নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ধত্ব ও গোড়ামিত্ব পরিহার করে জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তিক জীবন গড়ি

বিবেক ও সত্য

স্রষ্টা প্রদ্ত্ত বিবেক ও বিচার-বিবেচনা শাক্তি ব্যবহার করে বুদ্ধিবৃত্তিক ও আলোকিত জীবন গড়াই সত্যিকার মানুষের আসল কর্ম

বিবেক ও সত্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি কি জানেন আপনার বিশ্বাসের সমালোচকই আপনার জীবনকে আলোকিত করবে?

১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫৬

প্রকৃতিগতভাবে মানুষ নিজের মতের সমর্থনে কথা শুনতে পছন্দ করে । প্রশংসা শুনতে অনেক পছন্দ করে থাকে । অথচ এ প্রশংসা ও শুধু নিজ পছন্দের কথা শুনতে থাকায় নিজের ক্ষতির মুল কারন । আয়না আপনার মুখের সমালোচনা করে দেখিয়ে দেয় কোথায় দাগ আছে । আপনার মুখের দাগ দেখানোর জন্য আপনি আয়না ভাঙ্গতে উদ্যত হলে আপনি যে কেমন বুদ্ধিমান মানুষ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।
একজন হিন্দু তার ধর্মের অসারতা জীবনেও দেখতে পারবে না যতদিন না সে তার নিজ ধর্মের সমালোচনা কে সহ্য করতে পারবে । সে জন্ম থেকে নিজ ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব শুনে আসছে আর যে বা যারা এর শ্রেষ্ঠত্ব বলে তাদেরকে পরম শ্রদ্ধা করে এবং তাদের কথায় শুনতে পছন্দ করে এবং সমালোচনাকে শত্রু হিসাবে চিহ্নিত করে থাকে ।
কিছু লোক সন্নাসীর জীবন অবলম্বন করে তার পুরো জীবন বহু ত্যগ তিতিক্ষায় বিলিয়ে দেয় । আফসো ! যদি সে তার সমালোচকের কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনতো তাহলে হয়ত সে তার জীবনের ভূল সিদ্ধান্তগুলো খুজে পেত।
কোন মুসলমান মাজারে গিয়ে ব্যপক অর্থকড়ি নষ্ট করে, কেউ পীরের পিছনে জীবন কাটায়, কেউ আত্মঘাতি বোমা মেরে ধর্মের জন্য নিজের জীবনটা বিলিয়ে দিয়ে তার পিতা-মাতাকে অসহায় করে দিয়ে এ ধরা থেকে চলে যায়, কেউ ইসলামী রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে নিজের জীবনটা উক্ত দলের পিছনে নিজ জীবন বিলিয়ে দিয়ে শ্রষ্ঠার সন্তুষ্টি খুজে ফেরে, কেউ তাবলিগিতে যোগ দিয়ে মাসের পর মাস পরিবার ছেড়ে মসজীদে মসজীদে কাটিয়ে দিয়ে নিজ জীবন বিলিয়ে দিচ্ছে, বার্ধক্য বয়সে ইজতেমায় গিয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে । কেউ তার নিজ বিশ্বাস ও চিন্তা চেতনার সমালোচনা শুনতে পছন্দ করে না ।
আর যদি সমালোচনাটি হয় আস্তিকতা-নাস্তিকতা বিষয়ে তাহলে তো কথায় নেই । নাস্তিকের সাথে আবার কিসের কথা । আপনি যদি কোন মতবাদের সমালোচনা আপনের পক্ষের মতের লোক থেকে শুনে মনে ঘৃনা আগে থেকেই জমে থাকে, তাহলে যার সমালোচনা শুনেছেন তা যদি ভূলও শুনে থাকেন তাহলে তা ঠিক করার সুযোগ আপনি হারাবেন । কারন প্রথম থেকেই আপনি মন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রেখেছে । আপনি আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় তাহলে তার সঠিক দিকগুলো আপনি কখনও দেখতে পাবেন না ।
যিনি সমালোচনা করে তিনি যদি শত্রুতামি করেও আপনার সমালোচনা করে তথাপিও আপনি তার কথাকে গুরুত্ব দিন । কারন সে আপনার ত্রুটিগুলো অনেক কষ্ট করে খুজে বের করে দিবে যা আপনি হয়ত দেখতে পেতেন না । তার সমালোচনাকে ইতিবাচকভাবে পর্যালোচনা করে আপনি আপনার চিন্তা, দর্শন ও জীবন পদ্ধতিতে সংশোধন এনে আলোকিত জীবন গড়ুন ।
আপনি যদি সমালোচনাকে নেতিবাচকভাবে ব্যখ্যা করে তবে মনে রাখবেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম ধারনারও নেতিবাচক কিছু ব্যখ্যা বের করা সম্ভব । আপনি তো আপনার নিজের ক্ষতি চান না, চান কি? তাহলে সমালোচনাকে নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করে নিজের ভূলকে সংশোধন করে নিন।
সুতরাং তর্ক বিতর্কই আপনার নিজ মতাদর্শের ভূল খুজে পাওয়ার সবচেয়ে সহজতম ও শ্রেষ্ঠ পদ্ধতি । তর্ক বিতর্কের ক্ষেত্রে যারা বাজে ভাষা ব্যবহার করে পরিবেশ নষ্ট করে তারা সেটা করে তাদের মুর্খতাহেতু । সবাই তো এরুপ মুর্খ নয় । কয়েকজন মুর্খ বিতার্কিকের কারনে আপনি তর্ক বিতর্ককে খারাপ বলতে পারেন না । যারা পরিবেশ নষ্ট করে তাদেরকে এড়িয়ে চলুন ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:১৯

ফাতিমা মনি বলেছেন: আমি মানি...... ।এবং নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভাল।

১৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:০৮

বিবেক ও সত্য বলেছেন: অসংখ্যা ধন্যবাদ । আসুন আমরা সকলে সুন্দর পরিবেশে আমাদের বিপরীতধর্মী চিন্তাগুলো সুন্দরতম বিতর্কের মাধমে শেয়ার করে সত্যেকে গ্রহণ করে নেই এবং জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.