নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ধত্ব ও গোড়ামিত্ব পরিহার করে জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তিক জীবন গড়ি

বিবেক ও সত্য

স্রষ্টা প্রদ্ত্ত বিবেক ও বিচার-বিবেচনা শাক্তি ব্যবহার করে বুদ্ধিবৃত্তিক ও আলোকিত জীবন গড়াই সত্যিকার মানুষের আসল কর্ম

বিবেক ও সত্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল কুরআন কি শানে নুযুলের উপর নির্ভরশীল ?

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬


শানে নুযুল বলতে বুঝায় কুরআনের আয়াত অবতীর্নের প্রেক্ষাপট।কোন বক্তার বক্তব্যের সঠিক অর্থ বুঝার জন্য উক্ত বক্তার বক্তব্যে কোন ঘটনার পেক্ষাপটে দেয়া হয়েছিল তা জানার উপর নির্ভর করে-তাতে কোন সন্দেহ নেই। আবার সেই ঘটনাকে যিনি যেভাবে বুঝবেন উক্ত বক্তার বক্তব্যের উদ্দেশ্যকে সেভাবে ব্যখ্যা করবেন।কোন ঘটনা কোথায় ঘটলে যখন লোকমুখে তা প্রচারিত হয় তখন ঐ একই ঘটনার প্রত্যাক্ষদর্শিরা একই ঘটনাকে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে ব্যখ্যা করে থাকে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে একই ঘটনা বিভিন্নভাবে বর্ণিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে আবার একই বক্তার বক্তব্যকেও মানুষ বিভিন্নভাবে বুঝে থাকে।ঘটনাকে যিনি যেভাবে বুঝবেন বক্তার কথাকেও তিনি সেভাবে বুঝবেন।
এবার আসি কুরআনের আয়াতের শানে নুযুলের (পেক্ষাপটের ব্যাপারে)।আপনি যদি কুরআনের আয়াতের শানে নুযুল খোজেন তাহলে কুরআনের ৫০% আয়াতের কোন শানে নুযুলই পাবেন না-যদিও তা কোন না কোন পেক্ষাপটে অবতীর্ণ হয়েছে। আবার যে ৫০% আয়াতের শানে নুযুল পাবেন সে শানে নুযুল নিয়েও মতবিরোধ আছে। কেউ বলে এ আয়াতের অমুক শানে নুযুল, আবার কেউ বলেন না,এর শানে নুযুল অমুকটি।যিনি ইসলাম ধর্মের যেই পক্ষের/ফের্কার তিনি সেই শানে নুযুল গ্রহণ করে থাকেন।এরপর নিজ পক্ষের সঠিকতা প্রমানে হাদিস নিয়ে আসেন। যেহেতু লক্ষ লক্ষ হাদিস জাল বানানো হয়েছে, তাই প্রত্যেক ফের্কাই তার পক্ষে হাদিস পেয়েই যান।(উল্লেখ্য, মুহাম্মাদ স: এর তিরোধানের পর যখন দেখা গেল কুরআনের একই আয়াতে বিভিন্ন ব্যখ্যা সম্ভব,তখন বিভিন্ন গোষ্ঠি ক্ষুদ্র ব্যক্তি স্বার্থ বা রাজণৈতিক সুবিধা অর্জনের জন্য তাদের নিজ নিজ পক্ষে হাদিস রচনা করতো।)
আমি ’ইসলাম’ নামক ধর্ম খুজছি, এখনো পায়নি। কেউ কি পেয়েছেন?
কুরআনের আয়াতের মর্মার্থ বুঝতে শানে নুযুলের উপর কতটুকু মুখাপেক্ষি তা বুঝাতে গিয়ে একজন শ্রোদ্ধেও ব্লগার (জনাব দরবেশমুসাফির ) নিম্নোক্ত কথাটি বলেছেন-
’কুরানের কোন আয়াতের প্রকৃত অর্থ জানতে হলে তার প্রেক্ষাপট তথা শানে নুজুল জানতে হয়।আমার একজন ক্লোজ ফ্রেন্ড যদি আজ আপনাকে এসে বলে যে, দরবেশমুসাফির বলেছে যে, সে আমাকে মেরেই ফেলবে, তবে আপনার কাছে কি মনে হবে? মনে হবে আমি একজন সন্ত্রাসী, তাই না? কিন্তু ঐ ফ্রেন্ড যদি ঘটনার প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে বলে যে, আমি দরবেশ মুসাফিরের বন্ধু ও সে আমার সাথে মজা করে ওকথা বলেছে, তবে আপনার কাছে কি মনে হবে?এটাই প্রেক্ষাপটের গুরুত্ব। ’

কুরআনের সুরা তওবার নিম্নোক্ত অংশটুকু দ্বারা ব্যখ্যা করা হয় ইসলাম শান্তির ধর্ম:
আর মুশরিকদের কেউ যদি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে তাকে আশ্রয় দেবে, যাতে সে আল্লাহর কালাম শুনতে পায়, অতঃপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌছে দেবে। এটি এজন্যে যে এরা জ্ঞান রাখে না [সুরা তাওবা: ৬] .
এ আয়াত যে মুসলিমদের লড়াই করার কৌশল বর্ণিত হয়েছে সেটা হয়ত অনেকে লক্ষ্য করেন না।মনে করুন গুলশানের ঘটনায় যদি সরকার আত্ম-সমর্পন করতো তাহলে তারা রাষ্ট্র-ক্ষমতা নিতে এবং ’ যাতে সে আল্লাহর কালাম শুনতে পায়,’ –এর অর্থ যারা আত্ম-সমর্পন করল তারা উক্ত জঙ্গিদের মতাদর্শে দাখিল করতে তাদেরকে সুযোগ দেয়া।
মুসলমানদের যে ফের্কা ইসলামকে যেভাবে বোঝে বা ব্যখ্যা করে থাকে সেটাকেই বলবে আল্লাহর কালাম অনুসারে এটাই তাদের কর্মপন্থা।আর ভিন্ন ফের্কার মুসলমানেরাও কিন্তু পথভ্রষ্ট,ইসলামের শত্রু ইত্যাদি।সে কারনে তাদের বিরুদ্বে লড়াই করাই উক্ত জঙ্গিদের জন্য ফরয।
আইনের কিতাব এবং সাধারন বক্তব্যের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য থাকে। আর সে আইন যদি স্রষ্টার হয় তাহলে তার গুরুত্ব অনেক বেশি।সুতরাং আইন দেয়ার সময় সেখানে আইন প্রনয়নকারীর দায়িত্ব শানে নুযুল সংযুক্ত করে বা না করে, যেভাবেই হোক বক্তব্যকে পরিস্কার করা। কুরআনের আইন কি সৃষ্টিকর্তার আইন?
আমার সৃষ্টিকর্তা এত বেকুফ নন যে এমন আইন দিবেন যার বক্তব্যে এত অস্পষ্টতা থাকবে।কুরআন মানব রচিত পুস্তক,তাই এতে এত সমস্যা।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০

সেলিম৮৩ বলেছেন: মি. বিবেক, অাপনি কেন ইসলাম সম্পর্কে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছেন ?
প্লিজ, এসমস্ত মনগড়া লেখা বন্ধ করুন।
ইসলাম যদি সত্য ধর্ম না হয় তবে সত্য ধর্মটা খুঁজে নিন।
অার যদি অাপনার কোন ধর্মই না থাকে তবে মৃর্ত্যূর ফল অাপনাকে কোন প্রসেসে সৎকার করা হবে ঠিক করুন।
অাপনি কি অটোমেড? অার অাপনার কাছে সত্যটাই বা কি?


২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:০০

বিবেক ও সত্য বলেছেন: মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
আপনি কি প্রমান করতে পারবেন যে আমি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছি ।
আমি সত্যে কথা বলছি নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে।
স্রষ্টা যদি কোন ধর্ম না দেন, তথাপিও কি আপনাকে একটি ধর্ম পালনই করতে হবে?
ধর্ম মানবতার জন্য যে সকল ক্ষতি বয়ে আনছে তা থেকে মানবতাকে রক্ষা করা সকলেরই দায়িত্ব।

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:০৯

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: এদ্দিন পর?

৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১৪

দরবেশমুসাফির বলেছেন: শানে নুযুল বলতে বুঝায় কুরআনের আয়াত অবতীর্নের প্রেক্ষাপট।কোন বক্তার বক্তব্যের সঠিক অর্থ বুঝার জন্য উক্ত বক্তার বক্তব্যে কোন ঘটনার পেক্ষাপটে দেয়া হয়েছিল তা জানার উপর নির্ভর করে-তাতে কোন সন্দেহ নেই। আবার সেই ঘটনাকে যিনি যেভাবে বুঝবেন উক্ত বক্তার বক্তব্যের উদ্দেশ্যকে সেভাবে ব্যখ্যা করবেন।কোন ঘটনা কোথায় ঘটলে যখন লোকমুখে তা প্রচারিত হয় তখন ঐ একই ঘটনার প্রত্যাক্ষদর্শিরা একই ঘটনাকে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে ব্যখ্যা করে থাকে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে একই ঘটনা বিভিন্নভাবে বর্ণিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে আবার একই বক্তার বক্তব্যকেও মানুষ বিভিন্নভাবে বুঝে থাকে।ঘটনাকে যিনি যেভাবে বুঝবেন বক্তার কথাকেও তিনি সেভাবে বুঝবেন।


কুরআনের অবতীর্ন হওয়ার প্রেক্ষাপট হাজার হাজার সাহাবী প্রত্যক্ষ করেছেন। তাঁদের অনেকে জীবিত থাকতেই কুরআনের শানে নজুল লেখা শুরু হয়েছিল। তাই ওইখানে একই ঘটনাকে বিভিন্নজন ব্যখ্যা করার কোন চান্সই ছিল না। করলেই সাহাবারা প্রতিবাদ করতেন। এবং সাহাবীদের কথাই গৃহীত হত।

একজন মানুষ দেখে আরেকজনকে বললে ঘটনা চেন্জ হতে পারে। কিন্তু হাজার হাজার মানুষ একত্রে যা দেখে তা ভুলভাবে কি প্রচার করা যায়??

আপনি যদি কুরআনের আয়াতের শানে নুযুল খোজেন তাহলে কুরআনের ৫০% আয়াতের কোন শানে নুযুলই পাবেন না-যদিও তা কোন না কোন পেক্ষাপটে অবতীর্ণ হয়েছে। আবার যে ৫০% আয়াতের শানে নুযুল পাবেন সে শানে নুযুল নিয়েও মতবিরোধ আছে। কেউ বলে এ আয়াতের অমুক শানে নুযুল, আবার কেউ বলেন না,এর শানে নুযুল অমুকটি।যিনি ইসলাম ধর্মের যেই পক্ষের/ফের্কার তিনি সেই শানে নুযুল গ্রহণ করে থাকেন।এরপর নিজ পক্ষের সঠিকতা প্রমানে হাদিস নিয়ে আসেন। যেহেতু লক্ষ লক্ষ হাদিস জাল বানানো হয়েছে, তাই প্রত্যেক ফের্কাই তার পক্ষে হাদিস পেয়েই যান


৫০% আয়াতের কোন শানে নুযুলই পাবেন না কথাটা ভুল। একই শানে নুযুল অনেক আয়াতের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে। যেসকল শানে নুযুল নিয়ে মতবিরোধ আছে তা এতই সামান্য যে সবপক্ষের কথা প্রায়ই একইরকম। মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক মতবিরোধ আছে হাদিস ও কুরআনের আয়াতের তাফসির নিয়ে, শানে নুযুল নিয়ে নয়।

এ আয়াত যে মুসলিমদের লড়াই করার কৌশল বর্ণিত হয়েছে সেটা হয়ত অনেকে লক্ষ্য করেন না।মনে করুন গুলশানের ঘটনায় যদি সরকার আত্ম-সমর্পন করতো তাহলে তারা রাষ্ট্র-ক্ষমতা নিতে এবং ’ যাতে সে আল্লাহর কালাম শুনতে পায়,’ –এর অর্থ যারা আত্ম-সমর্পন করল তারা উক্ত জঙ্গিদের মতাদর্শে দাখিল করতে তাদেরকে সুযোগ দেয়া

ইসলাম অনুসারে গুলশানের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা সৈনিকই না, সন্ত্রাসী। কারন ইসলাম অনুসারে কোন মানুষকে জিম্মি করে যুদ্ধ করা নিষিদ্ধ। সাধারন মানুষের ক্ষতি করাও ইসলামে নিষিদ্ধ।

সিফফিনের যুদ্ধে আলী রা: এর বক্তব্য:

হে মানুষ তোমাদের আমি যুদ্ধক্ষেত্রে মেনে চলার জন্য ১০টা নিয়ম বলে দিচ্ছি। কখনো সম্পদ আত্মসাৎ করবে না ও সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়ো না।কোন মৃতদেহকে অসম্মান করবে না। কোন নারী অথবা শিশুকে অথবা বৃদ্ধ ব্যাক্তিকে হত্যা করবে না বৃক্ষ, বিশষ করে ফলদার বৃক্ষ পোড়ানা বা এদের ক্ষতি করবে না। শত্রুর কবুতর বা পাখি নিধন করবে না। রাস্তায় সন্ন্যাসী বা ধর্মীয় পুরোহিতদের কোন ক্ষতি করবে না

এরপরও বলবেন গুলশানের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা ইসলাম অনুসরন করেছে?

যাতে সে আল্লাহর কালাম শুনতে পায়। মানে কুরআন শুনতে পায়। আমি যদি আপনাকে সূরা ফাতিহা শুনাই তাহলে কি আপনি বলবেন আমি আপনাকে জঙ্গিদের মতাদর্শে দাখিল করতে সুযোগ দিতেছি??

ভাইরে সিফফিনের যুদ্ধের ব্যাপারে কিছুই জানেন না। শানে নুযুল কি প্রক্রিয়ায় লেখা হয়েছে তাও জানেন না। আমার তো সন্দেহ হয়, আমি পোস্ট দেওয়ার আগে শানে নুজুল কি তাই জানতেন না।

আর আমার পোস্টের এই অংশ নিয়ে কিছু বলেন নাই:

মুহাম্মাদ সা: এর অনুসারীদের নির্মম অত্যাচার করে তাদের অনেককেই হত্যা করে মক্কার মুশরিকরা। মুহাম্মাদ সা:কেও হত্যার পরিকল্পনা করে তারা। নিজের মুস্টিমেয় কিছু অনুসারীদের রক্ষা করতে ও ইসলামকে টিকিয়ে রাখতে মুহাম্মাদ সা: বাধ্য হন মদীনা শহরে আশ্রয় নিতে। সেখানে মুসলিম, খ্রীস্টান ও ইহুদিদের সাথে একত্রে একটি জাতি গঠন করেন তিনি। কায়েম করেন পৃথিবীর ইতিহাসের প্রথম গনতান্ত্রিক সংবিধান মদীনা সনদ। এর কিছু ধারা ছিল নিম্নরূপ:

১। সনদে স্বাক্ষরকারী মুসলমান, ইহুদি, নাসারা এবং পৌত্তলিকগন সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করবেএবং একটি সাধারন জাতি গঠন করবে।

২।মুসলমান ও অমুসলমান বিভিন্ন সম্প্রদায় স্বাধীনভাবে নিজ ধর্ম পালন করবে। কেহ কাহারো ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করিতে পারিবে না।

৩।ব্যক্তিগত অপরাধের জন্য অপরাধীই দায়ী হবে। তার সম্প্রদায় নয়।

৪।দুর্বল ও অসহায়দের রক্ষা করতে হবে তারা যে ধর্মেরই হোক না কেন।

বদরের যুদ্ধ হয় মক্কায় থাকা মুসলিমদের সম্পদ পাচার হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে। কিন্তু উহুদের যুদ্ধই ছিল মদীনা রাস্ট্রের অস্তিত্বের প্রতি প্রথম হুমকি। সেই উহুদের যুদ্ধে মক্কার মুশরিকরা মদীনা দখল করে মুসলিমদের ধরাপৃস্ঠ থেকে মুছে ফেলতে অগ্রসর হয়।তারা যদি সেদিন মদীনা দখল করতে পারত, তবে মুসলিমদের আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে মদীনার অন্য সব ধর্মের লোকদের উপরও তারা গনহত্যা চালাত। শিশু নারী কেউই বাদ যেত না। সেদিন মুসলিমরা সম্মিলিতভাবে যুদ্ধ করে রক্ষা করেছিলেন মদীনাকে। রক্ষা করেছিলেন মদীনার খ্রীস্টান ও ইহুদিদেরকে




৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১

বিবেক ও সত্য বলেছেন: ভাই আপনি আমার লেখার এ অংশটুকু হয়ত ভাল করে খেয়াল করেননি-’তখন ঐ একই ঘটনার প্রত্যাক্ষদর্শিরা একই ঘটনাকে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে ব্যখ্যা করে থাকে।’ আমি সুস্পষ্টভাবে লিখেছি প্রত্যাক্ষদর্শিরাই বিভিন্নভাবে ব্যখ্যা করবে। সাহাবিরাই প্রত্যক্ষদর্শি। যিনি যেভাবে বোঝেন তিনি সেভাবে ব্যখ্যা করে থাকেন। সাহাবিদের মধ্যেই মতবিরোধ রয়েছে একই ঘটনা নিয়ে।
একটি ঘটনা হাজার হাজার মানুষ দেখলে মুল ঘটনা চেঞ্জ হয় না, তবে ঘটনাকে বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে বুঝে থাকেন। সুতরাং যতবেশি লোক দেখবে ততবেশি মত হওয়াই স্বাভাবিক।
আপনি বলেছেন-৫০% আয়াতের কোন শানে নুযুলই পাবেন না কথাটা ভুল। একই শানে নুযুল অনেক আয়াতের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে। যেসকল শানে নুযুল নিয়ে মতবিরোধ আছে তা এতই সামান্য যে সবপক্ষের কথা প্রায়ই একইরকম।
আমি বলবো প্রায় ৫০% আয়াতের সুনির্দিষ্ট শানে নুযুল আপনি দেখাতে পারবেন না। আর যে সকল আয়াতের শানে নুযুল নিয়ে বিতর্ক আছে তা সামান্য নয়। যদিও একটি আয়াতের শানে নুযুল নিয়ে বিতর্ক থাকলে ঐ একটি আয়াতের হুকুম নিয়েও বিতর্ক দেখা দেয়। আমি আপনাকে চ্যলেঞ্জ করছি। আপনি আমার কথার ভূল প্রমান করতে পারবেন না।
মদিন সনদ সম্পর্কে আপনার পোষ্টে সংক্ষেপে বলেছি।

৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬

বিবেক ও সত্য বলেছেন: জনাব দরবেশমুসাফির, আপনি ইসলামের সুমহান আদর্শ দেখাতে সিফফিনের যুদ্ধে আলীর বক্তব্যের অংশবিশেষ তুলে ধরেছেন। আমি বললো ইসলাম মানুষকে আদর্শবান হতে, সুন্দর ব্যবহার করতে, সৎ মানুষ হতে বলে- এসব বিষয়ে যদি লেখা হয় হাজার হাজার পৃষ্ঠা লেখা সম্ভব। সুন্দরতম ইতিহাস সম্ভব। সৎ ও আদর্শবান মানুষ হতে ইসলামের শিক্ষা নিয়ে লিখলে আমি আপনার চেয়ে আরো সুন্দর করে লিখতে পারবো।
আমি নিজে ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রচারে জীবনের বৃহদ অংশ কাটিয়েছি। আপনি ইসলামের সুন্দর দিকগুলো দেখেছেন। কিন্তু সত্য চরম নিষ্ঠুর। যার সবকিছু এখানে ব্যখ্যা করা সম্ভব নয়, হাজার হাজার পৃষ্ঠা লাগবে। আপনি যদি আমাকে প্রতিপক্ষ ভাবেন, তাহলে দুঃখিত, আমার সাথে কথা না বললেও চলবে। আর যদি সত্যিই সত্য জানার আগ্রহ থাকে, তাহলে আমার ব্লগের সবগুলো লেখা মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ করছি। ভূল ধরিয়ে দিলে শুধরে নিবো। তবে চিন্তার শেয়ার মানুষকে উপকৃত করে।
তবে সুন্দর আদর্শের ইতিহাস সম্পর্কে সংক্ষেপে এতটুকু বলবো যে- আপনি যদি আওয়ামিলিগকে ভালবাসেন, আর আওয়ামিলিগের বই পড়ে আওয়ামিলিগের আদর্শের শ্রেষ্ঠত্ব জানতে সচেষ্ট হন তাহলে একনিষ্ঠ আওয়ামিলিগ কর্তক লেখা আপনি মুজিবের জীবনি পড়েন, দেখবেন শেখ ‍মজিব কত আদর্শবান মানুষ ছিল যার চরিত্র ও আদর্শ অতুলনীয়। আবার মুজিব বিরোধী কেউ কর্তৃক লেখা বই পড়লে আপনি তার সম্পর্কে কি ধারনা পাবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
মুহাম্মাদ স: ইসলাম প্রচার করেছিলেন তৎকালিন অসভ্য লোকদের ঠিক করতে। সুতরাং তার উদ্দেশ্য ভাল ছিল। ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করলে তার বহু ভাল দিক পাওয়া যায়। তবে উহা মানব রচিত কিতাব হওয়াই উহার বহু সীমাবদ্ধতা ও সমস্যা মানবতার জন্য এখন বড় ক্ষতির কারন হয়ে দাড়িয়েছে।

৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৫২

দ্বীন মুহাম্মদ সুমন বলেছেন: বেচারার আম্রিকা যাওনে সাধ জাগছেরে =p~ =p~ =p~

৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০

দরবেশমুসাফির বলেছেন: একটি ঘটনা হাজার হাজার মানুষ দেখলে মুল ঘটনা চেঞ্জ হয় না, তবে ঘটনাকে বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে বুঝে থাকেন। সুতরাং যতবেশি লোক দেখবে ততবেশি মত হওয়াই স্বাভাবিক।সাহাবিদের মধ্যেই মতবিরোধ রয়েছে একই ঘটনা নিয়ে।

প্রেক্ষাপট মানেই স্পস্টতা। আর একটা স্পস্ট ঘটনা মানুষকে বিভিন্নভাবে বুঝাতে পারবেন? আজ আপনি রাস্তার সব মানুষের সামনে আছাড় খেয়ে পড়ে গেলে এই ঘটনা একেকজন কেমনে একেকভাবে ব্যাখ্যা করবে আমাকে একটু উদাহরন দিয়ে বুঝায়ে দিয়েন তো।

সাহাবীদের মধ্যে মতভেদ ঘটনা ঠিক কিভাবে ঘটেছে ঐটা নিয়ে। ঘটনা ঘটছে নাকি ঘটেনাই তা নিয়ে না। কারন ঘটনা তারা সবাই দেখেছেন।

আমি বলবো প্রায় ৫০% আয়াতের সুনির্দিষ্ট শানে নুযুল আপনি দেখাতে পারবেন না। আর যে সকল আয়াতের শানে নুযুল নিয়ে বিতর্ক আছে তা সামান্য নয়। যদিও একটি আয়াতের শানে নুযুল নিয়ে বিতর্ক থাকলে ঐ একটি আয়াতের হুকুম নিয়েও বিতর্ক দেখা দেয়। আমি আপনাকে চ্যলেঞ্জ করছি। আপনি আমার কথার ভূল প্রমান করতে পারবেন না।
মদিন সনদ সম্পর্কে আপনার পোষ্টে সংক্ষেপে বলেছি।


শানে নুযুল আয়াত অনুসারে যত থাকে তার চেয়ে সূরা অনুসারে থাকে। এবং অনেকক্ষেত্রে এক সূরার শানে নুযুল ঐ সূরার সব আয়াতের জন্যই প্রযোজ্য হয় তাই আয়াত বাই আয়াত শানে নুযুল দরকার হয় না। অনেকক্ষেত্রে অনেক আয়াত এতই স্পস্ট যে সেটা সব পরিস্থিতির জন্যই যে প্রযোজ্য তা বোঝা যায়। তাই সব আয়াতেরই শানে নুযুল থাকতেই হবে তা মনে করাও বোকামী।

মদীনা সনদ নিয়ে যা বলেছেন তার উত্তর দিয়েছি।

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪২

বিবেক ও সত্য বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনি উদাহর দিয়ে বুঝাতে বলেছেন। আমি উদাহরন দিব।
আর শানে নুযুলের বিতর্কটাও আপনাকে উদাহরন দেয়ার প্রয়োজন বোধ করছি। এ কারনে বিস্তারিত পরে লিখব। কারন এটা সময় সাপেক্ষ বিষয়।

৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬

দরবেশমুসাফির বলেছেন: জনাব দরবেশমুসাফির, আপনি ইসলামের সুমহান আদর্শ দেখাতে সিফফিনের যুদ্ধে আলীর বক্তব্যের অংশবিশেষ তুলে ধরেছেন। আমি বললো ইসলাম মানুষকে আদর্শবান হতে, সুন্দর ব্যবহার করতে, সৎ মানুষ হতে বলে- এসব বিষয়ে যদি লেখা হয় হাজার হাজার পৃষ্ঠা লেখা সম্ভব। সুন্দরতম ইতিহাস সম্ভব। সৎ ও আদর্শবান মানুষ হতে ইসলামের শিক্ষা নিয়ে লিখলে আমি আপনার চেয়ে আরো সুন্দর করে লিখতে পারবো।
আমি নিজে ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রচারে জীবনের বৃহদ অংশ কাটিয়েছি।


ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রচারে জীবনের বৃহদ অংশ কাটিয়েছেন অথচ সিফফিনের যুদ্ধে আলী রা: মুসলিমদের যুদ্ধের নিয়ম বলে দিয়েছেন এবং ঐ নিয়ম অনুসারে জঙ্গীরা যে মুসলিমই না তা জানেন না। কেমনে ভাই??

কিন্তু সত্য চরম নিষ্ঠুর। যার সবকিছু এখানে ব্যখ্যা করা সম্ভব নয়, হাজার হাজার পৃষ্ঠা লাগবে

হুমম। সত্য এতই নিস্ঠুর যে আপনাকে শেষ পর্যন্ত স্বীকার করতেই হলো যে গুলশানের জঙ্গীরা ইসলামের নিয়ম অমান্য করেছে। তারা ইসলামকেই অস্বীকার করেছে। তা পালন করে নাই।

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩

বিবেক ও সত্য বলেছেন: ভাই, আপনি হয়ত লক্ষ করেননি যে আমি স্বীকার করেছি যে সুন্দরতম ইতিহাস লেখা সম্ভব। সুন্দুরতম ইতিহাস মানেই আপনি সিফফিনের যুদ্ধে আলীর যে বক্তব্য বললেন তা সহ আরো অনেক বক্তব্য ও ‍দৃষ্টান্ত। আপনার ব্যখ্যার আলোকে আপনি প্রমান করছেন জঙ্গিদের কর্ম ইসলাম বিরুদ্ধ। আপনি যে কয়টি কথা দ্বারা জঙ্গিদের কর্মকে ইসলাম বিরুদ্ধ বলে প্রমান করলেন আমি তার চেয়ে বেশি বক্তব্য দ্বারা জঙ্গিদের কর্মকে ইসলাম বিরুদ্ধ বলে প্রমানিত করতে পারব।
আবার যদি আপনি আমাকে জঙ্গিদের পক্ষে কুরআন-হাদিস থেকে প্রমান করতে বলেন আমি কিন্তু সেটাও পারব। দু’পক্ষেই যুক্তি আছে। সেটা এক বিশাল বিতর্কের বিষয়। শহর ভাল না গ্রাম ভাল তা নিয়ে বিশাল বিতর্ক করা সম্ভব।
আমার বক্তব্য হল কুরআন এ বিতর্কের সুযোগ রেখেছে। যা ব্যখ্যা করেছি নিম্নের লিঙ্কে:
কুরআনের আইন কি সৃষ্টিকর্তার আইন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.