![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্রষ্টা প্রদ্ত্ত বিবেক ও বিচার-বিবেচনা শাক্তি ব্যবহার করে বুদ্ধিবৃত্তিক ও আলোকিত জীবন গড়াই সত্যিকার মানুষের আসল কর্ম
যারা প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা পড়েননি তাদেরকে নিচের লিঙ্ক দু’টি দেখার জন্য অনুরোধ করছি।
নৈতিকতা কি ধর্মের উপর নির্ভরশীল (প্রমান ভিত্তিক আলোচনা)
নৈতিকতা কি ধর্মের উপর নির্ভরশীল (প্রমান ভিত্তিক আলোচনা)/পর্ব-২
পূর্বের আলোচনার ধারাহিকতার কারনে শিরোনামটির কোন পরিবর্তন করিনি । বিষয়বস্তু অনুপাতে লেখাটির শিরোনাম হয়-’আদর্শ সমাজ গঠনের প্রধান উপাদানসমূহ”
পূর্বে দু’পর্বে প্রমান দেখিয়েছি যে ধর্ম মানুষের নৈতিকতার খুব কমই নিয়ন্ত্রন করে থাকে । তবে ধর্ম যে মানুষকে নৈতিকতার প্রতি উৎসাহিত করে তাতে কোন সন্দেহ নেই । ধর্ম মানুষকে ভাল মানুষ হতে উৎসাহিত করে এবং সততার অনুশীলনে আহ্বান জানায় সেটা অনস্বীকার্য । এটি ধর্মের ভাল দিক ।
ধর্মের কিছু ক্ষতিকর দিক আছে যা মানবতার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর । এ ক্ষতিকর দিকগুলো আলোচনা করবো পরবর্তী পর্বে । যদি এ ক্ষতিকর দিক না থাকতো, তাহলে কেউ যদি প্রশ্ন করতো ধর্ম আসলে স্রষ্টা প্রদত্ত কিনা, আমি তাকে পাল্টা প্রশ্ন করতাম ভাই স্রষ্টা প্রদ্ত্ত কিনা সেটা বড় কথা নয়, ধর্ম তো কমপক্ষে মানুষকে ভাল হতে সহায়তা করছে, তোমার স্রষ্টা প্রদ্ত্ত কিনা তা নিয়ে এত মাথাব্যথার কি আছে?
যেহেতু একটি সুন্দর সমাজ তৈরিতে ধর্মের কিছু ভূমিকা থাকলেও ধর্মের ক্ষতিকর দিকের কারনে ধর্মকে বর্জন করতে বাধ্য হচ্ছি, তাহলে প্রশ্ন থাকে সুন্দর সমাজের জন্য অন্য কি অবলম্বন আছে? হ্যা, আছে । সেগুলো হল:
১. অর্থ-সম্পদ (৬০%)
২. রাষ্ট্র (২০%)
৩. শিক্ষা (২০%)
৬০%+ ২০%+২০%=১০০%
১. অর্থ-সম্পদ: মানুষকে ভাল বা খারাপ হতে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি ভূমিকা পালন করে তা হল অর্থ । কথা আছে অভাবে স্বভাব নষ্ট । মানুষ যখন আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকে তখন সে চুরি, বাটপারি, প্রতারনা, ঠকবাজি ইত্যাদির চিন্তাও করে না । আমাদের দেশ দরিদ্র হওয়ায় এত ওয়াজ করে ভাল মানুষ বানানো যাচ্ছে না । পেট ঠিক তো দুনিয়া ঠিক।
পাশ্চাত্য দেশের লোকেরা ঠকবাজি, প্রতারনা ও জোচ্চুরি ইত্যাদিতে আমাদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত ভাল হওয়ার মুল যাদু এখানেই । উপরোক্ত পার্সেন্ট অনুপাতে তাদের হিসাবটি নিম্নরুপ হয়:
৫০%+১৫%+৫%=৭০% ভাল, আর আমাদের হিসাবটা হল: ১৫%+১০%+১৫%=৪০% ভাল, এ হিসাবের কারনে তারা আমাদের চেয়ে ৭০%-৪০%=৩০% বেশি ভাল মানুষ ।
কেউ কেউ বলবেন যে ইসলাম এ ৬০% চারিত্রিক পুর্ণতা দিতেই যাকাতের বিধান দিয়েছে। কোন সন্দেহ নেই যে যাকাত একটি সুন্দর ব্যবস্থা । আমি আগেই বলেছি যে ধর্মের বেশ কিছু ক্ষতিকর দিকের কারনে আমরা এখানে আলোচনায় ধর্মকে বাদ রাখছি এবং দেখাচ্ছি যে ধর্ম না হলেও কিভাবে সুন্দর সমাজ গঠন করা যায় । তাছাড়া যাকাতের অর্থ সামরিক বাহিনীতে ব্যয়েরও বিধান কুরআনে দিয়েছে । কোন ইসলামী সরকার যাকাতের বৃহদাংশও সামরিক খাতে ব্যয় করতে আগ্রহি হলে আপনার বলার কিছু থাকবে না। সে যাই হোক, আপাতত সেটা আমাদের আলোচ্য বিষয় নয় ।
২. রাষ্ট্র: মানুষকে পেটে দিয়ে তারপর পিঠে দিলে সেটা কাজে দেয় । আর্থিক সচ্ছলতার পর রাষ্ট্র যদি সমাজ নিয়ন্ত্রনে কঠোর হয় এবং রাষ্ট্রীয় আইন কানুনের যথাযথ প্রয়োগ থাকে তাহলে সে সমাজ ভাল থাকতে বাধ্য হবে।
৩. শিক্ষা: ধর্ম ছাড়াও মানুষকে নৈতিক শিক্ষা দেয়া যায় । শিক্ষা ব্যবস্থায় মানুষকে সৎ ও আদর্শ মানুষ হওয়ার জন্য আলাদা সাবজেক্ট থাকতে হবে । সরকারীভাবেও মানুষকে সৎ হতে অনুপ্রানীতে করে এমন উৎসাহমুলক আলোচনা, সভা, সেমিনার ও প্রচার-প্রচারনা থাকতে হবে।
সে সাথে সৎ ও ন্যয়পরায়ন লোকদের পুরুস্কৃত ও অসৎ লোকদের তিরস্কৃত করতে হবে তাহলেই সে সমাজ একটি সুন্দর সমাজে রুপান্তরিত হবে।
এ তিনটি জিনিসই নির্ভর করে একটি জিনিসের উপর- তা হল সৎ,ন্যয়পরায়ন ও দক্ষ সরকার । একজন সৎ,ন্যয়পরায়ন ও দক্ষ সরকার তার সঠিক, বাস্তবমুখি ও উন্নত পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার বদৌলতে একটি দেশকে সমৃদ্ধির উচ্চ শিখরে নিতে পারেন । দেশ সমৃদ্ধ হলে মানুষের আর্থিক অসচ্ছলতা দুর হবে। আর সরকার সৎ ও দক্ষ হলে দ্বিতীয় প্রয়োজনটি এমনিতেই পুর্ণ হয়ে যায় আর এমন সরকার এমন সুন্দর শিক্ষা ব্যবস্থা উপহার দিবে।
সবাই ভাল থাকবেন। আশা করি পরবর্তী পর্বেও আমার সাথে থাকবেন। সকল শুভ কামনায় এ লেখা এখানেই সমাপ্তি টানছি।
১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:০১
বিবেক ও সত্য বলেছেন: ঠিক বলেছেন, তবে ধর্মের নামেই হোক বা অন্য নামেই হোক যখন মানুষকে ভাল হওয়ার পরিবেশ, উৎসাহ, অনুপ্রেরনা ও শিক্ষা দেয়া হয় তখন কিছু মানুষ ভাল কাজের দিকে কিছুটা হলেও ধাবিত হয়। এজন্য এটিকে আমি ২০।% এ রেখে
২| ১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:৫৫
রাতমজুর বলেছেন: নৈতিকতা কি ধর্মের উপর নির্ভরশীল নয়।
১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:১৯
বিবেক ও সত্য বলেছেন: নির্ভরশীল কি নির্ভরশীল না তা বিস্তারিত প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে প্রমান সহ আলোচনা করেছি। দয়া করে একটু কষ্ট করে উহা পড়ে দেখবেন।
৩| ১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:৫৬
রাতমজুর বলেছেন: নৈতিকতা ধর্মের উপর নির্ভরশীল নয়।
৪| ২৫ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৫২
আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: টিকে থাকার জন্য মানুষে ঐক্যবদ্ধকরণ দরকার ছিলো, ফলাফল সমাজ। সামাজিক বিভক্তি গড়ে তুলেছিলো সংস্কৃতি। ধর্ম মূলত ভীতি আর সংস্কৃতির একটি সফল সংমিশ্রণ। মানুষের কল্পনার শক্তি সীমাবদ্ধ হওয়ায় সামাজিক যে যে অঞ্চলে তারা ভাগ হচ্ছিলো তার সংস্কৃতিকে মূল ধরে তৈরি করেছিলো ধর্ম। ধর্মীয় যে বোধের (মূল্যবোধ) কথা বলা হয় তা আসে আসলে ভীতি থেকে। ভয় থেকে যা হয় তা কখনো মূল্যবোধ নয়। ধর্মীয় সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ বিশেষণের দুটি ভুল প্রয়োগ, ধারণাটিই একটি ভুল ধারণা।
ইসলামিক সংস্কৃতি নয়, বলুন আরব্য সংস্কৃতি।
মূল্যবোধ ধারণাটি আপনা আপনি তৈরি হয় নি। আপনা আপনি আসলে কিছুই সৃষ্টি হয় না, উদ্ভব করতে হয়। মানবজাতি টিকে থাকার স্বার্থে মূল্যবোধ ধারণাটি উদ্ভব করেছে। আদিম যুগে পেশি শক্তিবলে যে অস্থিতিশীলতা দেখা দেয় তার দমনে, সমাজকে টিকিয়ে রাখার জন্য একটি ধারণার দরকার হয়েছিলো। মূল্যবোধ হলো সেই অতি উন্নত ধারণা, যার প্রয়োগ মানবজাতিকে ভেঙে পড়ার হাত থেকে বাঁচায়।
মূল্যবোধের অবক্ষয় হচ্ছে সাংস্কৃতিক অস্থিতিশীলতা। ভিন্ন ভিন্ন সমাজে স্থিতি আনার জন্য বিভিন্ন ধরণের ধারণার দরকার হয়েছিলো। ফলে এই মূল্যবোধের বৈচিত্র্য। মূল্যবোধ যেহেতু সংস্কৃতি কেন্দ্রিক, আজকে যখন দূরত্ব কমে এসেছে সাংস্কৃতিক ভিন্নতা মূল্যবোধের বিচিত্রিতাকে ঠিক মতো গ্রহণ করতে পারছে না। এক সমাজে যেটি মূল্যবোধের অবক্ষয়, অন্য কোথাও হয়তো সেটি সংস্কৃতিরই অংশ।
টিকে থাকা এবং উন্নত হওয়ার স্বার্থে যেমন সমাজ ধর্মের উদ্ভব, একই স্বার্থে মূল্যবোধের বৈচিত্র্যকে অবক্ষয় না ভেবে এর সাথে অভিযোজিত হওয়াই হবে মানুষের মতো কাজ।
৫| ২৫ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮
বিবেক ও সত্য বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ। ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:২৮
শেয়াল বলেছেন: নৈতিকতা মানুষের সহজাত গুণ । ধর্ম এখানে গৌন একটি ব্যাপার !!