:২৪
মোস্তফা ভাই বলেছেন: নৈতিকতা যদি কারো ধর্মীয় বই পড়ে শিখতে হয় তা হলে বুঝতে হবে সেই মানুষের মানসিক বিকাশ ঘটেনি।
৬| ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:১৭
বিবেক ও সত্য বলেছেন: আপনি যে দৃষ্টিকোন থেকে বলেছেন কথাটি সে দৃষ্টিকোন থেকে সঠিক। যেমন মিথ্যা বলা, ওয়াদা ভঙ্গ করা, প্রতারনা করা ইত্যাদি যে খারাপ কাজ তা শিখার জন্য ধর্মের প্রয়োজন নেই- মানুষের সাধারন বুদ্ধি বলে দেয় কোনটি খারাপ আর কোনটি ভাল।
তবে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে ধর্মের নৈতিকতার উপদেশ কাজের । সেটা হল প্রতারনা করা খারাপ কাজ, তারপরও বাবা,মা ও শিক্ষক যদি এ খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলে এবং জীবন থেকে এর পরিনাম সম্পর্কে শিশুকে সচেতন করে তা অবশ্যই শিশুকে ভাল হতে সহায়তা করে। সুতরাং ধর্ম যদি অন্যদিক থেকে ক্ষতিকর না হত তাহলে তা অবশ্যই সমর্থনীয় হত।
ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২৭
সৈয়দ মুজিবুল হক বলেছেন: ধর্ম বলতে শুধু কি ইসলাম বুঝায় নাকি আরও অন্যান্য ধর্মও আছে?! অসুস্থ লিখা!