![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্রষ্টা প্রদ্ত্ত বিবেক ও বিচার-বিবেচনা শাক্তি ব্যবহার করে বুদ্ধিবৃত্তিক ও আলোকিত জীবন গড়াই সত্যিকার মানুষের আসল কর্ম
কুরআনকে বিশ্বাস করা হয় স্রষ্টা প্রদত্ত বিধান সংবলিত পুস্তক, যার একটি শব্দও মানবরচিত নয়। যখন কোন পুস্তককে স্রষ্টার বলা হয় তখন সে পুস্তকের মান কত উচুতে হওয়া উচিত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।আমি লেখাটির সংক্ষিপ্ততার স্বার্থে স্রষ্টার পুস্তকে কি কি গুনাবলী থাকা বাঞ্চনীয় তার সবগুলি নিয়ে আলোচনার না করে মাত্র একটি দিক নিয়ে আজ এখানে আলোচনা করবো।সে দিকটি হল-
আইনের একটি প্রধান ও মৌলিক বৈশিষ্ট হল-আইনটি হবে সুস্পষ্ট,দ্ব্যর্থহীন এবং ক্লিয়ার-কাট।
প্রথমে দেখি একটি মানবরচিত আইনের দৃষ্টান্ত:
ব্যংকের জন্য মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে ব্যংকগুলোকে যে নির্দেশনা সরকার দিয়েছে তার থেকে একটি আইনের একটি খন্ডাংশ হল নিম্নরুপ:
’ব্যংককে গ্রাহকের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য নিতে হবে।
পূর্নাঙ্গ বলতে গ্রাহকের বা সুবিধাভোগির পরিচিতি যাচাইকল্পে প্রয়োজনীয় সকল তথ্যের সন্নিবেশনকে বুঝাবে।উদাহরণস্বরুপঃগ্রাহকের নাম ও বিস্তারিত ঠিকানা,ব্যংক হিসাব নাম্বার, পাসপোর্ট/জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্মনিবন্ধনসনদ/গ্রহনযোগ্য পরিচিতমুলক ছবিযুক্ত আইডিকার্ড, ফোন/মোবাইল নম্বর ইত্যাদি।
সঠিক (Accurate)বলতে পূর্নাঙ্গ এরুপ তথ্যকে বুঝাবে যার সঠিকতা যাচাই করা হয়েছে।
পর্যালোচনা:
প্রথম লাইনে আইনটি অতি সুস্পষ্টভাবে বলে দেয়া হয়েছে।এর পর আরো সুস্পষ্টতা ও দ্ব্যার্থহীনতার স্বার্থে আইনটির মৌলিক নির্দেশনাকে (সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ) ব্যখ্যা করা হয়েছে যাতে করে যে যেমন ইচ্ছা ব্যখ্যা করে মতবিরোধ তৈরি না করে। ’সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ’ শব্দদ্বয় সহজ বাংলা শব্দ।ভাষা এমনই জিনিস যার প্রত্যেক শব্দকে বিভিন্নভাবে ব্যখ্যা করা সম্ভব।বহু মানুষ, বহু মত ও ব্যখ্যা সম্ভব।
এখানে আরেকটি কথা উল্লেখযোগ্য যে মানবরচিত আইনের কোন শব্দের অর্থ নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিলে সে মতবিরোধ দূরীকরনার্থে আইন রচয়িতার কাছ থেকে ব্যখ্যা নেয়া সম্ভব।
এবার কুরআনের আইনের দৃষ্টান্ত দেয়ার আগে আইন সুস্পষ্ট হওয়ার প্রয়োজনীয়তার ব্যপারে দু’টি কথা বলা প্রয়োজন বোধ করছি:
আইন এত সুস্পষ্ট করা কেন প্রয়োজন:
প্রত্যেক আইনের কিছু উদ্দেশ্য থাকে।সে উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের স্বার্থে আইনটি অমান্যকারীর জন্য শাস্তির বিধানও থাকে।কোন আইনের কোন শব্দের অস্পষ্টতার কারনে যাদের জন্য আইন করা হয়েছে তারা আইনের ভিন্ন অর্থ গ্রহণ করলে আইনের উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়।আইন প্রনেতা চাইলেন একটি আর যাদের জন্য আইন করা হল তারা বুঝল আরেকটি।দোষটা কার? নিশ্চয়ই আইন প্রনেতার,নয় কি? আপনি যাকে কোন কিছু করতে আদেশ করছেন তাকে আপনার আদেশ সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেয়ার দায়িত্ব আপনারই।এর আগে কোন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের কোন অধিকারও আপনার নেই।
আইনের অস্পষ্টতাহেতু দলাদলি ও বিবেধ হলে দায়দায়িত্বও আইন প্রণেতার। কারন তিনি পরিস্কার করে দেননি তিনি কোন শব্দ দ্বারা কি বুঝিয়েছেন।
এবার আসি কুরআনের আইনের ব্যপারে:
আল কুরআনের আয়াতকে যেহেতু দাবী করা হয় স্রষ্টার, সুতরাং এর যে কোন নিরপেক্ষ পাঠক একে মানুষের রচিত আইনের চেয়ে গুনগতভাবে হাজার হাজার গুন উচ্চতর পাবে এমন প্রত্যাশা নিয়েই পাঠ শুরু করার কথা।সুস্পষ্টতার দিক থেকেও এটা হবে অকল্পনীয়ভাবে সুস্পষ্ট এবং ভাষার সম্মোহনী শক্তিও থাকবে অসাধারন।মানবরচিত আইন ও স্রষ্টার আইনের ক্ষেত্রে একজন নিরপেক্ষ পাঠ যে সাধারন কথাগুলো বিবেচনায় নিতে পারে সেগুলো হল:
১. ভাষা একটি জটিল বিষয় যার প্রায় প্রতিটি শব্দ বিভিন্ন অর্থের সম্ভাবনা রাখে যার কারনে মানুষ আইনের প্রতিটি শব্দকে স্পষ্ট করার প্রয়োজন বোধ করে।
আর স্রষ্টা হলেন সকল দূর্বলতার উর্ধে।যেহেতু তিনি মানুষের জন্য বিধান দিবেন তিনি মানুষের ভাষাকে এসব জটিলতা থেকে মুক্ত রাখতে সক্ষম।অথবা ভাষার জটিলতা সত্ত্বেও তিনি এ জটিল ভাষা দ্বারাই সুস্পষ্ট আইন দিতে সক্ষম। কারন তার অক্ষমতা বলে কিছু নেই।
২. ভাষা এমনিতেই জটিল। যদি তা ভাষান্তরিত হয় তা হলে এর জটিলতা তথা অর্থের বিভিন্নতা আরো বেড়ে যায়।যদি স্রষ্টা মানবজাতীর জন্য কোন বিধানই দিতে চান তিনি সমগ্র মানব জাতীর জন্যে একটি ভাষা সৃষ্টি করার কথা যাতে সে একভাষায় আইন তৈরি হলে সমগ্র বিশ্বের মানুষ সহজে বুঝতে পারে এবং কোনরুপ সংশয়, দ্ব্যর্থতা ও মতবিরোধ তৈরি না হয়।
কুরআনের আইনের কতিপয় দৃষ্টান্ত:
১. কুরআনে সকল কিছুর বর্ণনার দাবী (সুরা নাহল-আয়াত ৮৯):
সকল কিছু বলতে কি বুঝানো হয়েছে তা পরিস্কার করে বলা হয়নি। সকল কিছু বলতে পৃথিবীর সকল প্রজাতীর প্রাণীর নাম, সকল দেশের নাম ইত্যাদিও বুঝায়। যদি সকল অর্থ ইসলামের সকল বিধান বুঝায় তাহলেও ইসলামের সকল বিধান তো দুরের কথা ইসলামী আইনের মাত্র ১০% কুরআনে পাওয়া যায়।
কুরআন সকল বিধানের দাবীদার অথচ সকল বিধান নেই যা কুরআনের স্ব-বিরোধীতা। যা প্রমান করে কুরআন মানব রচিত।
২. সুদ হারাম অথচ সুদের কোন সংজ্ঞা দেয়া দেয়া হয়নি (সুরা বাক্বারা-২৭৫)
৩. চোরের হাত কাটতে হবে: কিন্তু পরিস্কার করা হয়নি কোন চোরের কতটুকু হাত কাটতে হবে। কলম চুরি করলেও কি হাত কাটতে হবে।যদি কলম চুরি করলে হাত কাটা না হয় তা কুরআনের আয়াতেরে আদেশের সাথে সাংঘর্ষিক হবে।(সুরা মায়েদা-৩৮)
৪. তালাকপ্রাপ্তা তিন কুরু অপেক্ষা করবে। আরবী ভাষার এ কুরু শব্দের দু’টি অর্থ হয়-১. হায়েজকালীন সময় ১. দু’হায়েজের মধ্যেবর্তি সময়। কুরআন পরিস্কার করেনি যে কুরু বলতে দু’অর্থের কোনটি গৃহীত হবে।(সুরা বাক্বারা -২২৮)
কুরআনের প্রায় সকল বিধানই এরুপ অস্পষ্ট।অথচ কুরআন সুস্পষ্ট হওয়ার দাবীদার-যা স্ববিরোধী।আপনি যখন এ সকল অস্পষ্টতার কথা বলবেন তখন উত্তারিধাকারীভাবে পাওয়া ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা বলবে যে এগুলোর ব্যখ্যা বা জবাব নিম্নোক্ত ৩ টিতে পাওয়া যাবে:
১. হাদিস ২. ইজমা ৩. ক্বিয়াস
অর্থ্যাৎ কুরআন মানবজীবনের মাত্র ১০% বিধান দিয়েছে, তাও আবার উপরোক্ত ৩ টির উপর পুরাই নির্ভরশীল।এ ৩ টি আবার নির্ভরযোগ্য নয়। সকল ইসলামি বিশেষজ্ঞ স্বীকার করেন যে দু’চারশ নয় বরং লক্ষ লক্ষ হাদিস নবীর নামে রচিত হয়েছে।এসব জাল হাদিস থেকে সঠিক হাদিস বাছাইয়ের জন্য কিছু পদ্ধতি বের করা হয়েছে। সত্যে বলতে কি এর কোনটিই দ্বারা কোন হাদিস জাল না সঠিক সে ব্যপারে ১০০% নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়।
ইজমা মানে ঐক্যমত । প্রকৃত পক্ষে ১০০% ঐক্যমত বলে কোন বিধান নেই বললেই চলে । আর কিয়াস । যে বিষয়ে কুরআন ও হাদিসে কোন সমাধান পাওয়া যায় না সে বিষয়ে কুরআন-হাদিস বিশেষজ্ঞগন যে সিদ্ধান্ত বা সমাধান দেন সেটিই কিয়াস বলে পরিচিত। অতএব কুরআন ছাড়া বাকি ৩ টির নির্ভরযোগ্যতা নেই।
তাহলে কি দাড়াল।স্রষ্টার আইন কোথায়? স্রষ্টার আইনের মান এতই নীচ।
যারা কুরআনকে স্রষ্টার বিধান হিসাবে বিশ্বাস করে তারা স্রষ্টাকে মুলত এত নীচ মনে করে স্রষ্টাকেই খাটো করে।
আমার স্রষ্টা এর চেয়ে অনেক অনেক বড় ও মহান।
রেফারেন্সে উল্লেখিত আয়াতগুলো নিম্নে তুলে ধরা হল:
১. কুরআনে সকল কিছুর বর্ণনার দাবী:
The analysis above refers to the 89th verse of chapter 16 (sūrat l-naḥl):
Sahih International: And [mention] the Day when We will resurrect among every nation a witness over them from themselves. And We will bring you, [O Muhammad], as a witness over your nation. And We have sent down to you the Book as clarification for all things and as guidance and mercy and good tidings for the Muslims.
২. সুদ হারাম অথচ সুদের কোন সংজ্ঞা দেয়া দেয়া হয়নি:
The analysis above refers to the 275th verse of chapter 2 (sūrat l-baqarah):
Sahih International: Those who consume interest cannot stand [on the Day of Resurrection] except as one stands who is being beaten by Satan into insanity. That is because they say, "Trade is [just] like interest." But Allah has permitted trade and has forbidden interest. So whoever has received an admonition from his Lord and desists may have what is past, and his affair rests with Allah. But whoever returns to [dealing in interest or usury] - those are the companions of the Fire; they will abide eternally therein.
৩. চোরের হাত কাটতে হবে: কিন্তু পরিস্কার করা হয়নি কোন চোরের কতটুকু হাত কাটতে হবে। কলম চুরি করলেও কি হাত কাটতে হবে।যদি কলম চুরি করলে হাত কাটা না হয় তা কুরআনের আয়াতেরে আদেশের সাথে সাংঘর্ষিক হবে।
the 38th verse of chapter 5 (sūrat l-māidah):
Sahih International: [As for] the thief, the male and the female, amputate their hands in recompense for what they committed as a deterrent [punishment] from Allah. And Allah is Exalted in Might and Wise.
৪. তালাকপ্রাপ্তা তিন কুরু অপেক্ষা করবে। আরবী ভাষার এ কুরু শব্দের দু’টি অর্থ হয়-১. হায়েজকালীন সময় ১. দু’হায়েজের মধ্যেবর্তি সময়। কুরআন পরিস্কার করেনি যে কুরু বলতে দু’অর্থের কোনটি গৃহীত হবে।
the 228th verse of chapter 2 (sūrat l-baqarah):
Sahih International: Divorced women remain in waiting for three periods, and it is not lawful for them to conceal what Allah has created in their wombs if they believe in Allah and the Last Day. And their husbands have more right to take them back in this [period] if they want reconciliation. And due to the wives is similar to what is expected of them, according to what is reasonable. But the men have a degree over them [in responsibility and authority]. And Allah is Exalted in Might and Wise.
২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪২
বিবেক ও সত্য বলেছেন: ভাই, আপনার প্রতি আমার ওপেন চ্যলেঞ্জ যে আপনি প্রমান করবেন যে আমার কোন কথাটি মিথ্যা।
আপনি বলেছেন, ’কাজ কর্ম কিছু করেননি’, আমি বিবেকের তাড়নায় লিখছি। মানবতার জন্য কিছু কল্যান করে যেতে পারলে সেটাই আমার বড় স্বার্থকতা।
আর সন্দেহ ভিত্তিক কথা বলা ইসলামে হারাম যেরুপ আপনি মন্তব্য করেছেন।
দয়া করে নিরপেক্ষ মন নিয়ে আমার লেখাটি আরেকবার পড়ার অনুরোধ করছি।
আপনি যদি আপনার সমালোচককে অপছন্দ করেন ------------
পৃথিবীতে মোট ধর্মের সংখ্যা-১(এক)/প্রামান্য ব্যখ্যাআমি ’ইসলাম’ নামক ধর্ম খুজছি, এখনো পায়নি। কেউ কি পেয়েছেন?
আপনি যদি কাউকে চরম হাদারাম বানাতে চান-------
৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ২:১৮
মহা সমন্বয় বলেছেন: এ জন্য আপনাকে শানে নূযুল পড়তে হবে আর গভীর ভাবে তা অনুধাবন করতে হবে। তাহলে আপনার বুঝ হবে।
এহহহহ আপনি আইসেন কোরনের ভুল ধরতে!! ইহুদী নাসাড়ারা কোরান গবেষণা কইরা কত কিছু আবিষ্কার কইরা ফালাইল। কত হাজার হাজর বিজ্ঞানী কোরানের ভুল ধরতে গিয়ে মুসলমান হয়ে গেল। আর আপনি আইসেন কোরানে ভুল ধরতে।
৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ২:২৭
মহা সমন্বয় বলেছেন: আপনি একটা নাস্তেক আপনাকে কতল করা ওয়াজিব
আপনি কি আল্লামা সাফী হুজুরের থিকা বেশি বুঝেন?
আপনি কি এসব ওলামায়ে কেরামগনদের চেয়ে বেশি বুঝেন?
৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯
এ আর ১৫ বলেছেন: কুরআন সকল বিধানের দাবীদার অথচ সকল বিধান নেই যা কুরআনের স্ব-বিরোধীতা। যা প্রমান করে কুরআন মানব রচিত।
কোরান কি কখনো নিজেকে সকল বিধানের নির্দেশকারী বোলে দাবি কোরেছে ?? সুরা আনাম আয়াত ৯০ (৬-৯০) --- এটি সারা বিশ্বের জন্যে একটি উপদেশমাত্র। ----- কোরান নিজেকে সারা বিশ্বের জন্য উপদেশমাত্র বোলেছে কোন বিধান বা আইনের গ্রন্থ বলেনি । শরিয়াবাজরা দাবি করে কোরান সকল বিধানের দাবিদার কোরান কখনো সেই কথা বলেনি । তাহোলে শরিয়াবাজদের দাবি কোরান বিরুধী এবং কোরান মোটেও স্ব-বিরুধী নহে । শরিয়াতে বহু আইন আছে কোরান বিরুধী আইন আছে । বিস্তারিত দেখুন এই লিংকে . শারিয়া কি বলে
শরিয়া আইন যেহেতু হাদিস এজমা কিয়াস এর উপর ভিত্তিকরে রচিত তাই এটাকে আল্লাহর আইন না বলে মুসলিম আইন বলটা শ্রেয়। আল্লার আইন কখোন কোরান বিরুধী হয় না কিন্তু বহু শরিয়া আইন কোরান বিরুধী . যেমন দেখুন -----
বি-ই-আ ১ম খণ্ড ও অন্যান্য সূত্র থেকে ঃ
খাবার, বাসস্থান ও পোশাক দিতে স্বামী বাধ্য থাকবে শুধুমাত্র বাধ্য স্ত্রীকে, অবাধ্য স্ত্রীকে নয়। এর বাইরের সব খরচ এমনকি ডাক্তারের, ওষুধের বা সৌন্দর্য্য-চর্চার খরচ ইত্যাদি হবে স্বামীর করুণা ও দয়া। (বলাই বাহুল্য, স্ত্রী অবাধ্য কি না সেটা ঠিক করবে স্বামী নিজেই)। হানাফি আইন পৃঃ ১৪০ ; শাফি’ই আইন পৃঃ ৫৪৪ − Law #m.11.4 ; মুহিউদ্দীন খানের অনুদিত বাংলা কোরাণ পৃঃ ৮৬৭ − তফসীর ঃ “স্ত্রীর যে প্রয়োজনীয় ব্যয়ভার বহন করা স্বামীর যিম্মায় ওয়াজিব (বাধ্য), তা চারটি বস্তুর মধ্যে সীমাবদ্ধ − আহার, পানীয়, বস্ত্র ও বাসস্থান। স্বামী এর বেশি কিছু স্ত্রীকে দিলে অথবা ব্যয় করলে তা হবে অনুগ্রহ, অপরিহার্য নয়।”
“(স্বামীর) বৌ-তালাকে সাক্ষ্য শর্ত নহে” (বি-ই-আ ১ম খণ্ড, ধারা ৩৪৪)। এবারে খুলুন কোরাণ, সুরা ত্বালাক, আয়াত ২ − “তোমরা যখন স্ত্রীদিগকে তালাক দিতে চাও তখন দুইজন সাক্ষী রাখিবে।”
শারিয়ায় চুরি, ডাকাতি, পরকীয়া, মদ্যপান, রাষ্ট্রদ্রোহিতা ইত্যাদির শাস্তি হল হাত-পা কাটা, জনসমক্ষে চাবুকের আঘাত, জনসমক্ষে পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড, ইত্যাদি। কিন্তু ওই শারিয়া আইনেই আছে “রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে হুদুদ মামলা করা যাবে না” (বি-ই-আ ৩য় খণ্ড নং ৯১৪গ এবং হানাফি আইন পৃঃ ১৮৮)।
বি-ই-আ ১ম খণ্ড, পৃঃ ৩০১ ঃ “যদি রাষ্ট্রপ্রধান বা তাঁর প্রতিনিধি কাউকে বাধ্য করে কোন নারীকে ধর্ষণ করতে, তবে ধর্ষণকারী শাস্তি পাবে না।”এ-আইনে “রাষ্ট্রপ্রধান বা তাঁর প্রতিনিধি”র কোন শাস্তির উলেখ নেই। কেউ বলতে পারেন, অন্যত্র শাস্তির কথা আছে। কিন্তু এখানেও সেটা নেই বলে কোন বাকপটু দুর্ধর্ষ উকিল তার অপরাধী মক্কেলকে খালাস করে নেবেই, কেউ ঠেকাতে পারবে না।
বি-ই-আ ১ম খণ্ড, পৃঃ ৩১১, ধারা ১৪৯ ঃ “বোবা’র সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়।” কিন্তু বোবা’র তো চোখ আছে, সে তো দেখতে পারে। তার সাক্ষ্য ছাড়া চোর-ডাকাতখুনীরা পার পেয়ে যাবেই কখনো কখনো। এটা আলাহ’র আইন হতে পারে না।
দাস-দাসী, গায়িকা এবং সমাজের নীচু ব্যক্তির (উদ্ধৃতি ঃ রাস্তা পরিষ্কারকারী বা শৌচাগারের প্রহরী, ইত্যাদি) সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। হানাফি আইন পৃঃ ৩৬১ ; শাফি’ই আইন পৃঃ ৬৩৬ − Law #o.24.3.3 ; পেনাল ল’ অব্ ইসলাম পৃঃ ৪৬ ; বিধিবন্ধ ২য় খণ্ড, পৃঃ ২৬৩)। কিন্তু ওদেরও তো চোখ-কান-বিবেক আছে। ওরা তো চুরি-ডাকাতি দেখতে পারে ঠিক আমার-আপনার মতই। ওদের সাক্ষ্য ছাড়া চোর- ডাকাত-খুনীরা পার পেয়ে যাবেই কখনো কখনো। এটা আলাহ’র আইন হতে পারে না। তাছাড়া, আইনটায় গায়কের কোন কথা নেই, এটাও তো অন্যায় হয়ে গেল।
হুদুদ মামলায়, বিশেষত ব্যভিচারে ও খুনের মামলায়, নারী-সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। (হানাফি আইন পৃঃ ৩৫৩ ; শাফি’ই আইন পৃঃ ৬৩৮ − Law #o.24.9। ক্রিমিন্যাল ল’ ইন্ ইসলাম অ্যাণ্ড দ্য মুসলিম ওয়ার্লড পৃঃ ২৫১। মুহিউদ্দীন খানের অনুদিত বাংলা কোরাণ পৃঃ ২৩৯। পেনাল ল’ অব্ ইসলাম পৃঃ ৪৪ ; বিধিবদ্ধ ১ম খণ্ড, ধারা ১৩৩ ও ২য় খণ্ড, ধারা ৫৭৬)।
নারীদের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নহে, তাহাদের (১) স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা, (২) পরিচালন- ক্ষমতার দুর্বলতা ও (৩) বুঝিবার অক্ষমতার জন্য। (পেনাল ল’ অব্ ইসলাম পৃঃ ৪৫)।
স্বামীর তরফ থেকে দেন-মোহর হতে পারে কোরাণ থেকে কিছু তেলাওয়াত বা লোহার আংটি বা একজোড়া জুতো। (শারিয়া দি ইসলামিক ল’ পৃঃ ১৬৩, ১৬৪ ; বিধিবদ্ধ ৩য় খণ্ড, পৃঃ ৯৭৬ ; সহি হাদিস তিরমিজি, হাদিস নং ৯৫১)।
বাবা-মা, দাদা-দাদি, বা নানা-নানিকে খুন করলে খুনীর মৃত্যুদণ্ড হবে। কিন্তু বাবা মা, দাদা-দাদি বা নানা-নানি যদি ছেলে-মেয়ে বা নাতি-নাতনিকে খুন করে তবে খুনীর মৃত্যুদণ্ড হবে না। (বি-ই-আ ১ম খণ্ড, ধারা ৬৫ ক ও খ ; শাফি’ই আইন পৃঃ ৫৮৪ − Law #o.1.2.4 এবং সহি তিরমিজি হাদিস ৯৯৪ ও ৯৯৫)।
বি-ই-আ ১ম খণ্ড পৃঃ ৭৯, ধারা ১৫৬ ও ১৫৭ ঃ আত্মীয়ের বাসা থেকে চুরি করলে বা মেজবানের বাসা থেকে মেহমান চুরি করলে তার হুদুদ শাস্তি হবে না।
তওবা করলে গণহত্যাকারীর শাস্তি হবে না। (বিধিবদ্ধ ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২১৮, ধারা ১৩)। ক্স বি-ই-আ ১ম খণ্ড পৃঃ ১৯৫, ধারা ৫১৪ ঃ মুতওয়ালী যদি ওয়াক্ফ্ সম্পত্তি হজম করে ফেলে তবে তার কাছ থেকে এ-সম্পত্তি আদায় করতে হবে, কোন শাস্তির উলেখ নেই।
স্ত্রী যদি বলে তার মাসিক হয়েছে আর স্বামী যদি তা বিশ্বাস না করে, তাহলে স্ত্রীর সাথে সহবাস করা স্বামীর জন্য আইনতঃ সিদ্ধ (শাফি’ই আইন নং ই-১৩-৫)।
“কোনো কারণে ধর্ষকের শাস্তি মওকুফ হইলে ধর্ষক ধর্ষিতাকে মোহরের সমান টাকা দিবে” (বি-ই-আ ১ম খণ্ড পৃঃ ৩০১ ; শাফি’ই আইন #m.8.10)। যেহেতু এখানে অন্য কোনো শাস্তির উলেখ নেই তাই ধর্ষক-পক্ষের চালাক বাকপটু উকিল ধর্ষককে টাকা দিয়ে খালাস করে নিতে পারবে। ধর্ষিতার শাস্তির বহু দলিল আমাদের কাছে আছে। ইসলামের নামে এই নির্মম নিষ্ঠুরতার ব্যাপারে কোন ইসলামি দল কোনদিন টুঁ শব্দটি উচ্চারণ করেননি।
মুসলিম পুরুষের রক্তমূল্য অপেক্ষা, (১) মুসলিম নারীর রক্তমূল্য অর্ধেক, (২) ইহুদী- খ্রীষ্টানের রক্তমূল্য তিনভাগের একভাগ, ও (৩) অগিড়ব-উপাসকের (সম্ভবতঃ হিন্দুদেরও − লেখক) রক্তমূল্য পনেরো ভাগের একভাগ। (শাফি’ই আইন পৃঃ ৫৯০, Law #o.4.9)।
রক্তমূল্যের দাবি বা খুনীকে মাফ করতে শুধু নিহতের পুত্ররাই পারে, কন্যারা নয়। (শারিয়া দি ইসলামিক ল’, ডঃ আবদুর রহমান ডোই, পৃঃ ২৩৫)।
বিবাহিতা যুদ্ধ-বন্দিনীদের বিয়ে তৎক্ষণাৎ বাতিল হয়ে যাবে (শাফি’ই আইন #o.9.13 )। এ-আইনের উদ্দেশ্য অতি পরিষ্কার। সেটা হল যুদ্ধ-বন্দিনীদের ধর্ষণ। সেটাকে সহি হাদিসে বৈধ করা হয়েছে (সহি বুখারি ৫ম খণ্ড হাদিস নং ৬৩৭, ও ৭ম খণ্ড হাদিস নং ১৩৭)। এমনকি কেউ কেউ বন্দিনীদেরকে তাদের বন্দী স্বামীদের সামনেই ধর্ষণ করত এবং “কেহ কেহ তাহা পছন্দ করিত না” − সহি আবু দাউদ হাদিস নং ২১০৫। স্পষ্টই বোঝা যায় নবীজীর অনেক পরে এ-সব ভয়ঙ্কর হাদিস বানানো হয়েছে বন্দিনী-ধর্ষণ হালাল করার জন্য। আমাদের ‘আহলে হাদিস’ ইত্যাদি সংগঠনগুলোর উচিত অনতিবিলম্বে এ-সব হাদিস বাতিল করা। এ-সব হাদিসের ভিত্তিতেই আমাদের ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শর্ষিণার পীর ঘোষণা করেছিল পাকিস্তানী হানাদার সৈন্যদের জন্য বাঙালী হিন্দু-নারী ধর্ষণ করা বৈধ। এটা সবাই জানে, দৈনিক পূর্বদেশ-এও ছাপা হয়েছিল একাত্তরের ১৯শে ডিসেম্বর তারিখে। অনেকে তাকে দোষ দিয়েছিলেন কিন্তু সে তো শুধু শারিয়া আইনের কথাই বলেছিল।
১৬ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২
বিবেক ও সত্য বলেছেন: আপনার কথাও সঠিক। আপনার রেফারেন্সও সঠিক। আবার কুরআনে সব কিছুর বর্ণনার দাবী করে।(সুরা নাহল-আয়াত ৮৯)
কুরআনে বহু স্ববিরোধিতা আছে।
৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৫৩
মেহেদী হাসান মিশন বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে আমার মনে হয়েছে আপনি সৃষ্টিকর্তাতে বিশ্বাসী। আপনার নিকট আমার প্রশ্ন হল আপনার সৃষ্টিকর্তা কে? যদি তার নাম ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানাতেন।
ধন্যবাদ।
১৬ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬
বিবেক ও সত্য বলেছেন: এ সুন্দর সুশৃঙ্খল মহাবিশ্ব এমনিতেই সৃষ্টি হয়েছে কথাটির চেয়ে মহাবিশ্বের একজন স্রষ্টা আছে কথাটি বেশি য়ৌক্তিক মনে হয়। যেহেতু যারা বলে স্রষ্টা আছে তাদের কাছেও যেমন স্রষ্টার পক্ষে যুক্তি ছাড়া কোন প্রমান নেই আবার যারা বলে স্রষ্টা নেই তাদের কাছেও যুক্তি ছাড়া কোন প্রমান নেই। যে বিষয়ে প্রমান নেই সে বিষয়ে অনুমান ছাড়া সুদৃঢ় কোন সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না বা উচিত না। শুধু বোকারাই এ ধরনের বিষয়ে সুনিশ্চিত কথা বলে।
এ কারনে আমার বিশ্বাস যে এ মহাবিশ্বের একজন স্রষ্টা আছেন। আমরা মহাবিশ্বের তুলনায় খুবেই নগন্য। সুতরাং স্রষ্টা সম্পর্কে অনেক কিছুই আমাদের জ্ঞানের বাইরে।
স্রষ্টার যেমন বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত তেমন বৈশিষ্টে আমি বিশ্বাসি।
৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:২৪
মেহেদী হাসান মিশন বলেছেন: তাহলে আমি কি ধরে নিব যে আপনি সুনির্দিষ্ট বা সুনিশ্চিত ভাবে জানেন না কে বা কারা আপনাকে বা এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছে?
"এ কারনে আমার বিশ্বাস যে এ মহাবিশ্বের একজন স্রষ্টা আছেন" আপনি কি আপনার এই বক্তব্য সম্পর্কে সুনিশ্চিত?
"স্রষ্টার যেমন বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত তেমন বৈশিষ্টে আমি বিশ্বাসি"। কেমন বৈশিষ্ট্য থাকা উচিৎ?
ধন্যবাদ।
১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:২৩
বিবেক ও সত্য বলেছেন: শুধু আমি কেন, পৃথিবীর কেউ সুনিশ্চিত ভাবে জানে না।
কেমন বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত তা অনেক কথার দাবি রাখে। আপনি নিম্নের লিঙ্কটি দেখুন:
http://www.somewhereinblog.net/blog/wise/30135642
৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:২৬
৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:০২
মেহেদী হাসান মিশন বলেছেন: "এ কারনে আমার বিশ্বাস যে এ মহাবিশ্বের একজন স্রষ্টা আছেন" এই বক্তব্যের মাধ্যমে কি আপনি বুঝাতে চেয়েছেন যে এই মহাবিশ্বের মাত্র একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন একাধিক নয়?
আর আপনি যদি স্রষ্টার বৈশিষ্ট সম্পর্কে জ্ঞাত থাকেন একটু বর্ণনা করুন দয়া করে।
আর আপনার দেয়া সহায়ক লিংক থেকে আমি সৃষ্টিকর্তার বৈশিষ্ট সম্পর্কে জ্ঞাত হতে পারি নাই।
১০| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৪৯
বিবেক ও সত্য বলেছেন: হ্য, একজনকেই বুঝিয়েছি।
স্রষ্টা বিষয়ক কিছু ধারনা নিম্নের লিঙ্কে দেখুন:
স্রষ্টায় বিশ্বাস: কারা সঠিক?
১১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৫৫
মেহেদী হাসান মিশন বলেছেন: আপনার দেয়া সহায়ক লেখাটি পড়ে আমার মনে হয়েছে সৃষ্টিকর্তার কোন নাম নেই, শুরু বা শেষ নেই, জীবন নেই, গুনাগুন নেই, ইচ্ছা নেই, উদ্দেশ্য নেই, ক্ষমতা বা শক্তি নেই। কারন এই সমস্ত বিষয়াদি সৃষ্টির ক্ষেত্রে প্রজয্য স্রষ্টার ক্ষেত্রে নয়। এক কথাই তিনি চূড়ান্তভাবে আনলিমিটেড। আমি কি সঠিক?
যদি তাই হয় তবে এই সব কিছু তিনি কেন সৃষ্টি করলেন?
বিশেষ করে তিনি আপনাকে কেন সৃষ্টি করেছেন আপনি কি জানেন?
যদি এমনিতেই করে থাকে তাহলে আপনার ভাষ্য মতে তিনি বিনোদন প্রিয়। অর্থাৎ বিনোদনের মূখাপেক্ষি। আর যদি কোন উদ্দেশ্য থাকে তবে তার তা থাকা উচিৎ নয়, কারন উদ্দেশ্য সৃষ্টির থাকে স্রষ্টার নয়।(আপনার স্রষ্টার উদ্দেশ্য সংক্রান্ত বক্তব্য পরিস্কার নয়) আর কোন কিছু আবিস্কার, প্রস্তুত ও সৃষ্টি করার জন্য নূন্যতম ইচ্ছা, যোগ্যতা/গুনাগুন ও ক্ষমতা/শক্তির প্রয়োজন আছে। আপনার ভাষ্যমতে এসকল স্রষ্টার ক্ষেত্রে গ্রহনযোগ্য নয়। আর আপনার লেখটিতে সৃষ্টি/সৃষ্টি জগত পরিচালনা সংক্রান্ত কোন বর্ণনা নেই। তবে কি আমি ধরে নিব সৃষ্টিজগত পরিচালনা করার কোন প্রয়োজন নেই। আর যদি পরিচালনা করার প্রয়োজন থাকে সেক্ষেত্রেও যোগ্যতা/গুনাগুন ও ক্ষমতা/শক্তির দরকার আছে।
আমার আগ্রহের প্রতি লক্ষ্য রেখে আসা করি বিস্তারিতভাবে উত্তর দিবেন।
ধন্যবাদ।
১২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:১৪
বিবেক ও সত্য বলেছেন: আমাদের এ এ পৃথিবী আমাদের গ্যালাক্সি মিল্কিওয়ের তুলনায় একটি অনুর সমতুল্য। আর মানব অর্জিত জ্ঞানানুপাতে মহাবিশ্বের তুলনায় আমাদের এ গ্যালাক্সি একটি অণুর সমান। সেখানে আমরা কোথায়?
একটি পিপড়াকে যদি আমাদের এ পৃথিবীর আকৃতি বা রহস্য নিয়ে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত পৌছতে গেলে তার কি অবস্থা হবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আমরা এ মহাবিশ্বের সামান্যতমই জ্ঞান রাখি। আমরা বা আমাদের ততটুকুই মেনে চলা উচিত যতটুকু আমাদের বোধগম্য। মহাবিশ্ব সম্পর্কে মানুষের বহু প্রশ্ন রয়েছে যার উত্তর আমরা কেউ জানি না। সেরুপ অজানা ও অবোধগম্য বিষয়ের মধ্যে স্রষ্টা ও সৃষ্টি রহস্য অন্যতম একটি।
স্রষ্টার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সামান্য যে কয়টি দিক আমি উক্ত লেখায় আলোচনা করেছি সেখানে আমি বোঝাতে চেয়েছি যে স্রষ্টা সম্পর্কে গুনাবলি বিশ্বাস করা হয় তাও যেমন গ্রহণযোগ্য নয় আবার তা অস্বিকার করাও গ্রহণযোগ্য নয়।যেমন-স্রষ্টার শুরু আছে বললে কথাটি গ্রহণযোগ্য হয় না, আবার শুরু নেই বিষয়টি মানুষের বোধগম্য নয়। শুরু নেই কথাটি বলা সহজ, কিন্তু কল্পনা করুন দেখি!!!!
একইভাবে অসীম শক্তিমান কথাটিও যেমন গ্রহণযোগ্য নয় আবার শক্তি নেই তাও গ্রহনযোগ্য নয়।দু’টির কোনটিই গ্রহণযোগ্য নয়। তাহলে কি? যা আমি বা আপনি বুঝি না সে বিষয়ে কথা বলা সম্ভব না্।এটা মানবজ্ঞানে অবোধজ্ঞম্য বিষয়।
আপনি আমার কথা থেকে ভূল (জীবন নেই, গুনাগুন নেই, ইচ্ছা নেই, উদ্দেশ্য নেই, ক্ষমতা বা শক্তি নেই) বুঝেছেন।আমি নেই বা আছে তার কোনটাই বুঝাতে চাইনি। আমি বুঝাতে চেয়েছি যে নেই বা আছে যে অর্থই গ্রহন করুন তার কোনটাই গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং একটি সমাধানহিন বিষয়।মানব জ্ঞানের বাইরের বিষয়।
আমরা স্রষ্টাকে মানবীয় প্রকৃতি দ্বারা বুঝার চেষ্টা করি সেটাই চরম অজ্ঞতা বা স্বল্প বুদ্ধির কাজ।
১৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৩৩
মেহেদী হাসান মিশন বলেছেন: আপনার নিকট আমার তিনটি প্রশ্ন ছিল- আপনার দেয়া সহায়ক লেখাটি পড়ে আমার মনে হয়েছে সৃষ্টিকর্তার কোন নাম নেই, শুরু বা শেষ নেই, জীবন নেই, গুনাগুন নেই, ইচ্ছা নেই, উদ্দেশ্য নেই, ক্ষমতা বা শক্তি নেই। কারন এই সমস্ত বিষয়াদি সৃষ্টির ক্ষেত্রে প্রজয্য স্রষ্টার ক্ষেত্রে নয়। এক কথাই তিনি চূড়ান্তভাবে আনলিমিটেড। আমি কি সঠিক?
যদি তাই হয় তবে এই সব কিছু তিনি কেন সৃষ্টি করলেন?
বিশেষ করে তিনি আপনাকে কেন সৃষ্টি করেছেন আপনি কি জানেন?
যার মধ্যে একটির উত্তর পেয়েছি বাকি দুটির পাই নাই। আর আপনার উত্তর থেকে আমি যা বুঝেছি তা হল স্রষ্টার কোন ডেফিনেশন নাই। স্রষ্টা বা তার ডেফিনেশন একটি সমাধানহীন বিষয়। স্রষ্টার যেমন বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত তেমন বৈশিষ্টে আমি বিশ্বাসি।
তাহলে কি আপনি সংজ্ঞাহীন স্রষ্টাতে বিশ্বাসী? যার কোন জীবন, গুনাগুন, ইচ্ছা, উদ্দেশ্য, শক্তি বা ক্ষমতা আছে কি নাই আপনি জানেন না।
আমি আমার মানবীয় স্বল্প জ্ঞানে যা বুঝি তা হল ইচ্ছা, উদ্দেশ্য, শক্তি বা ক্ষমতা না থাকলে কেউ কোন কিছু আবিস্কার, প্রস্তুত ও সৃষ্টি করতে পারে না। স্রষ্টা যদি থেকে থাকে এবং তিনি যদি সৃষ্টি করে থাকেন তাহলে তার অবশ্যই ইচ্ছা, উদ্দেশ্য, শক্তি বা ক্ষমতা থাকা উচিৎ। অন্যথায় তিনি সৃষ্টি করতে পারবে না। আপনার উত্তরের অপেক্ষাই থাকলাম।
ধন্যবাদ।
১৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১৮
বিবেক ও সত্য বলেছেন: আপনার বাকি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি, আপনি হয়ত সেভাবে লক্ষ্য করেননি। আমি লিখেছি:আমরা এ মহাবিশ্বের সামান্যতমই জ্ঞান রাখি। আমরা বা আমাদের ততটুকুই মেনে চলা উচিত যতটুকু আমাদের বোধগম্য। মহাবিশ্ব সম্পর্কে মানুষের বহু প্রশ্ন রয়েছে যার উত্তর আমরা কেউ জানি না। সেরুপ অজানা ও অবোধগম্য বিষয়ের মধ্যে স্রষ্টা ও সৃষ্টি রহস্য অন্যতম একটি।
আদৌ সৃষ্টিকর্তা আছেন কিনা? সৃষ্টিকর্তা না থাকা বললে যেমন কথাটি গ্রহণযোগ্য হয় না, তেমনি ভাবে আছে বললেও বহু প্রশ্রের উদ্ভব হয়। আমি বলবো যা জানা নেই তা নিয়ে জানা নেই বলাই সবচেয়ে বৃদ্ধিমত্তার কাজ।
আপনি লিখেছেন:আমি আমার মানবীয় স্বল্প জ্ঞানে যা বুঝি তা হল ইচ্ছা, উদ্দেশ্য, শক্তি বা ক্ষমতা না থাকলে কেউ কোন কিছু আবিস্কার, প্রস্তুত ও সৃষ্টি করতে পারে না। স্রষ্টা যদি থেকে থাকে এবং তিনি যদি সৃষ্টি করে থাকেন তাহলে তার অবশ্যই ইচ্ছা, উদ্দেশ্য, শক্তি বা ক্ষমতা থাকা উচিৎ। অন্যথায় তিনি সৃষ্টি করতে পারবে না।
এটা হল ‘ ইচ্ছা ও উদ্দেশ্য ইত্যাদি’ না থাকা কথাটি অগ্রহণযোগ্য হওয়ার পক্ষে যুক্তি। ঠিক একইভাবে ‘ ইচ্ছা ও উদ্দেশ্য ইত্যাদি’ আছে বললেও কিছু প্রশ্ন উদ্ভব হয় যার ফলে আছে কথাটিও গ্রহণযোগ্য হয় না। আমরা আছেও বলতে পারছি না আবার নাও বলতে পারছি না। তাহলে কি বলবো? বিষয়টি সমাধানহীন, অবোধগম্য। যা মানব ব্রেইনে ধরে না তা নিয়ে চুড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত দেয়া যায় না।
এ কারনে, আমি দাবি স্রষ্টায় বিশ্বাস করি এর অর্থ এ নয় যে আমি সুনিশ্চিত, পৃথিবীর কেউ সুনিশ্চিত নয়।
বোকারাই অবোধগম্য, সমাধানহীন একটি বিষয়ের এক পক্ষ নিয়ে অর্থহীন বাড়াবাড়ি করে।
যিনি স্রষ্টা আছেন বলেন সুনিশ্চিত বা নেই বলে সুনিশ্চিত বলে দাবি করে- এটা তাদের বুদ্ধির স্বল্পতার প্রমান করে।
১৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৫২
মেহেদী হাসান মিশন বলেছেন: স্রষ্টার যেমন বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত তেমন বৈশিষ্টে আমি বিশ্বাসি। তাহলে আপনার এই বক্তব্য দেয়া আমার মতে উচিৎ নয় কারন আপনি নিশ্চিত নয় স্রষ্টা আছেন নাকি নেই। উক্ত বক্তব্যে স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রকাশ পায়। যেহেতু আপনি সৃষ্টিকর্তাতে বিশ্বাস করেন
তাই আমি মনে করেছিলাম আপনি হয়তো সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে জানেন। কিন্তু আপনার উত্তর থেকে আমি বুঝতে পারলাম আপনি সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে জানেন না।
আর জ্ঞান-বুদ্ধি, ভালো-মন্দ আপেক্ষিক ব্যাপার। এগুলো মানুষের সংগৃহিত তথ্যে ও দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভরশীল।
ধন্যবাদ।
১৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪৬
বিবেক ও সত্য বলেছেন: আমি কেন, পৃথিবীর কেউ নিশ্চিত নয় যে স্রষ্টা আছে। পৃথিবীর কেউ সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে জানে না।
স্রষ্টার যেমন বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত তেমন বৈশিষ্টে আমি বিশ্বাসি বলার কারন হল সৃষ্টিকর্তা যদি থেকেই থাকেন নিশ্চয় তিনি এমন বৈশিষ্টের হবেন না যেমন বৈশিষ্টে ধর্মে বিশ্বাসিরা বিশ্বাস করে থাকে। সৃষ্টিকর্তা যদি থাকেন তাহলে তিনি তার আপন বৈশিষ্টে বিরাজমান যা মানবজ্ঞানের আওতা বহির্ভূত, যা মানব ভাষায় প্রকাশের বাইরে।
সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে তার সম্পর্কে কিছু জানাননি সুতরাং সৃষ্টিকর্তা নিয়ে বেশি ভাবা ও বিতর্কের বিষয় নয়।
কোনটি মানুষের জন্য ভাল আর কোনটি খারাপ তা মানুষ তার জ্ঞান দ্বারা নির্ধারন করবে। তবে যা খারাপ সে ব্যপারে আমার মতে পৃথিবীর সকলেই একমত। তবে যাদের চিন্তা ধর্ম দ্বারা সংকীর্ণ তারা ধর্মীয় খারাপকে খারাপের মধ্যে অন্তভূক্ত করে-সে খারাপ গুলো ধর্ম ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়।
খারাপের সংজ্ঞা আমি এভাবে দেই- যা মানবতার জন্য ক্ষতিকর তাইই খারাপ ধর্ম যাইই বলুক না কেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:২২
দ্বীন মুহাম্মদ সুমন বলেছেন: ভাই কি কাজ কর্ম কিছু করেননি ? নাকি এগুলাই আপনার রুজি রুটি ? ইসলামের নামে মিথ্যাচার কইরা কি রকম পান মাস শেষে একটু আইডিয়া দেন ভাউ